তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর এবং ইহা বিনীতগণ ব্যতীত আর সকলের নিকট নিশ্চিতভাবে কঠিন। (২:৪৫)
তাহারাই বিনীত যাহারা বিশ্বাস করে যে, তাহাদের প্রতিপালকের সঙ্গে নিশ্চিতভাবে তাহাদের সাক্ষাতকার ঘটিবে এবং তাঁহারই দিকে তাহারা ফিরিয়া যাইবে। (২:৪৬)
হে মু‘মিনগণ! ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে তোমরা সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। (২:১৫৩)
এবং কত নবী যুদ্ধ করিয়াছে, তাহাদের সঙ্গে বহু আল্লাহ্ওয়ালা ছিল। আল্লাহ্র পথে তাহাদের যে বিপর্যয় ঘটিয়াছিল তাহাতে তাহারা হীনবল হয় নাই, দুর্বল হয় নাই এবং নত হয় নাই। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের ভালবাসেন। (৩:১৪৬)
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সর্বদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আল্লাহ্কে ভয় কর যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। (৩:২০০)
তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক; তিনি সীমালংঘকারীদেরকে পসন্দ করেন না। (৭:৫৫)
তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করিবে ও নিজেদের মধ্যে বিবাদ করিবে না; করিলে তোমরা সাহস হারাইবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হইবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (৮:৪৬)
তুমি ধৈর্য ধারণ কর, কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (১১:১১৫)
ইয়া‘কূব বলিল, ‘না, তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজাইয়া দিয়াছে, সুতরাং পূর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়; হয়তো আল্লাহ্ উহাদেরকে একসঙ্গে আমার নিকট আনিয়া দিবেন। অবশ্য তিনিই সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (১২:৮৩)
এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, সালাত কায়েম করে, আমি তাহাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়াছি তাহা হইতে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যাহারা ভাল দ্বারা মন্দ দূরীভূত করে, ইহাদের জন্য শুভ পরিণাম- (১৩:২২)
এবং বলিবে, ‘তোমরা ধৈর্য ধারণ করিয়াছ বলিয়া তোমাদের প্রতি শান্তি; কত উত্তম এই পরিণাম। (১৩:২৪)
যাহারা ধৈর্য ধারণ করে ও তাহাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। (১৬:৪২)
তুমি নিজেকে ধৈর্য সহকারে রাখিবে উহাদেরই সংসর্গে যাহারা সকাল ও সন্ধ্যায় আহ্বান করে উহাদের প্রতিপালককে তাঁহার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে এবং তুমি পার্থিব জীবনের শোভা কামনা করিয়া উহাদের হইতে তোমার দৃষ্টি ফিরাইয়া লইও না। তুমি তাহার আনুগত্য করিও না-যাহার চিত্তকে আমি আমার স্মরণে অমনোযোগী করিয়া দিয়াছি, যে তাহার খেয়াল-খুশির অনুসরণ করে ও যাহার কার্যকলাপ সীমা অতিক্রম করে। (১৮:২৮)
সুতরাং উহারা যাহা বলে, সে বিষয়ে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর এবং রাত্রিকালে পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর, এবং দিবসের প্রান্তসমূহেও, যাহাতে তুমি সন্তুষ্ট হইতে পার। (২০:১৩০)
যাহাদের হৃদয় ভয়ে কম্পিত হয় আল্লাহ্র নাম স্মরণ করা হইলে, যাহারা তাহাদের বিপদ-আপদে ধের্য ধারণ করে এবং সালাত কায়েম করে এবং আমি তাহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে ব্যয় করে। (২২:৩৫)
তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। (২৫:৭৫)
উহাদেরকে দুইবার পারিশ্রমিক প্রদান করা হইবে, যেহেতু উহারা ধৈর্যশীল এবং উহারা ভালর দ্বারা মন্দের মুকাবিলা করে ও আমি উহাদেরকে যে রিযিক দিয়াছি তাহা হইতে উহারা ব্যয় করে। (২৮:৫৪)
এবং যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছিল তাহারা বলিল, ‘ধিক তোমাদেরকে! যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাহাদের জন্য আল্লাহ্র পুরস্কারই শ্রেষ্ঠ এবং ধৈর্যশীল ব্যতীত ইহা কেহ পাইবে না।’ (২৮:৮০)
যাহারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাহাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে। (২৯:৫৯)
অতঃপর সে যখন তাহার পিতার সঙ্গে কাজ করিবার মত বয়সে উপনীত হইল তখন ইবরাহীম বলিল, ‘বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ্ করিতেছি, এখন তোমার অভিমত কি বল?’ সে বলিল, ‘হে আমার পিতা! আপনি যাহা আদিষ্ট হইয়াছেন তাহাই করুন। আল্লাহ্র ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাইবেন।’ (৩৭:১০২)
ইহারা যাহা বলে তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং স্মরণ কর, আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদের কথা; সে ছিল অতিশয় আল্লাহ্ অভিমুখী। (৩৮:১৭)
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য, তুমি তোমার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সকাল ও সন্ধ্যায়। (৪০:৫৫)
ভাল ও মন্দ সমান হইতে পারে না। মন্দ প্রতিহত কর উৎকৃষ্ট দ্বারা; ফলে তোমার সঙ্গে যাহার শত্রুতা আছে, সে হইয়া যাইবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মত। (৪১:৩৪)
এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাহাদেরকেই, যাহারা ধৈর্যশীল, এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাহাদেরকেই, যাহারা মহাভাগ্যবান। (৪১:৩৫)
অবশ্য যে ধৈর্য ধারণ করে এবং ক্ষমা করিয়া দেয়, উহা তো হইবে দৃঢ় সংকল্পেরই কাজ। (৪২:৪৩)
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর যেমন ধৈর্য ধারণ করিয়াছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ। তুমি উহাদের জন্য ত্বরা করিও না। উহাদেরকে যেই বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছে তাহা যেই দিন উহারা প্রত্যক্ষ করিবে, সেই দিন উহাদের মনে হইবে, উহারা যেন দিবসের এক দন্ডের বেশি পৃথিবীতে অবস্থান করে নাই। ইহা এক ঘোষণা, পাপাচারী সম্প্রদায়কেই ধ্বংস করা হইবে। (৪৬:৩৫)
অতএব উহারা যাহা বলে তাহাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সূর্যোদয়ের পূর্বে ও সূর্যাস্তের পূর্বে, (৫০:৩৯)
ধৈর্য ধারণ কর তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের অপেক্ষায়; তুমি আমার চক্ষুর সামনেই রহিয়াছে। তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর, (৫২:৪৮)
এবং তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে ধৈর্য ধারণ কর। (৭৪:৭)
সুতরাং ধৈর্যের সঙ্গে তুমি তোমার প্রতিপালকের নির্দেশের প্রতীক্ষা কর এবং উহাদের মধ্যে যে পাপিষ্ঠ অথবা কাফির তাহার আনুগত্য করিও না। (৭৬:২৪)