তুমি উহাদের নিকট পেশ কর দুই ব্যক্তির উপমা: উহাদের একজনকে আমি দিয়াছিলাম দুইটি দ্রাক্ষা-উদ্যান এবং এই দুইটিকে আমি খর্জুর-বৃক্ষ দ্বারা পরিবেষ্টিত করিয়াছিলাম ও এই দুইয়ের মধ্যবর্তী স্থানকে করিয়াছিলাম শস্যক্ষেত্র। (১৮:৩২)
উভয় উদ্যানই ফলদান করিত এবং ইহাতে কোন ত্রুটি করিত না আর উভয়ের ফাঁকে ফাঁকে প্রবাহিত করিয়াছিলাম নহর। (১৮:৩৩)
এবং তাহার প্রচুর ধনসম্পদ ছিল। অতঃপর কথা প্রসঙ্গে সে তাহার বন্ধুকে বলিল, ‘ধনসম্পদে আমি তোমার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এবং জনবলে তোমার অপেক্ষা শক্তিশালী।’ (১৮:৩৪)
এইভাবে নিজের প্রতি জুলুম করিয়া সে তাহার উদ্যানে প্রবেশ করিল। সে বলিল, ‘আমি মনে করি না যে, ইহা কখনও ধ্বংস হইয়া যাইবে; (১৮:৩৫)
‘আমি মনে করি না যে, কিয়ামত হইবে; আর আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবৃত্ত হই-ই তবে আমি তো নিশ্চয়ই ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট স্থান পাইব।’ (১৮:৩৬)
তদুত্তরে তাহার বন্ধু তাহাকে বলিল, ‘তুমি কি তাঁহাকে অস্বীকার করিতেছ যিনি তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন মৃত্তিকা ও পরে শুক্র হইতে এবং তাহার পর পূর্ণাঙ্গ করিয়াছেন মনুষ্য-আকৃতিতে?’ (১৮:৩৭)
‘কিন্তু তিনিই আল্লাহ্, আমার প্রতিপালক এবং আমি কাহাকেও আমার প্রতিপালকের শরীক করি না।’ (১৮:৩৮)
‘তুমি যখন তোমার উদ্যানে প্রবেশ করিলে তখন কেন বলিলে না, ‘আল্লাহ্ যাহা চাহেন তাহাই হয়, আল্লাহ্র সাহায্য ব্যতীত কোন শক্তি নাই?’ তুমি যদি ধনে ও সন্তানে আমাকে তোমার অপেক্ষা নিকৃষ্ট মনে কর- (১৮:৩৯)
‘তবে হয়ত আমার প্রতিপালক আমাকে তোমার উদ্যান অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর কিছু দিবেন এবং তোমার উদ্যানে আকাশ হইতে নির্ধারিত বিপর্যয় প্রেরণ করিবেন; যাহার ফলে উহা উদ্ভিদশূন্য ময়দানে পরিণত হইবে। (১৮:৪০)
‘অথবা উহার পানি ভূগর্ভে অন্তর্হিত হইবে এবং তুমি কখনও উহার সন্ধান লাভে সক্ষম হইবে না।’ (১৮:৪১)
তাহার ফল-সম্পদ বিপর্যয়ে বেষ্টিত হইয়া গেল এবং সে উহাতে যাহা ব্যয় করিয়াছিল তাহার জন্য আক্ষেপ করিতে লাগিল যখন উহা মাচানসহ ভূমিসাৎ হইয়া গেল। সে বলিতে লাগিল, ‘হায়, আমি যদি কাহাকেও আমার প্রতিপালকের শরীক না করিতাম!’ (১৮:৪২)
আর আল্লাহ্ ব্যতীত তাহাকে সাহায্য করিবার কোন লোকজন ছিল না এবং সে নিজেও প্রতিকারে সমর্থ হইল না। (১৮:৪৩)
এই ক্ষেত্রে কর্তৃত্ব আল্লাহ্রই, যিনি সত্য। পুরস্কার দানে ও পরিণাম নির্ধারণে তিনিই শ্রেষ্ঠ। (১৮:৪৪)
উহাদের নিকট পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনের: ইহা পানির ন্যায় যাহা আমি বর্ষণ করি আকাশ হইতে, যদ্দ্বারা ভূমিজ উদ্ভিদ ঘন-সন্নিবিষ্ট হইয়া উদ্গত হয়, অতঃপর উহা বিশুষ্ক হইয়া এমন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় যে, বাতাস উহাকে উড়াইয়া লইয়া যায়। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (১৮:৪৫)