তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই যাহাদেরকে কিতাবের এক অংশ দেওয়া হইয়াছিল, তাহারা জিব্ত ও তাগূতে বিশ্বাস করে? তাহারা কাফিরদের সম্বন্ধে বলে, ‘ইহাদেরই পথ মু’মিনদের অপেক্ষা প্রকৃষ্টতর।’ (৪:৫১)
ইহারাই তাহারা, যাহাদেরকে আল্লাহ্ লা‘নত করিয়াছিল এবং আল্লাহ্ যাহাকে লা‘নত করেন তুমি কখনও তাহার কোন সাহায্যকারী পাইবে না। (৪:৫২)
তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই যাহারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে তাহারা বিশ্বাস করে, অথচ তাহারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হইতে চায়, যদিও উহা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাহাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে এবং শয়তান তাহাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করিতে চায়? (৪:৬০)
তাঁহার পরিবর্তে তাহারা দেবীরই পূজা করে এবং বিদ্রোহী শয়তানেরই পূজা করে- (৪:১১৭)
বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কিছুর ‘ইবাদত কর, তোমাদের ক্ষতি বা উপকার করার কোন ক্ষমতা যাহার নাই? আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (৫:৭৬)
হে মু’মিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা উহা বর্জন কর- যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। (৫:৯০)
স্মরণ কর, ইব্রাহীম তাহার পিতা আযরকে বলিয়াছিল, ‘আপনি কি মূর্তিকে ইলাহ্রূপে গ্রহণ করেন? আমি তো আপনাকে ও আপনার সম্প্রদায়কে স্পষ্ট ভ্রান্তিতে দেখিতেছি।’ (৬:৭৪)
তাহার সম্প্রদায় তাহার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হইল। সে বলিল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্ সম্বন্ধে আমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হইবে? তিনি তো আমাকে সৎপথে পরিচালিত করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক অন্যবিধ ইচ্ছা না করিলে তোমরা যাহাকে তাঁহার শরীক কর তাহাকে আমি ভয় করি না, সব কিছুই আমার প্রতিপালকের জ্ঞানায়ত্ত, তবে কি তোমরা অনুধাবন করিবে না? (৬:৮০)
‘তোমরা যাহাকে আল্লাহ্র শরীক কর আমি তাহাকে কিরূপে ভয় করিব? অথচ তোমরা আল্লাহ্র শরীক করিতে ভয় কর না, যে বিষয়ে তিনি তোমাদেরকে কোন সনদ দেন নাই। সুতরাং যদি তোমরা জান তবে বল, দুই দলের মধ্যে কোন দল নিরাপত্তা লাভের বেশি হক্দার।’ (৬:৮১)
আল্লাহ্কে ছাড়িয়া যাহাদেরকে তাহারা ডাকে তাহাদেরকে তোমরা গালি দিও না। কেননা তাহারা সীমালংঘন করিয়া অজ্ঞানতাবশত আল্লাহ্কেও গালি দিবে। এইভাবে আমি প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাহাদের কার্যকলাপ সুশোভন করিয়াছি; অতঃপর তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদের প্রত্যাবর্তন। অনন্তর তিনি তাহাদেরকে তাহাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে অবহিত করিবেন। (৬:১০৮)
এইভাবে তাহাদের দেবতারা বহু মুশরিকের দৃষ্টিতে তাহাদের সন্তানদের হত্যাকে শোভন করিয়াছে তাহাদের ধ্বংস সাধনের জন্য এবং তাহাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাহাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য; আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহারা ইহা করিত না। সুতরাং তাহাদেরকে তাহাদের মিথ্যা লইয়া থাকিতে দাও। (৬:১৩৭)
তাহারা তাহাদের ধারণা অনুসারে বলে, ‘এ্রইসব গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র নিষিদ্ধ; আমরা যাহাকে ইচ্ছা করি সে ব্যতীত কেহ এইসব আহার করিতে পারিবে না’, এবং কতক গবাদিপশুর পৃষ্ঠে আরোহণ নিষিদ্ধ করা হইয়াছে এবং কতক পশু যবেহ্ করিবার সময় তাহারা আল্লাহ্র নাম নেয় না। এই সমস্তই তাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে বলে; তাহাদের এই মিথ্যা রচনার প্রতিফল তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে দিবেন। (৬:১৩৮)
তাহারা বলিল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট এই উদ্দেশ্যে আসিয়াছ যে, আমরা যেন এক আল্লাহ্র ‘ইবাদত করি এবং আমাদের পূর্বপুরুষগণ যাহার ‘ইবাদত করিত তাহা বর্জন করি? সুতরাং তুমি সত্যবাদী হইলে আমাদেরকে যাহার ভয় দেখাইতেছ তাহা আনয়ন কর।’ (৭:৭০)
সে বলিল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের শাস্তি ও ক্রোধ তো তোমাদের জন্য নির্ধারিত হইয়া আছে; তবে কি তোমরা আমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হইতে চাও এমন কতকগুলি নাম সম্বন্ধে যাহা তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষগণ সৃষ্টি করিয়াছ এবং যে সম্বন্ধে আল্লাহ্ কোন সনদ পাঠান নাই? সুতরাং তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে প্রতীক্ষা করিতেছি।’ (৭:৭১)
অতঃপর আমি তাহাকে ও তাহার সঙ্গীদেরকে আমার অনুগ্রহে উদ্ধার করিয়াছিলাম; আর আমার নিদর্শনকে যাহারা অস্বীকার করিয়াছিল এবং যাহারা মু’মিন ছিল না তাহাদেরকে নির্মূল করিয়াছিলাম। (৭:৭২)
আর আমি বনী ইসরাঈলকে সমুদ্র পার করাইয়া দেই; অতঃপর তাহারা প্রতিমা পূজায় রত এক জাতির নিকট উপস্থিত হয়। তাহারা বলিল, ‘হে মূসা! তাহাদের দেবতার ন্যায় আমাদের জন্যও এক দেবতা গড়িয়া দাও।’ সে বলিল, ‘তোমরা তো এক মূর্খ সম্প্রদায়।’ (৭:১৩৮)
উহারা কি এমন বস্তুকে শরীক করে যাহারা কিছুই সৃষ্টি করে না? বরং উহারা নিজেরাই সৃষ্ট, (৭:১৯১)
উহারা না তাহাদেরকে সাহায্য করিতে পারে, আর না করিতে পারে নিজেদেরকে সাহায্য। (৭:১৯২)
তোমরা উহাদেরকে সৎপথে আহ্বান করিলেও উহারা তোমাদেরকে অনুসরণ করিবে না; তোমরা উহাদেরকে আহ্বান কর বা চুপ করিয়া থাক, তোমাদের পক্ষে উভয়ই সমান। (৭:১৯৩)
আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাহাদেরকে আহ্বান কর তাহারা তো তোমাদেরই ন্যায় বান্দা; তোমরা তাহাদেরকে আহ্বান কর, তাহারা তোমাদের ডাকে সাড়া দিক, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। (৭:১৯৪)
তাহাদের কি পা আছে যাহা দ্বারা উহারা চলে? তাহাদের কি হাত আছে যদ্দ্বারা উহারা ধরে? তাহাদের কি চক্ষু আছে, যদ্দ্বারা উহারা দেখে? কিংবা তাহাদের কি কর্ণ আছে যদ্দ্বারা উহারা শ্রবণ করে? বল, তোমরা যাহাদেরকে আল্লাহ্র শরীক করিয়াছ তাহাদেরকে ডাক; অতঃপর আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না; (৭:১৯৫)
‘আমার অভিভাবক তো আল্লাহ্, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং তিনিই সৎকর্মপরায়ণদের অভিভাবকত্ব করিয়া থাকেন।’ (৭:১৯৬)
আল্লাহ্ ব্যতীত তোমরা যাহাকে আহ্বান কর তাহারা তো তোমাদেরকে সাহায্য করিতে পারে না এবং তাহাদের নিজেদের-কেও নয়। (৭:১৯৭)
উহারা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহার ‘ইবাদত করে তাহা উহাদের ক্ষতিও করিতে পারে না, উপকারও করিতে পারে না। উহারা বলে, ‘এইগুলি আল্লাহ্র নিকট আমাদের সুপারিশকারী।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর এমন কিছুর সংবাদ দিবে যাহা তিনি জানেন না? তিনি মহান, পবিত্র’ এবং তাহারা যাহাকে শরীক করে তাহা হইতে তিনি ঊর্ধ্বে। (১০:১৮)
এবং যেদিন আমি উহাদের সকলকে একত্র করিয়া, যাহারা মুশরিক তাহাদেরকে বলিব, ‘তোমরা এবং তোমরা যাহাদেরকে শরীক করিয়াছিলে তাহারা স্ব স্ব স্থানে অবস্থান কর;’ আমি উহাদেরকে পরস্পর হইতে পৃথক করিয়া দিব এবং উহারা যাহাদেরকে শরীক করিয়াছিল তাহারা বলিবে, ‘তোমরা তো আমাদের ‘ইবাদত করিতে না।’ (১০:২৮)
‘আল্লাহ্ই আমাদের ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট যে, তোমরা আমাদের ‘ইবাদত করিতে এ বিষয়ে আমরা তো গাফিল ছিলাম।’ (১০:২৯)
সেখানে তাহাদের প্রত্যেকে তাহার পূর্বকৃত কর্ম পরীক্ষা করিয়া লইবে এবং উহাদেরকে উহাদের প্রকৃত অভিভাবক আল্লাহ্র নিকট ফিরাইয়া আনা হইবে এবং উহাদের উদ্ভাবিত মিথ্যা উহাদের নিকট ইহতে অন্তর্হিত হইবে। (১০:৩০)
বল, ‘কে তোমাদেরকে আকাশ ও পৃথিবী হইতে জীবনোপকরণ সরবরাহ করে অথবা শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি কাহার কর্তৃত্বাধীন, জীবিতকে মৃত হইতে কে বাহির করে এবং মৃতকে জীবিত হইতে কে বাহির করে এবং সকল বিষয় কে নিয়ন্ত্রণ করে? তখন তাহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবুও কি তোমরা সাবধান হইবে না?’ (১০:৩১)
তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের সত্য প্রতিপালক। সত্য ত্যাগ করিবার পর বিভ্রান্তি ব্যতীত আর কী থাকে? সুতরাং তোমরা কোথায় চালিত হইতেছ? (১০:৩২)
এইভাবে সত্যত্যাগীদের সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের এই বাণী সত্য প্রতিপন্ন হইয়াছে যে, তাহারা তো ঈমান আনিবে না। (১০:৩৩)
বল, ‘তোমরা যাহাদের শরীক কর তাহাদের মধ্যে কি এমন কেহ আছে, যে সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করে ও পরে উহার পুনরাবর্তন ঘটায়?’ বল, ‘আল্লাহ্ই সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন ও পরে উহার পুনরাবর্তন ঘটান,’ সুতরাং তোমরা কেমন করিয়া সত্য-বিচ্যুত হইতেছ? (১০:৩৪)
বল, ‘তোমরা যাহাদেরকে শরীক কর তাহাদের মধ্যে কি এমন কেহ আছে, যে সত্যের পথ নির্দেশ করে?’ বল, ‘আল্লাহ্ই সত্যের পথ নির্দেশ করেন। যিনি সত্যের পথ নির্দেশ করেন তিনি আনুগত্যের অধিকতর হক্দার, না যাহাকে পথ না দেখাইলে পথ পায় না-সে? তোমাদের কী হইয়াছে? তোমরা কীভাবে সিদ্ধান্ত করিয়া থাক?’ (১০:৩৫)
‘তাঁহাকে ছাড়িয়া তোমরা কেবল কতকগুলি নামের ‘ইবাদত করিতেছ, যেই নামগুলি তোমাদের পিতৃপুরুষ ও তোমরা রাখিয়াছ; এইগুলির কোন প্রমাণ আল্লাহ্ পাঠান নাই। বিধান দিবার অধিকার কেবল আল্লাহ্রই। তিনি আদেশ দিয়াছেন অন্য কাহারও ‘ইবাদত না করিতে, কেবল তাঁহার ব্যতীত; ইহাই শাশ্বত দীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ইহা অবগত নয়। (১২:৪০)
বল, ‘কে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক?’ বল, ‘আল্লাহ্’। বল, ‘তবে কি তোমরা অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিয়াছ আল্লাহ্র পরিবর্তে অপরকে যাহারা নিজেদের লাভ বা ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়?’ বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান অথবা অন্ধকার ও আলো কি এক?’ তবে কী তাহারা আল্লাহ্র এমন শরীক করিয়াছে, যাহারা আল্লাহ্র সৃষ্টির মত সৃষ্টি করিয়াছে, যে কারণে সৃষ্টি উহাদের নিকট সদৃশ মনে হইয়াছে? বল, ‘আল্লাহ্ সকল বস্তুর স্রষ্টা; তিনি এক, পরাক্রমশালী।’ (১৩:১৬)
স্মরণ কর, ইব্রাহীম বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এই নগরীকে নিরাপদ করিও এবং আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পূজা হইতে দূরে রাখিও। (১৪:৩৫)
‘হে আমার প্রতিপালক! এই সকল প্রতিমা তো বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করিয়াছে। সুতরাং যে আমার অনুসরণ করিবে সে-ই আমার দলভুক্ত, কিন্তু কেহ আমার অবাধ্য হইলে তুমি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (১৪:৩৬)
যখন সে তাহার পিতাকে বলিল, ‘হে আমার পিতা! তুমি তাহার ‘ইবাদত কর কেন যে শুনে না, দেখে না এবং তোমার কোনই কাজে আসে না?’ (১৯:৪২)
‘হে আমার পিতা! আমার নিকট তো আসিয়াছে জ্ঞান যাহা তোমার নিকট আসে নাই; সুতরাং আমার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সঠিক পথ দেখাইব। (১৯:৪৩)
‘হে আমার পিতা! শয়তানের ‘ইবাদত করিও না। শয়তান তো দয়াময়ের অবাধ্য। (১৯:৪৪)
‘হে আমার পিতা! আমি তো আশংকা করি যে, তোমাকে দয়াময়ের শাস্তি স্পর্শ করিবে, তখন তুমি হইয়া পড়িবে শয়তানের বন্ধু।’ (১৯:৪৫)
পিতা বলিল, ‘হে ইব্রাহীম! তুমি কি আমার দেব-দেবী হইতে বিমুখ? যদি তুমি নিবৃত্ত না হও তবে আমি প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণ নাশ করিবই; তুমি চিরদিনের জন্য আমার নিকট হইতে দূর হইয়া যাও।’ (১৯:৪৬)
ইব্রাহীম বলিল, ‘তোমার প্রতি সালাম। আমি আমার প্রতিপালকের নিকট তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিব, নিশ্চয় তিনি আমার প্রতি অতিশয় অনুগ্রহশীল। (১৯:৪৭)
‘আমি তোমাদের হইতে ও তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহাদের ‘ইবাদত কর তাহাদের হইতে পৃথক হইতেছি; আমি আমার প্রতিপালককে আহ্বান করি; আশা করি, আমার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া আমি ব্যর্থকাম হইব না।’ (১৯:৪৮)
উহারা মৃত্তিকা হইতে তৈরি যেসব দেবতা গ্রহণ করিয়াছে সেইগুলি কি মৃতকে জীবিত করিতে সক্ষম? (২১:২১)
যদি আল্লাহ্ ব্যতীত বহু ইলাহ্ থাকিত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে, তবে উভয়েই ধ্বংস হইয়া যাইত। অতএব উহারা যাহা বলে তাহা হইতে আরশের অধিপতি আল্লাহ্ পবিত্র, মহান। (২১:২২)
যখন সে তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে বলিল, ‘এই মূর্তিগুলি কী, যাহাদের পূজায় তোমরা রত রহিয়াছ!’ (২১:৫২)
উহারা বলিল, ‘আমরা আমাদের পিতৃপুরুষগণকে ইহাদের পূজা করিতে দেখিয়াছি।’ (২১:৫৩)
সে বলিল, ‘তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃপুরুষগণও রহিয়াছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।’ (২১:৫৪)
উহারা বলিল, ‘তুমি কি আমাদের নিকট সত্য আনিয়াছ, না তুমি কৌতুক করিতেছ?’ (২১:৫৫)
সে বলিল, ‘না, তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি উহাদের সৃষ্টি করিয়াছেন এবং এই বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী।’ (২১:৫৬)
‘শপথ আল্লাহ্র, তোমরা চলিয়া গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলি সম্বন্ধে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করিব।’ (২১:৫৭)
অতঃপর সে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিল মূর্তিগুলিকে, উহাদের প্রধানটি ব্যতীত; যাহাতে উহারা তাহার দিকে ফিরিয়া আসে। (২১:৫৮)
উহারা বলিল, ‘আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এইরূপ করিল কে? সে নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী।’ (২১:৫৯)
কেহ কেহ বলিল, ‘এক যুবককে উহাদের সমালোচনা করিতে শুনিয়াছি; তাহাকে বলা হয় ইব্রাহীম।’ (২১:৬০)
উহারা বলিল, ‘তাহাকে উপস্থিত কর লোকসম্মুখে, যাহাতে উহারা প্রত্যক্ষ করিতে পারে।’ (২১:৬১)
উহারা বলিল ‘হে ইব্রাহীম! তুমিই কি আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এইরূপ করিয়াছ?’ (২১:৬২)
সে বলিল, ‘বরং ইহাদের এই প্রধান, সে-ই তো ইহা করিয়াছে, ইহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর যদি ইহারা কথা বলিতে পার।’ (২১:৬৩)
তখন উহারা মনে মনে চিন্তা করিয়া দেখিল এবং একে অপরকে বলিতে লাগিল, ‘তোমরাই তো সীমালংঘনকারী!’ (২১:৬৪)
অতঃপর উহাদের মস্তক অবনত হইয়া গেল এবং উহারা বলিল, ‘তুমি তো জানই যে, ইহারা কথা বলে না।’ (২১:৬৫)
ইব্রাহীম বলিল, ‘তবে কি তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদত কর যাহা তোমাদের কোন উপকার করিতে পারে না, ক্ষতিও করিতে পারে না?’ (২১:৬৬)
‘ধিক্ তোমাদেরকে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে তোমরা যাহাদের ‘ইবাদত কর তাহাদেরকে! তবুও কি তোমরা বুঝিবে না?’ (২১:৬৭)
ইহাই বিধান এবং কেহ আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র অনুষ্ঠানগুলির সম্মান করিলে তাহার প্রতিপালকের নিকট তাহার জন্য ইহাই উত্তম। তোমাদের জন্য হালাল করা হইয়াছে গবাদিপশু জন্ত-এইগুলি ব্যতীত যাহা তোমাদেরকে শোনান হইয়াছে। সুতরাং তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা কথন হইতে, (২২:৩০)
এবং উহারা ‘ইবাদত করে আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুর যাহার সম্পর্কে তিনি কোন দলীল প্রেরণ করেন নাই এবং যাহার সম্বন্ধে তাহাদের কোন জ্ঞান নাই। আর জালিমদের কোন সাহায্যকারী নাই। (২২:৭১)
এবং উহাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হইলে তুমি কাফিরদের মুখমন্ডলে অসন্তোষ লক্ষ্য করিবে। যাহারা উহাদের নিকট আমার আয়াত তিলাওয়াত করে তাহাদেরকে উহারা আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়। বল, ‘তবে কি আমি তোমাদেরকে ইহা অপেক্ষা মন্দ কিছুর সংবাদ দিব? ইহা আগুন। এই বিষয়ে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন কাফিরদেরকে এবং ইহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।’ (২২:৭২)
হে মানুষ! একটি উপমা দেওয়া হইতেছে, মনোযোগ সহকারে উহা শ্রবণ কর: তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক তাহারা তো কখনও একটি মাছিও সৃষ্টি করিতে পারিবে না, এই উদ্দেশ্যে তাহারা সকলে একত্র হইলেও। এবং মাছি যদি কিছু ছিনাইয়া লইয়া যায় তাহাদের নিকট হইতে, ইহাও তাহারা উহার নিকট হইতে উদ্ধার করিতে পারিবে না। অন্বেষক ও অন্বেষিত কতই দুর্বল; (২২:৭৩)
উহাদের নিকট ইব্রাহীমের বৃত্তান্ত বর্ণনা কর। (২৬:৬৯)
সে যখন তাহার পিতা ও তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা কিসের ‘ইবাদত কর?’ (২৬:৭০)
উহারা বলিল, ‘আমরা মূর্তির পূজা করি এবং আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে উহাদের পূজায় নিরত থাকিব।’ (২৬:৭১)
সে বলিল, ‘তোমরা প্রার্থনা করিলে উহারা কি শুনে?’ (২৬:৭২)
‘অথবা উহারা কি তোমাদের উপকার কিংবা অপকার করিতে পারে?’ (২৬:৭৩)
উহারা বলিল, ‘না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এইরূপই করিতে দেখিয়াছি।’ (২৬:৭৪)
সে বলিল, ‘তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, কিসের পূজা করিতেছ, (২৬:৭৫)
‘তোমরা এবং তোমাদের অতীত পিতৃপুরুষেরা? (২৬:৭৬)
‘তোমরা তো আল্লাহ্ ব্যতীত কেবল মূর্তিপূজা করিতেছ এবং মিথ্যা উদ্ভাবন করিতেছ। তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহাদের পুজা কর তাহারা তোমাদের জীবনোপকরণের মালিক নয়। সুতরাং তোমরা জীবনোপকরণ কামনা কর আল্লাহ্র নিকট এবং তাঁহার ‘ইবাদত কর ও তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। তোমরা তাঁহারই নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে। (২৯:১৭)
ইব্রাহীম বলিল, ‘তোমরা তো আল্লাহ্র পরিবর্তে মূর্তিগুলিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করিয়াছ, পার্থিব জীবনে তোমাদের পারস্পরিক বন্ধুত্বের খাতিরে। পরে কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করিবে এবং পরস্পর পরস্পরকে অভিসম্পাত দিবে। তোমাদের আবাস হইবে জাহান্নাম এবং তোমাদের কোন সাহায্যকারী থাকিবে না।’ (২৯:২৫)
‘তোমরা কি বা‘আলকে ডাকিবে এবং পরিত্যাগ করিবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা- (৩৭:১২৫)
যাহারা তাগূতের পূজা হইতে দূরে থাকে এবং আল্লাহ্র অভিমুখী হয়, তাহাদের জন্য আছে সুসংবাদ। অতএব সুসংবাদ দাও আমার বান্দাদেরকে- (৩৯:১৭)
তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম তাহাদেরকে তুমি জিজ্ঞাসা কর, আমি কি দয়াময় আল্লাহ্ ব্যতীত কোন দেবতা স্থির করিয়াছিলাম যাহার ‘ইবাদত করা যায়? (৪৩:৪৫)
উহারা বলিয়াছিল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের দেব-দেবীগুলির পূজা হইতে নিবৃত্ত করিতে আসিয়াছ? তুমি সত্যবাদী হইলে আমাদেরকে যাহার ভয় দেখাইতেছ তাহা আনয়ন কর।’ (৪৬:২২)
তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ ‘লাত’ ও ‘উয্যা’ সম্বন্ধে (৫৩:১৯)
এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে? (৫৩:২০)
এইগুলি কতক নামমাত্র যাহা তোমাদের পূর্বপুরুষগণ ও তোমরা রাখিয়াছ, যাহার সমর্থনে আল্লাহ্ কোন দলীল প্রেরণ করেন নাই। তাহারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাহাদের নিকট তাহাদের প্রতিপালকের পথনির্দেশ আসিয়াছে। (৫৩:২৩)
এবং বলিয়াছিল, ‘তোমরা কখনও পরিত্যাগ করিও না তোমাদের দেব-দেবীকে; পরিত্যাগ করিও না ওয়াদ্, সুওয়া‘আ, ইয়াগূস, ইয়া‘ঊক ও নাস্রকে। (৭১:২৩)