হাঁ, যে কেহ আল্লাহ্র নিকট সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ করে এবং সৎকর্মপরায়ণ হয় তাহার ফল তাহার প্রতিপালকের নিকট রহিয়াছে এবং তাহাদের কোন ভয় নাই ও তাহারা দুঃখিত হইবে না। (২:১১২)
তাহার প্রতিপালক যখন তাহাকে বলিয়াছিলেন, ‘আত্মসমর্পণ কর’, সে বলিয়াছিল, ‘জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করিলাম।’ (২:১৩১)
আমরা গ্রহণ করিলাম আল্লাহ্র রং, রঙে আল্লাহ্ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? এবং আমরা তাঁহারই ‘ইবাদতকারী। (২:১৩৮)
পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নাই; কিন্তু পুণ্য আছে কেহ আল্লাহ্, পরকাল, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবীগণে ঈমান আনয়ন করিলে এবং আল্লাহ্প্রেমে আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করিলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করিলে। ইহারাই তাহারা যাহারা সত্যপরায়ণ এবং ইহারাই মুত্তাকী। (২:১৭৭)
রামাযান মাস, ইহাতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হইয়াছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এই মাস পাইবে তাহারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। এবং কেহ পীড়িত থাকিলে কিংবা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যাহা সহজ তাহা চাহেন এবং যাহা তোমাদের জন্য কষ্টকর তাহা চাহেন না এইজন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করিবে এবং তোমাদের কে সৎপথে পরিচালিত করিবার কারণে তোমরা আল্লাহ্র মহিমা ঘোষণা করিবে এবং যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পার। (২:১৮৫)
যদি তাহারা তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয় তবে তুমি বল, ‘আমি আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছি এবং আমার অনুসারিগণও।’ আর যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে তাহাদেরকে ও নিরক্ষরদেরকে বল, ‘তোমরাও কি আত্মসমর্পণ করিয়াছ?’ যদি তাহারা আত্মসমর্পণ করে তবে নিশ্চয়ই তাহারা হিদায়াত পাইবে। আর যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তোমার কর্তব্য শুধু প্রচার করা। আল্লাহ্ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। (৩:২০)
তাহারা কি চাহে আল্লাহ্র দীনের পরিবর্তে অন্য দীন? যখন আকাশে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু রহিয়াছে সমস্তই স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় তাঁহার নিকট আত্মসমর্পণ করিয়াছে! আর তাঁহার দিকেই তাহারা প্রত্যানীত হইবে। (৩:৮৩)
এবং যাহাদের পাল্লা ভারী হইবে তাহারাই হইবে সফলকাম, (২৩:১০২)
তোমরা হীনবল হইও না এবং দুঃখিতও হইও না; তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মু’মিন হও। (৩:১৩৯)
আল্লাহ্র নিয়ামত ও অনুগ্রহের জন্য তাহারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং ইহা এই কারণে যে, আল্লাহ্ মু’মিনদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (৩:১৭১)
ইহারাই শয়তান, তোমাদেরকে তাহার বন্ধুদের ভয় দেখায়; সুতরাং যদি তোমরা মু’মিন হও তবে তোমরা তাহাদেরকে ভয় করিও না, আমাকেই ভয় কর। (৩:১৭৫)
অসৎকে সৎ হইতে পৃথক না করা পর্যন্ত তোমরা যে অবস্থায় রহিয়াছ আল্লাহ্ মু’মিনগণকে সেই অবস্থায় ছাড়িয়া দিতে পারেন না। অদৃশ্য সম্পর্কে তোমাদেরকে আল্লাহ্ অবহিত করিবার নহেন; তবে আল্লাহ্ তাঁহার রাসূলগণের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলগণের উপর ঈমান আন। তোমরা ঈমান আনিলে ও তাক্ওয়া অবলম্বন করিয়া চলিলে তোমাদের জন্য মহাপুরস্কার রহিয়াছে। (৩:১৭৯)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আল্লাহ্কে ভয় কর যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। (৩:২০০)
তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই যাহারা দাবি করে যে, তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে তাহারা বিশ্বাস করে, অথচ তাহারা তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হইতে চায়, যদিও উহা প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাহাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে এবং শয়তান তাহাদেরকে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট করিতে চায়? (৪:৬০)
তাহাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহার দিকে এবং রাসূলের দিকে আস, তখন মুনাফিকদেরকে তুমি তোমার নিকট হইতে মুখ একেবারে ফিরাইয়া লইতে দেখিবে। (৪:৬১)
তাহাদের কৃতকর্মের জন্য যখন তাহাদের কোন মুসীবত হইবে তখন তাহাদের কী অবস্থা হইবে? অতঃপর তাহারা আল্লাহ্র নামে শপথ করিয়া তোমার নিকট আসিয়া বলিবে, ‘আমরা কল্যাণ এবং সম্প্রীতি ব্যতীত অন্য কিছুই চাই নাই।’ (৪:৬২)
ইহারাই তাহারা, তাহাদের অন্তরে কী আছে আল্লাহ্ তাহা জানেন। সুতরাং তুমি তাহাদেরকে উপেক্ষা কর, তাহাদেরকে সদুপদেশ দাও এবং তাহাদেরকে তাহাদের মর্ম স্পর্শ করে এমন কথা বল। (৪:৬৩)
রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহ্র নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। যখন তাহারা নিজেদের প্রতি জুলুম করে তখন তাহারা তোমার নিকট আসিলে ও আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এবং রাসূলও তাহাদের জন্য ক্ষমা চাহিলে তাহারা অবশ্যই আল্লাহ্কে পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালুরূপে পাইবে। (৪:৬৪)
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মু’মিন হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে; অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাহাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে উহা মানিয়া নেয়। (৪:৬৫)
তাহার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ হইয়া আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে? এবং আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। (৪:১২৫)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহে, তাঁহার রাসূলে, তিনি যে কিতাব তাঁহার রাসূলের প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে ঈমান আন। এবং কেহ আল্লাহ্, তাঁহার ফিরিশ্তাগণ, তাঁহার কিতাবসমূহ, তাঁহার রাসূলগণ এবং আখিরাতকে প্রত্যাখ্যান করিলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হইয়া পড়িবে। (৪:১৩৬)
রাসূলের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যখন তাহারা শ্রবণ করে তখন তাহারা যে সত্য উপলব্ধি করে তাহার জন্য তুমি তাহাদের চক্ষু অশ্রু-বিগলিত দেখিবে। তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান আনিয়াছি; সুতরাং তুমি আমাদেরকে সাক্ষ্যদানকারীদের তালিকাভুক্ত কর।’ (৫:৮৩)
‘আল্লাহে্ ও আমাদের নিকট আগত সত্যে আমাদের ঈমান না আনার কী কারণ থাকিতে পরে যখন আমরা প্রত্যাশা করি, ‘আল্লাহ্ আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন?’ (৫:৮৪)
আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে হালাল ও উৎকৃষ্ট জীবিকা দিয়াছেন তাহা হইতে ভক্ষণ কর এবং ভয় কর আল্লাহ্কে, যাঁহার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। (৫:৮৮)
আরও স্মরণ কর, আমি যখন ‘হাওয়ারীদেরকে এই আদেশ দিয়াছিলাম যে, ‘তোমরা আমার প্রতি ও আমার রাসূলের প্রতি ঈমান আন’, তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমরা ঈমান আনিলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা তো মুসলিম।’ (৫:১১১)
বল, ‘আমি কি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিব? তিনিই আহার্য দান করেন কিন্তু তাঁহাকে কেহ আহার্য দান করে না’; এবং বল, ‘আমি আদিষ্ট হইয়াছি যেন আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি প্রথম ব্যক্তি হই’; আমাকে আরও আদেশ করা হইয়াছে, ‘তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।’ (৬:১৪)
এইভাবে আমি ইব্রাহীমকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর পরিচালন-ব্যবস্থা দেখাই, যাহাতে সে নিশ্চিত বিশ্বাসীদের অন্তর্ভুক্ত হয়। (৬:৭৫)
হে বনী আদম! যদি তোমাদের মধ্য হইতে কোন রাসূল তোমাদের নিকট আসিয়া আমার নিদর্শন বিবৃত করে তখন যাহারা সাবধান হইবে এবং নিজেদের সংশোধন করিবে, তাহা হইলে তাহাদের কোন ভয় থাকিবে না এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (৭:৩৫)
এবং জাদুকরেরা সিজ্দাবনত হইল। (৭:১২০)
তাহারা বলিল, ‘আমরা ঈমান আনিলাম জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রতি (৭:১২১)
‘যিনি মূসা ও হারূনেরও প্রতিপালক।’ (৭:১২২)
মু’মিন তো তাহারাই, যাহাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন উহা তাহাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে, (৮:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে ও আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সাহায্য করিয়াছে, তাহারাই প্রকৃত মু’মিন; তাহাদের জন্য ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা রহিয়াছে। (৮:৭৪)
তোমরা কি সেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে না, যাহারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করিয়াছে ও রাসূলকে বহিষ্কারের জন্য সংকল্প করিয়াছে? উহারাই প্রথম তোমাদের বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছে। তোমরা কি তাহাদেরকে ভয় কর? আল্লাহ্কে ভয় করাই তোমাদের পক্ষে অধিক সমীচীন, যদি তোমরা মু’মিন হও। (৯:১৩)
উহারা তওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, আল্লাহ্র প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকূ‘কারী, সিজ্দাকারী, সৎকাজের নির্দেশদাতা, অসৎকাজে নিষেধকারী এবং আল্লাহ্র নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী; এই মু’মিনদেরকে তুমি শুভ সংবাদ দাও। (৯:১১২)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হও। (৯:১১৯)
মূসা বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! যদি তোমরা আল্লাহ্তে ঈমান আনিয়া থাক, যদি তোমরা আত্মসমর্পণকারী হও তবে তোমরা তাঁহারই উপর নির্ভর কর।’ (১০:৮৪)
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজ্য দান করিয়াছ এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়াছ। হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! তুমিই ইহলোক ও পরলোকে আমার অভিভাবক। তুমি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্য দাও এবং আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তুর্ভুক্ত কর।’ (১২:১০১)
তোমার প্রতিপালক ইহাতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা যে ব্যক্তি সত্য বলিয়া জানে আর যে অন্ধ তাহারা কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকশক্তিসম্পন্নগণই, (১৩:১৯)
যাহারা আল্লাহ্কে প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না, (১৩:২০)
এবং আল্লাহ্ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখিতে আদেশ করিয়াছেন যাহারা তাহা অক্ষুণ্ন রাখে, ভয় করে তাহাদের প্রতিপালককে এবং ভয় করে কঠোর হিসাবকে, (১৩:২১)
নিশ্চয়ই উহার কোন আধিপত্য নাই তাহাদের উপর যাহারা ঈমান আনে ও তাহাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে। (১৬:৯৯)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একই ইলাহ্, সুতরাং তোমরা হইয়া যাও আত্মসমর্পণকারী।’ (২১:১০৮)
তোমাদের মধ্যে যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতেছেন যে, তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব দান করিবেন, যেমন তিনি প্রতিনিধিত্ব দান করিয়াছিলেন তাহাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাহাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করিবেন তাহাদের দীনকে যাহা তিনি তাহাদের জন্য পসন্দ করিয়াছেন এবং তাহাদের ভয়ভীতির পরিবর্তে তাহাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করিবেন। তাহারা আমার ‘ইবাদত করিবে, আমার কোন শরীক করিবে না, অতঃপর যাহারা অকৃতজ্ঞ হইবে তাহারা তো সত্যত্যাগী। (২৪:৫৫)
তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাহাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হইতে পার। (২৪:৫৬)
তুমি কাফিরদেরকে পৃথিবীতে কখনো প্রবল মনে করিও না। উহাদের আশ্রয়স্থল দোযখ; কত নিকৃষ্ট এই পরিণাম! (২৪:৫৭)
মু’মিন তো তাহারাই যাহারা আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলে ঈমান আনে এবং রাসূলের সঙ্গে সমষ্টিগত ব্যাপারে একত্র হইলে তাহারা অনুমতি ব্যতীত সরিয়া পড়ে না; যাহারা তোমার অনুমতি প্রার্থনা করে তাহারাই আল্লাহ্ এবং তাঁহার রাসূলে বিশ্বাসী। অতএব তাহারা তাহাদের কোন কাজে বাহিরে যাইবার জন্য তোমার অনুমতি চাহিলে তাহাদের মধ্যে যাহাদেরকে ইচ্ছা তুমি অনুমতি দিও এবং তাহাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিও। নিশ্চয় আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২৪:৬২)
তাহারা নয়, যাহারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ উহাদের পাপ পরিবর্তন করিয়া দিবেন পুণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২৫:৭০)
তুমি অন্ধদেরকে উহাদের পথভ্রষ্টতা হইতে পথে আনিতে পারিবে না। তুমি শোনাইতে পারিবে কেবল তাহাদেরকে, যাহারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে। আর তাহারাই আত্মসমর্পণকারী। (২৭:৮১)
আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি এই নগরীর প্রভুর ‘ইবাদত করিতে, যিনি ইহাকে করিয়াছেন সম্মানিত। সমস্ত কিছু তাঁহারই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। (২৭:৯১)
তবে যে ব্যক্তি তওবা করিয়াছিল এবং ঈমান আনিয়াছিল ও সৎকর্ম করিয়াছিল, আশা করা যায় সে সাফল্য অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। (২৮:৬৭)
তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সঙ্গে বিতর্ক করিবে না, তবে তাহাদের সঙ্গে করিতে পার, যাহারা উহাদের মধ্যে সীমালংঘনকারী। এবং বল, ‘আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে, তাহাতে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমাদের ইলাহ্ ও তোমাদের ইলাহ্ তো একই এবং আমরা তাঁহারই প্রতি আত্মসমর্পণকারী।’ (২৯:৪৬)
তুমি তো মৃতকে শোনাইতে পারিবে না, বধিরকেও পারিবে না আহ্বান শোনাইতে, যখন উহারা মুখ ফিরাইয়া চলিয়া যায়। (৩০:৫২)
আর তুমি অন্ধকেও পথে আনিতে পারিবে না উহাদের পথভ্রষ্টতা হইতে। যাহারা আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে শুধু তাহাদেরকেই তুমি শোনাইতে পারিবে, কারণ তাহারা আত্মসমর্পণকারী। (৩০:৫৩)
তবে যে ব্যক্তি মু’মিন, সে কি পাপাচারীর ন্যায়? উহারা সমান নহে। (৩২:১৮)
যাহারা মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে পীড়া দেয় এমন কোন অপরাধের জন্য যাহা তাহারা করে নাই; তাহারা অপবাদের ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করে। (৩৩:৫৮)
‘তবে উহাদের মধ্যে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে নয়।’ (৩৮:৮৩)
‘আর আদিষ্ট হইয়াছি, আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অগ্রণী হই।’ (৩৯:১২)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে ও মু’মিনদেরকে সাহায্য করিব পার্থিব জীবনে এবং যেই দিন সাক্ষিগণ দন্ডায়মান হইবে। (৪০:৫১)
বল, ‘তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাহাদেরকে আহ্বান কর, তাহাদের ‘ইবাদত করিতে আমাকে নিষেধ করা হইয়াছে যখন আমার প্রতিপালকের নিকট হইতে আমার নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শণ আসিয়াছে। এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করিতে। (৪০:৬৬)
হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নাই এবং তোমরা দুঃখিতও হইবে না। (৪৩:৬৮)
যাহারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করিয়াছিল এবং আত্মসমর্পণ করিয়াছিল- (৪৩:৬৯)
তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। (৪৩:৭০)
স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র লইয়া তাহাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হইবে; সেখানে রহিয়াছে সমস্ত কিছু, যাহা অন্তর চাহে এবং যাহাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হইবে। (৪৩:৭১)
ইহাই জান্নাত, তোমাদেরকে যাহার অধিকারী করা হইয়াছে, তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ। (৪৩:৭২)
আমি মানুষকে তাহার মাতা-পিতার প্রতি সদয় ব্যবহারের নির্দেশ দিয়াছি। তাহার জননী তাহাকে গর্ভে ধারণ করে কষ্টের সঙ্গে এবং প্রসব করে কষ্টের সঙ্গে, তাহাকে গর্ভে ধারণ করিতে ও তাহার স্তন্য ছাড়াইতে লাগে ত্রিশ মাস, ক্রমে সে যখন পূর্ণ শক্তিপ্রাপ্ত হয় এবং চল্লিশ বৎসরে উপনীত হয় তখন বলে, ‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও, যাহাতে আমি তোমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করিয়াছ, তাহার জন্য এবং যাহাতে আমি সৎকর্ম করিতে পারি যাহা তুমি পসন্দ কর; আমার জন্য আমার সন্তান-সন্ততিদেরকে সৎকর্মপরায়ণ কর, আমি তোমারই অভিমুখী হইলাম এবং আমি অবশ্যই আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (৪৬:১৫)
‘আমি ইহাদেরই সুকৃতিগুলি গ্রহণ করিয়া থাকি এবং মন্দ কর্মগুলি ক্ষমা করি, তাহারা জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত। ইহাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে তাহা সত্য। (৪৬:১৬)
সুতরাং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার এবং মু’মিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য। আল্লাহ্ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। (৪৭:১৯)
নিশ্চয়ই আমি তোমাকে দিয়াছি সুস্পষ্ট বিজয়, (৪৮:১)
যেন আল্লাহ্ তোমার অতীত ও ভবিষ্যত ত্রুটিসমূহ মার্জনা করেন এবং তোমার প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ পূর্ণ করেন ও তোমাকে সরল পথে পরিচালিত করেন, (৪৮:২)
এবং আল্লাহ্ তোমাকে বলিষ্ঠ সাহায্য দান করেন। (৪৮:৩)
তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তাহারা তাহাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করিয়া নেয়, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহ্রই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৪৮:৪)
তাহারাই মু’মিন যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পোষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করে, তাহারাই সত্যনিষ্ঠ। (৪৯:১৫)
ইহারই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল-প্রত্যেক আল্লাহ্-অভিমুখী, হিফাযতকারীর জন্য- (৫০:৩২)
যাহারা না দেখিয়া দয়াময় আল্লাহ্কে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয়- (৫০:৩৩)
তাহাদেরকে বলা হইবে, ‘শান্তির সঙ্গে তোমরা উহাতে প্রবেশ কর; উহা অনন্ত জীবনের দিন।’ (৫০:৩৪)
হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহ্র নিকট তওবা কর-বিশুদ্ধ তওবা; তাহা হইলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলি মোচন করিয়া দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ্ লজ্জা দিবেন না নবীকে এবং তাহার মু’মিন সঙ্গীদেরকে, তাহাদের জ্যোতি তাহাদের সম্মুখে ও দক্ষিণ পার্শ্বে ধাবিত হইবে। তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান কর এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (৬৬:৮)
আল্লাহ্ মু’মিনদের জন্য দিতেছেন ফির‘আওন পত্নীর দৃষ্টান্ত, যে প্রার্থনা করিয়াছিল: ‘হে আমার প্রতিপালক! তোমার সন্নিধানে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করিও এবং আমাকে উদ্ধার কর ফিরা‘আওন ও তাহার দুষ্কৃতি হইতে এবং আমাকে উদ্ধার কর জালিম সম্প্রদায় হইতে।’ (৬৬:১১)
আরও দৃষ্টান্ত দিতেছেন ইমরান-তনয়া মার্ইয়ামের-যে তাহার সতীত্ব রক্ষা করিয়াছিল, ফলে আমি তাহার মধ্যে রূহ্ ফুঁকিয়া দিয়াছিলাম এবং সে তাহার প্রতিপালকের বাণী ও তাঁহার কিতাবসমূহ সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিল, সে ছিল অনুগতদের অন্যতম। (৬৬:১২)
আকি কি আত্মসমর্পণ-কারীদেরকে অপরাধীদের সমতুল্য গণ্য করিব? (৬৮:৩৫)