এই সকল আল্লাহ্র আয়াত, আমি তোমার নিকট উহা যথাযথভাবে তিলাওয়াত করিতেছি, আর নিশ্চয়ই তুমি রাসূলগণের অন্তর্ভুক্ত। (২:২৫২)
মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা সে নিহত হয় তবে তোমরা কি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিবে? এবং কেহ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিলে সে কখনও আল্লাহ্র ক্ষতি করিতে পারিবে না; বরং আল্লাহ্র শীঘ্রই কৃতজ্ঞদের পুরস্কৃত করিবেন। (৩:১৪৪)
আল্লাহ্র দয়ায় তুমি তাহাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হইয়াছিলে; যদি তুমি রূঢ় ও কঠোরচিত্ত হইতে তবে তাহারা তোমার আশপাশ হইতে সরিয়া পড়িত। সুতরাং তুমি তাহাদের ক্ষমা কর এবং তাহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং কাজেকর্মে তাহাদের সঙ্গে পরামর্শ কর, অতঃপর তুমি কোন সংকল্প করিলে আল্লাহ্র উপর নির্ভর করিবে, যাহারা নির্ভর করে আল্লাহ্ তাহাদের ভালবাসেন। (৩:১৫৯)
আল্লাহ্র নিকট তাহারা বিভিন্ন স্তরের; তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (৩:১৬3)
আল্লাহ্ মু’মিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করিয়াছেন যে, তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্য হইতে তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন, যে তাঁহার আয়াতসমূহ তাহাদের নিকট তিলাওয়াত করে, তাহাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিক্মত শিক্ষা দেয়, যদিও তাহারা পূর্বে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতেই ছিল। (৩:১৬৪)
হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা প্রচার কর; যদি না কর তবে তো তুমি তাঁহার বার্তা প্রচার করিলে না। আল্লাহ্ তোমাকে মানুষ হইতে রক্ষা করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৫:৬৭)
যদি তাহাকে ফিরিশ্তা করিতাম তবে তাহাকে মানুষের আকৃতিতেই প্রেরণ করিতাম; আর তাহাদেরকে সেরূপ বিভ্রমে ফেলিতাম, যেরূপ বিভ্রমে তাহারা এখন রহিয়াছে। (৬:৯)
বল, ‘আমি কি আসমান ও যমীনের স্রষ্টা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিব? তিনিই আহার্য দান করেন কিন্তু তাঁহাকে কেহ আহার্য দান করে না’; এবং বল, ‘আমি আদিষ্ট হইয়াছি যেন আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে আমি প্রথম ব্যক্তি হই’; আমাকে আরও আদেশ করা হইয়াছে, ‘তুমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না।’ (৬:১৪)
তোমার পূর্বেও অনেক রাসূলকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী বলা হইয়াছিল; কিন্তু তাহাদেরকে মিথ্যাবাদী বলা ও ক্লেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাহারা ধৈর্য ধারণ করিয়াছিল যে পর্যন্ত না আমার সাহায্য তাহাদের নিকট আসিয়াছে। আল্লাহ্র আদেশ কেহ পরিবর্তন করিতে পারে না, রাসূলগণের সম্বন্ধে কিছু সংবাদ তো তোমার নিকট আসিয়াছে। (৬:৩৪)
যদি তাহাদের উপেক্ষা তোমার নিকট কষ্টকর হয় তবে পারিলে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গ অথবা আকাশের সোপান অন্বেষণ কর এবং তাহাদের নিকট কোন নিদর্শন আন। আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহাদের সকলকে অবশ্যই সৎপথে একত্র করিতেন। সুতরাং তুমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (৬:৩৫)
বল, ‘আমি তোমাদেরকে ইহা বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহ্র ধনভান্ডার আছে, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি অবগত নই; এবং তোমাদেরকে ইহাও বলি না যে, আমি ফিরিশ্তা; আমার প্রতি যাহা ওহী হয় আমি শুধু তাহারই অনুসরণ করি। বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান?’ তোমরা কি অনুধাবন কর না? (৬:৫০)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তুমি তাহারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই এবং মুশরিকেদের হইতে মুখ ফিরাইয়া লও। (৬:১০৬)
আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা শির্ক করিত না এবং তোমাকে তাহাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করি নাই; আর তুমি তাহাদের অভিভাবকও নও। (৬:১০৭)
‘যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যাহার উল্লেখ তাওরাত ও ইন্জীল, যাহা তাহাদের নিকট আছে তাহাতে লিপিবদ্ধ পায়, যে তাহাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে মুক্ত করে তাহাদের কে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে- যাহা তাহাদের উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (৭:১৫৭)
বল, ‘আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নাই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানিতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করিতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করিত না। আমি তো শুধু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা বৈ আর কিছুই নই।’ (৭:১৮৮)
তুমি তখন তাহাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর না, তখন তাহারা বলে, ‘তুমি নিজেই একটি নিদর্শন বাছিয়া নাও না কেন?’ বল, ‘আমার প্রতিপালক দ্বারা আমি যে বিষয়ে প্রত্যাদিষ্ট হই, আমি তো শুধু তাহারই অনুসরণ করি; এই কুরআন তোমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য ইহা হিদায়াত ও রহমত।’ (৭:২০৩)
হে নবী! তোমার জন্য ও তোমার অনুসারী মু’মিনদের জন্য আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৮:৬৪)
হে নবী! মু’মিনদেরকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর; তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকিলে তাহারা দুই শত জনের উপর বিজয়ী হইবে এবং তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকিলে এক সহস্র কাফিরের উপর বিজয়ী হইবে। কারণ তাহারা এমন এক সম্প্রদায়, যাহার বোধশক্তি নাই। (৮:৬৫)
হে নবী! তোমাদের করায়ত্ত যুদ্ধবন্দীদেরকে বল, ‘আল্লাহ্ যদি তোমাদের হৃদয়ে ভাল কিছু দেখেন তবে তোমাদের নিকট হইতে যাহা নেওয়া হইয়াছে তাহা অপেক্ষা উত্তম কিছু তিনি তোমাদেরকে দান করিবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (৮:৭০)
হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর ও উহাদের প্রতি কঠোর হও; উহাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল! (৯:৭৩)
উহাদের সম্পদ হইতে ‘সাদাকা’ গ্রহণ করিবে। ইহার দ্বারা তুমি উহাদেরকে পবিত্র করিবে এবং পরিশোধিত করিবে। তুমি উহাদেরকে দু‘আ করিবে। তোমার দু‘আ তো উহাদের জন্য চিত্ত স্বস্তিকর। আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৯:১০৩)
যখন আমার আয়াত, যাহা সু্স্পষ্ট, তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহারা বলে, ‘অন্য এক কুরআন আন ইহা ছাড়া, অথবা ইহাকে বদলাও।’ বল, ‘নিজ হইতে ইহা বদলান আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যাহা ওহী হয়, আমি কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করিলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি। (১০:১৫)
বল, ‘আল্লাহ্ যদি চাহিতেন আমিও তোমাদের নিকট ইহা তিলাওয়াত করিতাম না এবং তিনিও তোমাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করিতেন না। আমি তো ইহার পূর্বে তোমাদের মধ্যে জীবনের দীর্ঘকাল অবস্থান করিয়াছি; তুবও কি তোমরা বুঝিতে পার না?’ (১০:১৬)
এবং তাহারা যদি তোমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করে তবে তুমি বলিও, ‘আমার কর্মের দায়িত্ব আমার এবং তোমাদের কর্মের দায়িত্ব তোমাদের। আমি যাহা করি সে বিষয়ে তোমরা দায়মুক্ত এবং তোমরা যাহা কর সে বিষয়ে আমিও দায়মুক্ত।’ (১০:৪১)
আমি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি উহাতে যদি তুমি সন্দেহে থাক তবে তোমার পূর্বের কিতাব যাহারা পাঠ করে তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর; তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার নিকট সত্য অবশ্যই আসিয়াছে। তুমি কখনও সন্দিগ্ধচিত্তদের অন্তর্ভুক্ত হইও না, (১০:৯৪)
আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছি তাহারা যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে আনন্দ পায়, কিন্তু কোন কোন দল উহার কতক অংশ অস্বীকার করে। বল, ‘আমি তো আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিতে ও তাঁহার কোন শরীক না করিতে আদিষ্ট হইয়াছি। আমি তাঁহারই প্রতি আহ্বান করি এবং তাঁহারই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন।’ (১৩:৩৬)
এইভাবে আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি বিধানরূপে আরবী ভাষায়। জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকিবে না। (১৩:৩৭)
তোমার পূর্বে আমি তো অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়াছিলাম। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। প্রত্যেক বিষয়ের নির্ধারিত কাল লিপিবদ্ধ। (১৩:৩৮)
আমি তাহাদের বিভিন্ন শ্রেণীকে ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়াছি, তাহার প্রতি তুমি কখনও তোমার চক্ষুদ্বয় প্রসারিত করিও না। তাহাদের জন্য তুমি দুঃখ করিও না; তুমি মু’মিনদের জন্য তোমার পক্ষপুট অবনমিত কর, (১৫:৮৮)
তুমি উহাদের পথ প্রদর্শন করিতে আগ্রহী হইলেও আল্লাহ্ যাহাকে বিভ্রান্ত করিয়াছেন, তাহাকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করিবেন না এবং উহাদের কোন সাহায্যকারীও নাই। (১৬:৩৭)
এখন আমি তোমাদের প্রতি প্রত্যাদেশ করিলাম, ‘তুমি একনিষ্ঠ ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর; এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। (১৬:১২৩)
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে ভালভাবে জানেন। ইচ্ছা করিলে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করেন এবং ইচ্ছা করিলে তোমাদেরকে শাস্তি দেন; আমি তোমাকে উহাদের অভিভাবক করিয়া পাঠাই নাই। (১৭:৫৪)
আমি তো তোমাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করিয়াছি। (২১:১০৭)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একই ইলাহ্, সুতরাং তোমরা হইয়া যাও আত্মসমর্পণকারী।’ (২১:১০৮)
আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত করিয়া দিয়াছি ‘ইবাদত পদ্ধতি-যাহা উহারা অনুসরণ করে। সুতরাং উহারা যেন তোমার সঙ্গে বিতর্ক না করে এই ব্যাপারে। তুমি উহাদেরকে তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্বান কর, তুমি তো সরল পথেই প্রতিষ্ঠিত। (২২:৬৭)
উহারা যদি তোমার সঙ্গে বিতন্ডা করে তবে বলিও, ‘তোমরা যাহা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সম্যক অবহিত। (২২:৬৮)
আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি এই নগরীর প্রভুর ‘ইবাদত করিতে, যিনি ইহাকে করিয়াছেন সম্মানিত। সমস্ত কিছু তাঁহারই। আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, যেন আমি আত্মসমর্পণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। (২৭:৯১)
আমি আরও আদিষ্ট হইয়াছি, কুরআন তিলাওয়াত করিতে; অতএব যে ব্যক্তি সৎপথ অনুসরণ করে, সে সৎপথ অনুসরণ করে নিজেরই কল্যাণের জন্য। আর কেহ ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করিলে তুমি বলিও, ‘আমি তো কেবল সতর্ককারীদের মধ্যে একজন।’ (২৭:৯২)
হে নবী! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং কাফিরদের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করিও না। আল্লাহ্ তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৩৩:১)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তাহার অনুসরণ কর; তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ তো সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (৩৩:২)
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহ্র উপর এবং কর্মবিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৩৩:৩)
হে নবী! আমি তো তোমাকে পাঠাইয়াছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, (৩৩:৪৫)
আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাঁহার দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। (৩৩:৪৬)
তুমি মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট রহিয়াছে মহাঅনুগ্রহ। (৩৩:৪৭)
আর তুমি কাফির ও মুনাফিকদের কথা শুনিও না, উহাদের নির্যাতন উপেক্ষা করিও এবং নির্ভর করিও আল্লাহ্র উপর; কর্মবিধায়করূপে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৩৩:৪৮)
হে মু’মিনগণ! তোমরা মু’মিন নারীগণকে বিবাহ করিবার পর উহাদেরকে স্পর্শ করিবার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের জন্য তাহাদের পালনীয় কোন ইদ্দত নাই যাহা তোমরা গণনা করিবে। তোমরা উহাদেরকে কিছু সামগ্রী দিবে এবং সৌজন্যের সঙ্গে উহাদেরকে বিদায় করিবে। (৩৩:৪৯)
হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করিয়াছি তোমার স্ত্রীগণকে, যাহাদের মাহ্র তুমি প্রদান করিয়াছ এবং বৈধ করিয়াছি ফায় হিসাবে আল্লাহ্ তোমাকে যাহা দান করিয়াছেন তন্মধ্য হইতে যাহারা তোমার মালিকানাধীন হইয়াছে তাহাদেরকে, এবং বিবাহের জন্য বৈধ করিয়াছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যাহারা তোমার সঙ্গে দেশ ত্যাগ করিয়াছে এবং কোন মু’মিন নারী নবীর নিকট নিজকে নিবেদন করিলে এবং নবী তাহাকে বিবাহ করিতে চাহিলে সেও বৈধ- ইহা বিশেষ করিয়া তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাহাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাহাদের মালিকানাধীন দাসিগণ সম্বন্ধে যাহা নির্ধারিত করিয়াছি, তাহা আমি জানি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৩৩:৫০)
তুমি উহাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হইতে দূরে রাখিতে পার এবং যাহাকে ইচ্ছা তোমার নিকট স্থান দিতে পার। আর তুমি যাহাকে দূরে রাখিয়াছ তাহাকে কামনা করিলে তোমার কোন অপরাধ নাই। এই বিধান এইজন্য যে, ইহাতে উহাদের তুষ্টি সহজতর হইবে এবং উহারা দুঃখ পাইবে না আর উহাদেরকে তুমি যাহা দিবে তাহাতে উহাদের প্রত্যেকেই প্রীত থাকিবে। তোমাদের অন্তরে যাহা আছে আল্লাহ্ তাহা জানেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। (৩৩:৫১)
ইহার পর, তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও উহাদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে; তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ্ সমস্ত কিছুই উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (৩৩:৫২)
বল, ‘আমি তো আদিষ্ট হইয়াছি, আল্লাহ্র আনুগত্যে একনিষ্ঠ হইয়া তাঁহার ‘ইবাদত করিতে; (৩৯:১১)
‘আর আদিষ্ট হইয়াছি, আমি যেন আত্মসমর্পণকারীদের অগ্রণী হই।’ (৩৯:১২)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য; অতঃপর যে সৎপথ অবলম্বন করে সে তাহা করে নিজেরই কল্যাণের জন্য এবং যে বিপথগামী হয় সে তো বিপথগামী হয় নিজেরই ধ্বংসের জন্য এবং তুমি উহাদের তত্ত্বাবধায়ক নও। (৩৯: ৪১)
আমি তো তোমার পূর্বে অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম। আমি তাহাদের কাহারও কাহারও কথা তোমার নিকট বিবৃত করিয়াছি এবং কাহারও কাহারও কথা তোমার নিকট বিবৃত করি নাই। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। আল্লাহ্র আদেশ আসিলে ন্যায়সংগতভাবে ফয়সালা হইয়া যাইবে। তখন মিথ্যাশ্রয়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হইবে। (৪০:৭৮)
বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। অতএব তোমরা তাঁহারই পথ দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর এবং তাঁহারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। দুর্ভোগ অংশীবাদীদের জন্য- (৪১:৬)
এইভাবেই তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্। (৪২:৩)
যাহারা আল্লাহ্র পরিবর্তে অপরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি সম্যক দৃষ্টি রাখেন। তুমি তাহাদের কর্মবিধায়ক নও। (৪২:৬)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায়, যাহাতে তুমি সতর্ক করিতে পার মক্কা ও উহার চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করিতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাহাতে কোন সন্দেহ নাই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করিবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করিবে। (৪২:৭)
তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করিয়াছেন দীন যাহার নির্দেশ দিয়াছিলেন তিনি নূহ্কে, আর যাহা আমি ওহী করিয়াছি তোমাকে এবং যাহার নির্দেশ দিয়াছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলিয়া যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং উহাতে মতভেদ করিও না। তুমি মুশরিকদেরকে যাহার প্রতি আহ্বান করিতেছ তাহা উহাদের নিকট দুর্বহ মনে হয়। আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং যে তাঁহার অভিমুখী, তাহাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন। (৪২:১৩)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তোমাকে তো আমি ইহাদের রক্ষক করিয়া পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে ইহাতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন উহাদের কৃতকর্মের জন্য উহাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হইয়া পড়ে অকৃতজ্ঞ। (৪২:৪৮)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি রূহ্ তথা আমার নির্দেশ; তুমি তো জানিতে না কিতাব কি এবং ঈমান কি। পক্ষান্তরে আমি ইহাকে করিয়াছি আলো যাহা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি; তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ- (৪২:৫২)
সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)
কুরআন তো তোমার ও তোমার সম্প্রদায়ের জন্য সম্মানের বস্তু; তোমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হইবে। (৪৩:৪৪)
ইহার পর আমি তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর; সুতরাং তুমি উহার অনুসরণ কর, অজ্ঞদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৪৫:১৮)
আল্লাহ্র মুকাবিলায় উহারা তোমার কোনই উপকার করিতে পারিবে না; জালিমরা তো একে অপরের বন্ধু; আর আল্লাহ্ মুত্তাকীদের বন্ধু। (৪৫:১৯)
এই কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত। (৪৫:২০)
তবে কি উহারা বলে যে, ‘সে উহা উদ্ভাবন করিয়াছে।’ বল, ‘যদি আমি ইহা উদ্ভাবন করিয়া থাকি, তবে তোমরা তো আল্লাহ্র শাস্তি হইতে আমাকে কিছুতেই রক্ষা করিতে পারিবে না। তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় লিপ্ত আছ, সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে তিনিই যথেষ্ট এবং তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (৪৬:৮)
বল, ‘আমি কোন নূতন রাসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হইবে; আমি আমার প্রতি যাহা ওহী করা হয় কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’ (৪৬:৯)
স্মরণ কর, আমি তোমার প্রতি আকৃষ্ট করিয়াছিলাম একদল জিনকে, যাহারা কুরআন পাঠ শুনিতেছিল। যখন উহারা তাহার নিকট উপস্থিত হইল, উহারা বলিল, ‘চুপ করিয়া শ্রবণ কর।’ যখন কুরআন পাঠ সমাপ্ত হইল উহারা উহাদের সম্প্রদায়ের নিকট ফিরিয়া গেল সতর্ককারীরূপে। (৪৬:২৯)
উহারা বলিয়াছিল, ‘হে আমাদের সম্পদ্রায়! আমরা এমন এক কিতাবের পাঠ শ্রবণ করিয়াছি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে মূসার পরে, ইহা উহার পূর্ববর্তী কিতাবকে প্রত্যয়ন করে এবং সত্য ও সরল পথের দিকে পরিচালিত করে। (৪৬:৩০)
‘হে আমাদের সম্প্রদায়! আল্লাহ্র দিকে আহ্বানকারীর প্রতি সাড়া দাও এবং তাহার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্ তোমাদের পাপ ক্ষমা করিবেন এবং মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে তোমাদেরকে রক্ষা করিবেন।’ (৪৬:৩১)
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর যেমন ধৈর্য ধারণ করিয়াছিল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ। তুমি উহাদের জন্য ত্বরা করিও না। উহাদেরকে যেই বিষয়ে সতর্ক করা হইয়াছে তাহা যেই দিন উহারা প্রত্যক্ষ করিবে, সেই দিন উহাদের মনে হইবে, উহারা যেন দিবসের এক দন্ডের বেশি পৃথিবীতে অবস্থান করে নাই। ইহা এক ঘোষণা, পাপাচারী সম্প্রদায়কেই ধ্বংস করা হইবে। (৪৬:৩৫)
আমি তোমাকে প্রেরণ করিয়াছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, (৪৮:৮)
যাহাতে তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আন এবং রাসূলকে শক্তি যোগাও ও তাহাকে সম্মান কর; সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (৪৮:৯)
যাহারা তোমার হাতে বায়‘আত করে তাহারা তো আল্লাহ্রই হাতে বায়‘আত করে। আল্লাহ্র হাত তাহাদের হাতের উপর। অতঃপর যে উহা ভঙ্গ করে, উহা ভঙ্গ করিবার পরিণাম তাহারই এবং যে আল্লাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার পূর্ণ করে তিনি অবশ্যই তাহাকে মহাপুরস্কার দিবেন। (৪৮:১০)
যে সকল মরুবাসী পশ্চাতে রহিয়া গিয়াছে তাহারা তোমাকে বলিবে, ‘আমাদের ধন-সম্পদ ও পরিবার-পরিজন আমাদেরকে ব্যস্ত রাখিয়াছে, অতএব আমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ উহারা মুখে তাহা বলে যাহা উহাদের অন্তরে নাই। উহাদেরকে বল, ‘আল্লাহ্ তোমাদের কাহারও কোন ক্ষতি কিংবা মঙ্গল সাধনের ইচ্ছা করিলে কে তাঁহাকে নিবৃত্ত করিতে পারে? বস্তুত তোমরা যাহা কর সে বিষয়ে আল্লাহ্ সম্যক অবহিত। (৪৮:১১)
না, তোমরা ধারণা করিয়াছিলে যে, রাসূল ও মু’মিনগণ তাহাদের পরিবার-পরিজনের নিকট কখনই ফিরিয়া আসিতে পারিবে না এবং এই ধারণা তোমাদের অন্তরে প্রীতিকর মনে হইয়াছিল; তোমরা মন্দ ধারণা করিয়াছিলে, তোমরা তো ধ্বংসমুখী এক সম্প্রদায়! (৪৮:১২)
যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনে না, আমি সেই সব কাফিরের জন্য জ্বলন্ত অগ্নি প্রস্তুত রাখিয়াছি। (৪৮:১৩)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সর্বময় কর্তৃত্ব আল্লাহ্রই, তিনি যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৪৮:১৪)
তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাইবে তখন যাহারা পশ্চাতে রহিয়া গিয়াছিল তাহারা বলিবে, ‘আমাদেরকে তোমাদের সঙ্গে যাইতে দাও।’ উহারা আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করিতে চায়। বল, ‘তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গী হইতে পারিবে না। আল্লাহ্ পূর্বেই এইরূপ ঘোষণা করিয়াছেন।’ উহারা অবশ্যই বলিবে, ‘তোমরা তো আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করিতেছ।’ বস্তুত উহাদের বোধশক্তি সামান্য। (৪৮:১৫)
যেসব মরুবাসী পশ্চাতে রহিয়া গিয়াছিল তাহাদেরকে বল, ‘তোমরা আহূত হইবে এক প্রবল-পরাক্রান্ত জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে; তোমরা উহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে যতক্ষণ না উহারা আত্মসমর্পণ করে। তোমরা এই নির্দেশ পালন করিলে আল্লাহ্ তোমাদেরকে উত্তম পুরস্কার দান করিবেন। আর তোমরা যদি পূর্বানুরূপ পৃষ্ঠ প্রদর্শন কর, তিনি তোমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন। (৪৮:১৬)
অন্ধের জন্য কোন অপরাধ নাই, খঞ্জের জন্য কোন অপরাধ নাই এবং পীড়িতের জন্য কোন অপরাধ নাই; এবং যে কেহ আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের আনুগত্য করিবে আল্লাহ্ তাহাকে দাখিল করিবেন জান্নাতে, যাহার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত; কিন্তু যে ব্যক্তি পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিবে তিনি তাহাকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন। (৪৮:১৭)
আল্লাহ্ তো মু’মিনগণের উপর সন্তুষ্ট হইলেন যখন তাহারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করিল, তাহাদের অন্তরে যাহা ছিল তাহা তিনি অবগত ছিলেন; তাহাদেরকে তিনি দান করিলেন প্রশান্তি এবং তাহাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়। (৪৮:১৮)
ও বিপুল পরিমাণ যুদ্ধে লভ্য সম্পদ, যাহা উহারা হস্তগত করিবে; আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪৮:১৯)
আল্লাহ্ তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন যুদ্ধে লভ্য বিপুল সম্পদের যাহার অধিকারী হইবে তোমরা। তিনি ইহা তোমাদের জন্য ত্বরান্বিত করিয়াছেন এবং তিনি তোমাদের হইতে মানুষের হস্ত নিবারিত করিয়াছেন যেন ইহা হয় মু’মিনদের জন্য এক নিদর্শন এবং আল্লাহ্ তোমাদেরকে পরিচালিত করেন সরল পথে; (৪৮:২০)
এবং আরও রহিয়াছে যাহা এখনও তোমাদের অধিকারে আসে নাই, উহা তো আল্লাহ্ আয়ত্তে রাখিয়াছেন। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৪৮:২১)
কাফিররা তোমাদের মুকাবিলা করিলে উহারা অবশ্যই পৃষ্ঠ প্রদর্শন করিত, তখন উহারা কোন অভিভাবক ও সাহায্য-কারী পাইত না। (৪৮:২২)
ইহাই আল্লাহ্র বিধান-প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে, তুমি আল্লাহ্র বিধানে কোন পরিবর্তন পাইবে না। (৪৮:২৩)
তিনি মক্কা উপত্যকায় উহাদের হস্ত তোমাদের হইতে এবং তোমাদের হস্ত উহাদের হইতে নিবারিত করিয়াছেন, উহারা উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করিবার পর, তোমরা যাহা কিছু কর আল্লাহ্ তাহা দেখেন। (৪৮:২৪)
উহারাই তো কুফরী করিয়াছিল এবং নিবৃত্ত করিয়াছিল তোমাদেরকে মসজিদুল- হারাম হইতে ও বাধা দিয়াছিল কুরবানীর জন্য আবদ্ধ পশুগুলিকে যথাস্থানে পৌঁছিতে। তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ দেওয়া হইত যদি না থাকিত এমন কতক মু’মিন নর ও নারী যাহাদেরকে তোমরা জান না, তোমরা তাহাদেরকে পদদলিত করিতে অজ্ঞাতসারে, ফলে তাহাদের কারণে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হইতে। যুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় নাই এইজন্য যে, তিনি যাহাকে ইচ্ছা নিজ অনুগ্রহ দান করিবেন। যদি উহারা পৃথক হইত, আমি উহাদের মধ্যে কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিতাম। (৪৮:২৫)
যখন কাফিররা তাহাদের অন্তরে পোষণ করিত গোত্রীয় অহমিকা-অজ্ঞতার যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ্ তাঁহার রাসূল ও মু’মিনদেরকে স্বীয় প্রশান্তি দান করিলেন; আর তাহাদেরকে তাক্ওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করিলেন, এবং তাহারাই ছিল ইহার অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ্ সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন। (৪৮:২৬)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করিয়া দেখাইয়াছেন, আল্লাহ্র ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মস্জিদুল-হারামে প্রবেশ করিবে নিরাপদে- তোমাদের কেহ কেহ মস্তক মুন্ডিত করিবে আর কেহ কেহ কেশ কর্তন করিবে। তোমাদের কোন ভয় থাকিবে না। আল্লাহ্ জানেন তোমরা যাহা জান না। ইহা ছাড়াও তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন এক সদ্য বিজয়। (৪৮:২৭)
তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪৮:২৮)
অতীতের সতর্ককারীদের ন্যায় এই নবীও এক সতর্ককারী। (৫৩:৫৬)
নূন-শপথ কলমের এবং উহারা যাহা লিপিবদ্ধ করে তাহার, (৬৮:১)
তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি উন্মাদ নও। (৬৮:২)
তোমার জন্য অবশ্যই রহিয়াছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার, (৬৮:৩)
তুমি অবশ্যই মহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত। (৬৮:৪)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
‘এবং নিশ্চয়ই সমুচ্চ আমাদের প্রতিপালকের মর্যাদা; তিনি গ্রহণ করেন নাই কোন পত্নী এবং না কোন সন্তান। (৭২:৩)
‘এবং আরও এই যে, আমাদের মধ্যকার নির্বোধেরা আল্লাহ্র সম্বন্ধে অতি অবাস্তব উক্তি করিত। (৭২:৪)
হে বস্ত্রাবৃত! (৭৩:১)
রাত্রি জাগরণ কর, কিছু অংশ ব্যতীত, (৭৩:২)
অর্ধ রাত্রি কিংবা তদপেক্ষা অল্প (৭৩:৩)
অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে; (৭৩:৪)
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিতেছি গুরুভার বাণী। (৭৩:৫)
অবশ্য দলনে রাত্রিকালের উত্থান প্রবলতর এবং বাকস্ফুরণে সঠিক। (৭৩:৬)
দিবাভাগে তোমার জন্য রহিয়াছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা। (৭৩:৭)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁহাতে মগ্ন হও। (৭৩:৮)
হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! (৭৪:১)
উঠ, আর সতর্ক কর, (৭৪:২)
এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (৭৪:৩)
তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করিবার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা উহার সঙ্গে সঞ্চালন করিও না। (৭৫:১৬)
ইহা সংরক্ষন ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৭)
সুতরাং যখন আমি উহা পাঠ করি তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর, (৭৫:১৮)
অতঃপর ইহার বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৯)
আমি শপথ করি পশ্চাদপসরণকারী নক্ষত্রের, (৮১:১৫)
যাহা প্রত্যাগমন করে ও অদৃশ্য হয়, (৮১:১৬)
শপথ নিশার যখন উহার অবসান হয়। (৮১:১৭)
আর ঊষার, যখন উহার আর্বিভাব হয়, (৮১:১৮)
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। (৮১:১৯)
যে সামর্থ্যশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, (৮১:২০)
যাহাকে সেখানে মান্য করা হয়, যে বিশ্বাসভাজন। (৮১:২১)
আর তোমাদের সাথী উন্মাদ নয়, (৮১:২২)
সে তো তাহাকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখিয়াছে, (৮১:২৩)
সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নয়। (৮১:২৪)
শপথ পূর্বাহ্নের, (৯৩:১)
শপথ রজনীর যখন উহা হয় নিঝুম, (৯৩:২)
তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেন নাই এবং তোমার প্রতি বিরূপও হয় নাই। (৯৩:৩)
তোমার জন্য পরবর্তী সময় তো পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা শ্রেয়। (৯৩:৪)
অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে অনুগ্রহ দান করিবেন আর তুমি সন্তুষ্ট হইবে। (৯৩:৫)
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম অবস্থায় পান নাই আর তোমাকে আশ্রয় দান করেন নাই? (৯৩:৬)
তিনি তোমাকে পাইলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, অতঃপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন। (৯৩:৭)
তিনি তোমাকে পাইলেন নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর অভাবমুক্ত করিলেন, (৯৩:৮)
সুতরাং তুমি ইয়াতীমের প্রতি কঠোর হইও না; (৯৩:৯)
এবং প্রার্থীকে ভর্ৎসনা করিও না। (৯৩:১০)
তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানাইয়া দাও। (৯৩:১১)
আমি অবশ্যই তোমাকে কাওছার দান করিয়াছি। (১০৮:১)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। (১০৮:২)
নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ। (১০৮:৩)