তাহাদের নিকট যাহা আছে আল্লাহ্র নিকট হইতে যখন তাহার প্রত্যায়নকারী কিতাব আসিল; যদিও পূর্বে সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের বিরুদ্ধে তাহারা ইহার সাহায্যে বিজয় প্রার্থনা করিত, তবুও তাহারা যাহা জ্ঞাত ছিল উহা যখন তাহাদের নিকট আসিল তখন তাহারা উহা প্রত্যাখ্যান করিল। সুতরাং কাফিরদের প্রতি আল্লাহ্র লা‘নত। (২:৮৯)
নিশ্চয়ই আমি যেসব স্পষ্ট নিদর্শন ও হিদায়াত অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য কিতাবে উহা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরও যাহারা উহা গোপন রাখে আল্লাহ্ তাহাদেরকে লা‘নত দেন এবং অভিশাপকারীরাও তাহাদেরকে অভিশাপ দেয়। (২:১৫৯)
কিন্তু যাহারা তওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, ইহারাই তাহারা যাহাদের তওবা আমি কবূল করি, আমি অতিশয় তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। (২:১৬০)
নিশ্চয়ই যাহারা কুফরী করে এবং কাফিররূপে মারা যায় তাহাদের উপর লা‘নত আল্লাহ্ এবং ফিরিশ্তাগণ ও সকল মানুষের। (২:১৬১)
কেহ ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মু’মিনকে হত্যা করিলে তাহার শাস্তি জাহান্নাম; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং আল্লাহ্ তাহার প্রতি রুষ্ট হইবেন, তাহাকে লা‘নত করিবেন এবং তাহার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখিবেন। (৪:৯৩)
আল্লাহ্ তাহাকে লা‘নত করেন এবং সে বলে, ‘আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের এক নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী করিয়া লইব। (৪:১১৮)
তাহাদের অঙ্গীকারের জন্য ‘তূর’ পর্বতকে আমি তাহাদের উর্ধ্বে উত্তোলন করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে বলিয়াছিলাম, ‘নতশিরে দ্বার দিয়া প্রবেশ কর।’ তাহাদেরকে আরও বলিয়াছিলাম, ‘শনিবার সম্পর্কে সীমালংঘন করিও না, এবং তাহাদের নিকট হইতে দৃঢ় অঙ্গীকার লইয়াছিলাম। (৪:১৫৪)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য, আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্য এবং ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’- তাহাদের এই উক্তির জন্য; বরং তাহাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ উহা মোহর করিয়াছেন। সুতরাং তাহাদের অল্পসংখ্যক লোকই বিশ্বাস করে। (৪:১৫৫)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের কুফরীর জন্য ও মার্ইয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদের জন্য, (৪:১৫৬)
আর ‘আমরা আল্লাহ্র রাসূল মার্ইয়ামতনয় ‘ঈসা মসীহ্কে হত্যা করিয়াছি’ তাহাদের এই উক্তির জন্য। অথচ তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই, ক্রুশবিদ্ধও করে নাই; কিন্তু তাহাদের এইরূপ বিভ্রম হইয়াছিল। যাহারা তাহার সম্বন্ধে মতভেদ করিয়াছিল তাহারা নিশ্চয়ই এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এই সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাহাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। ইহা নিশ্চিত যে, তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই; (৪:১৫৭)
বরং আল্লাহ্ তাহাকে তাঁহার নিকট তুলিয়া লইয়াছেন এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪:১৫৮)
জান্নাতবাসিগণ দোজখবাসীদেরকে সম্বোধন করিয়া বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন আমরা তো তাহা সত্য পাইয়াছি। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন তোমরা তাহা সত্য পাইয়াছ কি?’ উহারা বলিবে, ‘হ্যাঁ’। অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাহাদের মধ্যে ঘোষণা করিবে, ‘আল্লাহ্র লা‘নত জালিমদের উপর- (৭:৪৪)
মরুবাসীদের কেহ কেহ, যাহা তাহারা আল্লাহ্র পথে ব্যয় করে তাহা অর্থদন্ড বলিয়া গণ্য করে এবং তোমাদের ভাগ্য বিপর্যয়ের প্রতীক্ষা করে। মন্দ ভাগ্যচক্র উহাদেরই হউক। আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (৯:৯৮)
যাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহাদের অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? উহাদেরকে উপস্থিত করা হইবে উহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে এবং সাক্ষিগণ বলিবে, ‘ইহারাই ইহাদের প্রতিপালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করিয়াছিল।’ সাবধান! আল্লাহ্র লা‘নত জালিমদের উপর, (১১:১৮)
কেহ তাহার ঈমান আনার পর আল্লাহ্কে অস্বীকার করিলে এবং কুফরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখিলে তাহার উপর আপতিত হইবে আল্লাহ্র গযব এবং তাহার জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তাহার জন্য নয়, যাহাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয় কিন্তু তাহার চিত্ত ঈমানে অবিচলিত। (১৬:১০৬)
যাহারা আল্লাহ্ ও রাসূলকে পীড়া দেয়, আল্লাহ্ তো তাহাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত করেন এবং তিনি তাহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (৩৩:৫৭)
যেদিন জালিমদের ‘ওযর-আপত্তি কোন কাজে আসিবে না, আর উহাদের জন্য রহিয়াছে লা‘নত এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে নিকৃষ্ট আবাস। (৪০:৫২)
তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে! (৬৩:৪)
আমি অবশ্যই তোমাকে কাওছার দান করিয়াছি। (১০৮:১)
সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং কুরবানী কর। (১০৮:২)
নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ। (১০৮:৩)
ধ্বংস হউক, আবূ লাহাবের দুই হস্ত এবং ধ্বংস হউক সে নিজেও। (১১১:১)
উহার ধন-সম্পদ ও উহার উপার্জন উহার কোন কাজে আসে নাই। (১১১:২)
অচিরে সে প্রবেশ করিবে লেলিহান অগ্নিতে (১১১:৩)
এবং তাহার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, (১১১:৪)
তাহার গলদেশে পাকান রজ্জু। (১১১:৫)