নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদেরকে নির্দেশ দিতেছেন আমানত উহার হকদারকে প্রত্যর্পণ করিতে। তোমরা যখন মানুষকে মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করিবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করিবে। আল্লাহ্ তোমাদেরকে যে উপদেশ দেন তাহা কত উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। (৪:৫৮)
তাহার অপেক্ষা দীনে কে উত্তম, যে সৎকর্মপরায়ণ হইয়া আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করে এবং একনিষ্ঠভাবে ইব্রাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ করে? এবং আল্লাহ্ ইব্রাহীমকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। (৪:১২৫)
হে মু’মিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকিবে আল্লাহ্র সাক্ষীস্বরূপ; যদিও ইহা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতা-মাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়; সে বিত্তবান হউক অথবা বিত্তহীন হউক আল্লাহ্ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করিতে প্রবৃত্তির অনুগামী হইও না। যদি তোমরা পেঁচালো কথা বল অথবা পাশ কাটাইয়া যাও তবে তোমরা যাহা কর আল্লাহ্ তো তাহার সম্যক খবর রাখেন। (৪:১৩৫)
হে মু’মিনগণ! তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করিবে। যাহা তোমাদের নিকট বর্ণিত হইতেছে তাহা ব্যতীত চতুষ্পদ আন‘আম তোমাদের জন্য হালাল করা হইল, তবে হই্রাম অবস্থায় শিকার করাকে বৈধ মনে করিবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যাহা ইচ্ছা আদেশ করেন। (৫:১)
হে মু’মিনগণ! আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকিবে; কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনও সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করিবে, ইহা তাক্ওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহ্কে ভয় করিবে, তোমরা যাহা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাহার সম্যক খবর রাখেন। (৫:৮)
তাহারা মিথ্যা শ্রবণে অত্যন্ত আগ্রহশীল এবং অবৈধ ভক্ষণে অত্যন্ত আসক্ত; তাহারা যদি তোমার নিকট আসে তবে তাহাদের বিচার নিষ্পত্তি করিও অথবা তাহাদেরকে উপেক্ষা করিও। তুমি যদি তাহাদেরকে উপেক্ষা কর তবে তাহারা তোমার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। আর যদি বিচার নিষ্পত্তি কর তবে তাহাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিও; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন। (৫:৪২)
বল, ‘আমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়াছেন ন্যায়বিচারের।’ প্রত্যেকে সালাতে তোমাদের লক্ষ্য স্থির রাখিবে এবং তাঁহারই আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হইয়া একনিষ্ঠভাবে তাঁহাকে ডাকিবে। তিনি যেভাবে প্রথমে তোমাদেরকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তোমরা সেইভাবে ফিরিয়া আসিবে। (৭:২৯)
যাহাদেরকে আমি সৃষ্টি করিয়াছি তাহাদের মধ্যে একদল লোক আছে যাহারা ন্যায়ভাবে পথ দেখায় এবং ন্যায়ভাবে বিচার করে। (৭:১৮১)
তোমরা আল্লাহ্র অঙ্গীকার পূর্ণ করিও যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা আল্লাহ্কে তোমাদের যামিন করিয়া শপথ দৃঢ় করিবার পর উহা ভঙ্গ করিও না। তোমরা যাহা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাহা জানেন। (১৬:৯১)
পরস্পর প্রবঞ্চনা করিবার জন্য তোমরা তোমাদের শপথকে ব্যবহার করিও না; করিলে পা স্থির হওয়ার পর পিছলাইয়া যাইবে এবং আল্লাহ্র পথে বাধা দেওয়ার কারণে তোমরা শাস্তির আস্বাদ গ্রহণ করিবে; তোমাদের জন্য রহিয়াছে মহাশাস্তি। (১৬:৯৪)
তোমরা আল্লাহ্র সঙ্গে কৃত অঙ্গীকার তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করিও না। আল্লাহ্র নিকট যাহা আছে কেবল তাহাই তোমাদের জন্য উত্তম-যদি তোমরা জানিতে! (১৬:৯৫)
ইয়াতীম বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত সদুপায়ে ছাড়া তোমরা তাহার সম্পত্তির নিকটবর্তী হইও না এবং প্রতিশ্রুতি পালন করিও; নিশ্চয়ই প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হইবে। (১৭:৩৪)
এবং যাহারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (২৩:৮)
সুতরাং তুমি উহার দিকে আহ্বান কর ও উহাতেই দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাক যেইভাবে তুমি আদিষ্ট হইয়াছ এবং উহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। বল, ‘আল্লাহ্ যে কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন আমি তাহাতে বিশ্বাস করি এবং আমি আদিষ্ট হইয়াছি তোমাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করিতে। আল্লাহ্ই আমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কর্ম আমাদের এবং তোমাদের কর্ম তোমাদের; আমাদের ও তোমাদের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ নাই। আল্লাহ্ই আমাদেরকে একত্র করিবেন এবং প্রত্যাবর্তন তাঁহারই নিকট।’ (৪২:১৫)
যাহারা তোমার হাতে বায়‘আত করে তাহারা তো আল্লাহ্রই হাতে বায়‘আত করে। আল্লাহ্র হাত তাহাদের হাতের উপর। অতঃপর যে উহা ভঙ্গ করে, উহা ভঙ্গ করিবার পরিণাম তাহারই এবং যে আল্লাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার পূর্ণ করে তিনি অবশ্যই তাহাকে মহাপুরস্কার দিবেন। (৪৮:১০)
মু’মিনদের দুই দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইলে তোমরা তাহাদের মধ্যে মীমাংসা করিয়া দিবে; আর তাহাদের একদল অপর দলের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করিলে, যাহারা বাড়াবাড়ি করে তাহাদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করিবে, যতক্ষণ না তাহারা আল্লাহ্র নির্দেশের দিকে ফিরিয়া আসে-যদি তাহারা ফিরিয়া আসে তাহাদের মধ্যে ন্যায়ের সঙ্গে ফয়সালা করিবে এবং সুবিচার করিবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন। (৪৯:৯)
নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছি স্পষ্ট প্রমাণসহ এবং তাহাদের সঙ্গে দিয়াছি কিতাব ও ন্যায়নীতি, যাহাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আমি লৌহও দিয়াছি যাহাতে রহিয়াছে প্রচন্ড শক্তি ও রহিয়াছে মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ প্রকাশ করিয়া দেন কে প্রত্যক্ষ না করিয়াও তাঁহাকে ও তাঁহার রাসূলগণকে সাহায্য করে। অবশ্যই আল্লাহ্ শক্তিমান, পরাক্রমশালী। (৫৭:২৫)
দীনের ব্যাপারে যাহারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নাই এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হইতে বহিষ্কার করে নাই তাহাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করিতে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ্ তো ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন। (৬০:৮)