তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে যে, তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন। তাহার পর এখন তোমরা মানুষ, সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িতেছ। (৩০:২০)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন তোমাদের সংগিনীদেরকে যাহাতে তোমরা উহাদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করিয়াছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে। (৩০:২১)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। ইহাতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে। (৩০:২২)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে রাত্রিতে ও দিবাভাগে তোমাদের নিদ্রা এবং তোমাদের অন্বেষণ তাঁহার অনুগ্রহ হইতে। ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে শ্রবণকারী সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:২৩)
আর তাঁহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে, তিনি তোমাদেরকে প্রদর্শন করেন বিদ্যুৎ, ভয় ও ভরসা সঞ্চারকরূপে এবং আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন ও তদ্দ্বারা ভূমিকে পুনরুজ্জীবিত করেন উহার মৃত্যুর পর; ইহাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রহিয়াছে বোধশক্তিসম্পন্ন সম্প্রদায়ের জন্য। (৩০:২৪)
এবং তাহার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রহিয়াছে যে, তাঁহারই আদেশে আকাশ ও পৃথিবীর স্থিতি থাকে; অতঃপর আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে উঠিবার জন্য একবার আহ্বান করিবেন তখন তোমরা উঠিয়া আসিবে। (৩০:২৫)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে তাহা তাঁহারই। সকলেই তাঁহার আজ্ঞাবহ। (৩০:২৬)
তিনি সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনয়ন করেন, অতঃপর তিনি ইহাকে সৃষ্টি করিবেন পুনর্বার; ইহা তাঁহার জন্য অতি সহজ। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে সর্বোচ্চ মর্যাদা তাঁহারই; এবং তিনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৩০:২৭)
তাঁহার নিদর্শনাবলীর একটি যে, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন সুসংবাদ দিবার জন্য ও তোমাদেরকে তাঁহার অনুগ্রহ আস্বাদন করাইবার জন্য; এবং যাহাতে তাঁহার নির্দেশ নৌযানগুলি বিচরণ করে, যাহাতে তোমরা তাঁহার অনুগ্রহ সন্ধান করিতে পার ও তাঁহার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। (৩০:৪৬)
আমি তো তোমার পূর্বে রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছিলাম তাহাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের নিকট। তাহারা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শন লইয়া আসিয়াছিল; অতঃপর আমি অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়াছিলাম। মু’মিনদেরকে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। (৩০:৪৭)