আল্লাহ্ কিরূপে সৎপথে পরিচালিত করিবেন সেই সম্প্রদায়কে, যাহারা ঈমান আনয়নের পর ও রাসূলকে সত্য বলিয়া সাক্ষ্যদান করিবার পর এবং তাহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসিবার পর কুফরী করে? আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৩:৮৬)
ইহারাই তাহারা যাহাদের কর্মফল এই যে, তাহাদের উপর আল্লাহ্র, ফিরিশতাগণের এবং মানুষ সকলেরই লা‘নত। (৩:৮৭)
তাহারা ইহাতে স্থায়ী হইবে, তাহাদের শাস্তি লঘু করা হইবে না এবং তাহাদেরকে অবকাশও দেওয়া হইবে না। (৩:৮৮)
তবে ইহার পর যাহারা তওবা করে ও নিজেদেরকে সংশোধন করিয়া নেয় তাহারা ব্যতিরেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৩:৮৯)
ঈমান আনার পর যাহারা কুফরী করে এবং যাহাদের সত্য প্রত্যাখ্যান-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পাইতে থাকে তাহাদের তওবা কখনও কবূল হইবে না। ইহারাই পথভ্রষ্ট। (৩:৯০)
তাহারা ইহাই কামনা করে যে, তাহারা যেরূপ কুফরী করিয়াছে তোমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাহাতে তোমরা তাদের সমান হইয়া যাও। সুতরাং আল্লাহ্র পথে হিজরত না করা পর্যন্ত তাহাদের মধ্যে হইতে কাহাকেও বন্ধুরূপে গ্রহণ করিবে না। যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তাহাদেরকে যেখানে পাইবে গ্রেফতার করিবে এবং হত্যা করিবে এবং তাহাদের মধ্য হইতে কাহাকেও বন্ধু ও সহায়রূপে গ্রহণ করিবে না। (৪:৮৯)
কিন্তু তাহাদেরকে নয় যাহারা এমন এক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলিত হয় যাহাদের সঙ্গে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ, অথবা যাহারা তোমাদের নিকট এমন অবস্থায় আগমন করে যখন তাহাদের মন তোমাদের সঙ্গে অথবা তাহাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিতে সংকুচিত হয়। আল্লাহ্ যদি ইচ্ছা করিতেন তবে তাহাদেরকে তোমাদের উপর ক্ষমতা দিতেন এবং তাহারা নিশ্চয় তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিত। সুতরাং তাহারা যদি তোমাদের নিকট হইতে সরিয়া দাঁড়ায়, তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ না করে এবং তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব করে তবে আল্লাহ্ তোমাদের জন্য তাহাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা অবলম্বনের পথ রাখেন না। (৪:৯০)
তোমরা অপর কিছু লোক পাইবে যাহারা তোমাদের সঙ্গে ও তাহাদের সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তি চাহিবে। যখনই তাহাদেরকে ফিত্নার দিকে আহ্বান করা হয় তখনই এই ব্যাপারে তাহারা তাহাদের পূর্বাবস্থায় প্রত্যাবৃত্ত হয়। যদি তাহারা তোমাদের নিকট হইতে চলিয়া না যায়, তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব না করে এবং তাহাদের হস্ত সংবরণ না করে তবে তাহাদেরকে যেখানেই পাইবে গ্রেফতার করিবে ও হত্যা করিবে এবং তোমাদেরকে ইহাদের বিরুদ্ধাচরণের স্পষ্ট অধিকার দিয়াছি। (৪:৯১)
যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করিয়া বেড়ায় ইহাই তাহাদের শাস্তি যে, তাহাদেরকে হত্যা করা হইবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হইবে অথবা বিপরীত দিক হইতে তাহাদের হাত ও পা কাটিয়া ফেলা হইবে অথবা তাহাদেরকে দেশ হইতে নির্বাসিত করা হইবে। দুনিয়ায় ইহাই তাহাদের লাঞ্ছনা ও পরকালে তাহাদের জন্য মহাশাস্তি রহিয়াছে; (৫:৩৩)
তবে, তোমাদের আয়ত্তাধীনে আসিবার পূর্বে যাহারা তওবা করিবে তাহাদের জন্য নয়। সুতরাং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (৫:৩৪)
কেহ তাহার ঈমান আনার পর আল্লাহ্কে অস্বীকার করিলে এবং কুফরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখিলে তাহার উপর আপতিত হইবে আল্লাহ্র গযব এবং তাহার জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তাহার জন্য নয়, যাহাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয় কিন্তু তাহার চিত্ত ঈমানে অবিচলিত। (১৬:১০৬)
ইহা এইজন্য যে, তাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেয় এবং আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (১৬:১০৭)
উহারাই তাহারা, আল্লাহ্ যাহাদের অন্তর, কর্ণ ও চক্ষু মোহর করিয়া দিয়াছেন এবং উহারাই গাফিল। (১৬:১০৮)
নিশ্চয়ই উহারা তো আখিরাতে হইবে ক্ষতিগ্রস্ত। (১৬:১০৯)
যে ব্যক্তি তাহার প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী দ্বারা উপদিষ্ট হইয়া তাহা হইতে মুখ ফিরায় তাহার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? আমি অবশ্যই অপরাধীদেরকে শাস্তি দিয়া থাকি। (৩২:২২)
মুনাফিকরা এবং যাহাদের অন্তরে ব্যাধি আছে এবং যাহারা নগরে গুজব রটনা করে তাহারা বিরত না হইলে আমি নিশ্চয়ই তাহাদের বিরুদ্ধে তোমাকে প্রবল করিব; ইহার পর এই নগরীতে তোমার প্রতিবেশীরূপে উহারা স্বল্প সময়ই থাকিবে- (৩৩:৬০)
অভিশপ্ত হইয়া; উহাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাইবে সেখানেই ধরা হইবে এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করা হইবে। (৩৩:৬১)