আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- (২:১৫৫)
যাহারা তাহাদের উপর বিপদ আপতিত হইলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহ্রই এবং নিশ্চিতভাবে তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তনকারী।’ (২:১৫৬)
ইহারাই তাহারা যাহাদের প্রতি তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে বিশেষ অনুগ্রহ ও রহমত বর্ষিত হয়, আর ইহারাই সৎপথে পরিচালিত। (২:১৫৭)
আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে তাঁহার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করিয়াছিলেন যখন তোমরা আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাহাদেরকে বিনাশ করিতেছিলে, যে পর্যন্ত না তোমরা সাহস হারাইলে এবং নির্দেশ সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করিলে এবং যাহা তোমরা ভালবাস তাহা তোমাদের দেখাইবার পর তোমরা অবাধ্য হইলে। তোমাদের কতক ইহকাল চাহিতেছিল এবং কতক পরকাল চাহিতেছিল। অতঃপর তিনি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে তাহাদের হইতে ফিরাইয়া দিলেন। অবশ্যই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিলেন এবং আল্লাহ্ মু’মিনদের প্রতি অনুগ্রহশীল। (৩:১৫২)
তিনিই তোমাদেরকে দুনিয়ার প্রতিনিধি করিয়াছেন এবং যাহা তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন সে সম্বন্ধে পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদায় উন্নীত করিয়াছেন। তোমার প্রতিপালক তো শাস্তি প্রদানে দ্রুত আর তিনি অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়াময়। (৬:১৬৫)
এবং জানিয়া রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো এক পরীক্ষা এবং আল্লাহ্রই নিকট মহাপুরস্কার রহিয়াছে। (৮:২৮)
তুমি তোমার চক্ষুদ্বয় কখনও প্রসারিত করিও না উহার প্রতি, যাহা আমি তাহাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসাবে দিয়াছি, তদ্দ্বারা তাহাদেরকে পরীক্ষা করিবার জন্য। তোমার প্রতিপালক-প্রদত্ত জীবনোপকরণ উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। (২০:১৩১)
ইহা এইজন্য যে, শয়তান যাহা প্রক্ষিপ্ত করে তিনি উহাকে পরীক্ষাস্বরূপ করেন তাহাদের জন্য যাহাদের অন্তরে ব্যাধি রহিয়াছে ও যাহারা পাষাণ হৃদয়। নিশ্চয়ই জালিমরা দুস্তর মতভেদে রহিয়াছে। (২২:৫৩)
নিশ্চয়ই ইহা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। (৩৭:১০৬)
মানুষকে বিপদ-আপদ স্পর্শ করিলে সে আমাকে আহ্বান করে; অতঃপর যখন আমি আমার কোন নিয়ামত দ্বারা তাহাকে অনুগৃহীত করি তখন সে বলে, ‘আমাকে তো ইহা দেওয়া হইয়াছে আমার জ্ঞানের কারণে।’ বস্তুত ইহা এক পরীক্ষা, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই বুঝে না। (৩৯:৪৯)
তোমাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তো পরীক্ষাবিশেষ; আর আল্লাহ্, তাঁহারই নিকট রহিয়াছে মহাপুরস্কার। (৬৪:১৫)
আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিয়াছি, যেভাবে পরীক্ষা করিয়াছিলাম উদ্যান-অধিপতিগণকে, যখন উহারা শপথ করিয়াছিল যে, উহারা প্রত্যূষে আহরণ করিবে বাগানের ফল, (৬৮:১৭)
এবং তাহারা ‘ইন্শাআল্লাহ্’ বলে নাই। (৬৮:১৮)
অতঃপর তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে এক বিপর্যয় হানা দিল সেই উদ্যানে, যখন উহারা ছিল নিদ্রিত। (৬৮:১৯)
মানুষ তো এইরূপ যে, তাহার প্রতিপালক যখন তাহাকে পরীক্ষা করেন সম্মান ও অনুগ্রহ দান করিয়া, তখন সে বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করিয়াছেন।’ (৮৯:১৫)
এবং যখন তাহাকে পরীক্ষা করেন তাহার রিযিক সংকুচিত করিয়া, তখন সে বলে, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে হীন করিয়াছেন।’ (৮৯:১৬)

