আমি তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করিব। তুমি শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে- (২:১৫৫)
পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্প্রেমে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। (২:১৭৭)
রাসূল, তাহার প্রতি তাহার প্রতিপালকের পক্ষ হইতে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে ঈমান আনিয়াছে এবং মু’মিনগণও। তাহাদের সকলে আল্লাহে্, তাঁহার ফিরিশতাগণে, তাঁহার কিতাবসমূহে এবং তাঁহার রাসূলগণে ঈমান আনিয়াছে। তাহারা বলে, ‘আমরা তাঁহার রাসূলগণের মধ্যে কোন তারতম্য করি না’, আর তাহারা বলে, ‘আমরা শুনিয়াছি এবং পালন করিয়াছি। হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমার ক্ষমা চাই আর প্রত্যাবর্তন তোমারই নিকট।’ (২:২৮৫)
তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই যাহারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে তাহারা বিশ্বাস করে, অথচ তাহারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হইতে চায়, যদিও উহা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাহাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে এবং শয়তান তাহাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করিতে চায়? (৪:৬০)
তাহাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হইতে মুখ একেবারে ফিরাইয়া লইতে দেখিবে। (৪:৬১)
তাহাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাহাদের কোন মুসীবত হইবে তখন তাহাদের কী অবস্থা হইবে? অতঃপর তাহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া তোমার নিকট আসিয়া বলিবে, ‘আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই নাই।’ (৪:৬২)
ইহারাই তাহারা, তাহাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ তাহা জানেন। সুতরাং তুমি তাহাদেরকে উপেক্ষা কর, তাহাদেরকে সদুপদেশ দাও এবং তাহাদেরকে তাহাদের মর্ম স্পর্শ করে এমন কথা বল। (৪:৬৩)
রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহ্র নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। যখন তাহারা নিজেদের প্রতি জুলুম করে তখন তাহারা তোমার নিকট আসিলে ও আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এবং রাসূলও তাহাদের জন্য ক্ষমা চাহিলে তাহারা অবশ্যই আল্লাহ্কে পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালুরূপে পাইবে। (৪:৬৪)
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মু’মিন হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে; অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাহাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে উহা মানিয়া নেয়। (৪:৬৫)
মু’মিন তো তাহারাই, যাহাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন উহা তাহাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে, (৮:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে ও আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সাহায্য করিয়াছে, তাহারাই প্রকৃত মু’মিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (৮:৭৪)
যাহারা পরে ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে ও তোমাদের সঙ্গে থাকিয়া জিহাদ করিয়াছে তাহারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত এবং আত্মীয়গণ আল্লাহ্র বিধানে একে অন্য অপেক্ষা অধিক হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। (৮:৭৫)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মু’মিনদের নিকট হইতে তাহাদের জীবন ও সম্পদ ক্রয় করিয়া লইয়াছেন, তাহাদের জন্য জান্নাত আছে ইহার বিনিময়ে। তাহারা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করে, নিধন করে ও নিহত হয়। তাওরাত, ইনজীল ও কুরআনে এই সম্পর্কে তাহাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রহিয়াছে। নিজ প্রতিজ্ঞা পালনে আল্লাহ্ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর কে আছে? তোমরা যে সওদা করিয়াছ সেই সওদার জন্য আনন্দিত হও এবং উহাই তো মহাসাফল্য। (৯:১১১)
উহারা তওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, আল্লাহ্র প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকূ‘কারী, সিজ্দাকারী, সৎকাজের নির্দেশদাতা, অসৎকাজে নিষেধকারী এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী; এই মু’মিনদেরকে তুমি শুভ সংবাদ দাও। (৯:১১২)
আত্মীয়-স্বজন হইলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মু’মিনদের জন্য সংগত নয় যখন ইহা সু্স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে, নিশ্চিতই উহারা জাহান্নামী। (৯:১১৩)
ইব্রাহীম তাহার পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিয়াছিল, তাহাকে ইহার প্রতিশ্রুতি দিয়াছিল বলিয়া; অতঃপর যখন ইহা তাহার নিকট সুস্পষ্ট হইল যে, সে আল্লাহ্র শত্রু তখন ইব্রাহীম উহার সম্পর্ক ছিন্ন করিল। ইব্রাহীম তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল। (৯:১১৪)
আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি কোন সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করিবার পর উহাদেরকে বিভ্রান্ত করিবেন-উহাদেরকে কী বিষয়ে তাক্ওয়া অবলম্বন করিতে হইবে, ইহা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত না করা পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (৯:১১৫)
অবশ্যই সফলকাম হইয়াছে মু’মিনগণ, (২৩:১)
যাহারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে, (২৩:২)
যাহারা অসার ক্রিয়াকলাপ হইতে বিরত থাকে, (২৩:৩)
যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়, (২৩:৪)
যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, (২৩:৫)
নিজেদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসিগণ ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না, (২৩:৬)
এবং কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী, (২৩:৭)
এবং যাহারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (২৩:৮)
এবং যাহারা নিজেদের সালাতসমূহে যত্নবান থাকে, (২৩:৯)
তাহারাই হইবে অধিকারী- (২৩:১০)
অধিকারী হইবে ফিরদাওসের যাহাতে উহারা স্থায়ী হইবে। (২৩:১১)
নিশ্চয় যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের ভয়ে সন্ত্রস্ত, (২৩:৫৭)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলীতে ঈমান আনে, (২৩:৫৮)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সঙ্গে শরীক করে না, (২৩:৫৯)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তন করিবে এই বিশ্বাসে তাহাদের যাহা দান করিবার তাহা দান করে ভীত-কম্পিত হৃদয়ে, (২৩:৬০)
তাহারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তাহারা উহাতে অগ্রগামী হয়। (২৩:৬১)
আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত দায়িত্ব অর্পণ করি না এবং আমার নিকট আছে এক কিতাব যাহা সত্য ব্যক্ত করে এবং উহাদের প্রতি জুলুম করা হইবে না। (২৩:৬২)
তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করিবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করিয়াছিলেন তাহাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাহাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করিবেন তাহাদের দীনকে যাহা তিনি তাহাদের জন্য পসন্দ করিয়াছেন এবং তাহাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাহাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করিবেন। তাহারা আমার ‘ইবাদত করিবে, আমার কোন শরীক করিবে না, অতঃপর যাহারা অকৃতজ্ঞ হইবে তাহারা তো সত্যত্যাগী। (২৪:৫৫)
তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাহাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হইতে পার। (২৪:৫৬)
তুমি কাফিরদেরকে পৃথিবীতে কখনো প্রবল মনে করিও না। উহাদের আশ্রয়স্থল দোযখ; কত নিকৃষ্ট এই পরিণাম! (২৪:৫৭)
‘রাহমান’-এর বান্দা তাহারাই, যাহারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাহাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তাহারা বলে, ‘সালাম’; (২৫:৬৩)
এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দন্ডায়মান থাকিয়া; (২৫:৬৪)
এবং তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত কর, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ,’ (২৫:৬৫)
নিশ্চয়ই উহা অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে নিকৃষ্ট। (২৫:৬৬)
এবং যখন তাহারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তাহারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়। (২৫:৬৭)
এবং তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে কোন ইলাহ্কে ডাকে না। আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষেধ করিয়াছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাহাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এইগুলি করে সে শাস্তি ভোগ করিবে। (২৫:৬৮)
কিয়ামতের দিন উহার শাস্তি দ্বিগুণ করা হইবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হইবে হীন অবস্থায়; (২৫:৬৯)
তাহারা নয়, যাহারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ উহাদের পাপ পরিবর্তন করিয়া দিবেন পুণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২৫:৭০)
যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়। (২৫:৭১)
এবং যাহারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হইলে স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে উহা পরিহার করিয়া চলে। (২৫:৭২)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করাইয়া দিলে উহার প্রতি অন্ধ এবং বধিরসদৃশ আচরণ করে না, (২৫:৭৩)
এবং যাহারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য। (২৫:৭৪)
তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। (২৫:৭৫)
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে উহা কত উৎকৃষ্ট। (২৫:৭৬)
বল, ‘তোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকিলে তাঁহার কিছুই আসে যায় না। তোমরা অস্বীকার করিয়াছ, ফলে অচিরে নামিয়া আসিবে অপরিহার্য শাস্তি। (২৫:৭৭)
কেবল তাহারাই আমার নিদর্শনাবলী বিশ্বাস করে যাহারা উহার দ্বারা উপদিষ্ট হইলে সিজ্দায় লুটাইয়া পড়ে এবং তাহাদের প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আর তাহারা অহংকার করে না। (৩২:১৫)
তাহারা শয্যা ত্যাগ করিয়া তাহাদের প্রতিপালককে ডাকে আশায় ও আশংকায় এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দান করিয়াছি উহা হইতে তাহারা ব্যয় করে। (৩২:১৬)
কেহই জানে না তাহাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর কী লুক্কায়িত রাখা হইয়াছে তাহাদের কৃতকর্মের পুরস্কারস্বরূপ। (৩২:১৭)
তবে যে ব্যক্তি মু’মিন, সে কি পাপাচারীর ন্যায়? উহারা সমান নহে। (৩২:১৮)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে তাহাদের কৃতকর্মের ফলস্বরূপ তাহাদের আপ্যায়নের জন্য তাহাদের স্থায়ী বাসস্থান হইবে জান্নাত। (৩২:১৯)
যাহারা বলে, ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্’, অতঃপর অবিচলিত থাকে, তাহাদের নিকট অবতীর্ণ হয় ফিরিশ্তা এবং বলে, ‘তোমরা ভীত হইও না, চিন্তিত হইও না এবং তোমাদেরকে যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছিল তাহার জন্য আনন্দিত হও। (৪১:৩০)
‘আমরাই তোমাদের বন্ধু দুনিয়ার জীবনে ও আখিরাতে। সেখানে তোমাদের জন্য রহিয়াছে যাহা কিছু তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্য রহিয়াছে যাহা তোমরা ফর্মায়েশ কর।’ (৪১:৩১)
ইহা ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু আল্লাহ্র পক্ষ হইতে আপ্যায়ন। (৪১:৩২)
মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল; তাঁহার সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদেরকে রুকূ‘ ও সিজ্দায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজ্দার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরূপ এবং ইঞ্জীলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদের দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ঠ হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক। এইভাবে আল্লাহ্ মু’মিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন ক্ষমা ও মহাপুস্কারের। (৪৮:২৯)
তাহারাই মু’মিন যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করে, তাহারাই সত্যনিষ্ঠ। (৪৯:১৫)
আল্লাহ্ সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হইব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৮:২১)
তুমি পাইবে না আল্লাহ্ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায়, যাহারা ভালবাসে আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদেরকে-হউক না এই বিরুদ্ধাচারীরা তাহাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা ইহাদের জ্ঞাতি-গোত্র। ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্ সুদৃঢ় করিয়াছেন ঈমান এবং তাহাদেরকে শক্তিশালী করিয়াছেন তাঁহার পক্ষ হইতে রূহ্ দ্বারা। তিনি ইহাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে ইহারা স্থায়ী হইবে; আল্লাহ্ ইহাদের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়াছেন এবং ইহারাও তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট, ইহারাই আল্লাহ্র দল। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্র দলই সফলকাম হইবে। (৫৮:২২)
আর তাহাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে যাহারা এই নগরীতে বসবাস করিয়াছে ও ঈমান আনিয়াছে, তাহারা মুহাজিরদেরকে ভালবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যাহা দেওয়া হইয়াছে তাহার জন্য তাহারা অন্তরে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে না, আর তাহারা তাহাদেরকে নিজেদের উপর অগ্রাধিকার দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হইলেও। যাহাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য হইতে মুক্ত রাখা হইয়াছে, তাহারাই সফলকাম। (৫৯:৯)
যাহারা উহাদের পরে আসিয়াছে, তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এবং ঈমানে অগ্রণী আমাদের ভ্রাতাগণকে ক্ষমা কর এবং মু’মিনদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে বিদ্বেষ রাখিও না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো দয়ার্দ্র, পরম দয়ালু।’ (৫৯:১০)
তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারীদের মধ্যে রহিয়াছে উত্তম আদর্শ। যখন তাহারা তাহাদের সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহার ‘ইবাদত কর তাহার সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হইল শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যদি না তোমরা এক আল্লাহ্তে ঈমান আন।’ তবে ব্যতিক্রম তাহার পিতার প্রতি ইব্রাহীমের উক্তি: ‘আমি নিশ্চয়ই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিব; এবং তোমার ব্যাপারে আল্লাহ্র নিকট আমি কোন অধিকার রাখি না।’ ইব্রাহীম ও তাহার অনুসারিগণ বলিয়াছিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তোমারই উপর নির্ভর করিয়াছি, তোমারই অভিমুখী হইয়াছি এবং প্রত্যাবর্তন তো তোমারই নিকট। (৬০:৪)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে কাফিরদের পীড়নের পাত্র করিও না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর; তুমি তো পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (৬০:৫)
তোমরা যাহারা আল্লাহ্ ও আখিরাতের প্রত্যাশা কর নিশ্চয়ই তাহাদের জন্য রহিয়াছে উত্তম আদর্শ তাহাদের মধ্যে। কেহ মুখ ফিরাইয়া লইলে সে জানিয়া রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ্, তিনি তো অভাবমুক্ত, প্রশংসার্হ। (৬০:৬)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্র দীনের সাহায্যকারী হও, যেমন মার্ইয়াম-তনয় ঈসা হাওয়ারীগণকে বলিয়াছিল, ‘আল্লাহ্র পথে কে আমার সাহায্যকারী হইবে?’ হাওয়ারীগণ বলিয়াছিল, ‘আমরাই আল্লাহ্র পথে সাহায্যকারী।’ অতঃপর বনী ইস্রাঈলের একদল ঈমান আনিল এবং একদল কুফরী করিল। তখন আমি যাহারা ঈমান আনিয়াছিল, তাহাদের শত্রুদের মুকাবিলায় তাহাদেরকে শক্তিশালী করিলাম, ফলে তাহারা বিজয়ী হইল। (৬১:১৪)