‘যে কেহ আল্লাহ্র, তাঁহার ফিরিশতাগণের, তাঁহার রাসূলগণের এবং জিব্রীল ও মীকাঈলের শত্রু সে জানিয়া রাখুক, আল্লাহ্ নিশ্চয়ই কাফিরদের শত্রু।’ (২:৯৮)
তাহারা বলে, ‘তাহার নিকট কোন ফিরিশ্তা কেন প্রেরিত হয় না?’ যদি আমি ফিরিশ্তা প্রেরণ করিতাম তাহা হইলে চূড়ান্ত ফয়সালাই তো হইয়া যাইত; আর তাহাদেরকে কোন অবকাশ দেওয়া হইত না। (৬:৮)
আর দুঃখ-দৈন্য তাহাদেরকে স্পর্শ করিবার পর, যখন আমি মানুষকে অনুগ্রহের আস্বাদন করাই তাহারা তখনই আামার নিদর্শনের বিরুদ্ধে অপকৌশল করে। বল, ‘আল্লাহ্ অপকৌশলের শাস্তিদানে দ্রুততর।’ তোমরা যে অপকৌশল কর তাহা অবশ্যই আমার ফিরিশ্তাগণ লিখিয়া রাখে। (১০:২১)
আমার ফিরিশ্তাগণ তো সুসংবাদ লইয়া ইব্রাহীমের নিকট আসিল। তাহারা বলিল, ‘সালাম’। সেও বলিল, ‘সালাম’। সে অবিলম্বে এক কাবাবকৃত গো-বৎস লইয়া আসিল। (১১:৬৯)
সে যখন দেখিল তাহাদের হস্ত উহার দিকে প্রসারিত হইতেছে না, তখন তাহাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করিল এবং তাহাদের সম্বন্ধে তাহার মনে ভীতি সঞ্চার হইল। তাহারা বলিল, ‘ভয় করিও না, আমরা তো লূতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হইয়াছি।’ (১১:৭০)
আর তাহার স্ত্রী দন্ডায়মান এবং সে হাসিয়া ফেলিল। অতঃপর আমি তাহাকে ইস্হাকের ও ইস্হাকের পরবর্তী ইয়া‘কূবের সুসংবাদ দিলাম। (১১:৭১)
স্থায়ী জান্নাত, উহাতে তাহারা প্রবেশ করিবে এবং তাহাদের পিতা-মাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহারাও এবং ফিরিশ্তাগণ তাহাদের নিকট উপস্থিত হইবে প্রত্যেক দ্বার দিয়া, (১৩:২৩)
আমি ফিরিশ্তাগণকে প্রেরণ করি না যথার্থ কারণ ব্যতীত; ফিরিশ্তাগণ উপস্থিত হইলে উহারা অবকাশ পাইবে না। (১৫:৮)
বল, ‘তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে রুহুল-কুদুস জিব্রাঈল সত্যসহ কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছে, যাহারা মু’মিন তাহাদেরকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য এবং হিদায়াত ও সুসংবাদস্বরূপ মুসলিমদের জন্য।’ (১৬:১০২)
জিব্রাঈল ইহা লইয়া অবতরণ করিয়াছে (২৬:১৯৩)
তিনি তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাঁহার ফিরিশ্তাগণও তোমাদের জন্য অনুগ্রহ প্রার্থনা করে। অন্ধকার হইতে তোমাদেরকে আলোকে আনিবার জন্য, এবং তিনি মু’মিনদের প্রতি পরম দয়ালু। (৩৩:৪৩)
শপথ তাহাদের যাহারা সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান (৩৭:১)
ও যাহারা কঠোর পরিচালক (৩৭:২)
এবং যাহারা ‘যিকির’ আবৃত্তিতে রত- (৩৭:৩)
যাহারা ‘আর্শ ধারণ করিয়া আছে এবং যাহারা ইহার চতুষ্পার্শ্ব ঘিরিয়া আছে, তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সঙ্গে এবং তাঁহার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মু’মিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিয়া বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান সর্বব্যাপী। অতএব যাহারা তওবা করে ও তোমার পথ অবলম্বন করে তুমি তাহাদেরকে ক্ষমা কর এবং জাহান্নামের শাস্তি হইতে রক্ষা কর।’ (৪০:৭)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তাহাদেরকে দাখিল কর স্থায়ী জান্নাতে, যাহার প্রতিশ্রুতি তুমি তাহাদেরকে দিয়াছ এবং তাহাদের পিতামাতা, পতি-পত্নী ও সন্তান-সন্ততিদের মধ্যে যাহারা সৎকর্ম করিয়াছে তাহাদেরকেও। তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪০:৮)
‘এবং তুমি তাহাদেরকে শাস্তি হইতে রক্ষা কর। সেই দিন তুমি যাহাকে শাস্তি হইতে রক্ষা করিবে, তাহাকে তো অনুগ্রহই করিবে; ইহাই তো মহাসাফল্য।’ (৪০:৯)
তাহারা বলিবে, ‘তোমাদের নিকট কি স্পষ্ট নিদর্শনসহ তোমাদের রাসূলগণ আসে নাই?’ জাহান্নামীরা বলিবে, ‘অবশ্যই আসিয়াছিল।’ প্রহরীরা বলিবে, ‘তবে তোমরাই প্রার্থনা কর; আর কাফিরদের প্রার্থনা ব্যর্থই হয়। (৪০:৫০)
উহারা কি মনে করে যে, আমি উহাদের গোপন বিষয় ও মন্ত্রণার খবর রাখি না? অবশ্যই রাখি। আমার ফিরিশ্তাগণ তো উহাদের নিকট থাকিয়া সবকিছু লিপিবদ্ধ করে। (৪৩:৮০)
হে মু’মিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা কর দোযখ হইতে, যাহার ইন্ধন হইবে মানুষ ও প্রস্তর, যাহাতে নিয়োজিত আছে নির্মমহৃদয়, কঠোরস্বভাব ফিরিশ্তাগণ, যাহারা অমান্য করে না তাহা, যাহা আল্লাহ্ তাহাদেরকে আদেশ করেন। আর তাহারা যাহা করিতে আদিষ্ট হয় তাহাই করে। (৬৬:৬)
তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁহার অদৃশ্যের জ্ঞান কাহারও নিকট প্রকাশ করেন না, (৭২:২৬)
তাঁহার মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ্ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন, (৭২:২৭)
রাসূলগণ তাহাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছেন কি না জানিবার জন্য। রাসূলগণের নিকট যাহা আছে তাহা তাঁহার জ্ঞানগোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন। (৭২:২৮)
সেই দিন রূহ্ ও ফিরিশ্তাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াইবে; দয়াময় যাহাকে অনুমতি দিবেন সে ব্যতীত অন্যেরা কথা বলিবে না এবং সে যথার্থ বলিবে। (৭৮:৩৮)