যাহারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে, (২:৩)
তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও এবং যাহারা রুকূ‘ করে তাহাদের সঙ্গে রুকূ‘ কর। (২:৪৩)
তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও, আর নিজদেরকে বিস্মৃত হও? অথচ তোমরা কিতাব অধ্যয়ন কর। তবে কি তোমরা বুঝ না? (২:৪৪)
তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং ইহা বিনীতগণ ব্যতীত আর সকলের নিকট নিশ্চিতভাবে কঠিন। (২:৪৫)
স্মরণ কর, যখন বনী ইস্রাঈলের অঙ্গীকার নিয়াছিলাম, তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহারও ‘ইবাদত করিবে না, মাতাপিতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন ও দরিদ্রদের প্রতি সদয় ব্যবহার করিবে এবং মানুষের সঙ্গে সদালাপ করিবে, সালাত কায়েম করিবে ও যাকাত দিবে, কিন্তু স্বল্পসংখ্যক লোক ব্যতীত তোমরা বিরুদ্ধভাবাপন্ন হইয়া মুখ ফিরাইয়া নিয়াছিলে। (২:৮৩)
তোমরা সালাত কায়েম কর ও যাকাত দাও। তোমরা উত্তম কাজের যাহা কিছু নিজেদের জন্য পূর্বে প্রেরণ করিবে আল্লাহ্র নিকট তাহা পাইবে। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহার দ্রষ্টা। (২:১১০)
তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হইবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াইবে; (২:২৩৮)
যদি তোমরা আশংকা কর তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায় সালাত আদায় করিবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ কর তখন আল্লাহ্কে স্মরণ করিবে, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়াছেন, যাহা তোমরা জানিতে না। (২:২৩৯)
নিশ্চয়ই যাহারা ঈমান আনে, সৎকাজ করে, সালাত কায়েম করে এবং যাকাত দেয়, তাহাদের পুরস্কার তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাহাদের কোন ভয় নাই এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (২:২৭৭)
তুমি কি তাহাদেরকে দেখ নাই যাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘তোমরা তোমাদের হস্ত সংবরণ কর, সালাত কায়েম কর এবং যাকাত দাও? অতঃপর যখন তাহাদেরকে যুদ্ধের বিধান দেওয়া হইল তখন তাহাদের একদল মানুষকে ভয় করিতেছিল আল্লাহ্র ভয় করার মত অথবা তদপেক্ষা অধিক, এবং বলিতে লাগিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান কেন দিলে? আমাদেরকে কিছু দিনের অবকাশ দাও না!’ বল, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য এবং যে মুত্তাকী তাহার জন্য পরকালই উত্তম। তোমাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও জুলুম করা হইবে না।’ (৪:৭৭)
তোমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করিবে তখন যদি তোমাদের আশংকা হয়, কাফিররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করিবে, তবে সালাত সংক্ষিপ্ত করিলে তোমাদের কোন দোষ নাই। নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (৪:১০১)
আর তুমি যখন তাহাদের মধ্যে অবস্থান করিবে ও তাহাদের সঙ্গে সালাত কায়েম করিবে তখন তাহাদের একদল তোমার সঙ্গে যেন দাঁড়ায় এবং তাহারা যেন সশস্ত্র থাকে। তাহাদের সিজ্দা করা হইলে তাহারা যেন তোমাদের পিছনে অবস্থান করে; আর অপর একদল যাহারা সালাতে শরীক হয় নাই তাহারা তোমার সঙ্গে যেন সালাতে শরীক হয় এবং তাহারা যেন সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে। কাফিররা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও যাহাতে তাহারা তোমাদের উপর একবারে ঝাঁপাইয়া পড়িতে পারে। যদি তোমরা বৃষ্টির জন্য কষ্ট পাও অথবা পীড়িত থাক তবে তোমরা অস্ত্র রাখিয়া দিলে তোমাদের কোন দোষ নাই; কিন্তু তোমরা সতর্কতা অবলম্বন করিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত রাখিয়াছেন। (৪:১০২)
যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করিবে তখন দাঁড়াইয়া, বসিয়া এবং শুইয়া আল্লাহ্কে স্মরণ করিবে, যখন তোমরা নিরাপদ হইবে তখন যথাযথ সালাত কায়েম করিবে; নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য। (৪:১০৩)
কিন্তু তাহাদের মধ্যে যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা ও মু’মিনগণ তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহাতেও ঈমান আনে এবং যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও পরকালে ঈমান রাখে, আমি উহাদেরকে মহাপুরস্কার দিব। (৪:১৬২)
তোমাদের বন্ধু তো আল্লাহ্, তাঁহার রাসূল ও মু’মিনগণ-যাহারা বিনত হইয়া সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয়। (৫:৫৫)
বল, ‘আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়াছেন ন্যায়বিচারের।’ প্রত্যেকে সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখিবে এবং তাঁহারই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহাকে ডাকিবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা সেইভাবে ফিরিয়া আসিবে। (৭:২৯)
হে বনী আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করিবে, আহার করিবে ও পান করিবে কিন্তু অপচয় করিবে না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পসন্দ করেন না। (৭:৩১)
যাহারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে ও সালাত কায়েম করে, আমি তো এইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না। (৭:১৭০)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
অতঃপর নিষিদ্ধ মাসসমূহ অতিবাহিত হইলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাইবে হত্যা করিবে, তাহাদেরকে বন্দী করিবে, অবরোধ করিবে এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাহাদের জন্য ওঁৎ পাতিয়া থাকিবে। কিন্তু যদি তাহারা তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তাহাদের পথ ছাড়িয়া দিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৯:৫)
অতঃপর তাহারা যদি তওবা করে, সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তাহারা তোমাদের দীনী ভাই; জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য আমি নিদর্শন স্পষ্টরূপে বিবৃত করি। (৯:১১)
তাহারাই তো আল্লাহ্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করিবে, যাহারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তাহারা হইবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৯:১৮)
মু’মিন নর ও মু’মিন নারী একে অপরের বন্ধু, ইহারা সৎকাজের নির্দেশ দেয় এবং অসৎকাজ নিষেধ করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করে; ইহাদেরকেই আল্লাহ্ কৃপা করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৯:৭১)
আমি মূসা ও তাহার ভ্রাতাকে প্রত্যাদেশ করিলাম, ‘মিসরে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ স্থাপন কর এবং তোমাদের গৃহগুলিকে ‘ইবাদতগৃহ কর, সালাত কায়েম কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।’ (১০:৮৭)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যাহারা ভাল দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, ইহাদের জন্য শুভ পরিণাম- (১৩:২২)
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হইতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবূল কর। (১৪:৪০)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং তুমি সিজ্দাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হও; (১৫:৯৮)
সূর্য হেলিয়া পড়িবার পর হইতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করিবে এবং কায়েম করিবে ফজরের সালাত। নিশ্চয়ই ফজরের সালাত উপস্থিতির সময়। (১৭:৭৮)
এবং রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করিবে, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিবেন প্রশংসিত স্থানে। (১৭:৭৯)
বল, ‘তোমরা ‘আল্লাহ্’ নামে আহ্বান কর বা ‘রাহ্মান’ নামে আহ্বান কর, তোমরা যে নামেই আহ্বান কর সকল সুন্দর নামই তো তাঁহার। তোমরা সালাতে স্বর উচ্চ করিও না এবং অতিশয় ক্ষীণও করিও না; এই দুইয়ের মধ্যপথ অবলম্বন কর।’ (১৭:১১০)
সে বলিল, ‘আমি তো আল্লাহ্র বান্দা। তিনি আমাকে কিতাব দিয়াছেন, আমাকে নবী করিয়াছেন, (19:30)
‘যেখানেই আমি থাকি না কেন তিনি আমাকে বরকতময় করিয়াছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়াছেন যত দিন জীবিত থাকি তত দিন সালাত ও যাকাত আদায় করিতে- (19:31)
স্মরণ কর, এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা, সে তো ছিল প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং সে ছিল রাসূল, নবী; (19:54)
সে তাহার পরিজনবর্গকে সালাত ও যাকাতের নির্দেশ দিত এবং সে ছিল তাহার প্রতিপালকের সন্তোষভাজন। (19:55)
এবং তোমার পরিবারবর্গকে সালাতের আদেশ দাও ও উহাতে অবিচলিত থাক, আমি তোমার নিকট কোন জীবনোপকরণ চাই না; আমিই তোমাকে জীবনোপকরণ দেই এবং শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য। (২০:১৩২)
এবং তাহাদেরকে করিয়াছিলাম নেতা; তাহারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথ প্রদর্শন করিত; তাহাদেরকে ওহী প্রেরণ করিয়াছিলাম সৎকর্ম করিতে, সালাত কায়েম করিতে এবং যাকাত প্রদান করিতে; তাহারা আমারই ‘ইবাদত করিত। (২১:৭৩)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
আমি ইহাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করিলে ইহারা সালাত কায়েম করিবে, যাকাত দিবে এবং সৎকর্মের নির্দেশ দিবে ও অসৎকর্ম নিষেধ করিবে; আর সকল কর্মের পরিণাম আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে। (২২:৪১)
এবং জিহাদ কর আল্লাহ্র পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করিয়াছেন। তিনি দীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেন নাই। ইহা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত। তিনি পূর্বে তোমাদের নামকরণ করিয়াছেন ‘মুসলিম’ এবং এই কিতাবেও; যাহাতে রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হয় এবং তোমরা সাক্ষীস্বরূপ হও মানব জাতির জন্য। সুতরাং তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ্কে অবলম্বন কর; তিনিই তোমাদের অভিভাবক, কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি! (২২:৭৮)
যাহারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে, (২৩:২)
যাহারা যাকাতদানে সক্রিয়, (২৩:৪)
এবং যাহারা নিজেদের সালাতসমূহে যত্নবান থাকে, (২৩:৯)
সেইসব লোক, যাহাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহ্র স্মরণ হইতে এবং সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান হইতে বিরত রাখে না, তাহারা ভয় করে সেই দিনকে যেই দিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হইয়া পড়িবে- (২৪:৩৭)
তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যাহাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হইতে পার। (২৪:৫৬)
‘রাহমান’-এর বান্দা তাহারাই, যাহারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাহাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তাহারা বলে, ‘সালাম’; (২৫:৬৩)
এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দন্ডায়মান থাকিয়া; (২৫:৬৪)
তা-সীন; এইগুলি আয়াত আল-কুরআনের এবং সুস্পষ্ট কিতাবের; (২৭:১)
পথনির্দেশ ও সুসংবাদ মু’মিনদের জন্য। (২৭:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে ও যাকাত দেয় আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী। (২৭:৩)
তুমি আবৃত্তি কর কিতাব হইতে যাহা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। এবং সালাত কায়েম কর। সালাত অবশ্যই বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কার্য হইতে। আর আল্লাহ্র স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা জানেন। (২৯:৪৫)
বিশুদ্ধচিত্তে তাঁহার অভিমুখী হইয়া তাহাকে ভয় কর, সালাত কায়েম কর এবং অন্তর্ভুক্ত হইও না মুশরিকদের, (৩০:৩১)
যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয়, আর তাহারাই আখিরাতে নিশ্চিত বিশ্বাসী; (৩১:৪)
তাহারাই তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশিত পথে আছে এবং তাহারাই সফলকাম। (৩১:৫)
কোন বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করিবে না; কোন ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাহাকেও ইহা বহন করিতে আহ্বান করে তবে উহার কিছুই বহন করা হইবে না- সে নিকট-আত্মীয় হইলেও। তুমি কেবল তাহাদেরকেই সতর্ক করিতে পার যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে না দেখিয়া ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে কেহ নিজকে পরিশোধন করে সে তো পরিশোধন করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আল্লাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন। (৩৫:১৮)
যাহারা আল্লাহ্র কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাহারাই আশা করে এমন ব্যবসায়ের, যাহার ক্ষয় নাই। (৩৫:২৯)
যে ব্যক্তি রাত্রির বিভিন্ন যামে সিজ্দাবনত হইয়া ও দাঁড়াইয়া আনুগত্য প্রকাশ করে, আখিরাতকে ভয় করে এবং তাঁহার প্রতিপালকের অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে, সে কি তাহার সমান, যে তাহা করে না? বল, ‘যাহারা জানে এবং যাহারা জানে না, তাহারা কি সমান?’ বোধশক্তিসম্পন্ন লোকেরাই কেবল উপদেশ গ্রহণ করে। (৩৯:৯)
যাহারা যাকাত প্রদান করে না এবং উহারা আখিরাতেও অবিশ্বাসী। (৪১:৭)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাহাদেরকে আমি যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (৪২:৩৮)
তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে এবং সালাতের পরেও। (৫০:৪০)
তোমরা কি চুপে চুপে কথা বলিবার পূর্বে সাদাকা প্রদানকে কষ্টকর মনে কর! যখন তোমরা সাদাকা দিতে পারিলে না, আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে ক্ষমা করিয়া দিলেন, তখন তোমরা সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য কর। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা সম্যক অবগত। (58:13)
সালাত সমাপ্ত হইলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়াইয়া পড়িবে এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহ সন্ধান করিবে ও আল্লাহ্কে অধিক স্মরণ করিবে, যাহাতে তোমরা সফলকাম হও। (৬২:১০)
আর যখন কল্যণ তাহাকে স্পর্শ করে সে হয় অতি কৃপণ; (৭০:২১)
তবে সালাত আদায়কারীগণ ব্যতীত, (৭০:২২)
যাহারা তাহাদের সালাতে সদা প্রতিষ্ঠিত, (৭০:২৩)
এবং নিজেদের সালাতে যত্নবান- (৭০:৩৪)
তোমার প্রতিপালক তো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাত্রির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ, কখনও অর্ধাংশ এবং কখনও এক-তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদের একটি দলও এবং আল্লাহ্ই নির্ধারণ করেন দিবস ও রাত্রির পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা ইহা পুরাপুরি পালন করিতে পারিবে না, অতএব আল্লাহ্ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হইয়াছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। আল্লাহ্ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হইয়া পড়িবে, কেহ কেহ আল্লাহ্র অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করিবে এবং কেহ কেহ আল্লাহ্র পথে সংগ্রামে লিপ্ত হইবে। কাজেই তোমরা কুরআন হইতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃ্ত্তি কর। অতএব সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্কে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের নিজেদের মঙ্গলের জন্য ভাল যাহা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করিবে তাহা তোমরা পাইবে আল্লাহ্র নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহ্র নিকট; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৭৩:২০)
এবং রাত্রির কিয়দংশে তাঁহার প্রতি সিজ্দাবনত হও আর রাত্রির দীর্ঘ সময় তাঁহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (৭৬:২৬)
এবং তাহার প্রতিপালকের নাম স্মরণ করে ও সালাত কায়েম করে। (৮৭:১৫)
তাহারা তো আদিষ্ট হইয়াছিল আল্লাহ্র আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহার ‘ইবাদত করিতে এবং সালাত কায়েম করিতে ও যাকাত দিতে, ইহাই সঠিক দীন। (৯৮:৫)
আমি অবশ্যই তোমাকে কাওছার দান করিয়াছি। (১০৮:১)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। (১০৮:২)