আমি তো ফির‘আওনের অনুসারীদেরকে দুর্ভিক্ষ ও ফল-ফসলের ক্ষতির দ্বারা আক্রান্ত করিয়াছি, যাহাতে তাহারা অনুধাবন করে। (৭:১৩০)
তাহারা বলিল, ‘আমাদেরকে জাদু করিবার জন্য তুমি যে কোন নিদর্শন আমাদের নিকট পেশ কর না কেন আমরা তোমাতে বিশ্বাস করিব না।’ (৭:১৩২)
অতঃপর আমি তাহাদেরকে প্লাবন, পঙ্গপাল, উকুন, ভেক ও রক্ত দ্বারা ক্লিষ্ট করি। এইগুলি স্পষ্ট নিদর্শন; কিন্তু তাহারা দাম্ভিকই রহিয়া গেল; আর তাহারা ছিল এক অপরাধী সম্প্রদায়। (৭:১৩৩)
সুতরাং আমি তাহাদেরকে শাস্তি দিয়াছি এবং তাহাদেরকে অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত করিয়াছি। কারণ তাহারা আমার নিদর্শনকে অস্বীকার করিত এবং এই সম্বন্ধে তাহারা ছিল গাফিল। (৭:১৩৬)
এবং আমি সংহার করিয়াছিলাম কারূন, ফির‘আওন ও হামানকে। মূসা উহাদের নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনসহ আসিয়াছিল; তখন তাহারা দেশে দম্ভ করিত; কিন্তু উহারা আমার শাস্তি এড়াইতে পারে নাই। (২৯:৩৯)
উহাদের প্রত্যেককেই আমি তাহার অপরাধের জন্য শাস্তি দিয়াছিলাম: উহাদের কাহারও প্রতি প্রেরণ করিয়াছি প্রস্তরসহ প্রচন্ড ঝটিকা, উহাদের কাহাকেও আঘাত করিয়াছিল মহানাদ, কাহাকেও আমি প্রোথিত করিয়াছিলাম ভূগর্ভে এবং কাহাকেও করিয়াছিলাম নিমজ্জিত। আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি কোন জুলুম করেন নাই; তাহারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি জুলুম করিয়াছিল। (২৯:৪০)
হে মু’মিনগণ! মূসাকে যাহারা ক্লেশ দিয়াছে তোমরা উহাদের ন্যায় হইও না; উহারা যাহা রটনা করিয়াছিল আল্লাহ্ উহা হইতে তাহাকে নির্দোষ প্রমাণ করেন; এবং আল্লাহ্র নিকট সে মর্যাদাবান। (৩৩:৬৯)
মূসাকে তো আমি আমার নিদর্শনসহ ফির‘আওন ও তাহার পারিষদবর্গের নিকট পাঠাইয়াছিলাম। সে বলিয়াছিল, ‘আমি তো জগতসমূহের প্রতিপালকের প্রেরিত।’ (৪৩:৪৬)
সে উহাদের নিকট আমার নিদর্শনসহ আসিবামাত্র উহারা তাহা লইয়া হাসি-ঠাট্টা করিতে লাগিল। (৪৩:৪৭)
আমি উহাদেরকে এমন কোন নিদর্শন দেখাই নাই যাহা উহার অনুরূপ নিদর্শন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ নয়। আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম যাহাতে উহারা প্রত্যাবর্তন করে। (৪৩:৪৮)
উহারা বলিয়াছিল, হে জাদুকর! তোমার প্রতিপালকের নিকট তুমি আমাদের জন্য তাহা প্রার্থনা কর যাহা তিনি তোমার সঙ্গে অঙ্গীকার করিয়াছেন, তাহা হইলে আমরা অবশ্যই সৎপথ অবলম্বন করিব।’ (৪৩:৪৯)
অতঃপর যখন আমি উহাদের হইতে শাস্তি বিদূরিত করিলাম তখনই উহারা অঙ্গীকার ভঙ্গ করিয়া বসিল। (৪৩:৫০)
ফির‘আওন তাহার সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বলিয়া ঘোষণা করিল, হে আমার সম্প্রদায়! মিসর রাজ্য কি আমার নয়? আর এই নদীগুলি আমার পাদদেশে প্রবাহিত; তোমরা ইহা দেখ না? (৪৩:৫১)
‘আমি তো শ্রেষ্ঠ এই ব্যক্তি হইতে, যে হীন এবং স্পষ্ট কথা বলিতেও অক্ষম! (৪৩:৫২)
‘মূসাকে কেন দেওয়া হইল না স্বর্ণ-বলয় অথবা তাহার সঙ্গে কেন আসিল না ফিরিশ্তাগণ দলবদ্ধভাবে?’ (৪৩:৫৩)
এইভাবে সে তাহার সম্প্রদায়কে হতবুদ্ধি করিয়া দিল, ফলে উহারা তাহার কথা মানিয়া লইল। উহারা তো ছিল এক সত্যত্যাগী সম্প্রদায়। (৪৩:৫৪)
যখন উহারা আমাকে ক্রোধান্বিত করিল আমি উহাদেরকে শাস্তি দিলাম এবং নিমজ্জিত করিলাম উহাদের সকলকে। (৪৩:৫৫)
তৎপর পরবর্তীদের জন্য আমি উহাদেরকে করিয়া রাখিলাম অতীত ইতিহাস ও দৃষ্টান্ত। (৪৩:৫৬)
এবং নিদর্শন রাখিয়াছি মূসার বৃত্তান্তে, যখন আমি তাহাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আওনের নিকট প্রেরণ করিয়া-ছিলাম, (৫১:৩৮)
তখন সে ক্ষমতার দম্ভে মুখ ফিরাইয়া লইল এবং বলিল, ‘এই ব্যক্তি হয় এক জাদুকর, না হয় এক উন্মাদ। (৫১:৩৯)
সুতরাং আমি তাহাকে ও তাহার দলবলকে শাস্তি দিলাম এবং উহাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলাম, সে তো ছিল তিরস্কারযোগ্য। (৫১:৪০)
এবং নিদর্শন রহিয়াছে ‘আদের ঘটনায়, যখন আমি তাহাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করিয়াছিলাম অকল্যাণকর বায়ু; (৫১:৪১)
ইহা যাহা কিছুর উপর দিয়া বহিয়া গিয়াছিল তাহাকেই চূর্ণ-বিচূর্ণ করিয়া দিয়াছিল, (৫১:৪২)