তোমাদের কী হইয়াছে যে, যাহাতে আল্লাহ্র নাম নেওয়া হইয়াছে তোমরা তাহা হইতে আহার করিবে না? যাহা তোমাদের জন্য তিনি হারাম করিয়াছেন তাহা তিনি বিশদভাবেই তোমাদের নিকট বিবৃত করিয়াছেন, তবে তোমরা নিরুপায় হইলে তাহা স্বতন্ত্র। অনেকে অজ্ঞানতাবশত নিজেদের খেয়াল-খুশি দ্বারা অব্যশই অন্যকে বিপথগামী করে; নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক সীমালংঘনকারীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত। (৬:১১৯)
নর ও মাদী আটটি: মেষের দুইটি ও ছাগলের দুইটি; বল, ‘নর দুইটিই কি তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? তোমরা সত্যবাদী হইলে প্রমাণসহ আমাকে অবহিত কর;’ (৬:১৪৩)
এবং উটের দুইটি ও গরুর দুইটি। বল, ‘নর দুইটিই তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? এবং আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে এইসব নির্দেশ দান করেন তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে?’ সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞানতাবশত মানুষকে বিভ্রান্ত করিবার জন্য আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহার চেয়ে অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ্ তো জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৬:১৪৪)
বল, ‘আস, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যাহা হারাম করিয়াছেন তোমাদেরকে তাহা পড়িয়া শুনাই। উহা এই: ‘তোমরা তাঁহার কোন শরীক করিবে না, পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করিবে, দারিদ্র্যের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করিবে না, আমিই তোমাদের ও তাহাদেরকে রিযিক দিয়া থাকি। প্রকাশ্যে হউক কিংবা গোপনে হউক, অশ্লীন কাজের নিকটেও যাইবে না। আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষিদ্ধ করিয়াছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাহাকে হত্যা করিবে না।’ তোমাদেরকে তিনি এই নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা অনুধাবন কর। (৬:১৫১)
ইয়াতীম বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত উত্তম ব্যবস্থা ব্যতীত তোমরা তাহার সম্পত্তির নিকটবর্তী হইবে না এবং পরিমাণ ও ওজন ন্যায্যভাবে পুরাপুরি দিবে। আমি কাহাকেও তাহার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যখন তোমরা কথা বলিবে তখন ন্যায্য বলিবে-স্বজনের সম্পর্কে হইলেও এবং আল্লাহ্কে প্রদত্ত অঙ্গীকার পূর্ণ করিবে। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন, যেন তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। (৬:১৫২)
বল, ‘আল্লাহ্ স্বীয় বান্দাদের জন্য যেসব শোভাময় বস্তু ও বিশুদ্ধ জীবিকা সৃষ্টি করিয়াছেন তাহা কে হারাম করিয়াছে?’ বল, ‘পার্থিব জীবনে, বিশেষ করিয়া কিয়ামতের দিনে এই সমস্ত তাহাদের জন্য, যাহারা ঈমান আনে। এইভাবে আমি জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য নিদর্শন বিশদভাবে বিবৃত করি। (৭:৩২)
বল, ‘নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক হারাম করিয়াছেন প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা আর পাপ এবং অসংগত বিরোধিতা এবং কোন কিছুকে আল্লাহ্র শরীক করা-যাহার কোন সনদ তিনি প্রেরণ করেন নাই, এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে এমন কিছু বলা যাহা তোমরা জান না।’ (৭:৩৩)
বল, ‘ইহা আল্লাহ্র অনুগ্রহে ও তাঁহার দয়ায়; সুতরাং ইহাতে উহারা আনন্দিত হউক।’ উহারা যাহা পুঞ্জীভূত করে তাহা অপেক্ষা ইহা শ্রেয়। (১০:৫৮)
বল, ‘তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, আল্লাহ্ তোমাদের যে রিযিক দিয়াছেন তোমরা যে তাহার কিছু হালাল ও কিছু হারাম করিয়াছ? বল, ‘আল্লাহ্ কি তোমাদেরকে ইহার অনুমতি দিয়াছেন, না তোমরা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা আরোপ করিতেছ?’ (১০:৫৯)
যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা উদ্ভাবন করে, কিয়ামত দিবস সম্বন্ধে তাহাদের কী ধারণা? নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি অনুগ্রহপরায়ণ, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। (১০:৬০)
আল্লাহ্র সঙ্গে অপর কোন ইলাহ্ সাব্যস্ত করিও না; করিলে নিন্দিত ও লাঞ্ছিত হইয়া পড়িবে। (১৭:২২)
তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়াছেন তিনি ব্যতীত অন্য কাহারও ‘ইবাদত না করিতে ও পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করিতে। তাহাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হইলে তাহাদেরকে ‘উফ্’ বলিও না এবং তাহাদেরকে ধমক দিও না; তাহাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলিও। (১৭:২৩)
মমতাবশে তাহাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত করিও এবং বলিও, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাহাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তাহারা আমাকে প্রতিপালন করিয়াছিলেন।’ (১৭:২৪)
তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের অন্তরে যাহা আছে তাহা ভাল জানেন; যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও তবেই তো তিনি আল্লাহ্-অভিমুখীদের প্রতি অতিশয় ক্ষমাশীল। (১৭:২৫)
আত্মীয়-স্বজনকে দিবে তাহার প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় করিও না। (১৭:২৬)
যাহারা অপব্যয় করে তাহারা তো শয়তানের ভাই এবং শয়তান তাহার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (১৭:২৭)
এবং যদি উহাদের হইতে তোমার মুখ ফিরাইতেই হয়, তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায়, তাহা হইলে উহাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বলিও; (১৭:২৮)
তুমি তোমার হস্ত তোমার গ্রীবায় আবদ্ধ করিয়া রাখিও না এবং উহা সম্পূর্ণ প্রসারিতও করিও না, তাহা হইলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হইয়া পড়িবে। (১৭:২৯)
নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক যাহার জন্য ইচ্ছা তাহার রিযিক বর্ধিত করেন এবং যাহার জন্য ইচ্ছা উহা সীমিত করেন। তিনি তো তাঁহার বান্দাদের সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত, সর্বদ্রষ্টা। (১৭:৩০)
তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্র্য-ভয়ে হত্যা করিও না। উহাদেরকেও আমিই রিযিক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয়ই উহাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ। (১৭:৩১)
আর যিনার নিকটবর্তী হইও না, ইহা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ। (১৭:৩২)
আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষিদ্ধ করিয়াছেন যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাহাকে হত্যা করিও না। কেহ অন্যায়ভাবে নিহত হইলে তাহার উত্তরাধিকারীকে তো আমি উহা প্রতিকারের অধিকার দিয়াছি; কিন্তু হত্যার ব্যাপারে সে যেন বাড়াবাড়ি না করে; সে তো সাহায্যপ্রাপ্ত হইয়াছেই। (১৭:৩৩)
ইয়াতীম বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সদুপায়ে ছাড়া তোমরা তাহার সম্পত্তির নিকটবর্তী হইও না এবং প্রতিশ্রুতি পালন করিও; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হইবে। (১৭:৩৪)
মাপিয়া দিবার সময় পূর্ণ মাপে দিবে এবং ওজন করিবে সঠিক দাঁড়িপাল্লায়, ইহাই উত্তম এবং পরিণামে উৎকৃষ্ট। (১৭:৩৫)
যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই উহার অনুসরণ করিও না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়- উহাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কেই কৈফিয়ত তলব করা হইবে। (১৭:৩৬)
ভূপৃষ্ঠে দম্ভভরে বিচরণ করিও না; তুমি তো কখনই পদভরে ভূপৃষ্ঠ বিদীর্ণ করিতে পারিবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বতপ্রমাণ হইতে পারিবে না। (১৭:৩৭)
এই সমস্তের মধ্যে যেগুলি মন্দ সেইগুলি তোমার প্রতিপালকের নিকট ঘৃণ্য। (১৭:৩৮)