আমি সামূদ জাতির নিকট তাহাদরে ভ্রাতা সালিহ্কে পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! ‘তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর, তিনি ব্যতীত তোমাদের অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তিনি তোমাদেরকে মৃত্তিকা হইতে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং উহাতেই তিনি তোমাদেরকে বসবাস করাইয়াছেন। সুতরাং তোমরা তাঁহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর আর তাঁহার দিকেই প্রত্যাবর্তন কর। নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক নিকটে, তিনি আহ্বানে সাড়া দেন।’ (১১:৬১)
তাহারা বলিল, ‘হে সালিহ্! ইহার পূর্বে তুমি ছিলে আমাদের আশাস্থল। তুমি কি আমাদেরকে নিষেধ করিতেছ ‘ইবাদত করিতে তাহাদের, যাহাদের ‘ইবাদত করিত আমাদের পিতৃপুরুষেরা? আমরা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছি সে বিষয়ে, যাহার প্রতি তুমি আমাদেরকে আহ্বান করিতেছ।’ (১১:৬২)
সে বলিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কি ভাবিয়া দেখিয়াছ, আমি যদি আমার প্রতিপালক-প্রেরিত স্পষ্ট প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকি এবং তিনি যদি আমাকে তাঁহার নিজ অনুগ্রহ দান করিয়া থাকেন, তবে আল্লাহ্র শাস্তি হইতে আমাকে কে রক্ষা করিবে, আমি যদি তাঁহার অবাধ্যতা করি? সুতরাং তোমরা তো কেবল আমার ক্ষতিই বাড়াইয়া দিতেছ। (১১:৬৩)
‘হে আমার সম্প্রদায়! ইহা আল্লাহ্র উষ্ট্রী, তোমাদের জন্য নিদর্শনস্বরূপ। ইহাকে আল্লাহ্র জমিতে চরিয়া খাইতে দাও। ইহাকে কোন কষ্ট দিও না, কষ্ট দিলে আশু শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হইবে।’ (১১:৬৪)
কিন্তু উহারা উহাকে বধ করিল। অতঃপর সে বলিল, ‘তোমরা তোমাদের গৃহে তিন দিন জীবন উপভোগ করিয়া নাও। ইহা একটি প্রতিশ্রুতি যাহা মিথ্যা হইবার নয়।’ (১১:৬৫)
যখন আমার নির্দেশ আসিল তখন আমি সালিহ্ ও তাঁহার সঙ্গে যাহারা ঈমান আনিয়াছিল তাহাদেরকে আমার অনুগ্রহে রক্ষা করিলাম এবং রক্ষা করিলাম সেই দিনের লাঞ্ছনা হইতে। তোমার প্রতিপালক তো মহাশক্তিমান, পরাক্রমশালী। (১১:৬৬)
অতঃপর যাহারা সীমালঙ্ঘন করিয়াছিল মহানাদ তাহাদেরকে আঘাত করিল; ফলে উহারা নিজ নিজ গৃহে নতজানু অবস্থায় শেষ হইয়া গেল; (১১:৬৭)
যেন তাহারা সেখানে কখনও বসবাস করে নাই। জানিয়া রাখ! সামূদ সম্প্রদায় তো তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করিয়াছিল। জানিয়া রাখ! ধ্বংসই হইল সামূদ সম্প্রদায়ের পরিণাম। (১১:৬৮)
সামূদ সম্প্রদায় রাসূলগণকে অস্বীকার করিয়াছিল। (২৬:১৪১)
যখন উহাদের ভ্রাতা সালিহ্ উহাদেরকে বলিল, ‘তোমরা কি সাবধান হইবে না? (২৬:১৪২)
‘আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসূল। (২৬:১৪৩)
‘অতএব তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর, (২৬:১৪৪)
‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, আমার পুরস্কার তো জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকটই আছে। (২৬:১৪৫)
‘তোমাদেরকে কি নিরাপদ অবস্থায় ছাড়িয়া রাখা হইবে, যাহা এইখানে আছে উহাতে- (২৬:১৪৬)
‘উদ্যানে, প্রস্রবণে (২৬:১৪৭)
‘ও শস্যক্ষেত্রে এবং সুকোমল গুচ্ছবিশিষ্ট খর্জুর বাগানে? (২৬:১৪৮)
‘তোমরা তো নৈপুণ্যের সঙ্গে পাহাড় কাটিয়া গৃহ নির্মাণ করিতেছ। (২৬:১৪৯)
‘তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। (২৬:১৫০)
‘এবং সীমালংঘনকারীদের আদেশ মান্য করিও না; (২৬:১৫১)
‘যাহারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, শান্তি স্থাপন করে না।’ (২৬:১৫২)
উহারা বলিল, ‘তুমি তো জাদুগ্রস্তদের অন্যতম। (২৬:১৫৩)
‘তুমি তো আমাদের মত একজন মানুষ, কাজেই তুমি যদি সত্যবাদী হও তবে একটি নিদর্শন উপস্থিত কর।’ (২৬:১৫৪)
সালিহ্ বলিল, ‘এই একটি উষ্ট্রী, ইহার জন্য আছে পানি পানের পালা এবং তোমাদের জন্য আছে নির্ধারিত দিনে পানি পানের পালা; (২৬:১৫৫)
‘এবং উহার কোন অনিষ্ট সাধন করিও না; করিলে মহাদিবসের শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হইবে।’ (২৬:১৫৬)
কিন্তু উহারা উহাকে বধ করিল, পরিণামে, উহারা অনুতপ্ত হইল। (২৬:১৫৭)
অতঃপর শাস্তি উহাদেরকে গ্রাস করিল। ইহাতে অবশ্যই রহিয়াছে নিদর্শন, কিন্তু উহাদের অধিকাংশই মু’মিন নহে। (২৬:১৫৮)
তোমার প্রতিপালক, তিনি তো পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। (২৬:১৫৯)
আমি অবশ্যই সামূদ সম্প্রদায়ের নিকট তাহাদের ভ্রাতা সালিহ্কে পাঠাইয়াছিলাম এই আদেশসহ: ‘তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর’, কিন্তু উহারা দ্বিধাবিভক্ত হইয়া বিতর্কে লিপ্ত হইল। (২৭:৪৫)
সে বলিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা কেন কল্যাণের পূর্বে অকল্যাণ ত্বরান্বিত করিতে চাহিতেছ? কেন তোমরা আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছ না, যাহাতে তোমরা অনুগ্রহভাজন হইতে পার?’ (২৭:৪৬)
উহারা বলিল, ‘তোমাকে ও তোমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদেরকে আমরা অমঙ্গলের কারণ মনে করি।’ সালিহ্ বলিল, ‘তোমাদের শুভাশুভ আল্লাহ্র ইখ্তিয়ারে, বস্তুত তোমরা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদেরকে পরীক্ষা করা হইতেছে।’ (২৭:৪৭)
আর সেই শহরে ছিল এমন নয় ব্যক্তি, যাহারা দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করিত এবং সৎকর্ম করিত না। (২৭:৪৮)
উহারা বলিল, ‘তোমরা আল্লাহ্র নামে শপথ গ্রহণ কর, ‘আমরা রাত্রিকালে তাহাকে ও তাহার পরিবার-পরিজনকে অবশ্যই আক্রমণ করিব; অতঃপর তাহার অভিভাবককে নিশ্চয় বলিব, ‘তাহার পরিবার-পরিজনের হত্যা আমরা প্রত্যক্ষ করি নাই; আমরা অবশ্যই সত্যবাদী।’ (২৭:৪৯)
উহারা এক চক্রান্ত করিয়াছিল এবং আমিও এক কৌশল অবলম্বন করিলাম, কিন্তু উহারা বুঝিতে পারে নাই। (২৭:৫০)
অতএব দেখ, উহাদের চক্রান্তের পরিণাম কী হইয়াছে-আমি অবশ্যই উহাদেরকে ও উহাদের সম্প্রদায়ের সকলকে ধ্বংস করিয়াছি। (২৭:৫১)
এই তো উহাদের ঘরবাড়ি-সীমালংঘনহেতু যাহা জনশূন্য অবস্থায় পড়িয়া আছে; ইহাতে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রহিয়াছে। (২৭:৫২)
এবং যাহারা মু’মিন ও মুত্তাকী ছিল তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করিয়াছি। (২৭:৫৩)
এবং আমি ‘আদ ও সামূদকে ধ্বংস করিয়াছিলাম; উহাদের বাড়িঘরই তোমাদের জন্য ইহার সুস্পষ্ট প্রমাণ। শয়তান উহাদের কাজকে উহাদের দৃষ্টিতে শোভন করিয়াছিল এবং উহাদেরকে সৎপথ অবলম্বনে বাধা দিয়াছিল, যদিও উহারা ছিল বিচক্ষণ। (২৯:৩৮)
এবং আমি সংহার করিয়াছিলাম কারূন, ফির‘আওন ও হামানকে। মূসা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিয়াছিল; তখন তাহারা দেশে দম্ভ করিত; কিন্তু উহারা আমার শাস্তি এড়াইতে পারে নাই। (২৯:৩৯)
উহাদের প্রত্যেককেই আমি তাহার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়াছিলাম: উহাদের কাহারও প্রতি প্রেরণ করিয়াছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড ঝটিকা, উহাদের কাহাকেও আঘাত করিয়াছিল মহানাদ, কাহাকেও আমি প্রোথিত করিয়াছিলাম ভূগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি কোন জুলুম করেন নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। (২৯:৪০)
আর সামূদ সম্প্রদায়ের ব্যাপার তো এই যে, আমি উহাদেরকে পথনির্দেশ করিয়াছিলাম, কিন্তু উহারা সৎপথের পরিবর্তে ভ্রান্ত পথ অবলম্বন করিয়াছিল। অতঃপর উহাদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির বজ্র আঘাত হানিল উহাদের কৃতকর্মের পরিণামস্বরূপ। (৪১:১৭)
আমি রক্ষা করিলাম তাহাদেরকে, যাহারা ঈমান আনিয়াছিল এবং যাহারা তাক্ওয়া অবলম্বন করিত। (৪১:১৮)
আরও নিদর্শন রহিয়াছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাহাদেরকে বলা হইয়াছিল, ‘ভোগ করিয়া নাও স্বল্পকাল।’ (৫১:৪৩)
কিন্তু উহারা উহাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করিল; ফলে উহাদের প্রতি বজ্রাঘাত হইল এবং উহারা উহা দেখিতেছিল। (৫১:৪৪)
উহারা উঠিয়া দাঁড়াইতে পারিল না এবং উহা প্রতিরোধ করিতেও পারিল না। (৫১:৪৫)
আমি ধ্বংস করিয়াছিলাম ইহাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, ইহারা তো ছিল সত্যত্যাগী সম্প্রদায়। (৫১:৪৬)
সামূদ সম্প্রদায় সতর্ককারীদেরকে অস্বীকার করিয়াছিল, (৫৪:২৩)
তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমরা কি আমাদেরই এক ব্যক্তির অনুসরণ করিব? তবে তো আমরা পথভ্রষ্টতায় এবং উন্মত্ততায় পতিত হইব। (৫৪:২৪)
‘আমাদের মধ্যে কি উহারই প্রতি প্রত্যাদেশ হইয়াছে? না, সে তো একজন মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক।’ (৫৪:২৫)
আগামীকল্য উহারা জানিবে, কে মিথ্যাবাদী, দাম্ভিক। (৫৪:২৬)
আমি উহাদের পরীক্ষার জন্য পাঠাইয়াছি এক উষ্ট্রী, অতএব তুমি উহাদের আচরণ লক্ষ্য কর এবং ধৈর্যশীল হও। (৫৪:২৭)
এবং উহাদেরকে জানাইয়া দাও যে, উহাদের মধ্যে পানি বণ্টন নির্ধারিত এবং পানির অংশের জন্য প্রত্যেকে উপস্থিত হইবে পালাক্রমে। (৫৪:২৮)
অতঃপর উহারা উহাদের এক সঙ্গীকে আহ্বান করিল, সে উহাকে ধরিয়া হত্যা করিল। (৫৪:২৯)
কিরূপ কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী। (৫৪:৩০)
আমি উহাদেরকে আঘাত হানিয়াছিলাম এক মহানাদ দ্বারা; ফলে উহারা হইয়া গেল খোঁয়াড় প্রস্তুতকারীর বিখন্ডিত শুষ্ক শাখা-প্রশাখার ন্যায়। (৫৪:৩১)
আর সামূদ সম্প্রদায়, উহাদেরকে ধ্বংস করা হইয়াছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয় দ্বারা। (৬৯:৫)
এবং সামূদের প্রতি, যাহারা উপত্যকায় পাথর কাটিয়া গৃহ নির্মাণ করিয়াছি; (৮৯:৯)
সামূদ সম্প্রদায় অবাধ্যতাবশত অস্বীকার করিয়াছিল। (৯১:১১)
উহাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য, সে যখন তৎপর হইয়া উঠিল, (৯১:১২)
তখন আল্লাহ্র রাসূল উহাদেরকে বলিল, ‘আল্লাহ্র উষ্ট্রী ও উহাকে পানি পান করাইবার বিষয়ে সাবধান হও।’ (৯১:১৩)
কিন্তু উহারা রাসূলকে অস্বীকার করিল এবং উহাকে কাটিয়া ফেলিল। উহাদের পাপের জন্য উহাদের প্রতিপালক উহাদেরকে সমূলে ধ্বংস করিয়া একাকার করিয়া দিলেন। (৯১:১৪)
এবং ইহার পরিণাম সম্পর্কে তিনি ভয় করেন না। (৯১:১৫)