স্মরণ কর, আল্লাহ্ যাহাকে অনুগ্রহ করিয়াছেন এবং তুমিও যাহার প্রতি অনুগ্রহ করিয়াছ, তুমি তাহাকে বলিতেছিলে, ‘তুমি তোমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখ এবং আল্লাহ্কে ভয় কর।’ তুমি তোমার অন্তরে যাহা গোপন করিতেছ আল্লাহ্ তাহা প্রকাশ করিয়া দিতেছেন; তুমি লোকভয় করিতেছিলে, অথচ আল্লাহ্কেই ভয় করা তোমার পক্ষে অধিকতর সংগত। অতঃপর যায়দ যখন যয়নবের সঙ্গে বিবাহ সম্পর্ক ছিন্ন করিল, তখন আমি তাহাকে তোমার সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ করিলাম, যাহাতে মু’মিনদের পোষ্য পুত্রগণ নিজ স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহসূত্র ছিন্ন করিলে সেইসব রমণীকে বিবাহ করায় মু’মিনদের কোন বিঘ্ন না হয়। আল্লাহ্র আদেশ কার্যকরী হইয়াই থাকে। (৩৩:৩৭)
আল্লাহ্ নবীর জন্য যাহা বিধিসম্মত করিয়াছেন তাহা করিতে তাহার জন্য কোন বাধা নাই। পূর্বে যেসব নবী অতীত হইয়া গিয়াছে, তাহাদের ক্ষেত্রেও ইহাই ছিল আল্লাহ্র বিধান। আল্লাহ্র বিধান সুনির্ধারিত। (৩৩:৩৮)
হে নবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করিয়াছি তোমার স্ত্রীগণকে, যাহাদের মাহ্র তুমি প্রদান করিয়াছ এবং বৈধ করিয়াছি ফায় হিসাবে আল্লাহ্ তোমাকে যাহা দান করিয়াছেন তন্মধ্য হইতে যাহারা তোমার মালিকানাধীন হইয়াছে তাহাদেরকে, এবং বিবাহের জন্য বৈধ করিয়াছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যাহারা তোমার সঙ্গে দেশ ত্যাগ করিয়াছে এবং কোন মু’মিন নারী নবীর নিকট নিজকে নিবেদন করিলে এবং নবী তাহাকে বিবাহ করিতে চাহিলে সেও বৈধ- ইহা বিশেষ করিয়া তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাহাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাহাদের মালিকানাধীন দাসিগণ সম্বন্ধে যাহা নির্ধারিত করিয়াছি, তাহা আমি জানি। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৩৩:৫০)
তুমি উহাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা তোমার নিকট হইতে দূরে রাখিতে পার এবং যাহাকে ইচ্ছা তোমার নিকট স্থান দিতে পার। আর তুমি যাহাকে দূরে রাখিয়াছ তাহাকে কামনা করিলে তোমার কোন অপরাধ নাই। এই বিধান এইজন্য যে, ইহাতে উহাদের তুষ্টি সহজতর হইবে এবং উহারা দুঃখ পাইবে না আর উহাদেরকে তুমি যাহা দিবে তাহাতে উহাদের প্রত্যেকেই প্রীত থাকিবে। তোমাদের অন্তরে যাহা আছে আল্লাহ্ তাহা জানেন। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, সহনশীল। (৩৩:৫১)
ইহার পর, তোমার জন্য কোন নারী বৈধ নয় এবং তোমার স্ত্রীদের পরিবর্তে অন্য স্ত্রী গ্রহণও বৈধ নয় যদিও উহাদের সৌন্দর্য তোমাকে মুগ্ধ করে; তবে তোমার অধিকারভুক্ত দাসীদের ব্যাপারে এই বিধান প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ্ সমস্ত কিছুই উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন। (৩৩:৫২)