তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন তোমাদের জন্য রাত্রি, যেন উহাতে তোমরা বিশ্রাম করিতে পার এবং দিবস দেখিবার জন্য। যে সম্প্রদায় কথা শুনে নিশ্চয়ই তাহাদের জন্য ইহাতে আছে নিদর্শন। (১০:৬৭)
তিনিই তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন রজনী, দিবস, সূর্য এবং চন্দ্রকে; আর নক্ষত্ররাজিও অধীন হইয়াছে তাঁহারই নির্দেশে। অবশ্যই ইহাতে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য রহিয়াছে নিশ্চিত নিদর্শন- (১৬:১২)
আমি রাত্রি ও দিবসকে করিয়াছি দুইটি নিদর্শন, রাত্রির নিদর্শনকে অপসারিত করিয়াছি এবং দিবসের নিদর্শনকে আলোকপ্রদ করিয়াছি যাহাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করিতে পার এবং যাহাতে তোমরা বর্ষসংখ্যা ও হিসাব জানিতে পার; এবং আমি সব কিছু বিশদভাবে বর্ণনা করিয়াছি। (১৭:১২)
এবং আমি পৃথিবীতে সৃষ্টি করিয়াছি সুদৃঢ় পর্বত, যাহাতে পৃথিবী উহাদেরকে লইয়া এদিক-ওদিক ঢলিয়া না যায় এবং আমি উহাতে করিয়া দিয়াছি প্রশস্ত পথ, যাহাতে উহারা গন্তব্যস্থলে পৌঁছিতে পারে। (২১:৩১)
এবং আকাশকে করিয়াছি সুরক্ষিত ছাদ; কিন্তু উহারা আকাশস্থিত নিদর্শনাবলী হইতে মুখ ফিরাইয়া লয়। (২১:৩২)
আল্লাহ্ই সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি ও দিবস এবং সূর্য ও চন্দ্র; প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে। (২১:৩৩)
উহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ রাত্রিকে প্রবিষ্ট করান দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রির মধ্যে এবং আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা; (২২:৬১)
তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং তাঁহারই অধিকারে রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন। তবুও কি তোমরা বুঝিবে না? (২৩:৮০)
আল্লাহ্ দিবস ও রাত্রির পরিবর্তন ঘটান, ইহাতে শিক্ষা রহিয়াছে অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্নদের জন্য। (২৪:৪৪)
এবং তিনিই তোমাদের জন্য রাত্রিকে করিয়াছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়াছেন নিদ্রা এবং সমুত্থানের জন্য দিয়াছেন দিবস। (২৫:৪৭)
তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবসকে পরস্পরের অনুগামীরূপে তাহার জন্য-যে উপদেশ গ্রহণ করিতে ও কৃতজ্ঞ হইতে চাহে। (২৫:৬২)
উহারা কি অনুধাবন করে না যে, আমি রাত্রি সৃষ্টি করিয়াছি উহাদের বিশ্রামের জন্য এবং দিবসকে করিয়াছি আলোকপ্রদ? ইহাতে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। (২৭:৮৬)
বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, আল্লাহ্ যদি রাত্রিকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কোন্ ইলাহ্ আছে, যে তোমাদেরকে আলোক আনিয়া দিতে পারে? তবুও কি তোমরা কর্ণপাত করিবে না?’ (২৮:৭১)
বল, ‘তোমরা ভাবিয়া দেখিয়াছ কি, আল্লাহ্ যদি দিবসকে কিয়ামতের দিন পর্যন্ত স্থায়ী করেন, আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কোন্ ইলাহ্ আছে, যে তোমাদের জন্য রাত্রির আবির্ভাব ঘটাইবে, যাহাতে তোমরা বিশ্রাম করিতে পার? তবুও কি তোমরা ভাবিয়া দেখিবে না?’ (২৮:৭২)
তিনিই তাঁহার দয়ায় তোমাদের জন্য করিয়াছেন রজনী ও দিবস, যেন উহাতে তোমরা বিশ্রাম করিতে পার এবং তাঁহার অনুগ্রহ সন্ধান করিতে পার এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (২৮:৭৩)
তুমি কি দেখ না আল্লাহ্ রাত্রিকে দিবসে এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন? তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করিয়াছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি বিচরণ করে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত; তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ সে সম্পর্কে অবহিত। (৩১:২৯)
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করান এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রিতে, তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করিয়াছেন নিয়মাধীন; প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। আধিপত্য তাঁহারই। এবং তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক তাহারা তো খর্জুর আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়। (৩৫:১৩)
উহাদের জন্য এক নিদর্শন রাত্রি, উহা হইতে আমি দিবালোক অপসারিত করি, তখন উহারা অন্ধকারাচ্ছন্ন হইয়া পড়ে। (৩৬:৩৭)
আর সূর্য ভ্রমণ করে উহার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, ইহা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬:৩৮)
এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করিয়াছি বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে উহা শুষ্ক বক্র, পুরাতন খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে। (৩৬:৩৯)
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেক নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে। (৩৬:৪০)
তিনি যথাযথভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন। তিনি রাত্রি দ্বারা দিবসকে আচ্ছাদিত করেন এবং রাত্রিকে আচ্ছাদিত করেন দিবস দ্বারা। সূর্য ও চন্দ্রকে তিনি করিয়াছেন নিয়মাধীন। প্রত্যেকেই পরিক্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। জানিয়া রাখ, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। (৩৯:৫)
আল্লাহ্ই তোমাদের বিশ্রামের জন্য সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রিকে এবং আলোকোজ্জ্বল করিয়াছেন দিবসকে। আল্লাহ্ তো মানুষের প্রতি অনুগ্রহশীল, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। (৪০:৬১)
সূর্য ও চন্দ্র আবর্তন করে নির্ধারিত কক্ষপথে, (৫৫:৫)
আমি সৃষ্টি করিয়াছি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায়, (৭৮:৮)
তোমাদের নিদ্রাকে করিয়াছি বিশ্রাম, (৭৮:৯)
করিয়াছি রাত্রিকে আবরণ, (৭৮:১০)
এবং করিয়াছি দিবসকে জীবিকা আহরণের সময়, (৭৮:১১)
আর তিনি ইহার রাত্রিকে করিয়াছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং প্রকাশ করিয়াছেন ইহার সূর্যালোক; (৭৯:২৯)