প্রচার করাই কেবল রাসূলের কর্তব্য। আর তোমরা যাহা প্রকাশ কর ও গোপন রাখ আল্লাহ্ তাহা জানেন। (৫:৯৯)
আমি রাসূলগণকে তো শুধু সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করি। কেহ ঈমান আনিলে ও নিজকে সংশোধন করিলে তাহার কোন ভয় নাই এবং সে দুঃখিতও হইবে না। (৬:৪৮)
বল, ‘আমি তোমাদেরকে ইহা বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহ্র ধনভান্ডার আছে, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি অবগত নই; এবং তোমাদেরকে ইহাও বলি না যে, আমি ফিরিশ্তা; আমার প্রতি যাহা ওহী হয় আমি শুধু তাহারই অনুসরণ করি। বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান?’ তোমরা কি অনুধাবন কর না? (৬:৫০)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তুমি তাহারই অনুসরণ কর, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই এবং মুশরিকেদের হইতে মুখ ফিরাইয়া লও। (৬:১০৬)
তাহারা আল্লাহ্র নামে কঠিন শপথ করিয়া বলে, তাহাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসিত তবে অবশ্যই তাহারা ইহাতে ঈমান আনিত। বল, ‘নিদর্শন তো আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারভুক্ত।’ তাহাদের নিকট নিদর্শন আসিলেও তাহারা যে ঈমান আনিবে না ইহা কিভাবে তোমাদের বোধগম্য করান যাইবে? (৬:১০৯)
তোমার নিকট কিতাব অবতীর্ণ করা হইয়াছে, তোমার মনে যেন ইহার সম্পর্কে কোন সঙ্কোচ না থাকে ইহার দ্বারা সতর্কীকরণের ব্যাপারে এবং মু’মিনদের জন্য ইহা উপদেশ। (৭:২)
তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমাদের নিকট যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তোমরা তাহার অনুসরণ কর এবং তাঁহাকে ছাড়া অন্যান্য অভিভাবকের অনুসরণ করিও না। তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (৭:৩)
হে বনী আদম! যদি তোমাদের মধ্য হইতে কোন রাসূল তোমাদের নিকট আসিয়া আমার নিদর্শন বিবৃত করে তখন যাহারা সাবধান হইবে এবং নিজেদের সংশোধন করিবে, তাহা হইলে তাহাদের কোন ভয় থাকিবে না এবং তাহারা দুঃখিতও হইবে না। (৭:৩৫)
যাহারা আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করিয়াছে এবং সে সম্বন্ধে অহংকার করিয়াছে তাহারাই দোজখবাসী, সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। (৭:৩৬)
‘যাহারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যাহার উল্লেখ তাওরাত ও ইন্জীল, যাহা তাহাদের নিকট আছে তাহাতে লিপিবদ্ধ পায়, যে তাহাদেরকে সৎকাজের নির্দেশ দেয় ও অসৎকাজে বাধা দেয়, যে তাহাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে ও অপবিত্র বস্তু হারাম করে এবং যে মুক্ত করে তাহাদের কে তাহাদের গুরুভার হইতে এবং শৃংখল হইতে- যাহা তাহাদের উপর ছিল। সুতরাং যাহারা তাহার প্রতি ঈমান আনে তাহাকে সম্মান করে, তাহাকে সাহায্য করে এবং যে নূর তাহার সঙ্গে অবতীর্ণ হইয়াছে উহার অনুসরণ করে তাহারাই সফলকাম। (৭:১৫৭)
তুমি তখন তাহাদের নিকট কোন নিদর্শন উপস্থিত কর না, তখন তাহারা বলে, ‘তুমি নিজেই একটি নিদর্শন বাছিয়া নাও না কেন?’ বল, ‘আমার প্রতিপালক দ্বারা আমি যে বিষয়ে প্রত্যাদিষ্ট হই, আমি তো শুধু তাহারই অনুসরণ করি; এই কুরআন তোমাদের প্রতিপালকের নিদর্শন, বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য ইহা হিদায়াত ও রহমত।’ (৭:২০৩)
যখন আমার আয়াত, যাহা সু্স্পষ্ট, তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহারা বলে, ‘অন্য এক কুরআন আন ইহা ছাড়া, অথবা ইহাকে বদলাও।’ বল, ‘নিজ হইতে ইহা বদলান আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যাহা ওহী হয়, আমি কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করিলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি। (১০:১৫)
বল, ‘আল্লাহ্ যদি চাহিতেন আমিও তোমাদের নিকট ইহা তিলাওয়াত করিতাম না এবং তিনিও তোমাদেরকে এ বিষয়ে অবহিত করিতেন না। আমি তো ইহার পূর্বে তোমাদের মধ্যে জীবনের দীর্ঘকাল অবস্থান করিয়াছি; তুবও কি তোমরা বুঝিতে পার না?’ (১০:১৬)
তোমার প্রতি যে ওহী অবতীর্ণ হইয়ছে তুমি তাহার অনুসরণ কর এবং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, যে পর্যন্ত না আল্লাহ্ ফয়সালা করেন এবং আল্লাহ্ই সর্বোত্তম বিধানকর্তা। (১০:১০৯)
তবে কি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তাহার কিছু তুমি বর্জন করিবে এবং ইহাতে তোমার মন সংকুচিত হইবে এইজন্য যে, তাহারা বলে, ‘তাহার নিকট ধনভান্ডার প্রেরিত হয় না কেন অথবা তাহার সঙ্গে ফিরিশ্তা আসে না কেন?’ তুমি তো কেবল সতর্ককারী এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ের কর্মবিধায়ক। (১১:১২)
এইভাবে আমি তোমাকে পাঠাইয়াছি এক জাতির প্রতি যাহার পূর্বে বহু জাতি গত হইয়াছে, উহাদের নিকট তিলাওয়াত করিবার জন্য, যাহা আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি। তথাপি উহারা দয়াময়কে অস্বীকার করে। বল, ‘তিনিই আমার প্রতিপালক; তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাঁহারই উপর আমি নির্ভর করি এবং আমার প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (১৩:৩০)
উহাদেরকে যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাই অথবা যদি ইহার পূর্বে তোমার কাল পূর্ণ করিয়া দেই-তোমার কর্তব্য তো কেবল প্রচার করা এবং হিসাব-নিকাশ তো আমার কাজ। (১৩:৪০)
আলিফ-লাম্-রা, এই কিতাব, ইহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছি যাহাতে তুমি মানবজাতিকে তাহাদের প্রতিপালকের নির্দেশক্রমে বাহির করিয়া আনিতে পার অন্ধকার হইতে আলোকে, তাঁহার পথে যিনি পরাক্রমশালী, প্রশংসার্হ, (১৪:১)
অতএব তুমি যে বিষয়ে আদিষ্ট হইয়াছ তাহা প্রকাশ্যে প্রচার কর এবং মুশরিকদেরকে উপেক্ষা কর। (১৫:৯৪)
মুশরিকরা বলিবে, ‘আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে আমাদের পিতৃপুরুষেরা ও আমরা তাঁহাকে ব্যতীত অপর কোন কিছুর ‘ইবাদত করিতাম না এবং তাঁহার অনুজ্ঞা ব্যতীত আমরা কোন কিছু নিষিদ্ধ করিতাম না।’ উহাদের পূর্ববর্তীরা এইরূপই করিত। রাসূলদের কর্তব্য তো কেবল সুস্পষ্ট বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। (১৬:৩৫)
আল্লাহ্র ‘ইবাদত করিবার ও তাগূতকে বর্জন করিবার নির্দেশ দিবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মধ্যেই রাসূল পাঠাইয়াছি। অতঃপর উহাদের কতককে আল্লাহ্ সৎপথে পরিচালিত করেন এবং উহাদের কতকের উপর পথভ্রান্তি সাব্যস্ত হইয়াছিল; সুতরাং পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ, যাহারা সত্যকে মিথ্যা বলিয়াছে তাহাদের পরিণাম কী হইয়াছে! (১৬:৩৬)
অতঃপর উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তোমার কর্তব্য তো কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌছাঁইয়া দেওয়া। (১৬:৮২)
আমি কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই রাসূলগণকে পাঠাইয়া থাকি, কিন্তু কাফিররা মিথ্যা অবলম্বনে বিতন্ডা করে, উহা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করিয়া দিবার জন্য এবং আমার নিদর্শনাবলী ও যদ্দ্বারা উহাদেরকে সতর্ক করা হইয়াছে সেই সমস্তকে উহারা বিদ্রূপের বিষয়রূপে গ্রহণ করিয়া থাকে। (১৮:৫৬)
বল, ‘আমি তো কেবল ওহী দ্বারাই তোমাদেরকে সতর্ক করি’, কিন্তু যাহারা বধির তাহাদেরকে যখন সতর্ক করা হয় তখন তাহারা সতর্কবাণী শুনে না। (২১:৪৫)
বল, ‘আল্লাহ্র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর।’ অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরাইয়া লও, তবে তাহার উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য সে-ই দায়ী এবং তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী; এবং তোমরা তাহার আনুগত্য করিলে সৎপথ পাইবে, আর রাসূলের কাজ তো কেবল স্পষ্টভাবে পৌঁছাইয়া দেওয়া। (২৪:৫৪)
আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করিয়াছি। (২৫:৫৬)
হে নবী! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং কাফিরদের ও মুনাফিকদের আনুগত্য করিও না। আল্লাহ্ তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৩৩:১)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তাহার অনুসরণ কর; তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ তো সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (৩৩:২)
আর তুমি নির্ভর কর আল্লাহ্র উপর এবং কর্মবিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৩৩:৩)
তাহারা আল্লাহ্র বাণী প্রচার করিত এবং তাঁহাকে ভয় করিত, আর আল্লাহ্কে ব্যতীত অন্য কাহাকেও ভয় করিত না। হিসাব গ্রহণে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৩৩:৩৯)
‘স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।’ (৩৬:১৭)
বল, ‘আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র এবং কোন ইলাহ্ নাই আল্লাহ্ ব্যতীত, যিনি এক, যিনি প্রবল প্রতাপশালী, (৩৮:৬৫)
‘ঊর্ধ্বলোকে তাহাদের বাদানুবাদ সম্পর্কে আমার কোন জ্ঞান ছিল না। (৩৮:৬৯)
‘আমার নিকট তো এই ওহী আসিয়াছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’ (৩৮:৭০)
উহারা যদি মুখ ফিরাইয়া নেয়, তবে তোমাকে তো আমি ইহাদের রক্ষক করিয়া পাঠাই নাই। তোমার কাজ তো কেবল বাণী পৌঁছাইয়া দেওয়া। আমি মানুষকে যখন অনুগ্রহ আস্বাদন করাই তখন সে ইহাতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন উহাদের কৃতকর্মের জন্য উহাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন মানুষ হইয়া পড়ে অকৃতজ্ঞ। (৪২:৪৮)
বরঞ্চ আমিই উহাদেরকে এবং উহাদের পূর্বপুরুষদেরকে দিয়াছিলাম ভোগের সামগ্রী, অবশেষে উহাদের নিকট আসিল সত্য এবং স্পষ্ট বর্ণনাকারী রাসূল। (৪৩:২৯)
সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)