আমি যদি তোমার প্রতি কাগজে লিখিত কিতাবও নাযিল করিতাম আর তাহারা যদি উহা হস্ত দ্বারা স্পর্শও করিত তবুও কাফিরগণ বলিত, ‘ইহা স্পষ্ট জাদু ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (৬:৭)
তাহারা বলে, ‘তাহার নিকট কোন ফিরিশ্তা কেন প্রেরিত হয় না?’ যদি আমি ফিরিশ্তা প্রেরণ করিতাম তাহা হইলে চূড়ান্ত ফয়সালাই তো হইয়া যাইত; আর তাহাদেরকে কোন অবকাশ দেওয়া হইত না। (৬:৮)
তাহারা আল্লাহ্র নামে কঠিন শপথ করিয়া বলে, তাহাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসিত তবে অবশ্যই তাহারা ইহাতে ঈমান আনিত। বল, ‘নিদর্শন তো আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারভুক্ত।’ তাহাদের নিকট নিদর্শন আসিলেও তাহারা যে ঈমান আনিবে না ইহা কিভাবে তোমাদের বোধগম্য করান যাইবে? (৬:১০৯)
তাহারা যেমন প্রথমবার উহাতে ঈমান আনে নাই তেমনি আমিও তাহাদের মনোভাবের ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করিয়া দিব এবং তাহাদেরকে তাহাদের অবাধ্যতায় উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইতে দিব। (৬:১১০)
আমি তাহাদের নিকট ফিরিশতা প্রেরণ করিলেও এবং মৃতেরা তাহাদের সঙ্গে কথা বলিলেও এবং সকল বস্তুকে তাহাদের সম্মুখে হাযির করিলেও যদি না আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন তবে তাহারা ঈমান আনিবে না; কিন্তু তাহাদের অধিকাংশই অজ্ঞ। (৬:১১১)
যদি কোন কুরআন এমন হইত যদ্দ্বারা পর্বতকে গতিশীল করা যাইত অথবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যাইত অথবা মৃতের সঙ্গে কথা বলা যাইত, তবুও উহারা উহাতে বিশ্বাস করিত না। কিন্তু সমস্ত বিষয়ই আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারভুক্ত। তবে কি যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদের প্রত্যয় হয় নাই যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে নিশ্চয়ই সকলকে সৎপথে পরিচালিত করিতে পারিতেন? যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহাদের কর্মফলের জন্য তাহাদের বিপর্যয় ঘটিতেই থাকিবে, অথবা বিপর্যয় তাহাদের আশেপাশে আপতিত হইতেই থাকিবে যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি আসিয়া পড়িবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না। (১৩:৩১)
‘আর অবশ্যই আমি মানুষের জন্য এই কুরআনে বিভিন্ন উপমা বিশদভাবে বর্ণনা করিয়াছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কুফ্রী করা ব্যতীত ক্ষান্ত হইল না।’ (১৭:৮৯)
এবং উহারা বলে, ‘আমরা কখনই তোমাতে ঈমান আনিব না, যতক্ষণ না তুমি আমাদের জন্য ভূমি হইতে এক প্রস্রবণ উৎসারিত থাকিবে, (১৭:৯০)
‘অথবা তোমার খেজুরের ও আংগুরের এক বাগান হইবে যাহার ফাঁকে ফাঁকে তুমি অজস্র ধারায় প্রবাহিত করিয়া দিবে নদী-নালা। (১৭:৯১)
‘অথবা তুমি যেমন বলিয়া থাক, তদনুয়ায়ী আকাশকে খন্ড-বিখন্ড করিয়া আমাদের উপর ফেলিবে, অথবা আল্লাহ্ ও ফিরিশ্তাগণকে আমাদের সম্মুখে উপস্থিত করিবে, (১৭:৯২)
‘অথবা তোমার একটি স্বর্ণ নির্মিত গৃহ হইবে, অথবা তুমি আকাশে আরোহণ করিবে, কিন্তু তোমার আকাশ আরোহণে আমরা কখনও ঈমান আনিব না যতক্ষণ তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ না করিবে যাহা আমরা পাঠ করিব।’ বল, ‘পবিত্র মহান আমার প্রতিপালক! আমি তো হইতেছি কেবল একজন মানুষ, একজন রাসূল।’ (১৭:৯৩)