‘যাহারা তাহাদের দীনকে ক্রীড়া-কৌতুকরূপে গ্রহণ করিয়াছিল এবং পার্থিব জীবন যাহাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল।’ সুতরাং আজ আমি তাহাদেরকে বিস্মৃত হইব, যেভাবে তাহারা তাহাদের এই দিনের সাক্ষাতকে ভুলিয়া গিয়াছিল এবং যেভাবে তাহারা আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করিয়াছিল। (৭:৫১)
অবশ্য আমি তাহাদেরকে পৌঁছাইয়াছিলাম এমন এক কিতাব যাহা পূর্ণজ্ঞান দ্বারা বিশদ ব্যাখ্যা করিয়াছিলাম এবং যাহা ছিল মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও দয়া। (৭:৫২)
তাহারা কি শুধু উহার পরিণামের প্রতীক্ষা করে, যেদিন উহার পরিণাম প্রকাশ পাইবে! সেদিন যাহারা পূর্বে উহার কথা ভুলিয়া গিয়াছিল তাহারা বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ তো সত্যবাণী আনিয়াছিল, আমাদের কি এমন কোন সুপারিশকারী আছে যে আমাদের জন্য সুপারিশ করিবে অথবা আমাদেরকে কি পুনরায় ফিরিয়া যাইতে দেওয়া হইবে, যেন আমরা পূর্বে যাহা করিতাম তাহা হইতে ভিন্নতর কিছু করিতে পারি?’ তাহারা নিজেদেরকেই ক্ষতি করিয়াছে এবং তাহারা যে মিথ্যা রচনা করিত তাহাও অন্তর্হিত হইয়াছে। (৭:৫৩)
নিশ্চয়েই যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না এবং পার্থিব জীবনেই সন্তুষ্ট এবং ইহাতেই পরিতৃপ্ত থাকে এবং যাহারা আমার নিদর্শনাবলী সম্বন্ধে গাফিল। (১০:৭)
উহাদেরই আবাস দোজখ, উহাদের কৃতকর্মের জন্য। (১০:৮)
আল্লাহ্ যদি মানুষের অকল্যাণ ত্বরান্বিত করিতেন, যেভাবে তাহারা তাহাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করিতে চায়, তবে অবশ্যই তাহাদের মৃত্যু ঘটিত। সুতরাং যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহাদেরকে আমি তাহাদের অবাধ্যতায় উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইতে দেই। (১০:১১)
আর মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে শুইয়া, বসিয়া অথবা দাঁড়াইয়া আমাকে ডাকিয়া থাকে। অতঃপর আমি যখন তাহার দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করি, সে এমন পথ অবলম্বন করে, যেন তাহাকে যে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করিয়াছিল তাহার জন্য সে আমাকে ডাকেই নাই। যাহারা সীমালংঘন করে তাহাদের কর্ম তাহাদের নিকট এইভাবে শোভনীয় করিয়া দেওয়া হইয়াছে। (১০:১২)
তোমাদের পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে আমি তো ধ্বংস করিয়াছি যখন তাহারা সীমা অতিক্রম করিয়াছিল। স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাহাদের নিকট তাহাদের রাসূলগণ আসিয়াছিল, কিন্তু তাহারা ঈমান আনিবার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এইভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়া থাকি। (১০:১৩)
বস্তুত পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত এইরূপ: যেমন আমি আকাশ হইতে বারি বর্ষন করি যদ্দ্বারা ভূমিজ উদ্ভিদ ঘন-সন্নিবিষ্ট হইয়া উদ্গত হয়, যাহা হইতে মানুষ ও জীবজন্তু আহার করিয়া থাকে। অতঃপর যখন ভূমি তাহার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয় এবং উহার অধিকারিগণ মনে করে উহা তাহাদরে আয়ত্তাধীন, তখন দিবসে অথবা রজনীতে আমার নির্দেশ আসিয়া পড়ে ও আমি উহা এমনভাবে নির্মূল করিয়া দেই, যেন গতকালও উহার অস্তিত্ব ছিল না। এইভাবে আমি নিদর্শনাবলী বিশদভাবে বিবৃত করি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য। (১০:২৪)
যে কেহ পার্থিব জীবন ও উহার শোভা কামনা করে, দুনিয়ায় আমি উহাদের কর্মের পূর্ণফল দান করি এবং সেখানে তাহাদেরকে কম দেওয়া হইবে না। (১১:১৫)
উহাদের জন্য আখিরাতে দোযখ ব্যতীত অন্য কিছুই নাই এবং উহারা যাহা করে আখিরাতে তাহা নিষ্ফল হইবে এবং উহারা যাহা করিয়া থাকে তাহা নিরর্থক। (১১:১৬)
তাহারা কি উহাদের সমতুল্য যাহারা প্রতিষ্ঠিত উহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণের উপর, যাহার অনুসরণ করে তাঁহার প্রেরিত সাক্ষী এবং যাহার পূর্বে ছিল মূসার কিতাব আদর্শ ও অনুগ্রহস্বরূপ? উহারাই ইহাতে বিশ্বাসী। অন্যান্য দলের যাহারা ইহাকে অস্বীকার করে, দোযখই তাহাদের প্রতিশ্রুত স্থান। সুতরাং তুমি ইহাতে সন্দিগ্ধ হইও না। ইহা তো তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত সত্য, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না। (১১:১৭)
যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহাদের অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? উহাদেরকে উপস্থিত করা হইবে উহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে এবং সাক্ষিগণ বলিবে, ‘ইহারাই ইহাদের প্রতিপালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করিয়াছিল।’ সাবধান! আল্লাহ্র লা‘নত জালিমদের উপর, (১১:১৮)
কখনও কখনও কাফিররা আকাঙ্ক্ষা করিবে যে, তাহারা যদি মুসলিম হইত! (১৫:২)
উহাদেরকে ছাড়, উহারা খাইতে থাকুক, ভোগ করিতে থাকুক এবং আশা উহাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখুক; অচিরেই উহারা জানিতে পারিবে। (১৫:৩)
সত্য প্রত্যাখ্যানে মানুষ এক-মতাবলম্বী হইয়া পড়িবে, এই আশংকা না থাকিলে দয়াময় আল্লাহ্কে যাহারা অস্বীকার করে, উহাদেরকে আমি দিতাম উহাদের গৃহের জন্য রৌপ্য-নির্মিত ছাদ ও সিঁড়ি যাহাতে উহারা আরোহণ করে, (৪৩:৩৩)
এবং উহাদের গৃহের জন্য দরজা ও পালঙ্ক-যাহাতে উহারা হেলান দিয়া বিশ্রাম করিতে পারে, (৪৩:৩৪)
এবং স্বর্ণ-নির্মিতও। আর এই সকলই তো শুধু পার্থিব জীবনের ভোগ-সম্ভার। মুত্তাকীদের জন্য তোমার প্রতিপালকের নিকট রহিয়াছে আখিরাতের কল্যাণ। (৪৩:৩৫)
‘ইহা এইজন্য যে, তোমরা আল্লাহ্র নিদর্শনাবলীকে বিদ্রূপ করিয়াছিলে এবং পার্থিব জীবন তোমাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল।’ সুতরাং সেই দিন উহাদেরকে জাহান্নাম হইতে বাহির করা হইবে না এবং আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ দেওয়া হইবে না। (৪৫:৩৫)
প্রত্যেকের মর্যাদা তাহার কর্মানুযায়ী, ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ প্রত্যেকের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দিবেন এবং তাহাদের প্রতি অবিচার করা হইবে না। (৪৬:১৯)
যেদিন কাফিরদেরকে জাহান্নামের সন্নিকটে উপস্থিত করা হইবে সেদিন উহাদেরকে বলা হইবে, ‘তোমরা তোমাদের পার্থিব জীবনেই সুখ-সম্ভার পাইয়াছ এবং সেইগুলি উপভোগও করিয়াছ। সুতরাং আজ তোমাদেরকে দেওয়া হইবে অবমাননাকর শাস্তি। কারণ তোমরা পৃথিবীতে অন্যায়ভাবে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিয়াছিলে এবং তোমরা ছিলে সত্যদ্রোহী।’ (৪৬:২০)
মুনাফিকরা মু’মিনদেরকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিবে, ‘আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না?’ তাহারা বলিবে, ‘হাঁ, কিন্তু তোমরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদগ্রস্ত করিয়াছ। তোমরা প্রতীক্ষা করিয়াছিলে, সন্দেহ পোষণ করিয়াছিলে এবং অলীক আকাঙ্ক্ষা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছিল, অবশেষে আল্লাহ্র হুকুম আসিল। আর মহাপ্রতারক তোমাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল আল্লাহ্ সম্পর্কে।’ (৫৭:১৪)
অনন্তর যে সীমালংঘন করে (৭৯:৩৭)
এবং পার্থিব জীবনকে অগ্রাধিকার দেয়, (৭৯:৩৮)
জাহান্নামই হইবে তাহার আবাস। (৭৯:৩৯)
প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখে। (১০২:১)
যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও। (১০২:২)

