তিনিই তোমাদেরকে দেখান বিজলী, ভয় ও ভরসা সঞ্চার করান এবং তিনিই সৃষ্টি করেন ভারী মেঘ; (১৩:১২)
বজ্রধ্বনি তাঁহার সপ্রশংস মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করে, ফিরিশ্তাগণও করে তাহার ভয়ে। তিনি বজ্রপাত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা উহা দ্বারা আঘাত করেন। আর উহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে বিতন্ডা করে, অথচ তিনি মহাশক্তিশালী। (১৩:১৩)
তিনি আকাশ হইতে বৃষ্টিপাত করেন, ফলে উপত্যকাসমূহ উহাদের পরিমাণ অনুযায়ী প্লাবিত হয় এবং প্লাবন তাহার উপরিস্থিত আবর্জনা বহন করে, এইরূপে আবর্জনা উপরিভাগে আসে যখন অলংকার অথবা তৈজসপত্র নির্মাণ উদ্দেশ্যে কিছু অগ্নিতে উত্তপ্ত করা হয়। এইভাবে আল্লাহ্ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত দিয়া থাকেন। যাহা আবর্জনা তাহা ফেলিয়া দেওয়া হয় এবং যাহা মানুষের উপকারে আসে তাহা জমিতে থাকিয়া যায়। এইভাবে আল্লাহ্ উপমা দিয়া থাকেন। (১৩:১৭)
তিনিই আল্লাহ্ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করিয়াছেন, যিনি আকাশ হইতে পানি বর্ষণ করিয়া তদ্দ্বারা তোমাদের জীবিকার জন্য ফলমূল উৎপাদন করেন, যিনি নৌযানকে তোমাদের অধীন করিয়া দিয়াছেন যাহাতে তাঁহার বিধানে উহা সমুদ্রে বিচরণ করে এবং যিনি তোমাদের কল্যাণে নিয়োজিত করিয়াছেন নদীসমূহকে। (১৪:৩২)
তোমরা কি নির্ভয় হইয়াছ যে, তিনি তোমাদেরকেসহ কোন অঞ্চল ধসাইয়া দিবেন না অথবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী ঝঞ্ঝা প্রেরণ করিবেন না? তখন তোমরা তোমাদের কোন কর্মবিধায়ক পাইবে না। (১৭:৬৮)
‘যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করিয়াছেন বিছানা এবং উহাতে করিয়া দিয়াছেন তোমাদের চলিবার পথ, তিনি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন।’ এবং আমি উহা দ্বারা বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদ উৎপন্ন করি। (২০:৫৩)
তোমরা আহার কর ও তোমাদের গবাদিপশু চরাও; অবশ্যই ইহাতে নিদর্শন আছে বিবেকসম্পন্নদের জন্য। (২০:৫৪)
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ্ সঞ্চালিত করেন মেঘমালাকে, তৎপর তাহাদেরকে একত্র করেন এবং পরে পুঞ্জীভূত করেন, অতঃপর তুমি দেখিতে পাও, উহার মধ্য হইতে নির্গত হয় বারিধারা; আকাশস্থিত শিলাস্তূপ হইতে তিনি বর্ষণ করেন শিলা এবং ইহা দ্বারা তিনি যাহাকে ইচ্ছা আঘাত করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা তাহার উপর হইতে ইহা অন্য দিকে ফিরাইয়া দেন। মেঘের বিদ্যুৎ ঝলক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কাড়িয়া নেয়। (২৪:৪৩)
আল্লাহ্, তিনি বায়ু প্রেরণ করেন, ফলে ইহা মেঘমালাকে সঞ্চালিত করে; অতঃপর তিনি ইহাকে যেমন ইচ্ছা আকাশে ছড়াইয়া দেন; পরে ইহাকে খন্ড-বিখন্ড করেন এবং তুমি দেখিতে পাও উহা হইতে নির্গত হয় বারিধারা; অতঃপর যখন তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহাদের নিকট ইচ্ছা ইহা পৌঁছাইয়া দেন, তখন উহারা হয় হর্ষোৎফুল্ল, (৩০:৪৮)
যদিও ইতিপূর্বে উহাদের প্রতি বৃষ্টি বর্ষণের আগে উহারা নিরাশ ছিল। (৩০:৪৯)
আল্লাহ্র অনুগ্রহের ফল সম্বন্ধে চিন্তা কর, কিভাবে তিনি ভূমিকে জীবিত করেন উহার মৃত্যুর পর। এইভাবেই আল্লাহ্ মৃতকে জীবিত করেন, কারণ তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৩০:৫০)
আর আমি যদি এমন বায়ু প্রেরণ করি যাহার ফলে উহারা দেখে শস্য পীতবর্ণ ধারণ করিয়াছে, তখন তো উহারা অকৃতজ্ঞ হইয়া পড়ে। (৩০:৫১)
তুমি তো মৃতকে শোনাইতে পারিবে না, বধিরকেও পারিবে না আহ্বান শোনাইতে, যখন উহারা মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যায়। (৩০:৫২)
এবং যিনি আকাশ হইতে বারি বর্ষণ করেন পরিমিতভাবে। অতঃপর আমি তদ্দ্বারা সঞ্জীবিত করি নির্জীব জনপদকে। এইভাবেই তোমাদেরকে বাহির করা হইবে। (৪৩:১১)