উহারা ইহাও বলে, ‘এই সমস্ত অলীক কল্পনা, হয় সে উহা উদ্ভাবন করিয়াছে, না হয় সে একজন কবি। অতএব সে আনয়ন করুক আমাদের নিকট এক নিদর্শন যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হইয়াছিল পূর্ববর্তীগণ।’ (২১:৫)
ইহা কল্যাণময় উপদেশ; আমি ইহা অবতীর্ণ করিয়াছি। তবুও কি তোমরা ইহাকে অস্বীকার কর? (২১:৫০)
কাফিররা বলে, ‘ইহা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, সে ইহা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাহাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করিয়াছে।’ এইরূপে উহারা অবশ্যই জুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হইয়াছে। (২৫:৪)
উহারা বলে, ‘এইগুলি তো সেকালের উপকথা, যাহা সে লিখাইয়া লইয়াছে; এইগুলি সকাল-সন্ধ্যা তাহার নিকট পাঠ করা হয়।’ (২৫:৫)
বল, ‘ইহা তিনিই অবতীর্ণ করিয়াছেন যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সমুদয় রহস্য অবগত আছেন; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (২৫:৬)
উহারা বলে, ‘এ কেমন রাসূল’ যে আহার করে এবং হাটে-বাজারে চলাফেরা করে; তাহার নিকট কোন ফিরিশ্তা কেন অবতীর্ণ করা হইল না, যে তাহার সঙ্গে থাকিত সতর্ককারীরূপে?’ (২৫:৭)
অথবা তাহাকে ধনভান্ডার দেওয়া হয় না কেন অথবা তাহার একটি বাগান নাই কেন, যাহা হইতে সে আহার সংগ্রহ করিতে পারে?’ সীমালংঘনকারীরা আরও বলে, ‘তোমরা তো এক জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করিতেছ।’ (২৫:৮)
তবে কি উহারা বলে, ‘ইহা সে নিজে রচনা করিয়াছে?’ না, ইহা তোমার প্রতিপালক হইতে আগত সত্য, যাহাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে সতর্ক করিতে পার, যাহাদের নিকট তোমার পূর্বে কোন সতর্ককারী আসে নাই, হয়ত উহারা সৎপথে চলিবে। (৩২:৩)
‘সে কি বহু ইলাহ্কে এক ইলাহ্ বানাইয়া লইয়াছে? ইহা তো এক আত্যাশ্চর্য ব্যাপার!’ (৩৮:৫)
উহাদের প্রধানেরা সরিয়া পড়ে এই বলিয়া, ‘তোমরা চলিয়া যাও এবং তোমাদের দেবতাগুলির পূজায় তোমরা অবিচলিত থাক। নিশ্চয়ই এই ব্যাপারটি উদ্দেশ্যমূলক।’ (৩৮:৬)
‘আমরা তো অন্য ধর্মাদর্শে এরূপ কথা শুনি নাই; ইহা এক মনগড়া উক্তি মাত্র। (৩৮:৭)
‘আমাদের মধ্য হইতে কি তাহারই উপর কুরআন অবতীর্ণ হইল?’ প্রকৃতপক্ষে উহারা তো আমার কুরআনে সন্দিহান, উহারা এখনও আমার শাস্তি আস্বাদন করে নাই। (৩৮:৮)
উহাদের নিকট যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় তখন উহাদের কোন যুক্তি থাকে না কেবল এই উক্তি ছাড়া যে, তোমরা সত্যবাদী হইলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপস্থিত কর। (৪৫:২৫)
উহারা কি বলে, ‘এই কুরআন তাহার নিজের রচনা?’ বরং উহারা অবিশ্বাসী। (৫২:৩৩)
উহারা যদি সত্যবাদী হয় তবে ইহার সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক না! (৫২:৩৪)