মু’মিনগণের পরিবর্তে যাহারা কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাহারা কি উহাদের নিকট ইয্যত চায়? সমস্ত ইয্যত তো আল্লাহ্রই। (৪:১৩৯)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ই মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্’, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই। অথচ মসীহ্ বলিয়াছিল, ‘হে বনী ইস্রাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর।’ কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে আল্লাহ্ তাহার জন্য জান্নাত অবশ্যই নিষিদ্ধ করিবেন এবং তাহার আবাস জাহান্নাম। জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই। (৫:৭২)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ তো তিনের মধ্যে একজন, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই- যদিও এক ইলাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহারা যাহা বলে তাহা হইতে নিবৃত্ত না হইলে তাহাদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছে, তাহাদের উপর অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হইবেই। (৫:৭৩)
তবে কি তাহারা আল্লাহ্র দিকে প্রত্যাবর্তন করিবে না ও তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবে না? আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫:৭৪)
মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্ তো কেবল একজন রাসূল। তাহার পূর্বে বহু রাসূল গত হইয়াছে এবং তাহার মাতা পরম সত্যনিষ্ঠ ছিল। তাহারা উভয়ে খাদ্যাহার করিত। দেখ, আমি উহাদের জন্য আয়াতসমূহ কিরূপ বিশদভাবে বর্ণনা করি; আরও দেখ, উহারা কিভাবে সত্যবিমুখ হয়। (৫:৭৫)
অবশ্য মু’মিনদের প্রতি শত্রুতায় মানুষের মধ্যে ইয়াহূদী ও মুশরিকদেরকেই তুমি সর্বাধিক উগ্র দেখিবে এবং যাহারা বলে ‘আমরা খ্রিস্টান’ মানুষের মধ্যে তাহাদেরকেই তুমি মু’মিনদের নিকটতর বন্ধুত্বে দেখিবে; কারণ তাহাদের মধ্যে অনেক পন্ডিত ও সংসার-বিরাগী আছে, আর তাহারা অহংকারও করে না। (৫:৮২)
যাহাতে আল্লাহ্র নাম নেওয়া হয় নাই তাহার কিছুই তোমরা আহার করিও না; উহা অবশ্যই পাপ। নিশ্চয়ই শয়তানেরা তাহাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে বিবাদ করিতে প্ররোচনা দেয়; যদি তোমরা তাহাদের কথামত চল তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হইবে। (৬:১২১)
আল্লাহ্র নিকট নিকৃষ্ট জীব তাহারাই যাহারা কুফরী করে এবং ঈমান আনে না। (৮:৫৫)
মুশরিকরা যখণ নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তাহরা আল্লাহ্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করিবে- এমন হইতে পারে না। উহারা এমন, যাহাদের সমস্ত কর্ম ব্যর্থ হইয়াছে এবং উহারা দোজখেই স্থায়িভাবে অবস্থান করিবে। (৯:১৭)
তাহারাই তো আল্লাহ্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করিবে, যাহারা ঈমান আনে আল্লাহ্ ও আখিরাতে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাহাকেও ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তাহারা হইবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (৯:১৮)
হে মু’মিনগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র; সুতরাং এই বৎসরের পর তাহারা যেন মসজিদুল হারামের নিকট না আসে। যদি তোমরা দারিদ্র্যের আশঙ্কা কর তবে আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাঁহার নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (৯:২৮)
আত্মীয়-স্বজন হইলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মু’মিনদের জন্য সংগত নয় যখন ইহা সু্স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে, নিশ্চিতই উহারা জাহান্নামী। (৯:১১৩)
আল্লাহ্ এমন নন যে, তিনি কোন সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করিবার পর উহাদেরকে বিভ্রান্ত করিবেন-উহাদেরকে কী বিষয়ে তাক্ওয়া অবলম্বন করিতে হইবে, ইহা সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত না করা পর্যন্ত; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সবিশেষ অবহিত। (৯:১১৫)
তুমি কি মনে কর যে, উহাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? উহারা তো পশুর মতই; বরং উহারা অধিক পথভ্রষ্ট! (২৫:৪৪)
তোমার প্রতি ও তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবশ্যই ওহী হইয়াছে, ‘তুমি আল্লাহ্র শরীক স্থির করিলে তোমার কর্ম তো নিষ্ফল হইবে এবং অবশ্যই তুমি হইবে ক্ষতিগ্রস্ত। (৩৯:৬৫)
‘অতএব তুমি আল্লাহ্রই ‘ইবাদত কর এবং কৃতজ্ঞ হও।’ (৩৯:৬৬)
না কি আল্লাহ্ ব্যতীত উহাদের অন্য কোন ইলাহ্ আছে? উহারা যাহাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ্ তাহা হইতে পবিত্র। (৫২:৪৩)
কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করে তাহারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের অগ্নিতে স্থায়িভাবে অবস্থান করিবে; উহারাই সৃষ্টির অধম। (৯৮:৬)