নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার সঙ্গে শরীক করা ক্ষমা করেন না। ইহা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন; এবং যে কেহ আল্লাহ্র শরীক করে সে এক মহাপাপ করে। (৪:৪৮)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁহার সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না; ইহা ব্যতীত সব কিছু যাহাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন এবং কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে সে ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হয়। (৪:১১৬)
নিশ্চয়ই যাহারা ঈমান আনে ও পরে কুফরী করে এবং আবার ঈমান আনে, আবার কুফরী করে; অতঃপর তাহাদের কুফরী প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ্ তাহাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করিবেন না এবং তাহাদেরকে কোন পথও দেখাইবেন না। (৪:১৩৭)
যাহারা কুফরী করে ও আল্লাহ্র পথে বাধা দেয় তাহারা তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হইয়াছে। (৪:১৬৭)
যাহারা কুফরী করিয়াছে ও সীমালংঘন করিয়াছে আল্লাহ্ তাহাদেরকে কখনও ক্ষমা করিবেন না এবং তাহাদেরকে কোন পথও দেখাইবেন না, (৪:১৬৮)
জাহান্নামের পথ ব্যতীত; সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে এবং ইহা আল্লাহ্র পক্ষে সহজ। (৪:১৬৯)
যাহারা কুফরী করিয়াছে, কিয়ামতের দিন শাস্তি হইতে মুক্তির জন্য পণস্বরূপ দুনিয়ায় যাহা কিছু আছে, যদি তাহাদের তাহার সমস্তই থাকে এবং তাহার সঙ্গে সমপরিমাণ আরও থাকে, তবুও তাহাদের নিকট হইতে তাহা গৃহীত হইবে না এবং তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। (৫:৩৬)
তাহারা দোজখ হইতে বাহির হইতে চাহিবে; কিন্তু তাহারা উহা হইতে বাহির হইবার নয় এবং তাহাদের জন্য স্থায়ী শাস্তি রহিয়াছে। (৫:৩৭)
এইরূপে আমি প্রত্যেক জনপদে সেখানকার অপরাধীদের প্রধানকে সেখানে চক্রান্ত করার অবকাশ দিয়াছি; কিন্তু তাহারা শুধু তাহাদের নিজেদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে; অথচ তাহারা উপলব্ধি করে না। (৬:১২৩)
যখন তাহাদের নিকট নিদর্শন আসে তাহারা তখন বলে, ‘আল্লাহ্র রাসূলগণকে যাহা দেওয়া হইয়াছিল আমাদেরকেও তাহা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা কখনও বিশ্বাস করিব না।’ আল্লাহ্ তাঁহার রিসালাতের দায়িত্ব কাহার উপর অর্পণ করিবেন তাহা তিনিই ভাল জানেন। যাহারা অপরাধ করিয়াছে, চক্রান্তের জন্য আল্লাহ্র নিকট হইতে লাঞ্ছনা ও কঠোর শাস্তি তাহাদের উপর আপতিত হইবেই। (৬:১২৪)
বল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেখানে যাহা করিতেছ, করিতে থাক; আমিও আমার কাজ করিতেছি। তোমরা শীঘ্রই জানিতে পারিবে, কাহার পরিণাম মঙ্গলময়। জালিমগণ কখনও সফলকাম হইবে না।’ (৬:১৩৫)
আল্লাহ্ যে শস্য ও গাবদিপশু সৃষ্টি করিয়াছেন তন্মধ্য হইতে তাহারা আল্লাহ্র জন্য এক অংশ নির্দিষ্ট করে এবং নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বলে, ‘ইহা আল্লাহ্র জন্য এবং ইহা আমাদের দেবতাদের জন্য।’ যাহা তাহাদের দেবতাদের অংশ তাহা আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায় না এবং যাহা আল্লাহ্র অংশ তাহা তাহাদের দেবতাদের কাছে পৌঁছায়, তাহারা যাহা মীমাংসা করে তাহা নিকৃষ্ট! (৬:১৩৬)
এইভাবে তাহাদের দেবতারা বহু মুশরিকের দৃষ্টিতে তাহাদের সন্তানদের হত্যাকে শোভন করিয়াছে তাহাদের ধ্বংস সাধনের জন্য এবং তাহাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাহাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য; আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহারা ইহা করিত না। সুতরাং তাহাদেরকে তাহাদের মিথ্যা লইয়া থাকিতে দাও। (৬:১৩৭)
তাহারা তাহাদের ধারণা অনুসারে বলে, ‘এ্রইসব গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র নিষিদ্ধ; আমরা যাহাকে ইচ্ছা করি সে ব্যতীত কেহ এইসব আহার করিতে পারিবে না’, এবং কতক গবাদিপশুর পৃষ্ঠে আরোহণ নিষিদ্ধ করা হইয়াছে এবং কতক পশু যবেহ্ করিবার সময় তাহারা আল্লাহ্র নাম নেয় না। এই সমস্তই তাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে বলে; তাহাদের এই মিথ্যা রচনার প্রতিফল তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে দিবেন। (৬:১৩৮)
তাহারা আরও বলে, ‘এইসব গবাদিপশুর গর্ভে যাহা আছে তাহা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং ইহা আমাদের স্ত্রীদের জন্য অবৈধ; আর উহা যদি মৃত হয় তবে সকলেই ইহাতে অংশীদার।’ তিনি তাহাদের এইরূপ বলিবার প্রতিফল অচিরেই তাহাদেরকে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। (৬:১৩৯)
যাহারা নির্বুদ্ধিতার দরুন ও অজ্ঞানতাবশত নিজেদের সন্তানদের হত্যা করে এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবিকাকে আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করিবার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ গণ্য করে তাহারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে। তাহারা অবশ্যই বিপথগামী হইয়াছে এবং তাহারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না। (৬:১৪০)
তিনিই লতা ও বৃক্ষ-উদ্যানসমূহ সৃষ্টি করিয়াছেন এবং খেজুর বৃক্ষ, বিভিন্ন স্বাদ-বিশিষ্ট খাদ্যশস্য, যায়তূন ও দাড়িম্বও সৃষ্টি করিয়াছেন-এইগুলি একে অন্যের সদৃশ এবং বিসদৃশও। যখন উহা ফলবান হয় তখন উহার ফল আহার করিবে আর ফসল তুলিবার দিনে উহার হক প্রদান করিবে এবং অপচয় করিবে না; নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পসন্দ করেন না। (৬:১৪১)
গবাদিপশুর মধ্যে কতক ভারবাহী ও কতক ক্ষুদ্রাকার পশু সৃষ্টি করিয়াছেন। আল্লাহ্ যাহা রিযিকরূপে তোমাদেরকে দিয়াছেন তাহা হইতে আহার কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করিও না। সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (৬:১৪২)
নর ও মাদী আটটি: মেষের দুইটি ও ছাগলের দুইটি; বল, ‘নর দুইটিই কি তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? তোমরা সত্যবাদী হইলে প্রমাণসহ আমাকে অবহিত কর;’ (৬:১৪৩)
এবং উটের দুইটি ও গরুর দুইটি। বল, ‘নর দুইটিই তিনি নিষিদ্ধ করিয়াছেন কিংবা মাদী দুইটিই অথবা মাদী দুইটির গর্ভে যাহা আছে তাহা? এবং আল্লাহ্ যখন তোমাদেরকে এইসব নির্দেশ দান করেন তখন কি তোমরা উপস্থিত ছিলে?’ সুতরাং যে ব্যক্তি অজ্ঞানতাবশত মানুষকে বিভ্রান্ত করিবার জন্য আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে তাহার চেয়ে অধিক জালিম আর কে? আল্লাহ্ তো জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৬:১৪৪)
বল, ‘আমার প্রতি যে ওহী হইয়াছে তাহাতে, লোকে যাহা আহার করে তাহার মধ্যে আমি কিছুই হারাম পাই না-মৃত, বহমান রক্ত ও শূকরের মাংস ব্যতীত। কেননা এইগুলি অবশ্যই অপবিত্র অথবা যাহা অবৈধ, আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে।’ তবে কেহ অবাধ্য না হইয়া এবং সীমালংঘন না করিয়া নিরুপায় হইয়া উহা আহার করিলে তোমার প্রতিপালক তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৬:১৪৫)
আমি ইয়াহূদীদের জন্য নখরযুক্ত সমস্ত পশু হারাম করিয়াছিলাম এবং গরু ও ছাগলের চর্বিও তাহাদের জন্য হারাম করিয়াছিলাম; তবে এইগুলির পিঠের অথবা অন্ত্রের কিংবা অস্থিসংলগ্ন চর্বি ব্যতীত, তাহাদের অবাধ্যতার দরুন তাহাদেরকে এই প্রতিফল দিয়াছিলাম। নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী। (৬:১৪৬)
অতঃপর যদি তাহারা তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে তবে বল, ‘তোমাদের প্রতিপালক সর্বব্যাপী দয়ার মালিক এবং অপরাধী সম্প্রদায়ের উপর হইতে তাঁহার শাস্তি রদ করা হয় না।’ (৬:১৪৭)
যাহারা শির্ক করিয়াছে তাহারা বলিবে, ‘আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষগণ শির্ক করিতাম না এবং কোন কিছুই হারাম করিতাম না।’ এইভাবে তাহাদের পূর্ববর্তীরাও প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল, অবশেষে তাহারা আমার শাস্তি ভোগ করিয়াছিল, বল, ‘তোমাদের নিকট কোন যুক্তি আছে কি? থাকিলে আমার নিকট তাহা পেশ কর; তোমরা শুধু কল্পনারই অনুসরণ কর এবং শুধু মনগড়া কথা বল।’ (৬:১৪৮)
বল, ‘চূড়ান্ত প্রমাণ তো আল্লাহ্রই; তিনি যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তোমাদের সকলকে অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত করিতেন। (৬:১৪৯)
বল, ‘আল্লাহ্ যে ইহা নিষিদ্ধ করিয়াছেন এ সম্বন্ধে যাহারা সাক্ষ্য দিবে তাহাদেরকে হাযির কর।’ তাহারা সাক্ষ্য দিলেও তুমি তাহাদের সঙ্গে ইহা স্বীকার করিও না। যাহারা আমার আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করিয়াছে, যাহারা পরকালে বিশ্বাস করে না এবং তাহাদের প্রতিপালকের সমকক্ষ দাঁড় করায়, তুমি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৬:১৫০)
তুমি উহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা উহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা না কর একই কথা; তুমি সত্তর বার উহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিলেও আল্লাহ্ উহাদেরকে কখনই ক্ষমা করিবেন না। ইহা এইজন্য যে, উহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের সঙ্গে কুফরী করিয়াছে। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (৯:৮০)
উহারা তোমাদের নিকট শপথ করিবে যাহাতে তোমারা উহাদের প্রতি তুষ্ট হও। তোমরা উহাদের প্রতি তুষ্ট হইলেও আল্লাহ্ তো সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের প্রতি তুষ্ট হইবেন না। (৯:৯৬)
আত্মীয়-স্বজন হইলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী এবং মু’মিনদের জন্য সংগত নয় যখন ইহা সু্স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে, নিশ্চিতই উহারা জাহান্নামী। (৯:১১৩)
যে ব্যক্তি আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে অথবা আল্লাহ্র নিদর্শনকে অস্বীকার করে তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? নিশ্চয়ই অপরাধিগণ সফলকাম হয় না। (১০:১৭)
অবশেষে যখন রাসূলগণ নিরাশ হইল এবং লোকে ভাবিল যে, রাসূলগণকে মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হইয়াছে তখন তাহাদের নিকট আমার সাহায্য আসিল। এইভাবে আমি যাহাকে ইচ্ছা করি সে উদ্ধার পায়। অপরাধী সম্প্রদায় হইতে আমার শাস্তি রদ করা যায় না। (১২:১১০)
যাহারা কুফরী করে ও আল্লাহ্র পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ্ তাহাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করিবেন না। (৪৭:৩৪)
যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে তাহারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূল।’ আল্লাহ্ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (৬৩:১)
উহারা উহাদের শপথগুলিকে ঢালরূপে ব্যবহার করে আর উহারা আল্লাহ্র পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে। উহারা যাহা করিতেছে তাহা কত মন্দ! (৬৩:২)
ইহা এইজন্য যে, উহারা ঈমান আনিবার পর কুফরী করিয়াছে। ফলে উহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দেওয়া হইয়াছে; পরিণামে উহারা বুঝে না। (৬৩:৩)
তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে! (৬৩:৪)
যখন উহাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা আস, আল্লাহ্র রাসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিবেন,’ তখন উহারা মাথা ফিরাইয়া লয় এবং তুমি উহাদেরকে দেখিতে পাও, উহারা দম্ভভরে ফিরিয়া যায়। (৬৩:৫)
তুমি উহাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই উহাদের জন্য সমান। আল্লাহ্ উহাদেরকে কখনও ক্ষমা করিবেন না। আল্লাহ্ পাপাচারী সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৬৩:৬)