যখন তাহাদেরকে বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহা তোমরা অনুসরণ কর’, তাহারা বলে, ‘না, বরং আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে যাহাতে পাইয়াছি তাহার অনুসরণ করিব।’ এমন কি, তাহাদের পিতৃপুরুষগণ যদিও কিছুই বুঝিত না এবং তাহারা সৎপথেও পরিচালিত ছিল না-তৎসত্ত্বেও। (২:১৭০)
যাহারা কুফরী করে তাহাদের উপমা: যেমন কোন ব্যক্তি এমন কিছুকে ডাকে যাহা হাঁক-ডাক ছাড়া আর কিছুই শ্রবণ করে না-বধির, মূক, অন্ধ, সুতরাং তাহারা বুঝিবে না। (২:১৭১)
তোমরা যখন সালাতের জন্য আহ্বান কর তখন তাহারা উহাকে হাসি-তামাশা ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করে-ইহা এইহেতু যে, তাহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদের বোধশক্তি নাই। (৫:৫৮)
স্মরণ কর, যেদিন তাহাদের সকলকে একত্র করিব, অতঃপর মুশরিকদেরকে বলিব, ‘যাহাদেরকে তোমরা আমার শরীক মনে করিতে, তাহারা কোথায়?’ (৬:২২)
অতঃপর তাহাদের ইহা ছাড়া বলিবার অন্য কোন অজুহাত থাকিবে না: ‘আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র শপথ! আমরা তো মুশরিকই ছিলাম না।’ (৬:২৩)
দেখ, তাহারা নিজেদের প্রতি কিরূপ মিথ্যা আরোপ করে এবং যে মিথ্যা তাহারা রচনা করিত উহা কিভাবে তাহাদের নিকট হইতে উধাও হইয়া গেল! (৬:২৪)
তাহাদের মধ্যে কতক তোমার দিকে কান পাতিয়া রাখে, কিন্তু আমি তাহাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়াছি যেন তাহারা তাহা উপলব্ধি করিতে না পারে; তাহাদেরকে বধির করিয়াছি এবং সমস্ত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করিলেও তাহারা উহাতে ঈমান আনিবে না; এমনকি তাহারা যখন তোমার নিকট উপস্থিত হইয়া বিতর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিরগণ বলে, ‘ইহা তো পূর্ববর্তীদের উপকথা ব্যতীত আর কিছুই নয়।’ (৬:২৫)
তাহারা অন্যকে উহা শ্রবণে বিরত রাখে এবং নিজেরাও উহা হইতে দূরে থাকে, আর তাহারা নিজেরাই শুধু নিজেদেরকে ধ্বংস করে, অথচ তাহারা উপলব্ধি করে না। (৬:২৬)
তুমি যদি দেখিতে পাইতে যখন তাহাদেরকে দোজখের পার্শ্বে দাঁড় করান হইবে এবং তাহারা বলিবে, ‘হায়! যদি আমাদের প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনকে অস্বীকার করিতাম না এবং আমরা মু’মিনদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম!’ (৬:২৭)
না, পূর্বে তাহারা যাহা গোপন করিত তাহা এখন তাহাদের নিকট প্রকাশ পাইয়াছে এবং তাহারা প্রত্যাবর্তিত হইলেও যাহা করিতে তাহাদেরকে নিষেধ করা হইয়াছিল পুনরায় তাহারা তাহাই করিত এবং নিশ্চয় তাহারা মিথ্যাবাদী। (৬:২৮)
তাহারা বলে, ‘আমাদের পার্থিব জীবনই একমাত্র জীবন এবং আমরা পুনরুত্থিতও হইব না।’ (৬:২৯)
তুমি যদি দেখিতে পাইতে তাহাদেরকে যখন তাহাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করান হইবে এবং তিনি বলিবেন, ‘ইহা কি প্রকৃত সত্য নয়?’ তাহারা বলিবে, ‘আমাদের প্রতিপালকের শপথ! নিশ্চয়ই সত্য।’ তিনি বলিবেন, ‘তবে তোমরা যে কুফরী করিতে তজ্জন্য তোমরা এখন শাস্তি ভোগ কর।’ (৬:৩০)
যদি তাহাদের উপেক্ষা তোমার নিকট কষ্টকর হয় তবে পারিলে ভূগর্ভে সুড়ঙ্গ অথবা আকাশের সোপান অন্বেষণ কর এবং তাহাদের নিকট কোন নিদর্শন আন। আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহাদের সকলকে অবশ্যই সৎপথে একত্র করিতেন। সুতরাং তুমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হইও না। (৬:৩৫)
যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয় তখণ উহাদের কেহ কেহ বলে, ‘ইহা তোমাদের মধ্যে কাহার ঈমান বৃদ্ধি করিল?’ যাহারা মু’মিন ইহা তাহাদেরই ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তাহারাই আনন্দিত হয়। (৯:১২৪)
এবং যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে, ইহা তাহাদের কলুষের সঙ্গে আরও কলুষ যুক্ত করে এবং উহাদের মৃত্যু ঘটে কাফির অবস্থায়। (৯:১২৫)
উহারা কি দেখে না যে, ‘উহাদেরকে প্রতি বৎসর একবার বা দুইবার বিপর্যস্ত করা হয়?’ ইহার পরও উহারা তওবা করে না এবং উপদেশ গ্রহণ করে না, (৯:১২৬)
এবং যখনই কোন সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন উহারা একে অপরের দিকে তাকায় এবং ইশারায় জিজ্ঞাসা করে, ‘তোমাদেরকে কেহ লক্ষ্য করিতেছে কি?’ অতঃপর উহারা সরিয়া পড়ে। আল্লাহ্ উহাদের হৃদয়কে সত্যবিমুখ করিয়াছেন, কারণ উহারা এমন এক সম্প্রদায় যাহাদের বোধশক্তি নাই। (৯:১২৭)
উহাদের মধ্যে কেহ কেহ তোমার দিকে কান পাতিয়া রাখে। তুমি কি বধিরকে শুনাইবে, তাহারা না বুঝিলেও? (১০:৪২)
উহাদের মধ্যে কেহ কেহ তোমার দিকে তাকাইয়া থাকে। তুমি কি অন্ধকে পথ দেখাইবে, তাহারা না দেখিলেও? (১০:৪৩)
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মানুষের প্রতি কোন জুলুম করেন না, বরং মানুষই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়া থাকে। (১০:৪৪)
যেদিন তিনি উহাদেরকে একত্র করিবেন সেদিন উহাদের মনে হইবে, উহাদের অবস্থিতি দিবসের মুহূর্তকাল মাত্র ছিল; উহারা পরস্পরকে চিনিবে। আল্লাহ্র সাক্ষাৎ যাহারা অস্বীকার করিয়াছে তাহারা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে এবং তাহারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না। (১০:৪৫)
আমি উহাদেরকে যে ভীতি প্রদর্শন করিয়াছি তাহার কিছু যদি তোমাকে দেখাইয়াই দেই অথবা তোমার কাল পূর্ণ করিয়াই দেই, উহাদের প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট; এবং উহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সাক্ষী। (১০:৪৬)
তোমাদের প্রতিপালক কি তোমাদের পুত্র সন্তানের জন্য নির্বাচিত করিয়াছেন এবং তিনি কি নিজে ফিরিশ্তাগণকে কন্যারূপে গ্রহণ করিয়াছেন? তোমরা তো নিশ্চয়ই ভয়ানক কথা বলিয়া থাক! (১৭:৪০)
আর অবশ্যই আমি এই কুরআনে বহু বিষয় বারবার বিবৃত করিয়াছি যাহাতে উহারা উপদেশ গ্রহণ করে। কিন্তু ইহাতে উহাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়। (১৭:৪১)
বল, ‘যদি তাঁহার সঙ্গে আরও ইলাহ্ থাকিত যেমন উহারা বলে, তবে তাহারা আরশ-অধিপতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিবার উপায় অন্বেষণ করিত।’ (১৭:৪২)
সে আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যাহা উহার কোন অপকার করিতে পারে না, উপকারও করিতে পারে না; ইহাই চরম বিভ্রান্তি। (২২:১২)
সে ডাকে এমন কিছুকে যাহার ক্ষতিই উহার উপকার অপেক্ষা নিকটতর। কত নিকৃষ্ট এই অভিভাবক এবং কত নিকৃষ্ট এই সহচর! (২২:১৩)
উহারা বলিয়াছিল, ‘তুমি কি আমাদেরকে আমাদের দেব-দেবীগুলির পূজা হইতে নিবৃত্ত করিতে আসিয়াছ? তুমি সত্যবাদী হইলে আমাদেরকে যাহার ভয় দেখাইতেছ তাহা আনয়ন কর।’ (৪৬:২২)
সে বলিল, ‘ইহার জ্ঞান তো কেবল আল্লাহ্রই নিকট আছে। আমি যাহা লইয়া প্রেরিত হইয়াছি কেবল তাহাই তোমাদের নিকট প্রচার করি, কিন্তু আমি দেখিতেছি, তোমরা এক মূঢ় সম্প্রদায়।’ (৪৬:২৩)
প্রকৃতপক্ষে ইহাদের অন্তরে আল্লাহ্ অপেক্ষা তোমাদের ভয়ই অধিকতর। ইহা এইজন্য যে, ইহারা এক অবুঝ সম্প্রদায়। (৫৯:১৩)
ইহারা সকলে সংঘবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে সমর্থ হইবে না, কিন্তু কেবল সুরক্ষিত জনপদের অভ্যন্তরে অথবা দুর্গ-প্রাচীরের অন্তরালে থাকিয়া; পরস্পরের মধ্যে উহাদের যুদ্ধ প্রচন্ড। তুমি মনে কর উহারা ঐক্যবদ্ধ, কিন্তু উহাদের মনের মিল নাই; ইহা এইজন্য যে, ইহারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়। (৫৯:১৪)
যখন মুনাফিকরা তোমার নিকট আসে তাহারা বলে, ‘আমরা সাক্ষ্য দিতেছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহ্র রাসূল।’ আল্লাহ্ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁহার রাসূল এবং আল্লাহ্ সাক্ষ্য দিতেছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। (৬৩:১)
উহারা উহাদের শপথগুলিকে ঢালরূপে ব্যবহার করে আর উহারা আল্লাহ্র পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে। উহারা যাহা করিতেছে তাহা কত মন্দ! (৬৩:২)
ইহা এইজন্য যে, উহারা ঈমান আনিবার পর কুফরী করিয়াছে। ফলে উহাদের হৃদয় মোহর করিয়া দেওয়া হইয়াছে; পরিণামে উহারা বুঝে না। (৬৩:৩)
তুমি যখন উহাদের দিকে তাকাও উহাদের দেহাকৃতি তোমার নিকট প্রীতিকর মনে হয় এবং উহারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে উহাদের কথা শ্রবণ কর, যদিও উহারা দেওয়ালে ঠেকান কাঠের স্তম্ভসদৃশ; উহারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে উহাদেরই বিরুদ্ধে। উহারাই শত্রু, অতএব উহাদের সম্পর্কে সতর্ক হও; আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন! বিভ্রান্ত হইয়া উহারা কোথায় চলিয়াছে! (৬৩:৪)
যখন উহাদেরকে বলা হয়, ‘তোমরা আস, আল্লাহ্র রাসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিবেন,’ তখন উহারা মাথা ফিরাইয়া লয় এবং তুমি উহাদেরকে দেখিতে পাও, উহারা দম্ভভরে ফিরিয়া যায়। (৬৩:৫)