মানুষের জন্য ইহা কি আশ্চর্যের বিষয় যে, আমি তাহাদেরই একজনের নিকট ওহী প্রেরণ করিয়াছি এই মর্মে যে, তুমি মানুষকে সতর্ক কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও, তাহাদের জন্য তাহাদের প্রতিপালকের নিকট আছে উচ্চ মর্যাদা! কাফিররা বলে, ‘এ তো এক সুস্পষ্ট জাদুকর!’ (১০:২)
যখন আমার আয়াত, যাহা সু্স্পষ্ট, তাহাদের নিকট পাঠ করা হয় তখন যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহারা বলে, ‘অন্য এক কুরআন আন ইহা ছাড়া, অথবা ইহাকে বদলাও।’ বল, ‘নিজ হইতে ইহা বদলান আমার কাজ নয়। আমার প্রতি যাহা ওহী হয়, আমি কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আমি আমার প্রতিপালকের অবাধ্যতা করিলে অবশ্যই আমি মহাদিবসের শাস্তির আশংকা করি। (১০:১৫)
আমি মূসা ও তাহার ভ্রাতাকে প্রত্যাদেশ করিলাম, ‘মিসরে তোমাদের সম্প্রদায়ের জন্য গৃহ স্থাপন কর এবং তোমাদের গৃহগুলিকে ‘ইবাদতগৃহ কর, সালাত কায়েম কর এবং মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।’ (১০:৮৭)
আমি তোমার নিকট উত্তম কাহিনী বর্ণনা করিতেছি, ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট এই কুরআন প্রেরণ করিয়া; যদিও ইহার পূর্বে তুমি ছিলে অনবহিতদের অন্তর্ভুক্ত। (১২:৩)
তোমার পূর্বেও জনপদবাসীদের মধ্য হইতে পুরুষগণকেই প্রেরণ করিয়াছিলাম, যাহাদের নিকট ওহী পাঠাইতাম। তাহারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে নাই এবং তাহাদের পূর্ববর্তীদের কি পরিণাম হইয়াছিল তাহা কি দেখে নাই? যাহারা মুত্তাকী তাহাদের জন্য পরলোকই শ্রেয়; তোমরা কি বুঝ না? (১২:১০৯)
বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। সুতরাং যে তাহার প্রতিপালকের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে ও তাহার প্রতিপালকের ‘ইবাদতে কাহাকেও শরীক না করে।’ (১৮:১১০)
আল্লাহ্ অতি মহান, প্রকৃত অধিপতি। তোমার প্রতি আল্লাহ্র ওহী সম্পূর্ণ হইবার পূর্বে কুরআন পাঠে তুমি ত্বরা করিও না এবং বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ কর।’ (২০:১১৪)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একই ইলাহ্, সুতরাং তোমরা হইয়া যাও আত্মসমর্পণকারী।’ (২১:১০৮)
তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার প্রতি যাহা ওহী হয় তাহার অনুসরণ কর; তোমরা যাহা কর, আল্লাহ্ তো সে বিষয়ে সম্যক অবহিত। (৩৩:২)
‘আমার নিকট তো এই ওহী আসিয়াছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’ (৩৮:৭০)
তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী, ‘আরশের অধিপতি, তিনি তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহার প্রতি ইচ্ছা ওহী প্রেরণ করেন স্বীয় আদেশসহ, যাহাতে সে সতর্ক করিতে পারে কিয়ামত দিবস সম্পর্কে। (৪০:১৫)
বল, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষই, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ্ একমাত্র ইলাহ্। অতএব তোমরা তাঁহারই পথ দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর এবং তাঁহারই নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। দুর্ভোগ অংশীবাদীদের জন্য- (৪১:৬)
এইভাবেই তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ্। (৪২:৩)
এইভাবে আমি তোমার প্রতি প্রত্যাদেশ করিয়াছি রূহ্ তথা আমার নির্দেশ; তুমি তো জানিতে না কিতাব কি এবং ঈমান কি। পক্ষান্তরে আমি ইহাকে করিয়াছি আলো যাহা দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা পথনির্দেশ করি; তুমি তো প্রদর্শন কর কেবল সরল পথ- (৪২:৫২)
সুতরাং তোমার প্রতি যাহা ওহী করা হইয়াছে তাহা দৃঢ়ভাবে অবলম্বন কর। তুমি সরল পথেই রহিয়াছ। (৪৩:৪৩)
বল, ‘আমি কোন নূতন রাসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হইবে; আমি আমার প্রতি যাহা ওহী করা হয় কেবল তাহারই অনুসরণ করি। আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।’ (৪৬:৯)
ইহা তো ওহী, যাহা তাহার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়, (৫৩:৪)
তখন আল্লাহ্ তাঁহার বান্দার প্রতি যাহা ওহী করিবার তাহার ওহী করিলেন। (৫৩:১০)
বল, ‘আমার প্রতি ওহী প্রেরিত হইয়াছে যে, জিনদের একটি দল মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করিয়াছে এবং বলিয়াছে, ‘আমরা তো এক বিস্ময়কর কুরআন শ্রবণ করিয়াছি, (৭২:১)
‘যাহা সঠিক পথনির্দেশ করে; ফলে আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়াছি। আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের কোন শরীক স্থির করিব না, (৭২:২)
তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করিবার জন্য তুমি তোমার জিহ্বা উহার সঙ্গে সঞ্চালন করিও না। (৭৫:১৬)
ইহা সংরক্ষন ও পাঠ করাইবার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৭)
সুতরাং যখন আমি উহা পাঠ করি তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর, (৭৫:১৮)
অতঃপর ইহার বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৯)