ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানরা তোমার প্রতি কখনও সন্তুষ্ট হইবে না, যতক্ষণ না তুমি তাহাদের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর। বল, ‘আল্লাহ্র পথনির্দেশই প্রকৃত পথনির্দেশ।’ জ্ঞান প্রাপ্তির পর তুমি যদি তাহাদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ কর তবে আল্লাহ্র বিপক্ষে তোমার কোন অভিভাবক থাকিবে না এবং কোন সাহায্যকারীও থাকিবে না। (২:১২০)
সামান্য ক্লেশ দেওয়া ছাড়া তাহারা তোমাদের কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। যদি তাহারা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তাহারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করিবে; অতঃপর তাহারা সাহায্যপ্রাপ্ত হইবে না। (৩:১১১)
আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাহিরে যেখানেই তাহাদের পাওয়া গিয়াছে সেখানেই তাহারা লাঞ্ছিত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্র ক্রোধের পাত্র হইয়াছে এবং হীনতাগ্রস্ত হইয়াছে। ইহা এইহেতু যে, তাহারা আল্লাহ্র আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করিত এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করিত; ইহা এই জন্য যে, তাহারা অবাধ্য হইয়াছিল এবং সীমালংঘন করিত। (৩:১১২)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ অবশ্যই অভাবগ্রস্ত আর আমরা অভাবমুক্ত’, তাহাদের কথা আল্লাহ্ শুনিয়াছেন। তাহারা যাহা বলিয়াছে তাহা এবং নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার বিষয় আমি লিখিয়া রাখিব এবং বলিব, ‘তোমরা দহন-যন্ত্রণা ভোগ কর।’ (৩:১৮১)
ইহা তোমাদের কৃতকর্মের ফল এবং উহা এই কারণে যে, আল্লাহ্ বান্দাদের প্রতি জালিম নন। (৩:১৮২)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ আমাদেরকে আদেশ দিয়াছেন, আমরা যেন কোন রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করি যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমাদের নিকট এমন কুরবানী উপস্থিত না করিবে যাহা অগ্নি গ্রাস করিবে; তাহাদেরকে বল, ‘আমার পূর্বে অনেক রাসূল স্পষ্ট নিদর্শনসহ এবং তোমরা যাহা বলিতেছ তাহাসহ তোমাদের নিকট আসিয়াছিল, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে কেন তাহাদেরকে হত্যা করিয়াছিলে?’ (৩:১৮৩)
তাহারা যদি তোমাকে অস্বীকার করে, তোমার পূর্বে যে সকল রাসূল স্পষ্ট নিদর্শন, আসমানী সহীফা এবং দীপ্তিমান কিতাবসহ আসিয়াছিল তাহাদেরকেও তো অস্বীকার করা হইয়াছিল। (৩:১৮৪)
ইয়াহূদীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক কথাগুলি স্থানচ্যুত করিয়া বিকৃত করে এবং বলে, ‘শ্রবণ করিলাম ও অমান্য করিলাম’ এবং শোন, না শোনার মত; আর নিজেদের জিহ্বা কুঞ্চিত করিয়া এবং দীনের প্রতি তাচ্ছিল্য করিয়া বলে, ‘রাইনা’। কিন্তু তাহারা যদি বলিত, ‘শ্রবণ করিলাম ও মান্য করিলাম এবং শ্রবণ কর ও আমাদের প্রতি লক্ষ্য কর’, তবে উহা তাহাদের জন্য ভাল ও সংগত হইত। কিন্তু তাহাদের কুফরীর জন্য আল্লাহ্ তাহাদের কে লা‘নত করিয়াছেন। তাহাদের অল্পসংখ্যকই বিশ্বাস করে। (৪:৪৬)
ওহে! যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে, তোমাদের নিকট যাহা আছে তাহার প্রত্যায়নকারীরূপে আমি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি তাহাতে তোমরা ঈমান আন, আমি মুখমন্ডলসমূহ বিকৃত করিয়া অতঃপর সেইগুলিকে পিছনের দিকে ফিরাইয়া দেওয়ার পূর্বে অথবা আস্হাবুস সাব্তকে যেরূপ লা‘নত করিয়াছিলাম সেইরূপ তাহাদেরকে লা‘নত করিবার পূর্বে। আল্লাহ্র আদেশ কার্যকারী হইয়াই থাকে। (৪:৪৭)
কিতাবীগণ তোমাকে তাহাদের জন্য আস্মান হইতে কিতাব অবতীর্ণ করিতে বলে; অথচ তাহার মূসার নিকট ইহা অপেক্ষাও বড় দাবি করিয়াছিল। তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমাদের প্রকাশ্যে আল্লাহ্কে দেখাও।’ তাহাদের সীমালংঘনের জন্য তাহারা বজ্রাহত হইয়াছিল; অতঃপর স্পষ্ট প্রমাণ তাহাদের নিকট প্রকাশ হওয়ার পরও তাহারা গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করিয়াছিল; ইহাও ক্ষমা করিয়াছিলাম এবং মূসাকে স্পষ্ট প্রমাণ প্রদান করিয়াছিলাম। (৪:১৫৩)
তাহাদের অঙ্গীকারের জন্য ‘তূর’ পর্বতকে আমি তাহাদের উর্ধ্বে উত্তোলন করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে বলিয়াছিলাম, ‘নতশিরে দ্বার দিয়া প্রবেশ কর।’ তাহাদেরকে আরও বলিয়াছিলাম, ‘শনিবার সম্পর্কে সীমালংঘন করিও না, এবং তাহাদের নিকট হইতে দৃঢ় অঙ্গীকার লইয়াছিলাম। (৪:১৫৪)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য, আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্য এবং ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’- তাহাদের এই উক্তির জন্য; বরং তাহাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ উহা মোহর করিয়াছেন। সুতরাং তাহাদের অল্পসংখ্যক লোকই বিশ্বাস করে। (৪:১৫৫)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের কুফরীর জন্য ও মার্ইয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদের জন্য, (৪:১৫৬)
আর ‘আমরা আল্লাহ্র রাসূল মার্ইয়ামতনয় ‘ঈসা মসীহ্কে হত্যা করিয়াছি’ তাহাদের এই উক্তির জন্য। অথচ তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই, ক্রুশবিদ্ধও করে নাই; কিন্তু তাহাদের এইরূপ বিভ্রম হইয়াছিল। যাহারা তাহার সম্বন্ধে মতভেদ করিয়াছিল তাহারা নিশ্চয়ই এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এই সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাহাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। ইহা নিশ্চিত যে, তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই; (৪:১৫৭)
বরং আল্লাহ্ তাহাকে তাঁহার নিকট তুলিয়া লইয়াছেন এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪:১৫৮)
হে কিতাবীগণ! দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিও না ও আল্লাহ্ সম্বন্ধে সত্য ব্যতীত বলিও না। মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসা মসীহ্ তো আল্লাহ্র রাসূল এবং তাঁহার বাণী, যাহা তিনি মার্ইয়ামের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলেন ও তাঁহার আদেশ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলগণে ঈমান আন এবং বলিও না, ‘তিন!’ নিবৃত্ত হও, ইহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হইবে। আল্লাহ্ তো একমাত্র ইলাহ্; তাঁহার সন্তান হইবে- তিনি ইহা হইতে পবিত্র। আসমানে যাহা কিছু আছে ও যমীনে যাহা কিছু আছে সব আল্লাহ্রই; কর্ম-বিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪:১৭১)
আর আল্লাহ্ তো বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তাহাদের মধ্য হইতে বারোজন নেতা নিযুক্ত করিয়াছিলাম; আর আল্লাহ্ বলিয়াছিলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; তোমরা যদি সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন ও তাহাদেরকে সম্মান কর এবং আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান কর, তবে তোমাদের পাপ অবশ্যই মোচন করিব এবং নিশ্চয় তোমাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ইহার পরও কেহ কুফরী করিলে সে তো সরল পথ হারাইবে। (৫:১২)
তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য আমি তাহাদেরকে লা‘নত করিয়াছি ও তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছি; তাহারা শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে এবং তাহারা যাহা উপদিষ্ট হইয়াছিল উহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা উহাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকতা করিতে দেখিতে পাইবে, সুতরাং উহাদেরকে ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালবাসেন। (৫:১৩)
যাহারা বলে, ‘আমরা খ্রিস্টান’, তাহাদেরও অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম; কিন্তু তাহারা যাহা উপদিষ্ট হইয়াছিল তাহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরূক রাখিয়াছি; তাহারা যাহা করিত আল্লাহ্ তাহাদেরকে অচিরেই তাহা জানাইয়া দিবেন। (৫:১৪)
যাহারা বলে, ‘মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্ই আল্লাহ্’, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই। বল, ‘আল্লাহ্ মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্, তাঁহার মাতা এবং দুনিয়ার সকলকে যদি ধ্বংস করিতে ইচ্ছা করেন তবে তাঁহাকে বাধা দিবার শক্তি কাহার আছে?’ আসমান ও যমীনের এবং ইহাদের মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্রই। তিনি যাহা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৫:১৭)
ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানগণ বলে, ‘আমরা আল্লাহ্র পুত্র ও তাঁহার প্রিয়।’ বল, ‘তবে কেন তিনি তোমাদের পাপের জন্য তোমাদেরকে শাস্তি দেন? না, তোমরা মানুষ তাহাদেরই মতো যাহাদেরকে আল্লাহ্ সৃষ্টি করিয়াছেন।’ যাহাকে ইচ্ছা তিনি ক্ষমা করেন এবং যাহাকে ইচ্ছা তিনি শাস্তি দেন; আস্মান ও যমীনের এবং ইহাদের মধ্যে যাহা কিছু আছে তাহার সার্বভৌমত্ব আল্লাহ্রই, আর প্রত্যাবর্তন তাঁহারই দিকে। (৫:১৮)
তাহারা বলিল, ‘হে মূসা! তাহারা যত দিন সেখানে থাকিবে তত দিন আমরা সেখানে প্রবেশ করিবই না; সুতরাং তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও এবং যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসিয়া থাকিব।’ (৫:২৪)
সে বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার ও আমার ভ্রাতা ব্যতীত অপর কাহারও উপর আমার আধিপত্য নাই; সুতরাং তুমি আমাদের ও সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা করিয়া দাও।’ (৫:২৫)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘তবে ইহা চল্লিশ বৎসর তাহাদের জন্য নিষিদ্ধ রহিল, তাহারা পৃথিবীতে উদ্ভ্রান্ত হইয়া ঘুরিয়া বেড়াইবে, সুতরাং তুমি সত্যত্যাগী সম্প্রদায়ের জন্য দুঃখ করিও না।’ (৫:২৬)
হে মু’মিনগণ! তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না, তাহারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেহ তাহাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিলে সে তাহাদেরই একজন হইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না। (৫:৫১)
এবং যাহাদের অন্তঃকরণে ব্যাধি রহিয়াছে তুমি তাহাদেরকে সত্বর তাহাদের সঙ্গে মিলিত হইতে দেখিবে এই বলিয়া, ‘আামাদের আশংকা হয় আমাদের ভাগ্য বিপর্যয় ঘটিবে।’ হয়তো আল্লাহ্ বিজয় অথবা তাঁহার নিকট এমন কিছু দিবেন যাহাতে তাহারা তাহাদের অন্তরে যাহা গোপন রাখিয়াছিল তজ্জন্য অনুতপ্ত হইবে। (৫:৫২)
তাহাদের অনেককেই তুমি দেখিবে পাপে, সীমালংঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর; তাহারা যাহা করে নিশ্চয় তাহা নিকৃষ্ট। (৫:৬২)
রাব্বানীগণ ও পন্ডিতগণ কেন তাহাদেরকে পাপ কথা বলিতে ও অবৈধ ভক্ষণে নিষেধ করে না? ইহারা যাহা করে নিশ্চয় তাহাও নিকৃষ্ট। (৫:৬৩)
ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহ্র হাত রুদ্ধ’; উহারাই রুদ্ধহস্ত এবং উহারা যাহা বলে তজ্জন্য উহারা অভিশপ্ত, বরং আল্লাহ্র উভয় হস্তই প্রসারিত; যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন। তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও কুফরী বৃদ্ধি করিবেই। তাহাদের মধ্যে আমি কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করিয়াছি। যতবার তাহারা যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্বলিত করে ততবার আল্লাহ্ উহা নির্বাপিত করেন এবং তাহারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করিয়া বেড়ায়; আল্লাহ্ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্তদেরকে ভালবাসেন না। (৫:৬৪)
কিতাবীগণ যদি ঈমান আনিত ও ভয় করিতে তাহা হইলে আমি তাহাদের দোষ অবশ্যই অপনোদন করিতাম এবং তাহাদেরকে সুখময় জান্নাতে দাখিল করিতাম। (৫:৬৫)
আমি বনী ইসরাঈলের নিকট হইতে অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম ও তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাহাদের নিকট এমন কিছু আনে যাহা তাহাদের মনঃপূত নয়, তখনই তাহারা কতককে মিথ্যাবাদী বলে ও কতককে হত্যা করে। (৫:৭০)
তাহারা মনে করিয়াছিল, তাহাদের কোন শাস্তি হইবে না; ফলে তাহারা অন্ধ ও বধির হইয়া গিয়াছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি ক্ষমাশীল হইয়াছিলেন। পুনরায় তাহাদের অনেকেই অন্ধ ও বধির হইয়াছিল। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (৫:৭১)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ই মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্’, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই। অথচ মসীহ্ বলিয়াছিল, ‘হে বনী ইস্রাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর।’ কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে আল্লাহ্ তাহার জন্য জান্নাত অবশ্যই নিষিদ্ধ করিবেন এবং তাহার আবাস জাহান্নাম। জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই। (৫:৭২)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ তো তিনের মধ্যে একজন, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই- যদিও এক ইলাহ্ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহারা যাহা বলে তাহা হইতে নিবৃত্ত না হইলে তাহাদের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছে, তাহাদের উপর অবশ্যই মর্মন্তুদ শাস্তি আপতিত হইবেই। (৫:৭৩)
বনী ইস্রাঈলের মধ্যে যাহারা কুফরী করিয়াছিল তাহারা দাঊদ ও মার্ইয়াম-তনয় কর্তৃক অভিশপ্ত হইয়াছিল-ইহা এহেতু যে, তাহারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। (৫:৭৮)
তাহারা যেসব গর্হিত কাজ করিত উহা হইতে তাহারা একে অন্যেকে বারণ করিত না। তাহারা যাহা করিত তাহা কতই না নিকৃষ্ট। (৫:৭৯)
তাহাদের অনেককে তুমি কাফিরদে সঙ্গে বন্ধুত্ব করিতে দেখিবে। কত নিকৃষ্ট তাহাদের কৃতকর্ম! যে কারণে আল্লাহ্ তাহাদের উপর ক্রোধান্বিত হইয়াছেন। তাহাদের শাস্তিভোগ স্থায়ী হইবে। (৫:৮০)
আল্লাহ্ বলিলেন, ‘আমিই তোমাদের নিকট উহা প্রেরণ করিব; কিন্তু ইহার পর তোমাদের মধ্যে কেহ কুফরী করিলে তাহাকে এমন শাস্তি দিব, যে শাস্তি বিশ্বজগতের অপর কাহাকেও দিব না।’ (৫:১১৫)
মূসার সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন দল রহিয়াছে যাহারা অন্যকে ন্যায়ভাবে পথ দেখায় ও সেইভাবেই বিচার করে। (৭:১৫৯)
তাহাদেরকে আমি বারোটি গোত্রে বিভক্ত করিয়াছি। মূসার সম্প্রদায় যখন তাহার নিকট পানি প্রার্থনা করিল, তখন তাহার প্রতি প্রত্যাদেশ করিলাম, ‘তোমার লাঠি দ্বারা পাথরে আঘাত কর’, ফলে উহা হইতে বারোটি প্রস্রবণ উৎসারিত হইল। প্রত্যেক গোত্র নিজ নিজ পানস্থান চিনিয়া লইল, এবং মেঘ দ্বারা তাহাদের উপর ছায়া বিস্তার করিয়াছিলাম, তাহাদের নিকট মান্না ও সালওয়া পাঠাইয়াছিলাম এবং বলিয়াছিলাম, ‘উত্তম যাহা তোমাদেরকে দিয়াছি তাহা হইতে আহার কর।’ তাহারা আামর প্রতি কোন জুলুম করে নাই, কিন্তু তাহারা নিজেদের প্রতিই জুলুম করিতেছিল। (৭:১৬০)
স্মরণ কর, তাহাদেরকে বলা হইয়াছিলা, ‘তোমরা এই জনপদে বাস কর ও যেথা ইচ্ছা আহার কর এবং বল, ‘ক্ষমা চাই’ এবং নতশিরে দ্বারে প্রবেশ কর; আমি তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করিব। আমি সৎকর্মপরায়ণদেরকে আরও অধিক দান করিব।’ (৭:১৬১)
কিন্তু তাহাদের মধ্যে যাহারা জালিম ছিল তাহাদেরকে যাহা বলা হইয়াছিল, তাহার পরিবর্তে তাহারা অন্য কথা বলিল। সুতরাং আমি আকাশ হইতে তাহাদের প্রতি শাস্তি প্রেরণ করিলাম, যেহেতু তাহারা সীমালংঘন করিতেছিল। (৭:১৬২)
তাহাদেরকে সমুদ্রতীরবর্তী জনপদবাসীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা কর, তাহারা শনিবারের সীমালংঘন করিত; শনিবার উদ্যাপনের দিন মাছ পানিতে ভাসিয়া তাহাদের নিকট আসিত। কিন্তু যেদিন তাহারা শনিবার উদ্যাপন করিত না সেদিন উহারা তাহাদের নিকট আসিত না। এইভাবে আমি তাহাদের পরীক্ষা করিয়াছিলাম, যেহেতু তাহারা সত্য ত্যাগ করিত। (৭:১৬৩)
স্মরণ কর, তাহাদের একদল বলিয়াছিল, ‘আল্লাহ্ যাহাদেরকে ধ্বংস করিবেন কিংবা কঠোর শাস্তি দিবেন, তোমরা তাহাদেরকে সদুপদেশ দাও কেন?’ তাহারা বলিয়াছিল, ‘তোমাদের প্রতিপালকের নিকট দায়িত্বমুক্তির জন্য এবং যাহাতে তাহারা সাবধান হয় এজন্য।’ (৭:১৬৪)
যে উপদেশ তাহাদেরকে দেওয়া হইয়াছিল তাহারা যখন উহা বিস্মৃত হয়, তখন যাহারা অসৎকার্য হইতে নিবৃত্ত করিত তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং যাহারা জুলুম করে তাহারা কুফরী করিত বলিয়া আমি তাহাদেরকে কঠোর শাস্তি দেই। (৭:১৬৫)
তাহারা যখন নিষিদ্ধ কাজ ঔদ্ধত্যসহকারে করিতে লাগিল তখন তাহাদেরকে বলিলাম, ‘ঘৃণিত বানর হও!’ (৭:১৬৬)
ইয়াহূদীরা বলে, ‘উযায়র আল্লাহ্র পুত্র’ এবং খ্রিস্টানরা বলে, ‘মসীহ্ আল্লাহ্র পুত্র।’ উহা তাহাদের মুখের কথা। পূর্বে যাহারা কুফরী করিয়াছিল উহারা তাহাদের মত কথা বলে। আল্লাহ্ উহাদেরকে ধ্বংস করুন। আর কোন্ দিকে উহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইয়াছে! (৯:৩০)
তাহারা আল্লাহ্ ব্যতীত তাহাদের পন্ডিতগণকে ও সংসার-বিরাগিগণকে তাহাদের প্রভুরূপে গ্রহণ করিয়াছে এবং মারইয়াম-তনয় মসীহ্কেও। কিন্তু উহারা এক ইলাহের ‘ইবাদত করিবার জন্যই আদিষ্ট হইয়াছিল। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নাই। তাহারা যাহাকে শরীক করে তাহা হইতে তিনি কত পবিত্র! (৯:৩১)
তাহারা তাহাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহ্র জ্যোতি নির্বাপিত করিতে চায়। কাফিররা অপ্রীতিকর মনে করিলেও আল্লাহ্ তাঁহার জ্যোতির পূর্ণ উদ্ভাসন ব্যতীত অন্য কিছু চান না। (৯:৩২)
উহাদেরকে আমি নেতা করিয়াছিলাম; উহারা লোকদেরকে জাহান্নামের দিকে আহ্বান করিত; কিয়ামতের দিন উহাদেরকে সাহায্য করা হইবে না। (২৮:৪১)
এই পৃথিবীতে আমি উহাদের পশ্চাতে লাগাইয়া দিয়াছি অভিসম্পাত এবং কিয়ামতের দিন উহারা হইবে ঘৃণিত। (২৮:৪২)
আমি উহাদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দান করিয়াছিলাম দীন সম্পর্কে। উহাদের নিকট জ্ঞান আসিবার পর উহারা শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত বিরোধিতা করিয়াছিল। উহারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করিত, তোমার প্রতিপালক কিয়ামতের দিন উহাদের মধ্যে সে বিষয়ে ফয়সালা করিয়া দিবেন। (৪৫:১৭)
ইহার পর আমি তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি দীনের বিশেষ বিধানের উপর; সুতরাং তুমি উহার অনুসরণ কর, অজ্ঞদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করিও না। (৪৫:১৮)