অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছি যাহাদের কথা পূর্বে আমি তোমাকে বলিয়াছি এবং অনেক রাসূল, যাহাদের কথা তোমাকে বলি নাই। এবং মূসার সঙ্গে আল্লাহ্ সাক্ষাৎ বাক্যালাপ করিয়াছিলেন। (৪:১৬৪)
মূসা যখন আমার নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হইল এবং তাহার প্রতিপালক তাহার সঙ্গে কথা বলিলেন তখন সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে দর্শন দাও, আমি তোমাকে দেখিব।’ তিনি বলিলেন, ‘তুমি আমাকে কখনই দেখিতে পাইবে না। তুমি বরং পাহাড়ের প্রতি লক্ষ্য কর, উহা স্বস্থানে স্থির থাকিলে তবে তুমি আমাকে দেখিবে।’ যখন তাহার প্রতিপালক পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করিলেন তখন উহা পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হইয়া পড়িল। যখন সে জ্ঞান ফিরিয়া পাইল তখন বলিল, ‘মহিমময় তুমি, আমি অনুতপ্ত হইয়া তোমাতেই প্রত্যাবর্তন করিলাম এবং মু’মিনদের মধ্যে আমিই প্রথম।’ (৭:১৪৩)
তিনি বলিলেন, ‘হে মূসা! আমি তোমাকে আমার রিসালাত ও বাক্যালাপ দ্বারা মানুষের মধ্যে বিশিষ্ট করিয়াছি; সুতরাং আমি যাহা দিলাম তাহা গ্রহণ কর এবং কৃতজ্ঞ হও।’ (৭:১৪৪)
স্মরণ কর, এই কিতাবে মূসার কথা, সে ছিল বিশেষ মনোনীত এবং সে ছিল রাসূল, নবী। (১৯:৫১)
তাহাকে আমি আহ্বান করিয়াছিলাম তূর পর্বতের দক্ষিণ দিক হইতে এবং আমি অন্তরঙ্গ আলাপে তাহাকে নৈকট্য দান করিয়াছিলাম। (১৯:৫২)
আমি নিজ অনুগ্রহে তাহাকে দিলাম তাহার ভ্রাতা হারূনকে নবীরূপে। (১৯:৫৩)
মূসার বৃত্তান্ত তোমার নিকট পৌঁছিয়াছে কি? (২০:৯)
সে যখন আগুন দেখিল তখন তাহার পরিবারবর্গকে বলিল, ‘তোমরা এখানে থাক আমি আগুন দেখিয়াছি। সম্ভবত আমি তোমাদের জন্য উহা হইতে কিছু জ্বলন্ত অঙ্গার আনিতে পারিব অথবা আমি আগুনের নিকটে কোন পথনির্দেশ পাইব।’ (২০:১০)
অতঃপর যখন সে আগুনের নিকট আসিল তখন আহ্বান করিয়া বলা হইল, ‘হে মূসা! (২০:১১)
আমিই তোমার প্রতিপালক, অতএব তোমার পাদুকা খুলিয়া ফেল, কারণ তুমি পবিত্র ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রহিয়াছ। (২০:১২)
‘এবং আমি তোমাকে মনোনীত করিয়াছি। অতএব যাহা ওহী প্রেরণ করা হইতেছে তুমি তাহা মনোযোগের সঙ্গে শ্রবণ কর। (২০:১৩)
‘আমিই আল্লাহ্, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। অতএব আমার ‘ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম কর। (২০:১৪)
‘কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, আমি ইহা গোপন রাখিতে চাহি যাহাতে প্রত্যেকেই নিজ কর্মানুযায়ী ফল লাভ করিতে পারে। (২০:১৫)
‘সুতরাং যে ব্যক্তি কিয়ামতে বিশ্বাস করে না ও নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে উহাতে বিশ্বাস স্থাপনে নিবৃত্ত না করে, নিবৃত্ত হইলে তুমি ধ্বংস হইয়া যাইবে। (২০:১৬)
‘হে মূসা! তোমার দক্ষিণ হস্তে উহা কী?’ (২০:১৭)
সে বলিল, ‘উহা আমার লাঠি; আমি ইহাতে ভর দেই এবং ইহা দ্বারা আঘাত করিয়া আমি আমার মেষপালের জন্য বৃক্ষপত্র ফেলিয়া থাকি এবং ইহা আমার অন্যান্য কাজেও লাগে।’ (২০:১৮)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘হে মূসা! তুমি ইহা নিক্ষেপ কর।’ (২০:১৯)
অতঃপর সে উহা নিক্ষেপ করিল, সঙ্গে সঙ্গে উহা সাপ হইয়া ছুটিতে লাগিল, (২০:২০)
তিনি বলিলেন, ‘তুমি ইহাকে ধর, ভয় করিও না, আমি ইহাকে ইহার পূর্বরূপে ফিরাইয়া দিব। (২০:২১)
‘এবং তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, ইহা বাহির হইয়া আসিবে নির্মল উজ্জ্বল হইয়া অপর এক নিদর্শনস্বরূপ। (২০:২২)
‘ইহা এইজন্য যে, আমি তোমাকে দেখাইব আমার মহানিদর্শনগুলির কিছু। (২০:২৩)
‘ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমালংঘন করিয়াছে।’ (২০:২৪)
মূসা বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করিয়া দাও। (২০:২৫)
এবং আমার কর্ম সহজ করিয়া দাও। (২০:২৬)
আমার জিহ্বার জড়তা দূর করিয়া দাও- (২০:২৭)
যাহাতে উহারা আমার কথা বুঝিতে পারে। (২০:২৮)
আমার জন্য করিয়া দাও একজন সাহায্যকারী আমার স্বজনবর্গের মধ্য হইতে; (২০:২৯)
আমার ভ্রাতা হারূনকে; (২০:৩০)
তাহার দ্বারা আমার শক্তি সুদৃঢ় কর, (২০:৩১)
ও তাহাকে আমার কর্মে অংশী কর, (২০:৩২)
যাহাতে আমরা তোমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতে পারি প্রচুর; (২০:৩৩)
এবং তোমাকে স্মরণ করিতে পারি অধিক। (২০:৩৪)
‘তুমি তো আমাদের সম্যক দ্রষ্টা।’ (২০:৩৫)
তিনি বলিলেন, হে মূসা! তুমি যাহা চাহিয়াছ তাহা তোমাকে দেওয়া হইল। (২০:৩৬)
‘এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য প্রস্তুত করিয়া লইয়াছি। (২০:৪১)
‘তুমি ও তোমার ভ্রাতা আমার নিদর্শনসহ যাত্রা কর এবং আমার স্মরণে শৈথিল্য করিও না, (২০:৪২)
‘তোমরা উভয়ে ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমা-লংঘন করিয়াছে। (২০:৪৩)
‘তোমরা তাহার সঙ্গে নম্র কথা বলিবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করিবে অথবা ভয় করিবে।’ (২০:৪৪)
তাহারা বলিল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা তো আশংকা করি সে আমাদের উপর বাড়াবাড়ি করিবে অথবা অন্যায় আচরণে সীমালংঘন করিবে।’ (২০:৪৫)
তিনি বলিলেন, ‘তোমরা ভয় করিও না, আমি তো তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও আমি দেখি।’ (২০:৪৬)
সুতরাং তোমরা তাহার নিকট যাও এবং বল, ‘আমরা তোমার প্রতিপালকের রাসূল, সুতরাং আমাদের সঙ্গে বনী ইস্রাঈলকে যাইতে দাও এবং তাহাদেরকে কষ্ট দিও না, আমরা তো তেমার নিকট আনিয়াছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে নিদর্শন এবং শান্তি তাহাদের প্রতি যাহারা অনুসরণ করে সৎপথ। (২০:৪৭)
‘আমাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করা হইয়াছে যে, শাস্তি তো তাহার জন্য, যে মিথ্যা আরোপ করে ও মুখ ফিরাইয়া নেয়।’ (২০:৪৮)
মূসা তাহার অন্তরে কিছু ভীতি অনুভব করিল। (২০:৬৭)
আমি বলিলাম, ‘ভয় করিও না, তুমিই প্রবল।’ (২০:৬৮)
‘তোমার দক্ষিণ হস্তে যাহা আছে তাহা নিক্ষেপ কর, ইহা উহারা যাহা করিয়াছে তাহা গ্রাস করিয়া ফেলিবে। উহারা যাহা করিয়াছে তাহা তো কেবল জাদুকরের কৌশল। জাদুকর যেখানেই আসুক, সফল হইবে না।’ (২০:৬৯)
স্মরণ কর সেই সময়ের কথা, যখন মূসা তাহার পরিবারবর্গকে বলিয়াছিল, ‘আমি আগুন দেখিয়াছি, সত্বর আমি সেখান হইতে তোমাদের জন্য কোন খবর আনিব অথবা তোমাদের জন্য আনিব জ্বলন্ত অঙ্গার, যাহারা তোমরা আগুন পোহাইতে পার। (২৭:৭)
অতঃপর সে যখন উহার নিকট আসিল, তখন ঘোষিত হইল ‘ধন্য, যাহারা আছে এই আলোর মধ্যে এবং যাহারা আছে ইহার চতুষ্পার্শ্বে, জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ্ পবিত্র ও মহিমান্বিত। (২৭:৮)
‘হে মূসা! আমি তো আল্লাহ্, পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়, (২৭:৯)
‘তুমি তোমার লাঠি নিক্ষেপ কর।’ অতঃপর যখন সে উহাকে সর্পের ন্যায় ছুটাছুটি করিতে দেখিল তখন সে পিছনের দিকে ছুটিতে লাগিল এবং ফিরিয়াও তাকাইল না। বলা হইল, ‘হে মূসা! ভীত হইও না, নিশ্চয়ই আমি এমন, আমার সান্নিধ্যে রাসূলগণ ভয় পায় না; (২৭:১০)
‘তবে যাহারা জুলুম করিবার পর মন্দ কর্মের পরিবর্তে সৎকর্ম করে, তাহাদের প্রতি আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (২৭:১১)
‘এবং তোমার হাত তোমার বগলে রাখ, ইহা বাহির হইয়া আসিবে শুভ্র নির্মল অবস্থায়। ইহা ফির‘আওন ও তাহার সম্প্রদায়ের নিকট আনীত নয়টি নিদর্শনের অন্তর্গত। উহারা তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়।’ (২৭:১২)
অতঃপর যখন উহাদের নিকট আমার স্পষ্ট নিদর্শন আসিল, উহারা বলিল, ‘ইহা সুস্পষ্ট জাদু।’ (২৭:১৩)
উহারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলি প্রত্যাখ্যান করিল, যদিও উহাদের অন্তর এইগুলিকে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিল। দেখ, বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের পরিণাম কেমন হইয়াছিল! (২৭:১৪)
যখন তাহার প্রতিপালক পবিত্র উপত্যকা তুওয়া-য় তাহাকে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিলেন, (৭৯:১৬)
‘ফির‘আওনের নিকট যাও, সে তো সীমালংঘন করিয়াছে,’ (৭৯:১৭)
এবং বল, ‘তোমার কি আগ্রহ আছে যে, তুমি পবিত্র হও- (৭৯:১৮)
‘আর আমি তোমাকে তোমার প্রতিপালকের দিকে পথপ্রদর্শন করি যাহাতে তুমি তাঁহাকে ভয় কর?’ (৭৯:১৯)
অতঃপর সে উহাকে মহানিদর্শন দেখাইল। (৭৯:২০)
কিন্তু সে অস্বীকার করিল এবং অবাধ্য হইল। (৭৯:২১)