যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তাহারা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে। তাহারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; আর তাহারা শুধু অনুমানভিত্তিক কথা বলে। (৬:১১৬)
তোমাদের কী হইয়াছে যে, যাহাতে আল্লাহ্র নাম নেওয়া হইয়াছে তোমরা তাহা হইতে আহার করিবে না? যাহা তোমাদের জন্য তিনি হারাম করিয়াছেন তাহা তিনি বিশদভাবেই তোমাদের নিকট বিবৃত করিয়াছেন, তবে তোমরা নিরুপায় হইলে তাহা স্বতন্ত্র। অনেকে অজ্ঞানতাবশত নিজেদের খেয়াল-খুশি দ্বারা অব্যশই অন্যকে বিপথগামী করে; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সীমালংঘনকারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৬:১১৯)
উহাদের অধিকাংশ অনুমানেরই অনুসরণ করে, সত্যের পরিবর্তে অনুমান কোন কাজে আসে না, উহারা যাহা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (১০:৩৬)
জানিয়া রাখ! যাহারা আকাশমন্ডলে আছে এবং যাহারা পৃথিবীতে আছে তাহারা আল্লাহ্রই। যাহারা আল্লাহ্ ব্যতীত অপরকে শরীকরূপে ডাকে, তাহারা কিসের অনুসরণ করে? তাহারা তো শুধু অনুমানেরই অনুসরণ করে এবং তাহারা শুধু মিথ্যাই বলে। (১০:৬৬)
এইভাবে আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি বিধানরূপে আরবী ভাষায়। জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকিবে না। (১৩:৩৭)
তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখিবে উহাদেরই সংসর্গে যাহারা সকাল ও সন্ধ্যায় আহ্বান করে উহাদের প্রতিপালককে তাঁহার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করিয়া উহাদের হইতে তোমার দৃষ্টি ফিরাইয়া লইও না। তুমি তাহার আনুগত্য করিও না-যাহার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করিয়া দিয়াছি, যে তাহার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে ও যাহার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে। (১৮:২৮)
অতঃপর উহারা যদি তোমার আহ্বানে সাড়া না দেয়, তাহা হইলে জানিবে উহারা তো কেবল নিজেদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে। আল্লাহ্র পথনির্দেশ অগ্রাহ্য করিয়া যে ব্যক্তি নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে তাহা অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত আর কে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথনির্দেশ করেন না। (২৮:৫০)
বরং সীমালংঘনকারীরা অজ্ঞানতাবশত তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে, সুতরাং আল্লাহ্ যাহাকে পথভ্রষ্ট করিয়াছেন, কে তাহাকে সৎপথে পরিচালিত করিবে? আর তাহাদের কোন সাহায্যকারী নাই। (৩০:২৯)
মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করিয়া নেয় এবং আল্লাহ্-প্রদর্শিত পথ লইয়া ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। উহাদেরই জন্য রহিয়াছে অবমাননাকর শাস্তি। (৩১:৬)
তোমরা কি দেখ না, আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্তই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন এবং তোমাদের প্রতি তাঁহার প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিয়াছেন? মানুষের মধ্যে কেহ কেহ অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে, তাহাদের না আছে পথনির্দেশক আর না আছে কোন দীপ্তিমান কিতাব। (৩১:২০)
উহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা অনুসরণ কর।’ উহারা বলে, ‘বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহারই অনুসরণ করিব।’ শয়তান যদি উহাদেরকে জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তির দিকে আহ্বান করে, তবুও কি? (৩১:২১)
‘হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করিয়াছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না, কেননা ইহা তোমাকে আল্লাহ্র পথ হইতে বিচ্যুত করিবে।’ যাহারা আল্লাহ্র পথ হইতে ভ্রষ্ট হয় তাহাদের জন্য রহিয়াছে কঠিন শাস্তি, কারণ তাহারা বিচারদিবসকে বিস্মৃত হইয়া আছে। (৩৮:২৬)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
ইহার পর আমি তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর; সুতরাং তুমি উহার অনুসরণ কর, অজ্ঞদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৪৫:১৮)
যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালক-প্রেরিত সুস্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত, সে কি তাহার ন্যায়, যাহার নিকট নিজের মন্দ কর্মগুলি শোভন প্রতীয়মান হয় এবং যাহারা নিজ খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে? (৪৭:১৪)
মুত্তাকীদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহার দৃষ্টান্ত: উহাতে আছে নির্মল পানির নহর, আছে দুধের নহর যাহার স্বাদ অপরিবর্তনীয়, আছে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সুরার নহর, আছে পরিশোধিত মধুর নহর এবং সেখানে উহাদের জন্য থাকিবে বিবিধ ফলমূল আর তাহাদের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে ক্ষমা। মুত্তাকীরা কি তাহাদের ন্যায়, যাহারা জাহান্নামে স্থায়ী হইবে এবং যাহাদেরকে পান করিতে দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি যাহা উহাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করিয়া দিবে? (৪৭:১৫)
উহাদের মধ্যে কতক তোমার কথা শ্রবণ করে, অতঃপর তোমার নিকট হইতে বাহির হইয়া যাহারা জ্ঞানপ্রাপ্ত তাহাদেরকে বলে, ‘এইমাত্র সে কী বলিল?’ ইহাদের অন্তর আল্লাহ্ মোহর করিয়া দিয়াছেন এবং উহারা নিজেদের খেয়াল-খুশিরই অনুসরণ করে। (৪৭:১৬)
হে মু’মিনগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হইতে দূরে থাক; কারণ অনুমান কোন কোন ক্ষেত্রে পাপ। এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করিও না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করিও না। তোমাদের মধ্যে কি কেহ তাহার মৃত ভ্রাতার গোশ্ত খাইতে চাইবে? বস্তুত তোমরা তো ইহাকে ঘৃণ্যই মনে কর। তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর; আল্লাহ্ তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। (৪৯:১২)