যখন তাহাদের নিকট নিদর্শন আসে তাহারা তখন বলে, ‘আল্লাহ্র রাসূলগণকে যাহা দেওয়া হইয়াছিল আমাদেরকেও তাহা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কখনও বিশ্বাস করিব না।’ আল্লাহ্ তাঁহার রিসালাতের দায়িত্ব কাহার উপর অর্পণ করিবেন তাহা তিনিই ভাল জানেন। যাহারা অপরাধ করিয়াছে, চক্রান্তের জন্য আল্লাহ্র নিকট হইতে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইবেই। (৬:১২৪)
উহারা বলে, ‘ওহে, যাহার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হইয়াছে! তুমি তো নিশ্চয় উন্মাদ। (১৫:৬)
‘তুমি সত্যবাদী হইলে আমাদের নিকট ফিরিশতাগণকে উপস্থিত করিতেছ না কেন?’ (১৫:৭)
আমি ফিরিশ্তাগণকে প্রেরণ করি না যথার্থ কারণ ব্যতীত; ফিরিশ্তাগণ উপস্থিত হইলে উহারা অবকাশ পাইবে না। (১৫:৮)
‘আর অবশ্যই আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করিয়াছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফ্রী করা ব্যতীত ক্ষান্ত হইল না।’ (১৭:৮৯)
এবং উহারা বলে, ‘আমরা কখনই তোমাতে ঈমান আনিব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের জন্য ভূমি হইতে এক প্রস্রবণ উৎসারিত থাকিবে, (১৭:৯০)
‘অথবা তোমার খেজুরের ও আংগুরের এক বাগান হইবে যাহার ফাঁকে ফাঁকে তুমি অজস্র ধারায় প্রবাহিত করিয়া দিবে নদী-নালা। (১৭:৯১)
‘অথবা তুমি যেমন বলিয়া থাক, তদনুয়ায়ী আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করিয়া আমাদের উপর ফেলিবে, অথবা আল্লাহ্ ও ফিরিশ্তাগণকে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করিবে, (১৭:৯২)
‘অথবা তোমার একটি স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হইবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করিবে, কিন্তু তোমার আকাশ আরোহণে আমরা কখনও ঈমান আনিব না যতক্ষণ তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ না করিবে যাহা আমরা পাঠ করিব।’ বল, ‘পবিত্র মহান আমার প্রতিপালক! আমি তো হইতেছি কেবল একজন মানুষ, একজন রাসূল।’ (১৭:৯৩)
উহারা বলে, ‘সে তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে আমাদের নিকট কোন নিদর্শন আনয়ন করে না কেন?’ উহাদের নিকট কি আসে নাই সুস্পষ্ট প্রমাণ যাহা আছে পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহে? (২০:১৩৩)
বস্তুত উহাদের প্রত্যেকেই কামনা করে যে, তাহাকে একটি উন্মুক্ত গ্রন্থ দেওয়া হউক। (৭৪:৫২)
না, ইহা হইবার নয়; বরং উহারা তো আখিরাতের ভয় পোষন করে না। (৭৪:৫৩)
না, ইহা হইবার নয়, কুরআনই সকলের জন্য উপদেশবাণী। (৭৪:৫৪)
অতএব যাহার ইচ্ছা সে ইহা হইতে উপদেশ গ্রহণ করুক। (৭৪:৫৫)