সুতরাং তোমরা আমাকেই স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করিব। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও এবং অকৃতজ্ঞ হইও না। (২:১৫২)
আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই। প্রার্থনাকারী যখন আমার নিকট প্রার্থনা করে আমি তাহার প্রার্থনায় সাড়া দেই। সুতরাং তাহারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক, যাহাতে তাহারা ঠিক পথে চলিতে পারে। (২:১৮৬)
পবিত্র মাস পবিত্র মাসের বিনিময়ে। যাহার পবিত্রতা অলঙ্ঘনীয় তাহার অবমাননা সকলের জন্য সমান। সুতরাং যে কেহ তোমাদেরকে আক্রমণ করিবে তোমরাও তাহাকে অনুরূপ আক্রমণ করিবে এবং তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং জানিয়া রাখ যে, আল্লাহ্ অবশ্যই মুত্তাকীদের সঙ্গে থাকেন। (2:194)
এই রাসূলগণ, তাহাদের মধ্যে কাহাকেও কাহারও উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছি। তাহাদের মধ্যে এমন কেহ রহিয়াছে যাহার সঙ্গে আল্লাহ্ কথা বলিয়াছেন, আবার কাহাকেও উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করিয়াছেন। মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসাকে স্পষ্ট প্রমাণ প্রদান করিয়াছি ও পবিত্র আত্মা দ্বারা তাহাকে শক্তিশালী করিয়াছি। আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহাদের পরবর্তীরা তাহাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ সমাগত হওয়ার পরও পারস্পরিক যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হইত না; কিন্তু তাহাদের মধ্যে মতভেদ ঘটিল। ফলে তাহাদের কিছুসংখ্যক ঈমান আনিল এবং কিছুসংখ্যক কুফরী করিল। আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহারা পারস্পারিক যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হইত না; কিন্তু আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। (২:২৫৩)
অতঃপর তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের ডাকে সাড়া দিয়া বলেন, ‘আমি তোমাদের মধ্যে কর্মনিষ্ঠ কোন নর অথবা নারীর কর্ম বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। সুতরাং যাহারা হিজরত করিয়াছে, নিজ গৃহ হইতে উৎখাত হইয়াছে, আমার পথে নির্যাতিত হইয়াছে এবং যুদ্ধ করিয়াছে ও নিহত হইয়াছে আমি তাহাদের পাপ কাজগুলি অবশ্যই দূরীভূত করিব এবং অবশ্যই তাহাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে পুরস্কার; উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই নিকট। (৩:১৯৫)
অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছি যাহাদের কথা পূর্বে আমি তোমাকে বলিয়াছি এবং অনেক রাসূল, যাহাদের কথা তোমাকে বলি নাই। এবং মূসার সঙ্গে আল্লাহ্ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ করিয়াছিলেন। (৪:১৬৪)
মূসা যখন আমার নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হইল এবং তাহার প্রতিপালক তাহার সঙ্গে কথা বলিলেন তখন সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমাকে দেখিব।’ তিনি বলিলেন, ‘তুমি আমাকে কখনই দেখিতে পাইবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য কর, উহা স্বস্থানে স্থির থাকিলে তবে তুমি আমাকে দেখিবে।’ যখন তাহার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করিলেন তখন উহা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়িল। যখন সে জ্ঞান ফিরিয়া পাইল তখন বলিল, ‘মহিমময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হইয়া তোমাতেই প্রত্যাবর্তন করিলাম এবং মু’মিনদের মধ্যে আমিই প্রথম।’ (৭:১৪৩)
তিনি বলিলেন, ‘হে মূসা! আমি তোমাকে আমার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা মানুষের মধ্যে বিশিষ্ট করিয়াছি; সুতরাং আমি যাহা দিলাম তাহা গ্রহণ কর এবং কৃতজ্ঞ হও।’ (৭:১৪৪)
তোমরা মীমাংসা চাহিয়াছিলে, তাহা তো তোমাদের নিকট আসিয়াছে; যদি তোমরা বিরত হও তবে উহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা পুনরায় কর তাতে আমিও পুনরায় শাস্তি দিব এবং তোমাদের দল সংখ্যায় অধিক হইলেও তোমাদের কোন কাজে আসিবে না, এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মু’মিনদের সঙ্গে রহিয়াছে। (৮:১৯)
হে মু’মিনগণ! রাসূল যখন তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে আহ্বান করে যাহা তোমাদেরকে প্রাণবন্ত করে, তখন আল্লাহ্ ও রাসূলের আহ্বানে সাড়া দিবে এবং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ মানুষ ও তাহার অন্তরের মধ্যবর্তী হইয়া থাকেন, এবং তাঁহারই নিকট তোমাদেরকে একত্র করা হইবে। (৮:২৪)
নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহ্র বিধানে আল্লাহ্র নিকট মাস গণনায় মাস বারটি; তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং ইহার মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করিও না এবং তোমরা মুশরিকদের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিবে, যেমন তাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিয়া থাকে। এবং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তো মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (৯:৩৬)
হে মু’মিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যাহারা তোমাদের নিকটবর্তী তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর এবং উহারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখিতে পায়। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তো মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (৯:১২৩)
অতঃপর যখন ইব্রাহীমের ভীতি দূরীভূত হইল এবং তাহার নিকট সুসংবাদ আসিল তখন সে লূতের সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার সঙ্গে বাদানুবাদ করিতে লাগিল। (১১:৭৪)
আল্লাহ্ তাহাদেরই সঙ্গে আছেন যাহারা তাক্ওয়া অবলম্বন করে এবং যাহারা সৎকর্মপরায়ণ। (১৬:১২৮)
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা ভাল জানেন; যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও তবেই তো তিনি আল্লাহ্-অভিমুখীদের প্রতি অতিশয় ক্ষমাশীল। (১৭:২৫)
স্মরণ কর, এই কিতাবে মূসার কথা, সে ছিল বিশেষ মনোনীত এবং সে ছিল রাসূল, নবী। (১৯:৫১)
তাহাকে আমি আহ্বান করিয়াছিলাম তূর পর্বতের দক্ষিণ দিক হইতে এবং আমি অন্তরঙ্গ আলাপে তাহাকে নৈকট্য দান করিয়াছিলাম। (১৯:৫২)
মূসার বৃত্তান্ত তোমার নিকট পৌঁছিয়াছে কি? (২০:৯)
সে যখন আগুন দেখিল তখন তাহার পরিবারবর্গকে বলিল, ‘তোমরা এখানে থাক আমি আগুন দেখিয়াছি। সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য উহা হইতে কিছু জ্বলন্ত অঙ্গার আনিতে পারিব অথবা আমি আগুনের নিকটে কোন পথনির্দেশ পাইব।’ (২০:১০)
অতঃপর যখন সে আগুনের নিকট আসিল তখন আহ্বান করিয়া বলা হইল, ‘হে মূসা! (২০:১১)
আমিই তোমার প্রতিপালক, অতএব তোমার পাদুকা খুলিয়া ফেল, কারণ তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রহিয়াছ। (২০:১২)
‘এবং আমি তোমাকে মনোনীত করিয়াছি। অতএব যাহা ওহী প্রেরণ করা হইতেছে তুমি তাহা মনোযোগের সঙ্গে শ্রবণ কর। (২০:১৩)
‘আমিই আল্লাহ্, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। অতএব আমার ‘ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। (২০:১৪)
‘কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, আমি ইহা গোপন রাখিতে চাহি যাহাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করিতে পারে। (২০:১৫)
‘সুতরাং যে ব্যক্তি কিয়ামতে বিশ্বাস করে না ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে উহাতে বিশ্বাস স্থাপনে নিবৃত্ত না করে, নিবৃত্ত হইলে তুমি ধ্বংস হইয়া যাইবে। (২০:১৬)
‘হে মূসা! তোমার দক্ষিণ হস্তে উহা কী?’ (২০:১৭)
সে বলিল, ‘উহা আমার লাঠি; আমি ইহাতে ভর দেই এবং ইহা দ্বারা আঘাত করিয়া আমি আমার মেষপালের জন্য বৃক্ষপত্র ফেলিয়া থাকি এবং ইহা আমার অন্যান্য কাজেও লাগে।’ (২০:১৮)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘হে মূসা! তুমি ইহা নিক্ষেপ কর।’ (২০:১৯)
অতঃপর সে উহা নিক্ষেপ করিল, সঙ্গে সঙ্গে উহা সাপ হইয়া ছুটিতে লাগিল, (২০:২০)
তিনি বলিলেন, ‘তুমি ইহাকে ধর, ভয় করিও না, আমি ইহাকে ইহার পূর্বরূপে ফিরাইয়া দিব। (২০:২১)
‘এবং তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, ইহা বাহির হইয়া আসিবে নির্মল উজ্জ্বল হইয়া অপর এক নিদর্শনস্বরূপ। (২০:২২)
‘ইহা এইজন্য যে, আমি তোমাকে দেখাইব আমার মহানিদর্শনগুলির কিছু। (২০:২৩)
‘ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমালংঘন করিয়াছে।’ (২০:২৪)
মূসা বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করিয়া দাও। (২০:২৫)
এবং আমার কর্ম সহজ করিয়া দাও। (২০:২৬)
আমার জিহ্বার জড়তা দূর করিয়া দাও- (২০:২৭)
যাহাতে উহারা আমার কথা বুঝিতে পারে। (২০:২৮)
আমার জন্য করিয়া দাও একজন সাহায্যকারী আমার স্বজনবর্গের মধ্য হইতে; (২০:২৯)
আমার ভ্রাতা হারূনকে; (২০:৩০)
তাহার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় কর, (২০:৩১)
ও তাহাকে আমার কর্মে অংশী কর, (২০:৩২)
যাহাতে আমরা তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতে পারি প্রচুর; (২০:৩৩)
এবং তোমাকে স্মরণ করিতে পারি অধিক। (২০:৩৪)
‘তুমি তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা।’ (২০:৩৫)
তিনি বলিলেন, হে মূসা! তুমি যাহা চাহিয়াছ তাহা তোমাকে দেওয়া হইল। (২০:৩৬)
‘এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করিয়া লইয়াছি। (২০:৪১)
‘তুমি ও তোমার ভ্রাতা আমার নিদর্শনসহ যাত্রা কর এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করিও না, (২০:৪২)
‘তোমরা উভয়ে ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমা-লংঘন করিয়াছে। (২০:৪৩)
‘তোমরা তাহার সঙ্গে নম্র কথা বলিবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করিবে অথবা ভয় করিবে।’ (২০:৪৪)
তাহারা বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো আশংকা করি সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করিবে অথবা অন্যায় আচরণে সীমালংঘন করিবে।’ (২০:৪৫)
তিনি বলিলেন, ‘তোমরা ভয় করিও না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি।’ (২০:৪৬)
সুতরাং তোমরা তাহার নিকট যাও এবং বল, ‘আমরা তোমার প্রতিপালকের রাসূল, সুতরাং আমাদের সঙ্গে বনী ইস্রাঈলকে যাইতে দাও এবং তাহাদেরকে কষ্ট দিও না, আমরা তো তেমার নিকট আনিয়াছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে নিদর্শন এবং শান্তি তাহাদের প্রতি যাহারা অনুসরণ করে সৎপথ। (২০:৪৭)
‘আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হইয়াছে যে, শাস্তি তো তাহার জন্য, যে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরাইয়া নেয়।’ (২০:৪৮)
যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি দন্ডায়মান হও, (২৬:২১৮)
এবং দেখেন সিজ্দাকারীদের সঙ্গে তোমার উঠাবসা। (২৬:২১৯)
তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (২৬:২২০)
বরং তিনি, যিনি আর্তের আহ্বানে সাড়া দেন, যখন সে তাঁহাকে ডাকে এবং বিপদ-আপদ দূরীভূত করেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেন। আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্ আছে কি? তোমরা উপদেশ অতি সামান্যই গ্রহণ করিয়া থাক। (২৭:৬২)
যখন তাহারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করিল এবং ইব্রাহীম তাহার পুত্রকে কাত করিয়া শায়িত করিল, (৩৭:১০৩)
তখন আমি তাহাকে আহ্বান করিয়া বলিলাম, ‘হে ইব্রাহীম! (৩৭:১০৪)
‘তুমি তো স্বপ্নাদেশ সত্যই পালন করিলে!’-এইভাবেই আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৩৭:১০৫)
তোমাদের প্রতিপালক বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যাহারা অহংকারবশে আমার ‘ইবাদত বিমুখ, উহারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করিবে লাঞ্ছিত হইয়া।’ (৪০:৬০)
তিনি মু’মিন ও সৎকর্মপরায়ণদের আহ্বানে সাড়া দেন এবং তাহাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ বর্ধিত করেন; কাফিরদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি। (৪২:২৬)
সুতরাং তোমরা হীনবল হইও না এবং সন্ধির প্রস্তাব করিও না, তোমরাই প্রবল; আল্লাহ্ তোমাদের সঙ্গে আছেন, তিনি তোমাদের কর্মফল কখনও ক্ষুণ্ন করিবেন না। (৪৭:৩৫)