উহাদের পূর্ববর্তী নূহ্, ‘আদ ও সামূদের সম্প্রদায়, ইব্রাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদ্ইয়ান ও বিধ্বস্ত নগরের অধিবাসীদের সংবাদ কি উহাদের নিকট আসে নাই? উহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসহ উহাদের রাসূলগণ আসিয়াছিল। আল্লাহ্ এমন নন যে, তাহাদের উপর জুলুম করেন, কিন্তু উহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করে। (৯:৭০)
মু’মিন নর ও মু’মিন নারী একে অপরের বন্ধু, ইহারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকাজ নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করে; ইহাদেরকেই আল্লাহ্ কৃপা করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৯:৭১)
আল্লাহ্ মু’মিন নর ও মু’মিন নারীকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন জান্নাতের- যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে এবং স্থায়ী জান্নাতে উত্তম বাসস্থানের। আল্লাহ্র সন্তুষ্টিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং উহাই মহাসাফল্য। (৯:৭২)
‘রাহমান’-এর বান্দা তাহারাই, যাহারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাহাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তাহারা বলে, ‘সালাম’; (২৫:৬৩)
এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দন্ডায়মান থাকিয়া; (২৫:৬৪)
এবং তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত কর, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ,’ (২৫:৬৫)
নিশ্চয়ই উহা অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে নিকৃষ্ট। (২৫:৬৬)
এবং যখন তাহারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তাহারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়। (২৫:৬৭)
এবং তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে কোন ইলাহ্কে ডাকে না। আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষেধ করিয়াছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাহাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এইগুলি করে সে শাস্তি ভোগ করিবে। (২৫:৬৮)
কিয়ামতের দিন উহার শাস্তি দ্বিগুণ করা হইবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হইবে হীন অবস্থায়; (২৫:৬৯)
তাহারা নয়, যাহারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ উহাদের পাপ পরিবর্তন করিয়া দিবেন পুণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২৫:৭০)
যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়। (২৫:৭১)
এবং যাহারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হইলে স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে উহা পরিহার করিয়া চলে। (২৫:৭২)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করাইয়া দিলে উহার প্রতি অন্ধ এবং বধিরসদৃশ আচরণ করে না, (২৫:৭৩)
এবং যাহারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য। (২৫:৭৪)
তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। (২৫:৭৫)
সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে উহা কত উৎকৃষ্ট। (২৫:৭৬)
বল, ‘তোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকিলে তাঁহার কিছুই আসে যায় না। তোমরা অস্বীকার করিয়াছ, ফলে অচিরে নামিয়া আসিবে অপরিহার্য শাস্তি। (২৫:৭৭)
আমি তো উহাদের নিকট পরপর বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছি; যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে। (২৮:৫১)
ইহার পূর্বে আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছিলাম, তাহারা ইহাতে বিশ্বাস করে। (২৮:৫২)
যখন উহাদের নিকট ইহা আবৃত্তি করা হয় তখন উহারা বলে, ‘আমরা ইহাতে ঈমান আনি, নিশ্চয়ই ইহা আমাদের প্রতিপালক হইতে আগত সত্য। আমরা তো পূর্বেও আত্মসমর্পণকারী ছিলাম; (২৮:৫৩)
উহাদেরকে দুইবার পারিশ্রমিক প্রদান করা হইবে, যেহেতু উহারা ধৈর্যশীল এবং উহারা ভালর দ্বারা মন্দের মুকাবিলা করে ও আমি উহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে উহারা ব্যয় করে। (২৮:৫৪)
উহারা যখন অসার বাক্য শ্রবণ করে তখন উহারা তাহা উপেক্ষা করিয়া চলে এবং বলে, ‘আমাদের কাজের ফল আমাদের জন্য এবং তোমাদের কাজের ফল তোমাদের জন্য; তোমাদের প্রতি ‘সালাম’। আমরা অজ্ঞদের সঙ্গ চাহি না।’ (২৮:৫৫)
তুমি যাহাকে ভালবাস, ইচ্ছা করিলেই তাহাকে সৎপথে আনিতে পারিবে না। তবে আল্লহ্ই যাহাকে ইচ্ছা সৎপথে আনয়ন করেন এবং তিনিই ভাল জানেন সৎপথ অনুসারীদেরকে। (২৮:৫৬)
কিন্তু উহারা কুরআন প্রত্যাখ্যান করিল এবং শীঘ্রই উহারা জানিতে পারিবে; (৩৭:১৭০)
আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হইয়াছে যে, (৩৭:১৭১)
অবশ্যই তাহারা সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে, (৩৭:১৭২)
এবং আমার বাহিনীই হইবে বিজয়ী। (৩৭:১৭৩)
অতএব কিছু কালের জন্য তুমি উহাদেরকে উপেক্ষা কর। (৩৭:১৭৪)
তুমি উহাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই উহারা প্রত্যক্ষ করিবে। (৩৭:১৭৫)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)
তবে সালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, (৭০:২২)
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, (৭০:২৩)
আর যাহাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রহিয়াছে (৭০:২৪)
যাচ্ঞাকারী ও বঞ্চিতের, (৭০:২৫)
এবং যাহারা কর্মফল দিবসকে সত্য বলিয়া জানে। (৭০:২৬)
আর যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি সম্পর্কে ভীতসন্ত্রস্ত- (৭০:২৭)
নিশ্চয়ই তাহাদের প্রতিপালকের শাস্তি হইতে নিঃশংক থাকা যায় না- (৭০:২৮)
এবং যাহারা নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখে, (৭০:২৯)
তাহাদের পত্নী অথবা অধিকারভুক্ত দাসী ব্যতীত, ইহাতে তাহারা নিন্দনীয় হইবে না- (৭০:৩০)
তবে কেহ ইহাদেরকে ছাড়া অন্যকে কামনা করিলে তাহারা হইবে সীমালংঘনকারী- (৭০:৩১)
এবং যাহারা আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (৭০:৩২)
আর যাহারা তাহাদের সাক্ষ্যদানে অটল, (৭০:৩৩)
এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান- (৭০:৩৪)
তাহারাই সম্মানিত হইবে জান্নাতে। (৭০:৩৫)