উহারা তোমাকে যুল-কারনাইন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে। বল, ‘আমি তোমাদের নিকট তাহার বিষয় বর্ণনা করিব।’ (১৮:৮৩)
আমি তো তাহাকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দিয়াছিলাম এবং প্রত্যেক বিষয়ের উপায়-উপকরণ দান করিয়াছিলাম। (১৮:৮৪)
অতঃপর সে এক পথ অবলম্বন করিল। (১৮:৮৫)
চলিতে চলিতে সে যখন সূর্যের অস্তগমন স্থানে পৌঁছিল তখন সে সূর্যকে এক পংকিল জলাশয়ে অস্তগমন করিতে দেখিল এবং সে সেখানে এক সম্প্রদায়কে দেখিতে পাইল। আমি বলিলাম, ‘হে যুল-কার্নাইল! তুমি ইহাদেরকে শাস্তি দিতে পার অথবা ইহাদের ব্যাপার সদয়ভাবে গ্রহণ করিতে পার।’ (১৮:৮৬)
সে বলিল, ‘যে কেহ সীমালংঘন করিবে আমি তাহাকে শাস্তি দিব, অতঃপর সে তাহার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তিত হইবে এবং তিনি তাহাকে কঠোর শাস্তি দিবেন। (১৮:৮৭)
‘তবে যে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাহার জন্য প্রতিদানস্বরূপ আছে কল্যাণ এবং তাহার প্রতি ব্যবহারে আমি নম্র কথা বলিব।’ (১৮:৮৮)
আবার সে এক পথ ধরিল, (১৮:৮৯)
চলিতে চলিতে যখন সে সূর্যোদয়-স্থলে পৌঁছিল তখন সে দেখিল উহা এমন এক সম্প্রদায়ের উপর উদয় হইতেছে যাহাদের জন্য সূর্যতাপ হইতে কোন অন্তরাল আমি সৃষ্টি করি নাই; (১৮:৯০)
প্রকৃত ঘটনা ইহাই, তাহার নিকট যাহা কিছু ছিল আমি সম্যক অবগত আছি। (১৮:৯১)
আবার সে এক পথ ধরিল, (১৮:৯২)
চলিতে চলিতে সে যখন দুই পর্বত-প্রাচীরের মধ্যবর্তী স্থলে পোঁছিল তখন সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে পাইল যাহারা কোন কথা বুঝিবার মত ছিল না। (১৮:৯৩)
উহারা বলিল, ‘হে যুল-কার্নাইন! ইয়াজূজ ও মাজূজ তো পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিতেছে। আমরা কি আপনাকে খরচ দিব যে, আপনি আমাদের ও উহাদের মধ্যে এক প্রাচীর গড়িয়া দিবেন’? (১৮:৯৪)
সে বলিল, ‘আমার প্রতিপালক আমাকে এই বিষয়ে যে ক্ষমতা দিয়াছেন, তাহাই উৎকৃষ্ট। সুতরাং তোমরা আমাকে শ্রম দ্বারা সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও উহাদের মধ্যস্থলে এক মযবুত প্রাচীর গড়িয়া দিব। (১৮:৯৫)
‘তোমার আমার নিকট লৌহপিন্ডসমূহ আনয়ন কর’, অতঃপর মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান পূর্ণ হইয়া যখন লৌহস্তূপ দুই পর্বতের সমান হইল তখন সে বলিল, ‘তোমার হাঁপরে দম দিতে থাক।’ যখন উহা অগ্নিবৎ উত্তপ্ত হইল, তখন সে বলিল, ‘তোমরা গলিত তাম্র আনয়ন কর, আমি উহা ঢালিয়া দেই ইহার উপর।’ (১৮:৯৬)
ইহার পর তাহারা উহা অতিক্রম করিতে পারিল না এবং উহা ভেদও করিতে পারিল না। (১৮:৯৭)
সে বলিল, ‘ইহা আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। যখন আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হইবে তখন তিনি উহাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিবেন এবং আমার প্রতিপালকের প্রতিশ্রুতি সত্য।’ (১৮:৯৮)
সেই দিন আমি উহাদেরকে ছাড়িয়া দিব এই অবস্থায় যে, একদল আর একদলের উপর তরঙ্গের ন্যায় পতিত হইবে এবং শিংগায় ফুৎকার দেওয়া হইবে। অতঃপর আমি উহাদের সকলকেই একত্র করিব। (১৮:৯৯)
যে জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি তাহার সম্পর্কে নিষিদ্ধ হইয়াছে যে, তাহার অধিবাসীবৃন্দ ফিরিয়া আসিবে না, (২১:৯৫)
এমনকি যখন ইয়া‘জূজ ও মা‘জূজকে মুক্তি দেওয়া হইবে এবং উহারা প্রতি উচ্চভূমি হইতে ছুটিয়া আসিবে। (২১:৯৬)

