বরং এই বিষয়ে উহাদের অন্তর অজ্ঞানতায় আচ্ছন্ন, এতদ্ব্যতীত তাহাদের আরও কাজ আছে যাহা উহারা করিয়া থাকে। (২৩:৬৩)
আর আমি যখন উহাদের ঐশ্বর্যশালী ব্যক্তিদেরকে শাস্তি দ্বারা ধৃত করি তখনই উহারা আর্তনাদ করিয়া উঠে। (২৩:৬৪)
তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘আজ আর্তনাদ করিও না, তোমরা আমার সাহায্য পাইবে না।’ (২৩:৬৫)
আমার আয়াত তো তোমাদের নিকট আবৃত্তি করা হইত, কিন্তু তোমরা পিছনে ফিরিয়া সরিয়া পড়িতে- (২৩:৬৬)
দম্ভভরে, এই বিষয়ে অর্থহীন গল্প-গুজব করিতে করিতে। (২৩:৬৭)
তবে কি উহারা এই বাণী অনুধাবন করে না? অথবা উহাদের নিকট এমন কিছু আসিয়াছে যাহা উহাদের পূর্বপুরুষদের নিকট আসে নাই? (২৩:৬৮)
অথবা উহারা কি উহাদের রাসূলকে চিনে না বলিয়া তাহাকে অস্বীকার করে? (২৩:৬৯)
অথবা উহারা কি বলে যে, সে উন্মাদনাগ্রস্ত, বস্তুত সে উহাদের নিকট সত্য আনিয়াছে এবং উহাদের অধিকাংশ সত্যকে অপসন্দ করে। (২৩:৭০)
সত্য যদি উহাদের কামনা-বাসনার অনুগামী হইত তবে বিশৃংখল হইয়া পড়িত আকাশমন্ডলী, পৃথিবী এবং উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুই। পক্ষান্তরে আমি উহাদেরকে দিয়াছি উপদেশ, কিন্তু উহারা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয়। (২৩:৭১)
তিনিই তোমাদের জন্য কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ সৃষ্টি করিয়াছেন; তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়া থাক। (২৩:৭৮)
তিনিই তোমাদেরকে পৃথিবীতে বিস্তৃত করিয়াছেন এবং তোমাদেরকে তাঁহারই নিকট একত্র করা হইবে। (২৩:৭৯)
তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং তাঁহারই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝিবে না? (২৩:৮০)
এতদসত্ত্বেও উহারা বলে, যেমন বলিয়াছিল পূর্ববর্তীরা। (২৩:৮১)
উহারা বলে, ‘আমাদের মৃত্যু ঘটিলে ও আমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হইলেও কি আমরা উত্থিত হইব? (২৩:৮২)
‘আমাদেরকে তো এই বিষয়েই প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছে এবং অতীতে আমাদের পূর্বপুরুষগণকেও। ইহা তো সে কালের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (২৩:৮৩)
জিজ্ঞাসা কর, ‘এই পৃথিবী এবং ইহাতে যাহারা আছে তাহারা কাহার, যদি তোমরা জান?’ (২৩:৮৪)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করিবে না?’ (২৩:৮৫)
জিজ্ঞাসা কর, ‘কে সপ্ত আকাশ এবং মহা‘আর্শের অধিপতি?’ (২৩:৮৬)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’ (২৩:৮৭)
জিজ্ঞাসা কর, ‘সকল কিছুর কর্তৃত্ব কাহার হাতে, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যাঁহার উপর আশ্রয়দাতা নাই, যদি তোমরা জান?’ (২৩:৮৮)
উহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্র’। বল, ‘তবুও তোমরা কেমন করিয়া মোহগ্রস্ত হইতেছ?’ (২৩:৮৯)
বরং আমি তো উহাদের নিকট সত্য পৌঁছাইয়াছি; কিন্তু উহারা তো নিশ্চিত মিথ্যাবাদী। (২৩:৯০)
উহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! দুর্ভাগ্য আমাদেরকে পাইয়া বসিয়াছিল এবং আমরা ছিলাম এক বিভ্রান্ত সম্প্রদায়; (২৩:১০৬)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! এই অগ্নি হইতে আমাদেরকে উদ্ধার কর; অতঃপর আমরা যদি পুনরায় কুফরী করি তবে তো আমরা অবশ্যই সীমালংঘনকারী হইব।’ (২৩:১০৭)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘তোরা হীন অবস্থায় এইখানে থাক্ এবং আমার সঙ্গে কোন কথা বলিস্ না।’ (২৩:১০৮)
আমার বান্দাগণের মধ্যে একদল ছিল যাহারা বলিত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি, তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও দয়া কর, তুমি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (২৩:১০৯)
‘কিন্তু তাহাদেরকে লইয়া তোমরা এতো ঠাট্টা-বিদ্রূপ করিতে যে, উহা তোমাদেরকে আমার কথা ভুলাইয়া দিয়াছিল। তোমরা তো তাহাদেরকে লইয়া হাসি-ঠাট্টাই করিতে।’ (২৩:১১০)
‘আমি আজ তাহাদেরকে তাহাদের ধৈর্যের কারণে এমনভাবে পুরস্কৃত করিলাম যে, তাহারাই হইল সফলকাম।’ (২৩:১১১)
আমি তো সুস্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করিয়াছি, আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। (২৪:৪৬)
উহারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও রাসূলের প্রতি ঈমান আনিলাম এবং আমরা আনুগত্য স্বীকার করিলাম’, কিন্তু ইহার পর উহাদের একদল মুখ ফিরাইয়া নেয়; বস্তুত উহারা মু’মিন নয়। (২৪:৪৭)
এবং যখন উহাদেরকে আহ্বান করা হয় আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের দিকে উহাদের মধ্যে ফয়সালা করিয়া দিবার জন্য তখন উহাদের একদল মুখ ফিরাইয়া নেয়। (২৪:৪৮)
আর যদি উহাদের প্রাপ্য থাকে তাহা হইলে উহারা বিনীতভাবে রাসূলের নিকট ছুটিয়া আসে। (২৪:৪৯)
উহাদের অন্তরে কি ব্যাধি আছে, না উহারা সংশয় পোষণ করে? না উহারা ভয় করে যে, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল উহাদের প্রতি জুলুম করিবেন? বরং উহারাই তো জালিম। (২৪:৫০)
উহারা মু’মিন হইতেছে না বলিয়া তুমি হয়ত মনোকষ্টে আত্মবিনাশী হইয়া পড়িবে। (২৬:৩)
আমি ইচ্ছা করিলে আকাশ হইতে উহাদের নিকট এক নিদর্শন প্রেরণ করিতাম, ফলে উহাদের গ্রীবা বিনত হইয়া পড়িত উহার প্রতি। (২৬:৪)
যখনই উহাদের কাছে দয়াময়ের নিকট হইতে কোন নূতন উপদেশ আসে, তখনই উহারা উহা হইতে মুখ ফিরাইয়া নেয়। (২৬:৫)
উহারা তো অস্বীকার করিয়াছে। সুতরাং উহারা যাহা লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করিত তাহার প্রকৃত বার্তা তাহাদের নিকট শীঘ্রই আসিয়া পড়িবে। (২৬:৬)
উহারা কি যমীনের দিকে লক্ষ্য করে না? আমি উহাতে প্রত্যেক প্রকারের কত উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ উদ্গত করিয়াছি। (২৬:৭)
নিশ্চয় ইহাতে আছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে। (২৬:৮)
উহারা বলিল, ‘তুমি উপদেশ দাও অথবা না-ই দাও, উভয়ই আমাদের জন্য সমান। (২৬:১৩৬)
ইহা তো পূর্ববর্তীদেরই স্বভাব। (২৬:১৩৭)
‘আমার শাস্তিপ্রাপ্তদের শামিল নই।’ (২৬:১৩৮)
অতঃপর উহারা তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিল এবং আমি উহাদেরকে ধ্বংস করিলাম। ইহাতে অবশ্যই আছে নিদর্শন; কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে। (২৬:১৩৯)