যাহারা অদৃশ্যে ঈমান আনে, সালাত কায়েম করে ও তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দান করিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে, (২:৩)
কিন্তু তাহাদের মধ্যে যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা ও মু’মিনগণ তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহাতেও ঈমান আনে এবং যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও পরকালে ঈমান রাখে, আমি উহাদেরকে মহাপুরস্কার দিব। (৪:১৬২)
‘এবং সালাত কায়েম করিতে ও তাঁহাকে ভয় করিতে; এবং তাঁহারই নিকট তোমাদেরকে সমবেত করা হইবে।’ (৬:৭২)
যাহারা কিতাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে ও সালাত কায়েম করে, আমি তো এইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করি না। (৭:১৭০)
মু’মিন তো তাহারাই, যাহাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহ্কে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁহার আয়াত তাহাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন উহা তাহাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারা তাহাদের প্রতিপালকের উপরই নির্ভর করে, (৮:২)
যাহারা সালাত কায়েম করে এবং আমি যাহা দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে; (৮:৩)
তাহারাই প্রকৃত মু’মিন। তাহাদের প্রতিপালকের নিকট তাহাদেরই জন্য রহিয়াছে মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক জীবিকা। (৮:৪)
আমি মূসা ও তাহার ভ্রাতাকে প্রত্যাদেশ করিলাম, ‘মিসরে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ স্থাপন কর এবং তোমাদের গৃহগুলিকে ‘ইবাদতগৃহ কর, সালাত কায়েম কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।’ (১০:৮৭)
তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুই প্রান্তভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্ম মিটাইয়া দেয়। যাহারা উপদেশ গ্রহণ করে, ইহা তাহাদের জন্য এক উপদেশ। (১১:১১৪)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যাহারা ভাল দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, ইহাদের জন্য শুভ পরিণাম- (১৩:২২)
আমার বান্দাদের মধ্যে যাহারা মু’মিন তাহাদেরকে তুমি বল, সালাত কায়েম করিতে এবং আমি তাহাদেরকে জীবিকা হিসাবে যাহা দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করিতে –সেই দিনের পূর্বে যেদিন ক্রয়-বিক্রয় ও বন্ধুত্ব থাকিবে না।’ (১৪:৩১)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করাইলাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র গৃহের নিকট, হে আমাদের প্রতিপালক! এইজন্য যে, উহারা যেন সালাত কায়েম করে। অতএব, তুমি কিছু লোকের অন্তর উহাদের প্রতি অনুরাগী করিয়া দাও এবং ফলাদি দ্বারা উহাদের রিযিকের ব্যবস্থা করিও, যাহাতে উহারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। (১৪:৩৭)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো জান যাহা আমরা গোপন করি ও যাহা আমরা প্রকাশ করি; আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহ্র নিকট গোপন থাকে না। (১৪:৩৮)
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্রই, যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইস্মাঈল ও ইস্হাককে দান করিয়াছেন। আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনিয়া থাকেন। (১৪:৩৯)
‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সালাত কায়েমকারী কর এবং আমার বংশধরদের মধ্য হইতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবূল কর। (১৪:৪০)
‘হে আমাদের প্রতিপালক! যেই দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হইবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করিও।’ (১৪:৪১)
সূর্য হেলিয়া পড়িবার পর হইতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করিবে এবং কায়েম করিবে ফজরের সালাত। নিশ্চয়ই ফজরের সালাত উপস্থিতির সময়। (১৭:৭৮)
‘আমিই আল্লাহ্, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। অতএব আমার ‘ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। (২০:১৪)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
তুমি আবৃত্তি কর কিতাব হইতে যাহা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। এবং সালাত কায়েম কর। সালাত অবশ্যই বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কার্য হইতে। আর আল্লাহ্র স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা জানেন। (২৯:৪৫)
বিশুদ্ধচিত্তে তাঁহার অভিমুখী হইয়া তাহাকে ভয় কর, সালাত কায়েম কর এবং অন্তর্ভুক্ত হইও না মুশরিকদের, (৩০:৩১)
‘হে বৎস! সালাত কায়েম করিও, সৎকর্মের নির্দেশ দিও আর অসৎ কর্মে নিষেধ করিও এবং আপদে-বিপদে ধৈর্য ধারণ করিও। ইহাই তো দৃঢ়সংকল্পের কাজ। (৩১:১৭)
কোন বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করিবে না; কোন ভারাক্রান্ত ব্যক্তি যদি কাহাকেও ইহা বহন করিতে আহ্বান করে তবে উহার কিছুই বহন করা হইবে না- সে নিকট-আত্মীয় হইলেও। তুমি কেবল তাহাদেরকেই সতর্ক করিতে পার যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে না দেখিয়া ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে কেহ নিজকে পরিশোধন করে সে তো পরিশোধন করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আল্লাহ্রই দিকে প্রত্যাবর্তন। (৩৫:১৮)
যাহারা আল্লাহ্র কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তাহারাই আশা করে এমন ব্যবসায়ের, যাহার ক্ষয় নাই। (৩৫:২৯)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, সালাত কায়েম করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে এবং তাহাদেরকে আমি যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (৪২:৩৮)