আর আমি লূতকেও পাঠাইয়াছিলাম। সে তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা এমন কুকর্ম করিতেছ যাহা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেহ করে নাই। (৭:৮০)
‘তোমরা তো কাম-তৃপ্তির জন্য নারী ছাড়িয়া পুরুষের নিকট গমন কর; তোমরা তো সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়।’ (৭:৮১)
উত্তরে তাহার সম্প্রদায় শুধু বলিল, ‘ইহাদেরকে তোমাদের জনপদ হইতে বহিস্কার কর, ইহারা তো এমন লোক যাহারা অতি পবিত্র হইতে চায়।’ (৭:৮২)
অতঃপর আমি তাহাকে ও তাহার স্ত্রী ব্যতীত তাহার পরিজনবর্গকে উদ্ধার করিয়াছিলাম, তাহার স্ত্রী ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (৭:৮৩)
সে যখন দেখিল তাহাদের হস্ত উহার দিকে প্রসারিত হইতেছে না, তখন তাহাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করিল এবং তাহাদের সম্বন্ধে তাহার মনে ভীতি সঞ্চার হইল। তাহারা বলিল, ‘ভয় করিও না, আমরা তো লূতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হইয়াছি।’ (১১:৭০)
এবং যখণ আমার প্রেরিত ফিরিশ্তাগণ লূতের নিকট আসিল তখন তাহাদের আগমনে সে বিষণ্ন হইল এবং নিজেকে তাহাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করিল এবং বলিল, ‘ইহা নিদারুণ দিন!’ (১১:৭৭)
তাহার সম্প্রদায় তাহার নিকট উদ্ভ্রান্ত হইয়া ছুটিয়া আসিল এবং পূর্ব হইতে তাহারা কুকর্মে লিপ্ত ছিল। সে বলিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! ইহারা আমার কন্যা, তোমাদের জন্য ইহারা পবিত্র। সুতরাং আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে হেয় করিও না। তোমাদের মধ্যে কি কোন ভাল মানুষ নাই?’ (১১:৭৮)
তাহারা বলিল, ‘তুমি তো জান, তোমার কন্যাদেরকে আমাদের কোন প্রয়োজন নাই; আমরা কি চাই তাহা তো তুমি জানই।’ (১১:৭৯)
সে বলিল, ‘তোমাদের উপর যদি আমার শক্তি থাকিত অথবা যদি আমি আশ্রয় লইতে পারিতাম কোন সৃদৃঢ় স্তম্ভের!’ (১১:৮০)
তাহারা বলিল, ‘হে লূত! নিশ্চয়ই আমরা তোমার প্রতিপালক-প্রেরিত ফিরিশতা। উহারা কখনই তোমার নিকট পৌঁছিতে পারিবে না। সুতরাং তুমি রাত্রির কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বাহির হইয়া পড় এবং তোমাদের মধ্যে কেহ পছন দিকে তাকাইবে না, তোমার স্ত্রী ব্যতীত। উহাদের যাহা ঘটিবে তাহারও তাহাই ঘটিবে। নিশ্চয়ই প্রভাত উহাদের জন্য নির্ধারিত কাল। প্রভাত কি নিকটবর্তী নয়? (১১:৮১)
অতঃপর যখন আমার আদেশ আসিল তখন আমি জনপদকে উল্টাইয়া দিলাম এবং উহাদের উপর ক্রমাগত বর্ষণ করিলাম প্রস্তর-কঙ্কর, (১১:৮২)
ফিরিশ্তাগণ যখন লূত-পরিবারের নিকট আসিল, (১৫:৬১)
তখন লূত বলিল, ‘তোমরা তো অপরিচিত লোক।’ (১৫:৬২)
তাহারা বলিল, ‘না, উহারা যে বিষয়ে সন্দিগ্ধ ছিল আমরা তোমার নিকট তাহাই লইয়া আসিয়াছি; (১৫:৬৩)
‘আমরা তোমার নিকট সত্য সংবাদ লইয়া আসিয়াছি এবং অবশ্যই আমরা সত্যবাদী; (১৫:৬৪)
‘সুতরাং তুমি রাত্রির কোন এক সময়ে তোমার পরিবারবর্গসহ বাহির হইয়া পড় এবং তুমি তাহাদের পশ্চাদনুসরণ কর এবং তোমাদের মধ্যে কেহ যেন পিছন দিকে না তাকায়; তোমাদেরকে যেখানে যাইতে বলা হইতেছে তোমরা সেখানে চলিয়া যাও।’ (১৫:৬৫)
আমি তাহাকে এই বিষয়ে ফায়সালা জানাইয়া দিলাম যে, প্রত্যূষে উহাদেরকে সমূলে বিনাশ করা হইবে। (১৫:৬৬)
নগরবাসিগণ উল্লসিত হইয়া উপস্থিত হইল। (১৫:৬৭)
সে বলিল, ‘উহারা আমার অতিথি; সুতরাং তোমরা আমাকে বেইয্যত করিও না। (১৫:৬৮)
‘তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর ও আমাকে হেয় করিও না।’ (১৫:৬৯)
উহারা বলিল, ‘আমরা কি দুনিয়াসুদ্ধ লোককে আশ্রয় দিতে তোমাকে নিষেধ করি নাই?’ (১৫:৭০)
লূত বলিল, ‘একান্তই যদি তোমরা কিছু করিতে চাও তবে আমার এই কন্যাগণ রহিয়াছে।’ (১৫:৭১)
তোমার জীবনের শপথ, উহারা তো মত্ততায় বিমূঢ় হইয়াছে। (১৫:৭২)
অতঃপর সূর্যোদয়ের সময়ে মহানাদ উহাদেরকে আঘাত করিল; (১৫:৭৩)
আর আমি জনপদকে উলটাইয়া উপর নীচ করিয়া দিলাম এবং উহাদের উপর প্রস্তর-কংকর বর্ষণ করিলাম। (১৫:৭৪)
অব্যশই ইহাতে নিদর্শন রহিয়াছে পর্যবেক্ষণ-শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য। (১৫:৭৫)
উহা তো লোক চলাচলের পথিপার্শ্বে এখনও বিদ্যমান। (১৫:৭৬)
অবশ্যই ইহাতে মু’মিনদের জন্য রহিয়াছে নিদর্শন। (১৫:৭৭)
আর ‘আয়কা’বাসীরাও তো ছিল সীমালংঘনকারী, (১৫:৭৮)
সুতরাং আমি উহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি, অবশ্য উভয়টিই প্রকাশ্য পথিপার্শ্বে অবস্থিত। (১৫:৭৯)
স্মরণ কর লূতের কথা, সে তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা জানিয়া-শুনিয়া কেন অশ্লীন কাজ করিতেছ, (২৭:৫৪)
‘তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীকে ছাড়িয়া পুরুষে উপগত হইবে? তোমরা তো এক অজ্ঞ সম্প্রদায়।’ (২৭:৫৫)
উত্তরে তাহার সম্প্রদায় শুধু বলিল, ‘লূত-পরিবারকে তোমাদের জনপদ হইতে বহিষ্কার কর, ইহারা তো এমন লোক যাহারা পবিত্র সাজিতে চায়। (২৭:৫৬)
অতঃপর আমি তাহাকে ও তাহার পরিজনবর্গকে উদ্ধার করিলাম, তাহার স্ত্রী ব্যতীত, তাহাকে করিয়াছিলাম ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (২৭:৫৭)
তাহাদের উপর ভয়ংকর বৃষ্টি বর্ষণ করিয়াছিলাম, ভীতি প্রদর্শিতদের জন্য এই বর্ষণ ছিল কত নিকৃষ্ট! (২৭:৫৮)
স্মরণ কর লূতের কথা, সে তাহার সম্প্রদায়কে বলিয়াছিল, ‘তোমরা তো এমন অশ্লীল কর্ম করিতেছ, যাহা তোমাদের পূর্বে বিশ্বে কেহ করে নাই। (২৯:২৮)
‘তোমরাই তো পুরুষে উপগত হইতেছ, তোমরাই তো রাহাজানি করিয়া থাক এবং তোমরাই তো নিজেদের মজলিসে প্রকাশ্যে ঘৃণ্য কর্ম করিয়া থাক।’ উত্তরে তাহার সম্প্রদায় শুধু এই বলিল, ‘আমাদের উপর আল্লাহ্র শাস্তি আনয়ন কর-যদি তুমি সত্যবাদী হও।’ (২৯:২৯)
সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য কর।’ (২৯:৩০)
যখন আমার প্রেরিত ফিরিশ্তাগণ সুসংবাদসহ ইব্রাহীমের নিকট আসিল, তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমরা এই জনপদবাসীদেরকে ধ্বংস করিব, ইহার অধিবাসীরা তো জালিম।’ (২৯:৩১)
ইব্রাহীম বলিল, ‘এই জনপদে তো লূত রহিয়াছে।’ উহারা বলিল, ‘সেখানে কাহারা আছে, তাহা আমরা ভাল জানি, আমরা তো লূতকে ও তাহার পরিজনবর্গকে রক্ষা করিবই, তাহার স্ত্রীকে ব্যতীত; সে তো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।’ (২৯:৩২)
এবং যখন আমার প্রেরিত ফিরিশতাগণ লূতের নিকট আসিল, তখন তাহাদের জন্য সে বিষণ্ন হইয়া পড়িল এবং নিজেকে তাহাদের রক্ষায় অসমর্থ মনে করিল। উহারা বলিল, ‘ভয় করিও না, দুঃখ করিও না; আমরা তোমাকে ও তোমার পরিজনবর্গকে রক্ষা করিব, তোমার স্ত্রী ব্যতীত; সে তো পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত; (২৯:৩৩)
‘আমরা এই জনপদবাসীদের উপর আকাশ হইতে শাস্তি নাযিল করিব, কারণ উহারা পাপাচার করিতেছিল।’ (২৯:৩৪)
এইভাবে আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে পুরস্কৃত করিয়া থাকি। (৩৭:১৩১)
সে তো ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। (৩৭:১৩২)
লূতও ছিল রাসূলদের একজন। (৩৭:১৩৩)
আমি তাহাকে ও তাহার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করিয়াছিলাম- (৩৭:১৩৪)
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। (৩৭:১৩৫)
অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করিয়াছিলাম। (৩৭:১৩৬)