আমিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করি, অতঃপর তোমাদের আকৃতি দান করি এবং তৎপর ফিরিশ্তাদেরকে আদমকে সিজদা করিতে বলি; ইবলীস ব্যতীত সকলেই সিজ্দা করিল। সে সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইল না। (৭:১১)
তিনি বলিলেন, ‘আমি যখন তোমাকে আদেশ দিলাম তখন কী তোমাকে নিবৃ্ত করিল যে, তুমি সিজদা করিলে না?’ সে বলিল, ‘আমি তাহার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ; তুমি আমাকে অগ্নি দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছ এবং তাহাকে কর্দম দ্বারা সৃষ্টি করিয়াছ।’ (৭:১২)
তিনি বলিলেন, ‘এই স্থান হইতে নামিয়া যাও, এখানে থাকিয়া অহংকর করিবে, ইহা হইতে পারে না। সুতরাং বাহির হইয়া যাও, তুমি অধমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (৭:১৩)
সে বলিল, ‘পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দাও।’ (৭:১৪)
তিনি বলিলেন, ‘যাহাদেরকে অবকাশ দেওয়া হইয়াছে তুমি অবশ্যই তাহাদের অন্তর্ভুক্ত হইলে।’ (৭:১৫)
সে বলিল, ‘তুমি আমাকে শাস্তিদান করিলে, এইজন্য আমিও তোমার সরল পথে মানুষের জন্য নিশ্চয় ওঁৎ পাতিয়া থাকিব। (৭:১৬)
‘অতঃপর আমি তাহাদের নিকট আসিবই তাহাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, দক্ষিণ ও বাম দিক হইতে এবং তুমি তাহাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাইবে না।’ (৭:১৭)
তিনি বলিলেন, ‘এই স্থান হইতে ধিকৃত ও বিতাড়িত অবস্থায় বাহির হইয়া যাও। মানুষের মধ্যে যাহারা তোমার অনুসরণ করিবে নিশ্চয় আমি তোমাদের সকলের দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিবই।’ (৭:১৮)
‘হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং যেথা ইচ্ছা আহার কর, কিন্তু এই বৃক্ষের নিকটবর্তী হইও না; হইলে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হইবে।’ (৭:১৯)
অতঃপর তাহাদের লজ্জাস্থান, যাহা তাহাদের নিকট গোপন রাখা হইয়াছিল তাহা তাহাদের কাছে প্রকাশ করিবার জন্য শয়তান তাহাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল এবং বলিল, ‘পাছে তোমরা উভয়ে ফিরিশতা হইয়া যাও কিংবা তোমরা স্থায়ী হও এইজন্যই তোমাদের প্রতিপালক এই বৃক্ষ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করিয়াছেন।’ (৭:২০)
সে তাহাদের উভয়ের নিকট শপথ করিয়া বলিল, ‘আমি তো তোমাদের হিতাকাঙ্ক্ষীদের একজন।’ (৭:২১)
এইভাবে সে তাহাদেরকে প্রবঞ্চনার দ্বারা অধঃপতিত করিল। তৎপর যখন তাহারা সেই বৃক্ষ-ফলের আস্বাদ গ্রহণ করিল, তখন তাহাদের লজ্জাস্থান তাহাদের নিকট প্রকাশ হইয়া পড়িল এবং তাহারা জান্নাতের পাতা দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করিতে লাগিল। তখন তাহাদের প্রতিপালক তাহাদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে এই বৃক্ষের নিকটবর্তী হইতে বারণ করি নাই এবং আমি কি তোমাদেরকে বলি নাই যে, শয়তান তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?’ (৭:২২)
তাহারা বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করিয়াছি, যদি তুমি আমাদেরকে ক্ষমা না কর এবং দয়া না কর তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’ (৭:২৩)
তিনি বলিলেন, ‘তোমরা নামিয়া যাও, তোমরা একে অন্যের শত্রু এবং পৃথিবীতে কিছুকালের জন্য তোমাদের বসবাস ও জীবিকা রহিল।’ (৭:২৪)
তিনি বলিলেন, ‘সেখানেই তোমরা জীবন যাপন করিবে, সেখানেই তোমাদের মৃত্যু হইবে এবং সেখান হইতেই তোমাদেরকে বাহির করিয়া আনা হইবে।’ (৭:২৫)
হে বনী আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকিবার ও বেশ-ভূষার জন্য আমি তোমাদেরকে পরিচ্ছদ দিয়াছি এবং তাক্ওয়ার পরিচ্ছদ, ইহাই সর্বোৎকৃষ্ট। ইহা আল্লাহ্র নিদর্শনসমূহের অন্যতম, যাহাতে তাহারা উপদেশ গ্রহণ করে। (৭:২৬)
শপথ আসমানের, যাহা ধারণ করে বৃষ্টি, (৮৬:১১)
এবং শপথ যমীনের, যাহা বিদীর্ণ হয়, (৮৬:১২)
নিশ্চয়ই আল-কুরআন মীমাংসাকারী বাণী। (৮৬:১৩)
এবং ইহা নিরর্থক নয়। (৮৬:১৪)
উহারা ভীষণ ষড়যন্ত্র করে, (৮৬:১৫)
এবং আমিও ভীষণ কৌশল করি। (৮৬:১৬)
অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও; উহাদেরকে অবকাশ দাও কিছু কালের জন্য। (৮৬:১৭)