তাহাদের মধ্যে এমন কিছু নিরক্ষর লোক আছে যাহাদের মিথ্যা আশা ব্যতীত কিতাব সম্বন্ধে কোন জ্ঞান নাই, তাহারা শুধু অমূলক ধারণা পোষণ করে। (২:৭৮)
সুতরাং দুর্ভোগ তাহাদের জন্য যাহারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহ্র নিকট হইতে।’ তাহাদের হাত যাহা রচনা করিয়াছে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের এবং যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার জন্য শাস্তি তাহাদের। (২:৭৯)
তাহারা বলে, ‘দিনকতক ব্যতীত অগ্নি আমাদেরকে কখনও স্পর্শ করিবে না।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্র নিকট হইতে অঙ্গীকার নিয়াছ; অতএব আল্লাহ্ তাঁহার অঙ্গীকার কখনও ভঙ্গ করিবেন না কিংবা আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন কিছু বলিতেছ যাহা তোমরা জান না?’ (২:৮০)
যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে ও রাসূলের দিকে আস’, তাহারা বলে, ‘আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহাই আমাদের জন্য যথেষ্ট।’ যদিও তাহাদের পূর্বপুরুষগণ কিছুই জানিত না এবং সৎপথপ্রাপ্তও ছিল না, তবুও কি? (৫:১০৪
তাহার চেয়ে বড় জালিম আর কে, যে আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে কিংবা বলে, ‘আমার নিকট ওহী হয়,’ যদিও তাহার প্রতি নাযিল হয় না এবং যে বলে, ‘আল্লাহ্ যাহা নাযিল করিয়াছেন আমিও উহার অনুরূপ নাযিল করিব?’ যদি তুমি দেখিতে পাইতে যখন জালিমরা মৃত্যুযন্ত্রণায় রহিবে এবং ফিরিশ্তাগণ হাত বাড়াইয়া বলিবে, ‘তোমাদের প্রাণ বাহির কর! তোমরা আল্লাহ্ সম্বন্ধে অন্যায় বলিতে ও তাঁহার বিধান সম্বন্ধে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করিতে, সেজন্য আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি দেওয়া হইবে।’ (৬:৯৩)
এবং উটের দুইটি ও গরুর দুইটি। বল, ‘নর দুইটিই তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? এবং আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে এইসব নির্দেশ দান করেন তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে?’ সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞানতাবশত মানুষকে বিভ্রান্ত করিবার জন্য আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহার চেয়ে অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ্ তো জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৬:১৪৪)
ইহাদের কি এমন কতকগুলি দেবতা আছে যাহারা ইহাদের জন্য বিধান দিয়াছে এমন দীনের, যাহার অনুমতি আল্লাহ্ দেন নাই? ফয়সালার ঘোষণা না থাকিলে ইহাদের বিষয়ে তো সিদ্ধান্ত হইয়াই যাইত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্য রহিয়াছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (৪২:২১)
যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্র করা হইবে তখন ঐগুলি হইবে উহাদের শত্রু এবং ঐগুলি উহাদের ‘ইবাদত অস্বীকার করিবে। (৪৬:৬)
আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও, (৬৯:৩৮)
এবং যাহা তোমরা দেখিতে পাও না; (৬৯:৩৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা। (৬৯:৪০)
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর, (৬৯:৪১)
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর। (৬৯:৪২)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, (৬৯:৪৪)
আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, (৬৯:৪৫)
এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, (৬৯:৪৬)