অতঃপর তাহার প্রতিপালক তাহাকে ভালভাবে কবূল করিলেন এবং তাহাকে উত্তমরূপে লালন-পালন করিলেন এবং তিনি তাহাকে যাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে রাখিয়াছিলেন। যখনই যাকারিয়া কক্ষে তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে যাইত তখনই তাহার নিকট খাদ্য-সামগ্রী দেখিতে পাইত। সে বলিত, ‘হে মার্ইয়াম! এই সব তুমি কোথায় পাইলে?’ সে বলিত, ‘উহা আল্লাহ্র নিকট হইতে।’ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা অপরিমিত রিযিক দান করেন। (৩:৩৭)
সেখানেই যাকারিয়া তাহার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করিয়া বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে তুমি তোমার নিকট হইতে সৎ বংশধর দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (৩:৩৮)
যখন যাকারিয়া কক্ষে সালাতে দাঁড়াইয়াছিলেন তখন ফিরিশতাগণ তাহাকে সম্বোধন করিয়া বলিল, ‘আল্লাহ্ তোমাকে ইয়াহ্ইয়ার সুসংবাদ দিতেছেন, সে হইবে আল্লাহ্র বাণীর সমর্থক, নেতা, স্ত্রী বিরাগী এবং পুণ্যবানদের মধ্যে একজন নবী।’ (৩:৩৯)
সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার পুত্র হইবে কিরূপে? আমার তো বার্ধক্য আসিয়াছে এবং আমার স্ত্রী বন্ধ্যা।’ তিনি বলিলেন ‘এইভাবেই।’ আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহা করেন। (৩:৩৪০)
এবং যাকারিয়া, ইয়াহ্ইয়া, ‘ঈসা এবং ইল্য়াসকেও সৎপথে পরিচালিত করিয়াছিলাম। ইহারা সকলে সজ্জনদের অন্তর্ভুক্ত; (৬:৮৫)
ইহা তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের বিবরণ তাঁহার বান্দা যাকারিয়্যার প্রতি, (১৯:২)
যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়াছিল নিভৃতে, (১৯:৩)
সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হইয়াছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হইয়াছে; হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহ্বান করিয়া আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই। (১৯:৪)
‘আমি আশংকা করি আমার পর আমার স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে; আমার স্ত্রী বন্ধ্যা। সুতরাং তুমি তোমার নিকট হইতে আমাকে দান কর উত্তরাধিকারী, (১৯:৫)
‘যে আমার উত্তরাধিকারিত্ব করিবে এবং উত্তরাধিকারিত্ব করিবে ইয়া‘কূবের বংশের এবং হে আমার প্রতিপালক! তাহাকে করিও সন্তোষভাজন’। (১৯:৬)
তিনি বলিলেন, ‘হে যাকারিয়্যা! আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিতেছি, তাহার নাম হইবে ইয়াহ্ইয়া; এই নামে পূর্বে আমি কাহারও নামকরণ করি নাই।’ (১৯:৭)
সে বিলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! কেমন করিয়া আমার পুত্র হইবে যখন আমার স্ত্রী বন্ধ্যা ও আমি বার্ধক্যের শেষ সীমায় উপনীত।’ (১৯:৮)
তিনি বলিলেন, ‘এইরূপই হইবে।’ তোমার প্রতিপালক বলিলেন, ‘ইহা আমার জন্য সহজসাধ্য; আমি তো পূর্বে তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছি যখন তুমি কিছুই ছিলে না।’ (১৯:৯)
যাকারিয়্যা বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একটি নিদর্শন দাও।’ তিনি বলিলেন, ‘তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ থাকা সত্ত্বেও কাহারও সঙ্গে তিন দিন বাক্যলাপ করিবে না।’ (১৯:১০)
অতঃপর সে কক্ষ হইতে বাহির হইয়া তাহার সম্প্রদায়ের নিকট আসিল এবং ইঙ্গিতে তাহাদেরকে সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করিতে বলিল। (১৯:১১)
এবং স্মরণ কর যাকারিয়ার কথা, যখন সে তাহার প্রতিপালককে আহ্বান করিয়া বলিয়াছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা রাখিও না, তুমি তো শ্রেষ্ঠ মালিকানার অধিকারী।’ (২১:৮৯)
অতঃপর আমি তাহার আহ্বানে সাড়া দিয়াছিলাম এবং তাহাকে দান করিয়াছিলাম ইয়াহ্ইয়া এবং তাহার জন্য তাহার স্ত্রীকে যোগ্যতাসম্পন্ন করিয়াছিলাম। তাহারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করিত, তাহারা আমাকে ডাকিত আশা ও ভীতির সঙ্গে এবং তাহারা ছিল আমার নিকট বিনীত। (২১:৯০)