রাসূল এই উদ্দেশ্যেই প্রেরণ করিয়াছি যে, আল্লাহ্র নির্দেশ অনুসারে তাহার আনুগত্য করা হইবে। যখন তাহারা নিজেদের প্রতি জুলুম করে তখন তাহারা তোমার নিকট আসিলে ও আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা করিলে এবং রাসূলও তাহাদের জন্য ক্ষমা চাহিলে তাহারা অবশ্যই আল্লাহ্কে পরম ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালুরূপে পাইবে। (৪:৬৪)
কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তাহারা মু’মিন হইবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তাহাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্বাদের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে; অতঃপর তোমার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে তাহাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে এবং সর্বান্তকরণে উহা মানিয়া নেয়। (৪:৬৫)
মুশরিকরা বলিবে, ‘আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে আমাদের পিতৃপুরুষেরা ও আমরা তাঁহাকে ব্যতীত অপর কোন কিছুর ‘ইবাদত করিতাম না এবং তাঁহার অনুজ্ঞা ব্যতীত আমরা কোন কিছু নিষিদ্ধ করিতাম না।’ উহাদের পূর্ববর্তীরা এইরূপই করিত। রাসূলদের কর্তব্য তো কেবল সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। (১৬:৩৫)
আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিবার ও তাগূতকে বর্জন করিবার নির্দেশ দিবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠাইয়াছি। অতঃপর উহাদের কতককে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহাদের কতকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হইয়াছিল; সুতরাং পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ, যাহারা সত্যকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছে! (১৬:৩৬)
প্রেরণ করিয়াছিলাম স্পষ্টভাবে প্রমাণাদি ও গ্রন্থাবলীসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, মানুষকে সুস্পষ্ট বুঝাইয়া দিবার জন্য যাহা তাহাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হইয়াছিল, যাহাতে উহারা চিন্তা করে। (১৬:৪৪)
শপথ আল্লাহ্র! আমি তোমার পূর্বেও বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছি; কিন্তু শয়তান ঐসব জাতির কার্যকলাপ উহাদের দৃষ্টিতে শোভন করিয়াছিল; সুতরাং সে-ই আজ উহাদের অভিভাবক এবং উহাদেরই জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি। (১৬:৬৩)
আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ। (১৬:৬৪)
অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌছাঁইয়া দেওয়া। (১৬:৮২)