তিনিই ঊষার উন্মেষ ঘটান, তিনিই বিশ্রামের জন্য রাত্রি এবং গণনার জন্য সূর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করিয়াছেন; এ সবই পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নিরূপণ। (৬:৯৬)
তিনি সূর্যকে তেজস্কর ও চন্দ্রকে জ্যোতির্ময় করিয়াছেন এবং উহার মন্যিল নির্দিষ্ট করিয়াছেন যাহাতে তোমরা বৎসর গণনা ও সময়ের হিসাব জানিতে পার। আল্লাহ্ ইহা নিরর্থক সৃষ্টি করেন নাই। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি এই সমস্ত নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করেন। (১০:৫)
নিশ্চয়ই দিবস ও রাত্রির পরিবর্তনে এবং আল্লাহ্ আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহাতে নিদর্শন রহিয়াছে মুত্তাকী সম্প্রদায়ের জন্য। (১০:৬)
আল্লাহ্ই ঊর্ধ্বদেশে আকাশমন্ডলী স্থাপন করিয়াছেন স্তম্ভ ব্যতীত-তোমরা ইহা দেখিতেছ। অতঃপর তিনি আর্শে সমাসীন হইলেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে নিয়মাধীন করিলেন; প্রত্যেকে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন, যাহাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাস করিতে পার। (১৩:২)
তিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন সূর্য ও চন্দ্রকে, যাহারা অবিরাম একই নিয়মের অনুবর্তী এবং তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন রাত্রি ও দিবসকে। (১৪:৩৩)
তুমি কি দেখ না আল্লাহ্ রাত্রিকে দিবসে এবং দিবসকে রাত্রিতে পরিণত করেন? তিনি চন্দ্র-সূর্যকে করিয়াছেন নিয়মাধীন, প্রত্যেকটি বিচরণ করে নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত; তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ সে সম্পর্কে অবহিত। (৩১:২৯)
তিনি রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করান এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রিতে, তিনি সূর্য ও চন্দ্রকে করিয়াছেন নিয়মাধীন; প্রত্যেকে পরিভ্রমণ করে এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত। তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রতিপালক। আধিপত্য তাঁহারই। এবং তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহাদেরকে ডাক তাহারা তো খর্জুর আঁটির আবরণেরও অধিকারী নয়। (৩৫:১৩)
আর সূর্য ভ্রমণ করে উহার নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে, ইহা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞের নিয়ন্ত্রণ। (৩৬:৩৮)
এবং চন্দ্রের জন্য আমি নির্দিষ্ট করিয়াছি বিভিন্ন মনযিল; অবশেষে উহা শুষ্ক বক্র, পুরাতন খর্জুর শাখার আকার ধারণ করে। (৩৬:৩৯)
সূর্যের পক্ষে সম্ভব নয় চন্দ্রের নাগাল পাওয়া এবং রজনীর পক্ষে সম্ভব নয় দিবসকে অতিক্রম করা; এবং প্রত্যেক নিজ নিজ কক্ষপথে সন্তরণ করে। (৩৬:৪০)
‘এবং সেখানে চন্দ্রকে স্থাপন করিয়াছেন আলোরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপরূপে; (৭১:১৬)
কত মহান তিনি যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাশিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র। (২৫:৬১)
তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবসকে পরস্পরের অনুগামীরূপে তাহার জন্য-যে উপদেশ গ্রহণ করিতে ও কৃতজ্ঞ হইতে চাহে। (২৫:৬২)