এইরূপে আমি মানব ও জিনের মধ্যে শয়তানদেরকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছি, প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাহাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে। যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা ইহা করিত না; সুতরাং তুমি তাহাদেরকে ও তাহাদের মিথ্যা রচনাকে বর্জন কর। (৬:১১২)
আমি তো বহু জিন ও মানবকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করিয়াছি; তাহাদের হৃদয় আছে কিন্তু তদ্দ্বারা তাহারা উপলব্ধি করে না, তাহাদের চক্ষু আছে তদ্দ্বারা দেখে না এবং তাহাদের কর্ণ আছে তদ্দ্বারা শ্রবণ করে না; ইহারা পশুর ন্যায়, বরং উহারা অধিক পথভ্রষ্ট। উহারাই গাফিল। (৭:১৭৯)
তবে উহারা নয়, যাহাদেরকে তোমার প্রতিপালক দয়া করেন এবং তিনি উহাদেরকে এইজন্যই সৃষ্টি করিয়াছেন। ‘আমি জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিবই’, তোমার প্রতিপালকের এই কথা পূর্ণ হইবেই। (১১:১১৯)
এবং ইহার পূর্বে সৃষ্টি করিয়াছি জিন অত্যুষ্ণ অগ্নি হইতে। (১৫:২৭)
বল, ‘যদি কুরআনের অনুরূপ কুরআন আনয়নের জন্য মানুষ ও জিন সমবেত হয় এবং যদিও তাহারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তাহারা ইহার অনুরূপ আনয়ন করিতে পারিবে না। (১৭:৮৮)
এবং স্মরণ কর, আমি যখন ফিরিশ্তাগণকে বলিয়াছিলাম, ‘আদমের প্রতি সিজ্দা কর’, তখন তাহারা সকলেই সিজ্দা করিল ইব্লীস ব্যতীত; সে জিনদের একজন, সে তাহার প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল। তবে কি তোমরা আমার পরিবর্তে উহাকে এবং উহার বংশধরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিতেছ? উহারা তো তোমাদের শত্রু। জালিমদের এই বিনিময় কত নিকৃষ্ট! (১৮:৫০)
আকাশমন্ডলীর ও পৃথিবীর সৃষ্টিকালে আমি উহাদেরকে ডাকি নাই এবং উহাদের সৃজনকালেও নয়, আমি বিভ্রান্তকারীদেরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করিবার নই। (১৮:৫১)
আমি ইচ্ছা করিলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে সৎপথে পরিচালিত করিতাম; কিন্তু আমার এই কথা অবশ্যই সত্য: আমি নিশ্চয়ই জিন ও মানুষ উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করিব। (৩২:১৩)
আমি সুলায়মানের অধীন করিয়াছিলাম বায়ুকে যাহা প্রভাতে এক মাসের পথ অতিক্রম করিত এবং সন্ধ্যায় এক মাসের পথ অতিক্রম করিত। আমি তাহার জন্য গলিত তাম্রের এক প্রস্রবণ প্রবাহিত করিয়াছিলাম। তাহার প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে জিনদের কতক তাহার সম্মুখে কাজ করিত। উহাদের মধ্যে যে আমার নির্দেশ অমান্য করে তাহাকে আমি জ্বলন্ত অগ্নি-শাস্তি আস্বাদন করাইব। (৩৪:১২)
স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করিয়াছিলাম একদল জিনকে, যাহারা কুরআন পাঠ শুনিতেছিল। যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইল, উহারা বলিল, ‘চুপ করিয়া শ্রবণ কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হইল উহারা উহাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরিয়া গেল সতর্ককারীরূপে। (৪৬:২৯)
উহারা বলিয়াছিল, ‘হে আমাদের সম্পদ্রায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবণ করিয়াছি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে মূসার পরে, ইহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। (৪৬:৩০)
‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আল্লাহ্র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তাহার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করিবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে তোমাদেরকে রক্ষা করিবেন।’ (৪৬:৩১)
আমি সৃষ্টি করিয়াছি জিন এবং মানুষকে এইজন্য যে, তাহারা আমারই ‘ইবাদত করিবে। (৫১:৫৬)
এবং জিনকে সৃষ্টি করিয়াছেন নির্ধূম অগ্নিশিখা হইতে। (৫৫:১৫)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান। (৭২:৩)
‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত। (৭২:৪)
‘অথচ আমরা মনে করিতাম মানুষ এবং জিন আল্লাহ্ সম্বন্ধে কখনও মিথ্যা আরোপ করিবে না। (৭২:৫)
‘আরও এই যে, কতিপয় মানুষ কতক জিনের শরণ লইত, ফলে উহারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়াইয়া দিত।’ (৭২:৬)
আরও এই যে, জিনেরা বলিয়াছিল, ‘তোমাদের মত মানুষও মনে করে যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ্ কাহাকেও পুনরুত্থিত করিবেন না। (৭২:৭)
‘এবং আমরা চাহিয়াছিলাম আকাশের তথ্য সংগ্রহ করিতে কিন্তু আমরা দেখিতে পাইলাম কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ; (৭২:৮)
‘আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শুনিবার জন্য বসিতাম কিন্তু এখন কেহ সংবাদ শুনিতে চাহিলে সে তাহার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের সম্মুখীন হয়। (৭২:৯)
‘আমরা জানি না জগদ্বাসীর অমঙ্গলই অভিপ্রেত, না তাহাদের প্রতিপালক তাহাদের মঙ্গল চান। (৭২:১০)
‘এবং আমাদের কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক ইহার ব্যতিক্রম, আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথের অনুসারী; (৭২:১১)
‘এখন আমরা বুঝিয়াছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ্কে পরাভূত করিতে পারিব না এবং পলায়ন করিয়াও তাঁহাকে ব্যর্থ করিতে পারিব না। (৭২:১২)
‘আমরা যখন পথনির্দেশক বাণী শুনিলাম তাহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিলাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনে তাহার কোন ক্ষতি ও কোন অন্যায়ের আশংকা থাকিবে না। (৭২:১৩)
‘আমাদের কতক আত্মসমর্পণকারী এবং কতক সীমালংঘনকারী; যাহারা আত্মসমর্পণ করে তাহারা সুচিন্তিতভাবে সত্যপথ বাছিয়া নেয়। (৭২:১৪)
‘অপরপক্ষে সীমালংঘন-কারী তো জাহান্নামেরই ইন্ধন।’ (৭২:১৫)
উহারা যদি সত্যপথে প্রতিষ্ঠিত থাকিত উহাদেরকে আমি প্রচুর বারি বর্ষণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করিতাম, (৭২:১৬)
যদ্দ্বারা আমি উহাদেরকে পরীক্ষা করিতাম। যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের স্মরণ হইতে বিমুখ হয় তিনি তাহাকে দুঃসহ শাস্তিতে প্রবেশ করাইবেন। (৭২:১৭)
এবং এই যে মসজিদসমূহ আল্লাহ্রই জন্য। সুতরাং আল্লাহ্র সঙ্গে তোমরা অন্য কাহাকেও ডাকিও না। (৭২:১৮)
আর এই যে, যখন আল্লাহ্র বান্দা তাঁহাকে ডাকিবার জন্য দন্ডায়মান হইল তখন তাহারা তাহার নিকট ভিড় জমাইল। (৭২:১৯)