কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহারা এবং মুশরিকরা ইহা চাহে না যে, তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের প্রতি কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হউক। অথচ আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা নিজ রহমতের জন্য বিশেষরূপে মনোনীত করেন এবং আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহশীল। (২:১০৫)
ওহে! যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে, তোমাদের নিকট যাহা আছে তাহার প্রত্যায়নকারীরূপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমরা ঈমান আন, আমি মুখমন্ডলসমূহ বিকৃত করিয়া অতঃপর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেওয়ার পূর্বে অথবা আস্হাবুস সাব্তকে যেরূপ লা‘নত করিয়াছিলাম সেইরূপ তাহাদেরকে লা‘নত করিবার পূর্বে। আল্লাহ্র আদেশ কার্যকারী হইয়াই থাকে। (৪:৪৭)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার সঙ্গে শরীক করা ক্ষমা করেন না। ইহা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেহ আল্লাহ্র শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। (৪:৪৮)
তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই, যাহারা নিজেরদেরকে পবিত্র মনে করে? বরং আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। এবং তাহাদের উপর সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হইবে না। (৪:৪৯)
দেখ! তাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে কিরূপ মিথ্যা উদ্ভাবন করে; এবং প্রকাশ্য পাপ হিসাবে ইহাই যথেষ্ট। (৪:৫০)
মু’মিনগণের পরিবর্তে যাহারা কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাহারা কি উহাদের নিকট ইয্যত চায়? সমস্ত ইয্যত তো আল্লাহ্রই। (৪:১৩৯)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ই মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্’, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই। অথচ মসীহ্ বলিয়াছিল, ‘হে বনী ইস্রাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর।’ কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে আল্লাহ্ তাহার জন্য জান্নাত অবশ্যই নিষিদ্ধ করিবেন এবং তাহার আবাস জাহান্নাম। জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই। (৫:৭২)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ তো তিনের মধ্যে একজন, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই- যদিও এক ইলাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহারা যাহা বলে তাহা হইতে নিবৃত্ত না হইলে তাহাদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছে, তাহাদের উপর অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হইবেই। (৫:৭৩)
তবে কি তাহারা আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করিবে না ও তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবে না? আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫:৭৪)
মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্ তো কেবল একজন রাসূল। তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে এবং তাহার মাতা পরম সত্যনিষ্ঠ ছিল। তাহারা উভয়ে খাদ্যাহার করিত। দেখ, আমি উহাদের জন্য আয়াতসমূহ কিরূপ বিশদভাবে বর্ণনা করি; আরও দেখ, উহারা কিভাবে সত্যবিমুখ হয়। (৫:৭৫)
অবশ্য মু’মিনদের প্রতি শত্রুতায় মানুষের মধ্যে ইয়াহূদী ও মুশরিকদেরকেই তুমি সর্বাধিক উগ্র দেখিবে এবং যাহারা বলে ‘আমরা খ্রিস্টান’ মানুষের মধ্যে তাহাদেরকেই তুমি মু’মিনদের নিকটতর বন্ধুত্বে দেখিবে; কারণ তাহাদের মধ্যে অনেক পন্ডিত ও সংসার-বিরাগী আছে, আর তাহারা অহংকারও করে না। (৫:৮২)
যাহাতে আল্লাহ্র নাম নেওয়া হয় নাই তাহার কিছুই তোমরা আহার করিও না; উহা অবশ্যই পাপ। নিশ্চয়ই শয়তানেরা তাহাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে বিবাদ করিতে প্ররোচনা দেয়; যদি তোমরা তাহাদের কথামত চল তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হইবে। (৬:১২১)
আল্লাহ্র নিকট নিকৃষ্ট জীব তাহারাই যাহারা কুফরী করে এবং ঈমান আনে না। (৮:৫৫)
ইহা সম্পর্কচ্ছেদ আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের পক্ষ হইতে সেই সমস্ত মুশরিকদের সঙ্গে যাহাদের সঙ্গে তোমরা পারস্পারিক চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছিলে। (৯:১)
অতঃপর তোমরা দেশে চারি মাসকাল পরিভ্রমণ কর ও জানিয়া রাখ, তোমরা আল্লাহ্কে হীনবল করিতে পারিবে না এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফিরদের লাঞ্ছিত করিয়া থাকেন। (৯:২)
মহান হজ্জের দিবসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের পক্ষ হইতে মানুষের প্রতি ইহা এক ঘোষণা যে, নিশ্চয়ই মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ্ দায়মুক্ত এবং তাঁহার রাসূলও। তোমরা যদি তওবা কর তবে তাহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর তোমরা যদি মুখ ফিরাও তবে জানিয়া রাখ, তোমরা আল্লাহ্কে হীনবল করিতে পারিবে না এবং কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও, (৯:৩)
তবে মুশরিকদের মধ্যে যাহাদের সঙ্গে তোমরা চুক্তিতে আবদ্ধ ও পরে যাহারা তোমাদের চুক্তি রক্ষায় কোন ত্রুটি করে নাই এবং তোমাদের বিরুদ্ধে কাহাকেও সাহায্য করে নাই, তাহাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ করিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুত্তাকীদেরকে পছন্দ করেন। (৯:৪)
অতঃপর নিষিদ্ধ মাসসমূহ অতিবাহিত হইলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাইবে হত্যা করিবে, তাহাদেরকে বন্দী করিবে, অবরোধ করিবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাহাদের জন্য ওঁৎ পাতিয়া থাকিবে। কিন্তু যদি তাহারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তাহাদের পথ ছাড়িয়া দিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৯:৫)
মুশরিকদের মধ্যে কেহ তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করিলে তুমি তাহাকে আশ্রয় দিবে যাহাতে সে আল্লাহ্র বাণী শুনিতে পায়; অতঃপর তাহাকে তাহার নিরাপদ স্থানে পৌঁছাইয়া দিবে; কারণ তাহারা অজ্ঞ লোক। (৯:৬)
কেমন করিয়া থাকিবে? তাহারা যদি তোমাদের উপর জয়ী হয়, তবে তাহারা তোমাদের আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের কোন মর্যাদা দিবে না; তাহারা মুখে তোমাদেরকে সন্তুষ্ট রাখে; কিন্তু তাহাদের হৃদয় উহা অস্বীকার করে; তাহাদের অধিকাংশ সত্যত্যাগী। (৯:৮)
তাহারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে এবং তাহারা লোকদেরকে তাঁহার পথ হইতে নিবৃত্ত করে; নিশ্চয়ই তাহারা যাহা করিয়া থাকে তাহা অতি নিকৃষ্ট! (৯:৯)
তাহারা কোন মু’মিনের সঙ্গে আত্মীয়তার ও অঙ্গীকারের মর্যাদা রক্ষা করে না, তাহারাই সীমালংঘনকারী। (৯:১০)
মুশরিকরা যখণ নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তাহরা আল্লাহ্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করিবে- এমন হইতে পারে না। উহারা এমন, যাহাদের সমস্ত কর্ম ব্যর্থ হইয়াছে এবং উহারা দোজখেই স্থায়িভাবে অবস্থান করিবে। (৯:১৭)
তাহারাই তো আল্লাহ্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করিবে, যাহারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তাহারা হইবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৯:১৮)
হে মু’মিনগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র; সুতরাং এই বৎসরের পর তাহারা যেন মসজিদুল হারামের নিকট না আসে। যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশঙ্কা কর তবে আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাঁহার নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৯:২৮)
আত্মীয়-স্বজন হইলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মু’মিনদের জন্য সংগত নয় যখন ইহা সু্স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে, নিশ্চিতই উহারা জাহান্নামী। (৯:১১৩)
আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি কোন সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করিবার পর উহাদেরকে বিভ্রান্ত করিবেন-উহাদেরকে কী বিষয়ে তাক্ওয়া অবলম্বন করিতে হইবে, ইহা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত না করা পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (৯:১১৫)
তুমি কি মনে কর যে, উহাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? উহারা তো পশুর মতই; বরং উহারা অধিক পথভ্রষ্ট! (২৫:৪৪)
তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই ওহী হইয়াছে, ‘তুমি আল্লাহ্র শরীক স্থির করিলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হইবে এবং অবশ্যই তুমি হইবে ক্ষতিগ্রস্ত। (৩৯:৬৫)
‘অতএব তুমি আল্লাহ্রই ‘ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞ হও।’ (৩৯:৬৬)
না কি আল্লাহ্ ব্যতীত উহাদের অন্য কোন ইলাহ্ আছে? উহারা যাহাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তাহা হইতে পবিত্র। (৫২:৪৩)
কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করে তাহারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের অগ্নিতে স্থায়িভাবে অবস্থান করিবে; উহারাই সৃষ্টির অধম। (৯৮:৬)