আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও রহিয়াছে যাহারা বলে, ‘আমরা আল্লাহ্ ও আখিরাতে ঈমান আনিয়াছি’, কিন্তু তাহারা মু’মিন নয়; (২:৮)
আল্লাহ্ এবং মু’মিনগণকে তাহারা প্রতারিত করিতে চাহে। অথচ তাহারা যে নিজেদেরকে ভিন্ন কাহাকেও প্রতারিত করে না, ইহা তাহারা বুঝিতে পারে না। (২:৯)
তাহাদের অন্তরে ব্যাধি রহিয়াছে। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের ব্যাধি বৃদ্ধি করিয়াছেন ও তাহাদের জন্য রহিয়াছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারণ তাহারা মিথ্যাবাদী। (২:১০)
তাহাদেরকে যখন বলা হয়, ‘পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিও না’, তাহারা বলে, ‘আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী’। (২:১১)
সাবধান! ইহারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী, কিন্তু ইহারা বুঝিতে পারে না। (২:১২)
যখন তাহাদেরকে বলা হয়, যে সকল লোক ঈমান আনিয়াছে তোমরাও তাহাদের মত ঈমান আনয়ন কর, তাহারা বলে, ‘নির্বোধগণ যেরূপ ঈমান আনিয়াছে আমরাও কি সেইরূপ ঈমান আনিব? সাবধান! ইহারাই নির্বোধ, কিন্তু ইহারা জানে না। (২:১৩)
যখন তাহারা মু’মিনগণের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’; আর যখন তাহারা নিভৃতে তাহাদের শয়তানদের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই রহিয়াছি; আমরা শুধু তাহাদের সঙ্গে ঠাট্টা-তামাশা করিয়া থাকি।’ (২:১৪)
তোমরা কি এই আশা কর যে, তাহারা তোমাদের কথায় ঈমান আনিবে যখন তাহাদের একদল আল্লাহ্র বাণী শ্রবণ করে; অতঃপর তাহারা উহা হৃদয়ঙ্গম করার পরও বিকৃত করে, অথচ তাহারা জানে। (২:৭৫)
তাহারা যখন মুমিনদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’, আবার যখন তাহারা নিভৃতে একে অন্যের সঙ্গে মিলিত হয় তখন বলে, ‘আল্লাহ্ তোমাদের কাছে যাহা ব্যক্ত করিয়াছেন তোমরা কি তাহা তাহাদেরকে বলিয়া দাও? ইহা দ্বারা তাহারা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে তোমাদের বিরুদ্ধে যুক্তি পেশ করিবে; তোমরা কি অনুধাবন কর না?’ (২:৭৬)
দেখ, তোমরাই তাহাদের ভালবাস কিন্তু তাহারা তোমাদের ভালবাসে না অথচ তোমরা সমস্ত কিতাবে ঈমান রাখ আর তাহারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা বিশ্বাস করি; কিন্তু তাহারা যখন একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে তাহারা নিজেদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ দাঁতে কাটিয়া থাকে। বল, ‘তোমাদের আক্রোশেই তোমরা মর।’ অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। (৩:১১৯)
দেখ, তোমরাই তাহাদের ভালবাস কিন্তু তাহারা তোমাদের ভালবাসে না অথচ তোমরা সমস্ত কিতাবে ঈমান রাখ আর তাহারা যখন তোমাদের সংস্পর্শে আসে তখন বলে, ‘আমরা বিশ্বাস করি; কিন্তু তাহারা যখন একান্তে মিলিত হয় তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে তাহারা নিজেদের অঙ্গুলির অগ্রভাগ দাঁতে কাটিয়া থাকে। বল, ‘তোমাদের আক্রোশেই তোমরা মর।’ অন্তরে যাহা রহিয়াছে সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। (৩:১১৯)
তাহাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হইতে মুখ একেবারে ফিরাইয়া লইতে দেখিবে। (৪:৬১)
তাহাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাহাদের কোন মুসীবত হইবে তখন তাহাদের কী অবস্থা হইবে? অতঃপর তাহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া তোমার নিকট আসিয়া বলিবে, ‘আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই নাই।’ (৪:৬২)
ইহারাই তাহারা, তাহাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ তাহা জানেন। সুতরাং তুমি তাহাদেরকে উপেক্ষা কর, তাহাদেরকে সদুপদেশ দাও এবং তাহাদেরকে তাহাদের মর্ম স্পর্শ করে এমন কথা বল। (৪:৬৩)
হে মু’মিনগণ! সতর্কতা অবলম্বন কর; অতঃপর হয় দলে দলে বিভক্ত হইয়া অগ্রসর হও অথবা একসঙ্গে অগ্রসর হও। (৪:৭১)
তোমাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে গড়িমসি করিবেই। তোমাদের কোন মুসীবত হইলে সে বলিবে, ‘তাহাদের সঙ্গে না থাকায় আল্লাহ্ আমার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছেন।’ (৪:৭২)
আর তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ হইলে, যেন তোমাদের ও তাহার মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই এমনভাবে বলিবেই, ‘হায়! যদি তাহাদের সঙ্গে থাকিতাম তবে আমিও বিরাট সাফল্য লাভ করিতাম।’ (৪:৭৩)
নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহ্র সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে; বস্তুত তিনি তাহাদেরকে উহার শাস্তি দেন, আর যখন তাহারা সালাতে দাঁড়ায় তখন শৈথিল্যের সঙ্গে দাঁড়ায়-কেবল লোক দেখানোর জন্য এবং আল্লাহ্কে তাহারা অল্পই স্মরণ করে; (৪:১৪২)
তাহারা আল্লাহে্, নবীতে ও তাহার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে ঈমান আনিলে উহাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিত না, কিন্তু তাহাদের অনেকে ফাসিক। (৫:৮১)
তোমরা তাহাদের ন্যায় হইও না যাহারা দম্ভভরে ও লোক দেখাইবার জন্য স্বীয় গৃহ হইতে বাহির হইয়াছিল এবং লোককে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহা পরিবেষ্টন করিয়া রহিয়াছেন। (৮:৪৭)
আশু সম্পদ লাভের সম্ভাবনা থাকিলে ও সফর সহজ হইলে উহারা নিশ্চয়ই তোমার অনুসরণ করিত; কিন্তু উহাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হইল। উহারা অচিরেই আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া বলিবে, ‘পারিলে আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের সঙ্গে বাহির হইতাম।’ উহারা নিজেদেরকেই ধ্বংস করে। আল্লাহ্ জানেন উহারা অবশ্যই মিথ্যাচারী। (৯:৪২)
আল্লাহ্ তোমাকে ক্ষমা করিয়াছেন। কাহারা সত্যবাদী তাহা তোমার নিকট স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত এবং কাহারা মিথ্যাবাদী তাহা না জানা পর্যন্ত তুমি কেন উহাদেরকে অব্যাহতি দিলে? (৯:৪৩)
যাহারা আল্লাহে ও শেষ দিবসে ঈমান আনে তাহারা নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা জিহাদে অব্যাহতি পাইবার প্রার্থণা তোমার নিকট করে না। আল্লাহ্ মুত্তাকীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৯:৪৪)
তোমার নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে কেবল উহারাই যাহারা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে না এবং যাহাদের চিত্ত সংশয়যুক্ত। উহারা তো আপন সংশয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। (৯:৪৫)
উহারা বাহির হইতে চাহিলে উহারা নিশ্চয়ই ইহার জন্য প্রস্তুতির ব্যবস্থা করিত, কিন্তু উহাদের অভিযাত্রা আল্লাহ্র মনঃপূত ছিল না। সুতরাং তিনি উহাদেরকে বিরত রাখেন এবং উহাদেরকে বলা হয়, ‘যাহারা বসিয়া আছে তাহাদের সঙ্গে বসিয়া থাক।’ (৯:৪৬)
উহারা তোমাদের সঙ্গে বাহির হইলে তোমাদের বিভ্রান্তিই বৃদ্ধি করিত এবং তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের মধ্যে ছুটাছুটি করিত। তোমাদের মধ্যে উহাদের জন্য কথা শুনিবার লোক আছে। আল্লাহ্ জালিমদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৯:৪৭)
পূর্বেও উহারা ফিত্না সৃষ্টি করিতে চাহিয়াছিল এবং উহারা তোমার বহু কর্মে উলটপালট করিয়াছিল যতক্ষণ না উহাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সত্য আসিল এবং আল্লাহ্র আদেশ বিজয়ী হইল। (৯:৪৮)
এবং উহাদের মধ্যে এমন লোক আছে যে বলে, ‘আমাকে অব্যাহতি দাও এবং আমাকে ফিত্নায় ফেলিও না।’ সাবধান! উহারাই ফিত্নাতে পড়িয়া আছে। জাহান্নাম তো কাফিরদেরকে বেষ্টন করিয়াই আছে। (৯:৪৯)
তোমার মঙ্গল হইলে তাহা উহাদেরকে পীড়া দেয় এবং তোমার বিপদ ঘটিলে উহারা বলে, ‘আমরা তো পূর্বাহ্নেই আমাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করিয়াছিলাম’ এবং উহারা উৎফুল্লচিত্তে সরিয়া পড়ে। (৯:৫০)
বল, ‘আমাদের জন্য আল্লাহ্ যাহা নির্দিষ্ট করিয়াছেন তাহা ব্যতীত আমাদের অন্য কিছুই হইবে না; তিনি আমাদের কর্মবিধায়ক এবং আল্লাহ্র উপরই মু’মিনদের নির্ভর করা উচিত।’ (৯:৫১)
উহাদের অর্থসাহায্য গ্রহণ করা নিষেধ করা হইয়াছে এইজন্য যে, উহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলকে অস্বীকার করে, সালাতে শৈথিল্যের সঙ্গে উপস্থিত হয় এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থ সাহায্য করে। (৯:৫৪)
সুতরাং উহাদের সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি তোমাকে যেন বিমুগ্ধ না করে, আল্লাহ্ তো উহার দ্বারাই উহাদেরকে পার্থিব জীবনে শাস্তি দিতে চান। উহারা কাফির থাকা অবস্থায় উহাদের আত্মা দেহ ত্যাগ করিবে। (৯:৫৫)
উহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করে যে, উহারা তোমাদেরই অন্তর্ভুক্ত কিন্তু উহারা তোমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়, বস্তুত উহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহারা ভয় করিয়া থাকে। (৯:৫৬)
উহারা কোন আশ্রয়স্থল, কোন গিরিগুহা অথবা কোন প্রবেশস্থল পাইলে উহার দিকে পলায়ন করিবে ক্ষিপ্রগতিতে। (৯:৫৭)
উহাদের মধ্যে এমন লোক আছে, যে সাদাকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে; অতঃপর ইহার কিছু উহাদেরকে দেওয়া হইলে উহারা পরিতুষ্ট হয়, আর ইহার কিছু উহাদেরকে না দেওয়া হইলে তৎক্ষণাৎ উহারা বিক্ষুব্ধ হয়। (৯:৫৮)
এবং উহাদের মধ্যে এমনও লোক আছে যাহারা নবীকে ক্লেশ দেয় এবং বলে, ‘সে তো কর্ণপাতকারী।’ বল, ‘তাহার কান তোমাদের জন্য যাহা মঙ্গল তাহাই শুনে।’ সে আল্লাহে্ ঈমান আনে এবং মু’মিনদেরকে বিশ্বাস করে; তোমাদের মধ্যে যাহারা মু’মিন সে তাহাদের জন্য রহমত এবং যাহারা আল্লাহ্র রাসূলকে ক্লেশ দেয় তাহাদের জন্য আছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (৯:৬১)
উহারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহ্র শপথ করে। আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল ইহারই অধিক হকদার যে, উহারা তাহাদেরকেই সন্তুষ্ট করে, যদি উহারা মু’মিন হয়। (৯:৬২)
উহারা কি জানে না, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরোধিতা করে তাহার জন্য তো আছে জাহান্নামের অগ্নি, যেখানে সে স্থায়ী হইবে? উহাই চরম লাঞ্ছনা। (৯:৬৩)
মুনাফিকেরা ভয় করে, তাহাদের সম্পর্কে এমন এক সূরা না অবতীর্ণ হয়, যাহা উহাদের অন্তরের কথা ব্যক্ত করিয়া দিবে! বল, ‘বিদ্রূপ করিতে থাক; তোমরা যাহা ভয় কর আল্লাহ্ তাহা প্রকাশ করিয়া দিবেন।’ (৯:৬৪)
এবং তুমি উহাদেরকে প্রশ্ন করিলে উহারা নিশ্চয়ই বলিবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করিতেছিলাম।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্, তাঁহার নিদর্শন ও তাঁহার রাসূলকে বিদ্রূপ করিতেছিলে?’ (৯:৬৫)
‘তোমরা দোষ স্খালনের চেষ্টা করিও না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করিয়াছ। তোমাদের মধ্যে কোন দলকে ক্ষমা করিলেও অন্য দলকে শাস্তি দিব-কারণ তাহারা অপরাধী।’ (৯:৬৬)
মুনাফিক নর ও মুনাফিক নারী একে অপরের অনুরূপ, উহারা অসৎকর্মের নির্দেশ দেয় এবং সৎকর্ম নিষেধ করে, উহারা হাতবদ্ধ করিয়া রাখে, উহারা আল্লাহ্কে বিস্মৃত হইয়াছে, ফলে তিনিও উহাদেরকে বিস্মৃত হইয়াছেন; মুনাফিকেরা তো পাপাচারী। (৯:৬৭)
মুনাফিক নর, মুনাফিক নারী ও কাফিরদেরকে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন জাহান্নামের অগ্নির, যেখানে উহারা স্থায়ী হইবে, ইহাই উহাদের জন্য যথেষ্ট এবং আল্লাহ্ উহাদেরকে লা‘নত করিয়াছেন এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে স্থায়ী শাস্তি; (৯:৬৮)
তোমরাও তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত যাহারা শক্তিতে তোমাদের অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং যাহাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি ছিল তোমাদের অপেক্ষা অধিক, এবং উহারা উহাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তাহা ভোগ করিয়াছে; তোমাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তোমরাও তাহা ভোগ করিলে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীরা উহাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তাহা ভোগ করিয়াছে। উহারা যেইরূপ অনর্থক আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত ছিল তোমরাও সেইরূপ আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত রহিয়াছ। উহারাই তাহারা যাহাদের কর্ম দুনিয়া ও আখিরাতে ব্যর্থ এবং উহারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (৯:৬৯)
উহাদের মধ্যে কেহ কেহ আল্লাহ্র নিকট অঙ্গীকার করিয়াছিল, ‘আল্লাহ্ নিজ কৃপায় আমাদেরকে দান করিলে আমরা নিশ্চয়ই সাদকা দিব এবং অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হইব।’ (৯:৭৫)
অতঃপর যখন তিনি নিজ কৃপায় উহাদেরকে দান করিলেন, তখন উহারা এই বিষয়ে কার্পণ্য করিল এবং বিরুদ্ধভাবাপন্ন হইয়া মুখ ফিরাইল। (৯:৭৬)
পরিণামে তিনি উহাদের অন্তরে কপটতা স্থিত করিলেন, আল্লাহ্র সঙ্গে উহাদের সাক্ষাৎ-দিবস পর্যন্ত, কারণ উহারা আল্লাহ্র নিকট যে অঙ্গীকার করিয়াছিল উহা ভঙ্গ করিয়াছিল; কারণ উহারা ছিল মিথ্যাচারী। (৯:৭৭)
উহারা কি জানিত না যে, উহাদের অন্তরের গোপন কথা ও উহাদের গোপন পরামর্শ আল্লাহ্ অবশ্যই জানেন এবং যাহা অদৃশ্য তাহাও তিনি বিশেষভাবে জানেন? (৯:৭৮)
যাহারা পশ্চাতে রহিয়া গেল তাহারা আল্লাহ্র রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করিয়া বসিয়া থাকাতেই আনন্দবোধ করিল এবং তাহাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করা অপছন্দ করিল এবং তাহারা বলিল, ‘গরমের মধ্যে অভিযানে বাহির হইও না।’ বল, ‘উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম,’ যদি তাহারা বুঝিত! (৯:৮১)
অতএব তাহারা কিঞ্চিৎ হাসিয়া লউক, তাহারা প্রচুর কাঁদিবে, তাহাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ। (৯:৮২)
‘আল্লাহ্র উপর ঈমান আন এবং রাসূলের সঙ্গী হইয়া জিহাদ কর’ এই মর্মে যখন কোন সূরা অবতীর্ণ হয় তখন উহাদের মধ্যে যাহাদের শক্তি-সামর্থ্য আছে তাহারা তোমার নিকট অব্যাহতি চায় এবং বলে, ‘আমাদেরকে রেহাই দাও, যাহারা বসিয়া থাকে আমরা তাহাদের সঙ্গেই থাকিব।’ (৯:৮৬)
উহারা অন্তঃপুরবাসিনীদের সঙ্গে অবস্থান করাই পছন্দ করিয়াছে এবং উহাদের অন্তর মোহর করা হইয়াছে; ফলে উহারা বুঝিতে পারে না। (৯:৮৭)
মানুষের হিসাব-নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু উহারা উদাসীনতায় মুখ ফিরাইয়া রহিয়াছে। (২১:১)
যখনই উহাদের নিকট উহাদের প্রতিপালকের কোন নূতন উপদেশ আসে উহারা উহা শ্রবণ করে কৌতুকচ্ছলে, (২১:২)
উহাদের অন্তর থাকে অমনোযোগী। যাহারা জালিম তাহারা গোপনে পরামর্শ করে, ‘এ তো তোমাদের মতো একজন মানুষই, তবুও কি তোমরা দেখিয়া-শুনিয়া জাদুর কবলে পড়িবে?’ (২১:৩)
সে বলিল, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সমস্ত কথাই আমার প্রতিপালক অবগত আছেন এবং তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’। (২১:4)
উহারা ইহাও বলে, ‘এই সমস্ত অলীক কল্পনা, হয় সে উহা উদ্ভাবন করিয়াছে, না হয় সে একজন কবি। অতএব সে আনয়ন করুক আমাদের নিকট এক নিদর্শন যেরূপ নিদর্শনসহ প্রেরিত হইয়াছিল পূর্ববর্তীগণ।’ (২১:৫)
ইহাদের পূর্বে যেসব জনপদ আমি ধ্বংস করিয়াছি উহার অধিবাসীরা ঈমান আনে নাই; তবে কি ইহারা ঈমান আনিবে? (২১:৬)
কাফিররা যখন তোমাকে দেখে তখন উহারা তোমাকে কেবল বিদ্রূপের পাত্ররূপেই গ্রহণ করে। উহারা বলে, ‘এই কি সেই, যে তোমাদের দেব-দেবীগুলির সমালোচনা করে?’ অথচ উহারাই তো ‘রহমান’-এর উল্লেখের বিরোধিতা করে। (২১:৩৬)
এবং উহারা বলে, ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে বল এই প্রতিশ্রুতি কখন পূর্ণ হইবে?’ (২১:৩৮)
এবং উহাদের নিকট আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হইলে তুমি কাফিরদের মুখমন্ডলে অসন্তোষ লক্ষ্য করিবে। যাহারা উহাদের নিকট আমার আয়াত তিলাওয়াত করে তাহাদেরকে উহারা আক্রমণ করিতে উদ্যত হয়। বল, ‘তবে কি আমি তোমাদেরকে ইহা অপেক্ষা মন্দ কিছুর সংবাদ দিব? ইহা আগুন। এই বিষয়ে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন কাফিরদেরকে এবং ইহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল।’ (২২:৭২)
মানুষের মধ্যে কতক বলে, ‘আমরা আল্লাহে বিশ্বাস করি, কিন্তু আল্লাহ্র পথে যখন উহারা নিগৃহীত হয়, তখন উহারা মানুষের পীড়নকে আল্লাহ্র শাস্তির মত গণ্য করে এবং তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে কোন সাহায্য আসিলে উহারা বলিতে থাকে, ‘আমরা তো তোমাদের সঙ্গেই ছিলাম।’ বিশ্ববাসীর অন্তঃকরণে যাহা আছে, আল্লাহ্ কি তাহা সম্যক অবগত নহেন?’ (২৯:১০)
আল্লাহ্ অবশ্যই প্রকাশ করিয়া দিবেন কাহারা ঈমান আনিয়াছে এবং অবশ্যই প্রকাশ করিয়া দিবেন কাহারা মুনাফিক। (২৯:১১)
আর স্মরণ কর, মুনাফিকরা ও যাহাদের অন্তরে ছিল ব্যাধি, তাহারা বলিতেছিল, ‘আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূল আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন তাহা প্রতারণা ব্যতীত কিছুই নয়।’ (৩৩:১২)
আর উহাদের একদল বলিয়াছিল, ‘হে ইয়াস্রিববাসী! এখানে তোমাদের কোন স্থান নাই তোমরা ফিরিয়া চল’ এবং উহাদের মধ্যে একদল নবীর নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করিয়া বলিতেছিল, ‘আমাদের বাড়িঘর অরক্ষিত’; অথচ ঐগুলি অরক্ষিত ছিল না, আসলে পলায়ন করাই ছিল উহাদের উদ্দেশ্যে। (৩৩:১৩)
যদি বিভিন্ন দিক হইতে তাহাদের বিরুদ্ধে শত্রুদের প্রবেশ ঘটিত, অতঃপর তাহাদেরকে বিদ্রোহের জন্য প্ররোচিত করা হইত, তবে তাহারা অবশ্য তাহাই করিয়া বসিত, তাহারা ইহাতে কালবিলম্ব করিত না। (৩৩:১৪)
ইহারা তো পূর্বেই আল্লাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার করিয়াছিল যে, ইহারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিবে না। আল্লাহ্র সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার সম্বন্ধে অবশ্যই জিজ্ঞাসা করা হইবে। (৩৩:১৫)
বল, ‘তোমাদের কোন লাভ হইবে না যদি তোমরা মৃত্যু অথবা হত্যার ভয়ে পলায়ন কর, তবে সেই ক্ষেত্রে তোমাদেরকে সামান্যই ভোগ করিতে দেওয়া হইবে।’ (৩৩:১৬)
বল, ‘কে তোমাদেরকে আল্লাহ্ হইতে রক্ষা করিবে, যদি তিনি তোমাদের অমঙ্গল ইচ্ছা করেন অথবা তিনি যদি তোমাদেরকে অনুগ্রহ করিতে ইচ্ছা করেন, তবে কে তোমাদের ক্ষতি করিবে?’ উহারা আল্লাহ্ ব্যতীত নিজেদের কোন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাইবে না। (৩৩:১৭)
আল্লাহ্ অবশ্যই জানেন তোমাদের মধ্যে কাহারা বাধাদানকারী এবং কাহারা তাহাদের ভ্রাতৃবর্গকে বলে, ‘আমাদের সঙ্গে আস।’ উহারা অল্পই যুদ্ধে অংশ নেয়- (৩৩:১৮)
তোমাদের ব্যাপারে কৃপণতাবশত। আর যখন ভীতি আসে তখন তুমি দেখিবে, মৃত্যুভয়ে মূর্চ্ছাতুর ব্যক্তির মত চক্ষু উল্টাইয়া উহারা তোমার দিকে তাকায়। কিন্তু যখন ভয় চলিয়া যায় তখন উহারা ধনের লালসায় তোমাদেরকে তীক্ষ্ণ ভাষায় বিদ্ধ করে। উহারা ঈমান আনে নাই, এইজন্য আল্লাহ্ উহাদের কার্যাবলী নিষ্ফল করিয়াছেন এবং আল্লাহ্র পক্ষে ইহা সহজ। (৩৩:১৯)
উহারা মনে করে, সম্মিলিত বাহিনী চলিয়া যায় নাই। যদি সম্মিলিত বাহিনী আবার আসিয়া পড়ে, তখন উহারা কামনা করিবে যে, ভাল হইত যদি উহারা যাযাবর মরুবাসীদের সঙ্গে থাকিয়া তোমাদের সংবাদ লইত! উহারা তোমাদের সঙ্গে অবস্থান করিলেও উহারা যুদ্ধ অল্পই করিত। (৩৩:২০)