তাহারা জিনকে আল্লাহ্র শরীক করে, অথচ তিনিই ইহাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্র প্রতি পুত্র-কন্যা আরোপ করে; তিনি পবিত্র-মহিমান্বিত! এবং উহারা যাহা বলে তিনি তাহার ঊর্ধ্বে। (৬:১০০)
যেদিন তিনি তাহাদের সকলকে একত্র করিবেন এবং বলিবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে তোমাদের অনুগামী করিয়াছিলে’ এবং মানব সমাজের মধ্যে তাহাদের বন্ধুগণ বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্যে কতক অপরের দ্বারা লাভবান হইয়াছে এবং তুমি আমাদের জন্য যে সময় নির্ধারণ করিয়াছিলে এখন আমরা উহাতে উপনীত হইয়াছি।’ সেদিন আল্লাহ্ বলিবেন, ‘জাহান্নামই তোমাদের বাসস্থান, তোমরা সেখানে স্থায়ী হইবে,’ যদি না আল্লাহ্ অন্য রকম ইচ্ছা করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত। (৬:১২৮)
এইভাবে উহাদের কৃতকর্মের জন্য আমি জালিমদের একদলকে অন্যদলের বন্ধু করিয়া থাকি। (৬:১২৯)
আমি উহাদেরকে বলিব, ‘হে জিন ও মানব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্য হইতে কি রাসূলগণ তোমাদের নিকট আসে নাই-যাহারা আমার নিদর্শন তোমাদের নিকট বিবৃত করিত এবং তোমাদেরকে এই দিনের সম্মুখীন হওয়া সম্বন্ধে সতর্ক করিত?’ উহারা বলিবে, ‘আমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলাম।’ বস্তুত পার্থিব জীবন উহাদেরকে প্রতারিত করিয়াছিল, আর উহারা নিজেদের বিরুদ্ধে এ সাক্ষ্যও দিবে যে, তাহারা কাফির ছিল। (৬:১৩০)
স্মরণ কর, যেদিন তিনি ইহাদের সকলকে একত্র করিবেন, অতঃপর ফিরিশতাদেরকে জিজ্ঞাসা করিবেন, ‘ইহারা কি তোমাদেরই পূজা করিত?’ (৩৪:৪০)
ফিরিশ্তারা বলিবে, ‘তুমি পবিত্র, মহান! তুমিই আমাদের অভিভাবক, উহারা নয়; বরং উহারা তো পূজা করিত জিনদের এবং উহাদের অধিকাংশই ছিল উহাদের প্রতি বিশ্বাসী। (৩৪:৪১)
‘আজ তোমাদের একে অন্যের উপকার কিংবা অপকার করিবার ক্ষমতা নাই।’ যাহারা জুলুম করিয়াছিল তাহাদেরকে বলিব, ‘তোমরা যে অগ্নি-শাস্তি অস্বীকার করিতে তাহা আস্বাদন কর।’ (৩৪:৪২)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান। (৭২:৩)
‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত। (৭২:৪)
‘অথচ আমরা মনে করিতাম মানুষ এবং জিন আল্লাহ্ সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা আরোপ করিবে না। (৭২:৫)
‘আরও এই যে, কতিপয় মানুষ কতক জিনের শরণ লইত, ফলে উহারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়াইয়া দিত।’ (৭২:৬)
আরও এই যে, জিনেরা বলিয়াছিল, ‘তোমাদের মত মানুষও মনে করে যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ্ কাহাকেও পুনরুত্থিত করিবেন না। (৭২:৭)
‘এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ; (৭২:৮)
‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্তু এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের সম্মুখীন হয়। (৭২:৯)
‘আমরা জানি না জগদ্বাসীর অমঙ্গলই অভিপ্রেত, না তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের মঙ্গল চান। (৭২:১০)