হে রাসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা প্রচার কর; যদি না কর তবে তো তুমি তাঁহার বার্তা প্রচার করিলে না। আল্লাহ্ তোমাকে মানুষ হইতে রক্ষা করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৫:৬৭)
তোমরা আল্লাহ্র আনুগত্য কর ও রাসূলের আনুগত্য কর এবং সতর্ক হও; যদি তোমরা মুখ ফিরাইয়া নেও তবে জানিয়া রাখ, স্পষ্ট প্রচারই আমার রাসূলের কর্তব্য। (৫:৯২)
প্রচার করাই কেবল রাসূলের কর্তব্য। আর তোমরা যাহা প্রকাশ কর ও গোপন রাখ আল্লাহ্ তাহা জানেন। (৫:৯৯)
বল, ‘আমি তোমাদেরকে ইহা বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহ্র ধনভান্ডার আছে, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি অবগত নই; এবং তোমাদেরকে ইহাও বলি না যে, আমি ফিরিশ্তা; আমার প্রতি যাহা ওহী হয় আমি শুধু তাহারই অনুসরণ করি। বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান?’ তোমরা কি অনুধাবন কর না? (৬:৫০)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তুমি তাহারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই এবং মুশরিকেদের হইতে মুখ ফিরাইয়া লও। (৬:১০৬)
আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তাহারা শির্ক করিত না এবং তোমাকে তাহাদের জন্য রক্ষক নিযুক্ত করি নাই; আর তুমি তাহাদের অভিভাবকও নও। (৬:১০৭)
‘যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যাহার উল্লেখ তাওরাত ও ইন্জীল, যাহা তাহাদের নিকট আছে তাহাতে লিপিবদ্ধ পায়, যে তাহাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে মুক্ত করে তাহাদের কে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে- যাহা তাহাদের উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (৭:১৫৭)
বল, ‘আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা করেন তাহা ব্যতীত আমার নিজের ভাল-মন্দের উপরও আমার কোন অধিকার নাই। আমি যদি অদৃশ্যের খবর জানিতাম তবে তো আমি প্রভূত কল্যাণই লাভ করিতাম এবং কোন অকল্যাণই আমাকে স্পর্শ করিত না। আমি তো শুধু মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য সতর্ককারী ও সুসংবাদদাতা বৈ আর কিছুই নই।’ (৭:১৮৮)
তুমি তখন তাহাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর না, তখন তাহারা বলে, ‘তুমি নিজেই একটি নিদর্শন বাছিয়া নাও না কেন?’ বল, ‘আমার প্রতিপালক দ্বারা আমি যে বিষয়ে প্রত্যাদিষ্ট হই, আমি তো শুধু তাহারই অনুসরণ করি; এই কুরআন তোমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য ইহা হিদায়াত ও রহমত।’ (৭:২০৩)
মানুষের জন্য ইহা কি আশ্চর্যের বিষয় যে, আমি তাহাদেরই একজনের নিকট ওহী প্রেরণ করিয়াছি এই মর্মে যে, তুমি মানুষকে সতর্ক কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও, তাহাদের জন্য তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে উচ্চ মর্যাদা! কাফিররা বলে, ‘এ তো এক সুস্পষ্ট জাদুকর!’ (১০:২)
যখন আমার আয়াত, যাহা সু্স্পষ্ট, তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহারা বলে, ‘অন্য এক কুরআন আন ইহা ছাড়া, অথবা ইহাকে বদলাও।’ বল, ‘নিজ হইতে ইহা বদলান আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যাহা ওহী হয়, আমি কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করিলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি। (১০:১৫)
বল, ‘আল্লাহ্ যদি চাহিতেন আমিও তোমাদের নিকট ইহা তিলাওয়াত করিতাম না এবং তিনিও তোমাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করিতেন না। আমি তো ইহার পূর্বে তোমাদের মধ্যে জীবনের দীর্ঘকাল অবস্থান করিয়াছি; তুবও কি তোমরা বুঝিতে পার না?’ (১০:১৬)
বল, ‘হে মানুষ! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট সত্য আসিয়াছে। সুতরাং যাহারা সৎপথ অবলম্বন করিবে তাহারা তো নিজেদেরই মঙ্গলের জন্য সৎপথ অবলম্বন করিবে এবং যাহারা পথভ্রষ্ট হইবে তাহারা তো পথভ্রষ্ট হইবে নিজেদেরই ধ্বংসের জন্য এবং আমি তো তোমাদের কর্মবিধায়ক নই।’ (১০:১০৮)
তোমার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হইয়ছে তুমি তাহার অনুসরণ কর এবং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ ফয়সালা করেন এবং আল্লাহ্ই সর্বোত্তম বিধানকর্তা। (১০:১০৯)
তবে কি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহার কিছু তুমি বর্জন করিবে এবং ইহাতে তোমার মন সংকুচিত হইবে এইজন্য যে, তাহারা বলে, ‘তাহার নিকট ধনভান্ডার প্রেরিত হয় না কেন অথবা তাহার সঙ্গে ফিরিশ্তা আসে না কেন?’ তুমি তো কেবল সতর্ককারী এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ের কর্মবিধায়ক। (১১:১২)
সুতরাং তুমি যেভাবে আদিষ্ট হইয়াছ তাহাতে স্থির থাক এবং তোমার সঙ্গে যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহারাও স্থির থাকুক; এবং সীমালংঘন করিও না। তোমরা যাহা কর নিশ্চয়ই তিনি তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (১১:১১২)
আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করিতেছি, ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট এই কুরআন প্রেরণ করিয়া; যদিও ইহার পূর্বে তুমি ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত। (১২:৩)
ইহা অদৃশ্যলোকের সংবাদ যাহা তোমাকে আমি ওহী দ্বারা অবহিত করিতেছি; ষড়যন্ত্রকালে যখন উহারা মতৈক্যে পৌঁছিয়াছিল, তখন তুমি উহাদের সঙ্গে ছিলে না। (১২:১০২)
তুমি যতই চাও না কেন, অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করিবার নয়। (১২:১০৩)
এবং তুমি তাহাদের নিকট ইহার জন্য কোন পারিশ্রমিক দাবি করিতেছ না। ইহা তো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ ব্যতীত কিছু নয়। (১২:১০৪)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে অনেক নিদর্শন রহিয়াছে; তাহারা এই সমস্ত প্রত্যক্ষ করে, কিন্তু তাহারা এই সকলের প্রতি উদাসীন। (১২:১০৫)
তাহাদের অধিকাংশ আল্লাহে্ বিশ্বাস করে, কিন্ত তাঁহার শরীক করে। (১২:১০৬)
যাহারা কুফরী করিয়াছে তাহারা বলে, ‘তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার নিকট কোন নিদর্শন অবতীর্ণ হয় না কেন?’ তুমি তো কেবল সতর্ককারী এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য আছে প্রথপ্রদর্শক। (১৩:৭)
এইভাবে আমি তোমাকে পাঠাইয়াছি এক জাতির প্রতি যাহার পূর্বে বহু জাতি গত হইয়াছে, উহাদের নিকট তিলাওয়াত করিবার জন্য, যাহা আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি। তথাপি উহারা দয়াময়কে অস্বীকার করে। বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাঁহারই উপর আমি নির্ভর করি এবং আমার প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (১৩:৩০)
আমি যাহাদেরকে কিতাব দিয়াছি তাহারা যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে আনন্দ পায়, কিন্তু কোন কোন দল উহার কতক অংশ অস্বীকার করে। বল, ‘আমি তো আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিতে ও তাঁহার কোন শরীক না করিতে আদিষ্ট হইয়াছি। আমি তাঁহারই প্রতি আহ্বান করি এবং তাঁহারই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন।’ (১৩:৩৬)
এইভাবে আমি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি বিধানরূপে আরবী ভাষায়। জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিরুদ্ধে তোমার কোন অভিভাবক ও রক্ষক থাকিবে না। (১৩:৩৭)
তোমার পূর্বে আমি তো অনেক রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দিয়াছিলাম। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত কোন নিদর্শন উপস্থিত করা কোন রাসূলের কাজ নয়। প্রত্যেক বিষয়ের নির্ধারিত কাল লিপিবদ্ধ। (১৩:৩৮)
আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা তাহা নিশ্চিহ্ন করেন এবং যাহা ইচ্ছা তাহা প্রতিষ্ঠিত রাখেন এবং তাঁহারই নিকট আছে উম্মুল কিতাব। (১৩:৩৯)
উহাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি ইহার পূর্বে তোমার কাল পূর্ণ করিয়া দেই-তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ। (১৩:৪০)
এবং বল, ‘আমি তো কেবল এক প্রকাশ্য সতর্ককারী।’ (১৫:৮৯)
যেভাবে আমি অবতীর্ণ করিয়াছিলাম বিভক্তকারীদের উপর; (১৫:৯০)
যাহারা কুরআনকে বিভিন্নভাবে বিভক্ত করিয়াছে। (১৫:৯১)
সুতরাং শপথ তোমার প্রতিপালকের! আমি উহাদের সকলকে প্রশ্ন করিবই, (১৫:৯২)
সেই বিষয়ে, যাহা উহারা করে। (১৫:৯৩)
অতএব তুমি যে বিষয়ে আদিষ্ট হইয়াছ তাহা প্রকাশ্যে প্রচার কর এবং মুশরিকদেরকে উপেক্ষা কর। (১৫:৯৪)
আমিই যথেষ্ট তোমার জন্য বিদ্রূপকারীদের বিরুদ্ধে, (১৫:৯৫)
যাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে অপর ইলাহ্ নির্ধারণ করিয়াছে। সুতরাং শীঘ্রই ইহারা জানিতে পারিবে। (১৫:৯৬)
মুশরিকরা বলিবে, ‘আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে আমাদের পিতৃপুরুষেরা ও আমরা তাঁহাকে ব্যতীত অপর কোন কিছুর ‘ইবাদত করিতাম না এবং তাঁহার অনুজ্ঞা ব্যতীত আমরা কোন কিছু নিষিদ্ধ করিতাম না।’ উহাদের পূর্ববর্তীরা এইরূপই করিত। রাসূলদের কর্তব্য তো কেবল সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। (১৬:৩৫)
আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিবার ও তাগূতকে বর্জন করিবার নির্দেশ দিবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠাইয়াছি। অতঃপর উহাদের কতককে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহাদের কতকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হইয়াছিল; সুতরাং পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ, যাহারা সত্যকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছে! (১৬:৩৬)
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্ম-সমর্পণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম। (১৬:৮৯)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালংঘন; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাহাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। (১৬:৯০)
তোমরা আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূর্ণ করিও যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা আল্লাহ্কে তোমাদের যামিন করিয়া শপথ দৃঢ় করিবার পর উহা ভঙ্গ করিও না। তোমরা যাহা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাহা জানেন। (১৬:৯১)
তোমার প্রতিপালক ওহীর দ্বারা তোমাকে যে হিক্মত দান করিয়াছেন এইগুলি তাহার অন্তর্ভুক্ত। তুমি আল্লাহ্র সঙ্গে অপর ইলাহ্ স্থির করিও না, করিলে তুমি নিন্দিত ও বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হইবে। (১৭:৩৯)
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে ভালভাবে জানেন। ইচ্ছা করিলে তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করেন এবং ইচ্ছা করিলে তোমাদেরকে শাস্তি দেন; আমি তোমাকে উহাদের অভিভাবক করিয়া পাঠাই নাই। (১৭:৫৪)
যাহারা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে আছে তাহাদেরকে তোমার প্রতিপালক ভালভাবে জানেন। আমি তো নবীগণের কতককে কতকের উপর মর্যাদা দিয়াছি; দাঊদকে আমি যাবূর দিয়াছি। (১৭:৫৫)
আমি সত্যসহই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং উহা সত্যসহই অবতীর্ণ হইয়াছে। আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি। (১৭:১০৫)
তুমি তোমার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট তোমার প্রতিপালকের কিতাব হইতে পাঠ করিয়া শোনাও। তাঁহার বাক্য পরিবর্তন করিবার কেহই নাই। তুমি কখনই তাঁহাকে ব্যতীত অন্য কোন আশ্রয় পাইবে না। (১৮:২৭)
বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। সুতরাং যে তাহার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তাহার প্রতিপালকের ‘ইবাদতে কাহাকেও শরীক না করে।’ (১৮:১১০)
আল্লাহ্ অতি মহান, প্রকৃত অধিপতি। তোমার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হইবার পূর্বে কুরআন পাঠে তুমি ত্বরা করিও না এবং বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।’ (২০:১১৪)
বল, ‘আল্লাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।’ অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরাইয়া লও, তবে তাহার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য সে-ই দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী; এবং তোমরা তাহার আনুগত্য করিলে সৎপথ পাইবে, আর রাসূলের কাজ তো কেবল স্পষ্টভাবে পৌঁছাইয়া দেওয়া। (২৪:৫৪)
উহারা তোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করে না, যাহার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করি না। (২৫:৩৩)
সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করিও না এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে উহাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম চালাইয়া যাও। (২৫:৫২)
আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করিয়াছি। (২৫:56)
বল, ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তাহার প্রতিপালকের দিকের পথ অবলম্বন করুক।’ (২৫:৫৭)
যিনি তোমার জন্য কুরআনকে করিয়াছেন বিধান তিনি তোমাকে অবশ্যই ফিরাইয়া আনিবেন জন্মভূমিতে। বল, ‘আমার প্রতিপালক ভাল জানেন কে সৎপথের নির্দেশ আনিয়াছে এবং কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে আছে।’ (২৮:৮৫)
তুমি আশা কর নাই যে, তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হইবে। ইহা তো কেবল তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ। সুতরাং তুমি কখনও কাফিরদের সহায় হইও না। (২৮:৮৬)
তোমার প্রতি আল্লাহ্র আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর উহারা যেন তোমাকে কিছুতেই সেগুলি হইতে বিমুখ না করে। তুমি তোমার প্রতিপালকের দিকে আহ্বান কর এবং কিছুতেই মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (২৮:৮৭)
তুমি আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য ইলাহ্কে ডাকিও না, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। আল্লাহ্র সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংসশীল। বিধান তাঁহারই এবং তাঁহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে। (২৮:৮৮)
তুমি আবৃত্তি কর কিতাব হইতে যাহা তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়। এবং সালাত কায়েম কর। সালাত অবশ্যই বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দ কার্য হইতে। আর আল্লাহ্র স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তাহা জানেন। (২৯:৪৫)
তোমরা উত্তম পন্থা ব্যতীত কিতাবীদের সঙ্গে বিতর্ক করিবে না, তবে তাহাদের সঙ্গে করিতে পার, যাহারা উহাদের মধ্যে সীমালংঘনকারী। এবং বল, ‘আমাদের প্রতি ও তোমাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে, তাহাতে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমাদের ইলাহ্ ও তোমাদের ইলাহ্ তো একই এবং আমরা তাঁহারই প্রতি আত্মসমর্পণকারী।’ (২৯:৪৬)
এইভাবেই আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং যাহাদেরকে আমি কিতাব দিয়াছিলাম তাহারা ইহাতে বিশ্বাস করে। আর ইহাদেরও কেহ কেহ ইহাতে বিশ্বাস করে। কেহ অস্বীকার করে না আমার নিদর্শনাবলী কাফির ব্যতীত। (২৯:৪৭)
তুমি তো ইহার পূর্বে কোন কিতাব পাঠ কর নাই এবং স্বহস্তে কোন কিতাব লিখ নাই যে, মিথ্যাচারীরা সন্দেহ পোষণ করিবে। (২৯:৪৮)
উহারা বলে, ‘তাহার প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার নিকট নিদর্শন প্রেরিত হয় না কেন?’ বল, ‘নিদর্শন আল্লাহ্রই ইখ্তিয়ারে। আমি তো একজন প্রকাশ্য সতর্ককারী মাত্র।’ (২৯:৫০)
ইহা কি উহাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি, যাহা উহাদের নিকট পাঠ করা হয়? ইহাতে অবশ্যই অনুগ্রহ ও উপদেশ রহিয়াছে সেই কওমের জন্য যাহারা ঈমান আনে। (২৯:৫১)
হে নবী! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং কাফিরদের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করিও না। আল্লাহ্ তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৩৩:১)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তাহার অনুসরণ কর; তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ তো সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (৩৩:২)
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহ্র উপর এবং কর্মবিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৩৩:৩)
হে নবী! আমি তো তোমাকে পাঠাইয়াছি সাক্ষীরূপে এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, (৩৩:৪৫)
আল্লাহ্র অনুমতিক্রমে তাঁহার দিকে আহ্বানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে। (৩৩:৪৬)
তুমি মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও যে, তাহাদের জন্য আল্লাহ্র নিকট রহিয়াছে মহাঅনুগ্রহ। (৩৩:৪৭)
যাহাদেরকে জ্ঞান দেওয়া হইয়াছে তাহারা জানে যে, তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাই সত্য; ইহা পরাক্রমশালী প্রশংসার্হ আল্লাহ্র পথনির্দেশ করে। (৩৪:৬)
আমি তো তোমাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করিয়াছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (৩৪:২৮)
তুমি একজন সতর্ককারী মাত্র। (৩৫:২৩)
আমি তো তোমাকে সত্যসহ প্রেরণ করিয়াছি সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে; এমন কোন সম্প্রদায় নাই যাহার নিকট সতর্ককারী প্রেরিত হয় নাই। (৩৫:২৪)
আমি রাসূলকে কাব্য রচনা করিতে শিখাই নাই এবং ইহা তাহার পক্ষে শোভনীয় নয়। ইহা তো কেবল এক উপদেশ এবং সুস্পষ্ট কুরআন; (৩৬:৬৯)
বল, ‘ইহা এক মহাসংবাদ, (৩৮:৬৭)
‘যাহা হইতে তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইতেছ। (৩৮:৬৮)
‘ঊর্ধ্বলোকে তাহাদের বাদানুবাদ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না। (৩৮:৬৯)
‘আমার নিকট তো এই ওহী আসিয়াছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’ (৩৮:৭০)
আমি তোমার নিকট এই কিতাব সত্যসহ অবতীর্ণ করিয়াছি। সুতরাং আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর তাঁহার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া। (৩৯:২)
আমি তোমার প্রতি সত্যসহ কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য; অতঃপর যে সৎপথ অবলম্বন করে সে তাহা করে নিজেরই কল্যাণের জন্য এবং যে বিপথগামী হয় সে তো বিপথগামী হয় নিজেরই ধ্বংসের জন্য এবং তুমি উহাদের তত্ত্বাবধায়ক নও। (৩৯:৪১)
এক কিতাব, বিশদভাবে বিবৃত হইয়াছে ইহার আয়াতসমূহ, আরবী ভাষায় কুরআন, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য, (৪১:৩)
অতঃপর আমি উহাদেরকে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি আস্বাদন করাইবার জন্য উহাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম ঝঞ্ঝাবায়ু অশুভ দিনে। আখিরাতের শাস্তি তো অধিকতর লাঞ্ছনাদায়ক এবং উহাদেরকে সাহায্য করা হইবে না। (৪১:৬)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি আরবী ভাষায়, যাহাতে তুমি সতর্ক করিতে পার মক্কা ও উহার চতুর্দিকের জনগণকে এবং সতর্ক করিতে পার কিয়ামত দিবস সম্পর্কে, যাহাতে কোন সন্দেহ নাই। সেদিন একদল জান্নাতে প্রবেশ করিবে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করিবে। (৪২:৭)
তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করিয়াছেন দীন যাহার নির্দেশ দিয়াছিলেন তিনি নূহ্কে, আর যাহা আমি ওহী করিয়াছি তোমাকে এবং যাহার নির্দেশ দিয়াছিলাম ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসাকে, এই বলিয়া যে, তোমরা দীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং উহাতে মতভেদ করিও না। তুমি মুশরিকদেরকে যাহার প্রতি আহ্বান করিতেছ তাহা উহাদের নিকট দুর্বহ মনে হয়। আল্লাহ্ যাহাকে ইচ্ছা দীনের প্রতি আকৃষ্ট করেন এবং যে তাঁহার অভিমুখী, তাহাকে দীনের দিকে পরিচালিত করেন। (৪২:১৩)
উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর কেবল পারস্পরিক বিদ্বেষবশত উহারা নিজেদের মধ্যে মতভেদ ঘটায়। এক নির্ধারিত কাল পর্যন্ত অবকাশ সম্পর্কে তোমার প্রতিপালকের পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকিলে উহাদের বিষয়ে ফয়সালা হইয়া যাইত। উহাদের পর যাহারা কিতাবের উত্তারাধিকারী হইয়াছে তাহারা তো সেই সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছে। (৪২:১৪)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তোমাকে তো আমি ইহাদের রক্ষক করিয়া পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে ইহাতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন উহাদের কৃতকর্মের জন্য উহাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হইয়া পড়ে অকৃতজ্ঞ। (৪২:৪৮)
মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ্ তাহার সঙ্গে কথা বলিবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে, অথবা এমন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে, যেই দূত তাঁহার অনুমতিক্রমে তিনি যাহা চাহেন তাহা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়। (৪২:৫১)
সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)
উহারা কী করিয়া উপদেশ গ্রহণ করিবে? উহাদের নিকট তো আসিয়াছে স্পষ্ট ব্যাখ্যাতা এক রাসূল; (৪৪:১৩)
ইহার পর আমি তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর; সুতরাং তুমি উহার অনুসরণ কর, অজ্ঞদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৪৫:১৮)
আল্লাহ্র মুকাবিলায় উহারা তোমার কোনই উপকার করিতে পারিবে না; জালিমরা তো একে অপরের বন্ধু; আর আল্লাহ্ মুত্তাকীদের বন্ধু। (৪৫:১৯)
এই কুরআন মানবজাতির জন্য সুস্পষ্ট দলীল এবং নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথনির্দেশ ও রহমত। (৪৫:২০)
তবে কি উহারা বলে যে, ‘সে উহা উদ্ভাবন করিয়াছে।’ বল, ‘যদি আমি ইহা উদ্ভাবন করিয়া থাকি, তবে তোমরা তো আল্লাহ্র শাস্তি হইতে আমাকে কিছুতেই রক্ষা করিতে পারিবে না। তোমরা যে বিষয়ে আলোচনায় লিপ্ত আছ, সে সম্বন্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত। আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে তিনিই যথেষ্ট এবং তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (৪৬:৮)
বল, ‘আমি কোন নূতন রাসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হইবে; আমি আমার প্রতি যাহা ওহী করা হয় কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’ (৪৬:৯)
যাহারা কুফরী করে এবং অপরকে আল্লাহ্র পথ হইতে নিবৃত্ত করে তিনি তাহাদের কর্ম ব্যর্থ করিয়া দেন। (৪৭:১)
যাহারা ঈমান আনে, সৎকর্ম করে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে বিশ্বাস করে, আর উহাই তাহাদের প্রতিপালক হইতে প্রেরিত সত্য, তিনি তাহাদের মন্দ কর্মগুলি বিদূরিত করিবেন এবং তাহাদের অবস্থা ভাল করিবেন। (৪৭:২)
ইহা এইজন্য যে, যাহারা কুফরী করে তাহারা মিথ্যার অনুসরণ করে এবং যাহারা ঈমান আনে তাহারা তাহাদের প্রতিপালক-প্রেরিত সত্যের অনুসরণ করে। এইভাবে আল্লাহ্ মানুষের জন্য তাহাদের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। (৪৭:৩)
আমি তোমাকে প্রেরণ করিয়াছি সাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, (৪৮:৮)
তিনিই তাঁহার রাসূলকে পথনির্দেশ ও সত্য দীনসহ প্রেরণ করিয়াছেন, অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করিবার জন্য। আর সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪৮:২৮)
শপথ নক্ষত্রের, যখন উহা হয় অস্তমিত, (৫৩:১)
তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়, (৫৩:২)
এবং সে মনগড়া কথাও বলে না। (৫৩:৩)
ইহা তো ওহী, যাহা তাহার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়, (৫৩:৪)
তাহাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী, (৫৩:৫)
প্রজ্ঞাসম্পন্ন, সে নিজ আকৃতিতে স্থির হইয়াছিল, (৫৩:৬)
তখন আল্লাহ্ তাঁহার বান্দার প্রতি যাহা ওহী করিবার তাহার ওহী করিলেন। (৫৩:১০)
অতীতের সতর্ককারীদের ন্যায় এই নবীও এক সতর্ককারী। (৫৩:৫৬)
উহাদের নিকট আসিয়াছে সুসংবাদ, যাহাতে আছে সাবধান বাণী; (৫৪:৪)
উহাদের নিকট আসিয়াছে সুসংবাদ, যাহাতে আছে সাবধান বাণী; (৫৪:৪)
অতএব তুমি উহাদের উপেক্ষা কর। যেদিন আহবানকারী আহ্বান করিবে এক ভয়াবহ পরিণামের দিকে, (৫৪:৬)
কুরআন আমি সহজ করিয়া দিয়াছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেহ আছে কি? (৫৪:১৭)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাহাদের সঙ্গে দিয়াছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাহাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি লৌহও দিয়াছি যাহাতে রহিয়াছে প্রচন্ড শক্তি ও রহিয়াছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ প্রকাশ করিয়া দেন কে প্রত্যক্ষ না করিয়াও তাঁহাকে ও তাঁহার রাসূলগণকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৭:২৫)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং তাঁহার রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি তাঁহার অনুগ্রহে তোমাদেরকে দিবেন দ্বিগুণ পুরস্কার এবং তিনি তোমাদেরকে দিবেন আলো, যাহার সাহায্যে তোমরা চলিবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করিবেন; আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫৭:২৮)
তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসূল পাঠাইয়াছেন তাহাদের মধ্য হইতে, যে তাহাদের নিকট আবৃত্তি করে তাঁহার আয়াতসমূহ; তাহাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিক্মত; ইতিপূর্বে তো উহারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে; (৬২:২)
তোমরা আল্লাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর; যদি তোমরা মুখ ফিরাইয়া লও, তবে আমার রাসূলের দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে প্রচার করা। (৬৪:১২)
বল, ‘ইহার জ্ঞান কেবল আল্লাহ্রই নিকট আছে, আমি তো স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’ (৬৭:২৬)
আমি কসম করিতেছি উহার, যাহা তোমরা দেখিতে পাও, (৬৯:৩৮)
এবং যাহা তোমরা দেখিতে পাও না; (৬৯:৩৯)
নিশ্চয়ই এই কুরআন এক সম্মানিত রাসূলের বহনকৃত বার্তা। (৬৯:৪০)
ইহা কোন কবির রচনা নয়; তোমরা অল্পই বিশ্বাস কর, (৬৯:৪১)
ইহা কোন গণকের কথাও নয়, তোমরা অল্পই অনুধাবন কর। (৬৯:৪২)
ইহা জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হইতে অবতীর্ণ। (৬৯:৪৩)
সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করিয়া চালাইতে চেষ্টা করিত, (৬৯:৪৪)
আমি অবশ্যই তাহার দক্ষিণ হস্ত ধরিয়া ফেলিতাম, (৬৯:৪৫)
এবং কাটিয়া দিতাম তাহার জীবন-ধমনী, (৬৯:৪৬)
অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেহই নাই, যে তাহাকে রক্ষা করিতে পারে। (৬৯:৪৭)
এই কুরআন মুত্তাকীদের জন্য অবশ্যই এক উপদেশ। (৬৯:৪৮)
আমি অবশ্যই জানি যে, তোমাদের মধ্যে মিথ্যা আরোপকারী রহিয়াছে। (৬৯:৪৯)
এবং এই কুরআন নিশ্চয়ই কাফিরদের অনুশোচনার কারণ হইবে, (৬৯:৫০)
অবশ্যই ইহা নিশ্চিত সত্য। (৬৯:৫১)
অতএব তুমি মহান প্রতিপালকের নামের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (৬৯:৫২)
‘কেবল আল্লাহ্র পক্ষ হইতে পৌঁছান এবং তাঁহার বাণী প্রচারই আমার দায়িত্ব। যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলকে অমান্য করে তাহাদের জন্য রহিয়াছে জাহান্নামের অগ্নি, সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। (৭২:২৩)
তিনি অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, তিনি তাঁহার অদৃশ্যের জ্ঞান কাহারও নিকট প্রকাশ করেন না, (৭২:২৬)
তাঁহার মনোনীত রাসূল ব্যতীত। সেই ক্ষেত্রে আল্লাহ্ রাসূলের অগ্রে এবং পশ্চাতে প্রহরী নিয়োজিত করেন, (৭২:২৭)
রাসূলগণ তাহাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছাইয়া দিয়াছেন কি না জানিবার জন্য। রাসূলগণের নিকট যাহা আছে তাহা তাঁহার জ্ঞানগোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন। (৭২:২৮)
অথবা তদপেক্ষা বেশি। আর কুরআন আবৃত্তি কর ধীরে ধীরে ও সুস্পষ্টভাবে; (৭৩:৪)
আমি তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিতেছি গুরুভার বাণী। (৭৩:৫)
অবশ্য দলনে রাত্রিকালের উত্থান প্রবলতর এবং বাকস্ফুরণে সঠিক। (৭৩:৬)
হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! (৭৪:১)
উঠ, আর সতর্ক কর, (৭৪:২)
এবং তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (৭৪:৩)
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। (৮১:১৯)
যে সামর্থ্যশালী, আরশের মালিকের নিকট মর্যাদাসম্পন্ন, (৮১:২০)
যাহাকে সেখানে মান্য করা হয়, যে বিশ্বাসভাজন। (৮১:২১)
আর তোমাদের সাথী উন্মাদ নয়, (৮১:২২)
সে তো তাহাকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখিয়াছে, (৮১:২৩)
সে অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে কৃপণ নয়। (৮১:২৪)
এবং ইহা অভিশপ্ত শয়তানের বাক্য নয়। (৮১:২৫)
সুতরাং তোমরা কোথায় চলিয়াছ? (৮১:২৬)
ইহা তো শুধু বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ, (৮১:২৭)
তোমাদের মধ্যে যে সরল পথে চলিতে চায়, তাহার জন্য। (৮১:২৮)
অতএব তুমি উপদেশ দাও; তুমি তো একজন উপদেশদাতা, (৮৮:২১)
শপথ পূর্বাহ্নের, (৯৩:১)
শপথ রজনীর যখন উহা হয় নিঝুম, (৯৩:২)
তোমার প্রতিপালক তোমাকে পরিত্যাগ করেন নাই এবং তোমার প্রতি বিরূপও হয় নাই। (৯৩:৩)
তোমার জন্য পরবর্তী সময় তো পূর্ববর্তী সময় অপেক্ষা শ্রেয়। (৯৩:৪)
অচিরেই তোমার প্রতিপালক তোমাকে অনুগ্রহ দান করিবেন আর তুমি সন্তুষ্ট হইবে। (৯৩:৫)
তিনি কি তোমাকে ইয়াতীম অবস্থায় পান নাই আর তোমাকে আশ্রয় দান করেন নাই? (৯৩:৬)
তিনি তোমাকে পাইলেন পথ সম্পর্কে অনবহিত, অতঃপর তিনি পথের নির্দেশ দিলেন। (৯৩:৭)
তিনি তোমাকে পাইলেন নিঃস্ব অবস্থায়, অতঃপর অভাবমুক্ত করিলেন, (৯৩:৮)
সুতরাং তুমি ইয়াতীমের প্রতি কঠোর হইও না; (৯৩:৯)
এবং প্রার্থীকে ভর্ৎসনা করিও না। (৯৩:১০)
তুমি তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহের কথা জানাইয়া দাও। (৯৩:১১)
আমি কি তোমার বক্ষ তোমার কল্যাণে প্রশস্ত করিয়া দেই নাই? (৯৪:১)
আমি অপসারণ করিয়াছি তোমার ভার, (৯৪:২)
যাহা ছিল তোমার জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক, (৯৪:৩)
এবং আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চমর্যাদা দান করিয়াছি। (৯৪:৪)
কষ্টের সঙ্গেই তো স্বস্তি আছে, (৯৪:৫)
অবশ্য কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি আছে। (৯৪:৬)