বল, ‘হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা যেখানে যাহা করিতেছ, করিতে থাক; আমিও আমার কাজ করিতেছি। তোমরা শীঘ্রই জানিতে পারিবে, কাহার পরিণাম মঙ্গলময়। জালিমগণ কখনও সফলকাম হইবে না।’ (৬:১৩৫)
আল্লাহ্ যে শস্য ও গাবদিপশু সৃষ্টি করিয়াছেন তন্মধ্য হইতে তাহারা আল্লাহ্র জন্য এক অংশ নির্দিষ্ট করে এবং নিজেদের ধারণা অনুযায়ী বলে, ‘ইহা আল্লাহ্র জন্য এবং ইহা আমাদের দেবতাদের জন্য।’ যাহা তাহাদের দেবতাদের অংশ তাহা আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায় না এবং যাহা আল্লাহ্র অংশ তাহা তাহাদের দেবতাদের কাছে পৌঁছায়, তাহারা যাহা মীমাংসা করে তাহা নিকৃষ্ট! (৬:১৩৬)
এইভাবে তাহাদের দেবতারা বহু মুশরিকের দৃষ্টিতে তাহাদের সন্তানদের হত্যাকে শোভন করিয়াছে তাহাদের ধ্বংস সাধনের জন্য এবং তাহাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাহাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য; আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাহারা ইহা করিত না। সুতরাং তাহাদেরকে তাহাদের মিথ্যা লইয়া থাকিতে দাও। (৬:১৩৭)
তাহারা তাহাদের ধারণা অনুসারে বলে, ‘এ্রইসব গবাদিপশু ও শস্যক্ষেত্র নিষিদ্ধ; আমরা যাহাকে ইচ্ছা করি সে ব্যতীত কেহ এইসব আহার করিতে পারিবে না’, এবং কতক গবাদিপশুর পৃষ্ঠে আরোহণ নিষিদ্ধ করা হইয়াছে এবং কতক পশু যবেহ্ করিবার সময় তাহারা আল্লাহ্র নাম নেয় না। এই সমস্তই তাহারা আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনার উদ্দেশ্যে বলে; তাহাদের এই মিথ্যা রচনার প্রতিফল তিনি অবশ্যই তাহাদেরকে দিবেন। (৬:১৩৮)
তাহারা আরও বলে, ‘এইসব গবাদিপশুর গর্ভে যাহা আছে তাহা আমাদের পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট এবং ইহা আমাদের স্ত্রীদের জন্য অবৈধ; আর উহা যদি মৃত হয় তবে সকলেই ইহাতে অংশীদার।’ তিনি তাহাদের এইরূপ বলিবার প্রতিফল অচিরেই তাহাদেরকে দিবেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। (৬:১৩৯)
যাহারা নির্বুদ্ধিতার দরুন ও অজ্ঞানতাবশত নিজেদের সন্তানদের হত্যা করে এবং আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবিকাকে আল্লাহ্ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করিবার উদ্দেশ্যে নিষিদ্ধ গণ্য করে তাহারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছে। তাহারা অবশ্যই বিপথগামী হইয়াছে এবং তাহারা সৎপথপ্রাপ্ত ছিল না। (৬:১৪০)
একদলকে তিনি সৎপথে পরিচালিত করিয়াছেন এবং অপর দলের পথভ্রান্তি নির্ধারিত হইয়াছে। তাহারা আল্লাহ্কে ছাড়িয়া শয়তানকে তাহাদেরকে অভিভাবক করিয়াছিল এবং মনে করিত তাহারাই সৎপথপ্রাপ্ত। (৭:৩০)
আল্লাহ্র পথ হইতে লোককে নিবৃত্ত করার জন্য কাফিররা তাহাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে, তাহারা ধন-সম্পদ ব্যয় করিতেই থাকিবে; অতঃপর উহা তাহাদের মনস্তাপের কারণ হইবে; ইহার পর তাহারা পরাভূত হইবে এবং যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হইবে। (৮:৩৬)
ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ কুজনকে সুজন হইতে পৃথক করিবেন এবং কুজনদের এককে অপরের উপর রাখিবেন, অতঃপর সকলকে স্তূপীকৃত করিয়া জাহান্নামে নিক্ষেপ করিবেন, ইহারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (৮:৩৭)
এবং উহাদের মধ্যে এমনও লোক আছে যাহারা নবীকে ক্লেশ দেয় এবং বলে, ‘সে তো কর্ণপাতকারী।’ বল, ‘তাহার কান তোমাদের জন্য যাহা মঙ্গল তাহাই শুনে।’ সে আল্লাহে্ ঈমান আনে এবং মু’মিনদেরকে বিশ্বাস করে; তোমাদের মধ্যে যাহারা মু’মিন সে তাহাদের জন্য রহমত এবং যাহারা আল্লাহ্র রাসূলকে ক্লেশ দেয় তাহাদের জন্য আছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (৯:৬১)
উহারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য তোমাদের নিকট আল্লাহ্র শপথ করে। আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল ইহারই অধিক হকদার যে, উহারা তাহাদেরকেই সন্তুষ্ট করে, যদি উহারা মু’মিন হয়। (৯:৬২)
উহারা কি জানে না, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরোধিতা করে তাহার জন্য তো আছে জাহান্নামের অগ্নি, যেখানে সে স্থায়ী হইবে? উহাই চরম লাঞ্ছনা। (৯:৬৩)
মুনাফিকেরা ভয় করে, তাহাদের সম্পর্কে এমন এক সূরা না অবতীর্ণ হয়, যাহা উহাদের অন্তরের কথা ব্যক্ত করিয়া দিবে! বল, ‘বিদ্রূপ করিতে থাক; তোমরা যাহা ভয় কর আল্লাহ্ তাহা প্রকাশ করিয়া দিবেন।’ (৯:৬৪)
এবং তুমি উহাদেরকে প্রশ্ন করিলে উহারা নিশ্চয়ই বলিবে, ‘আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও ক্রীড়া-কৌতুক করিতেছিলাম।’ বল, ‘তোমরা কি আল্লাহ্, তাঁহার নিদর্শন ও তাঁহার রাসূলকে বিদ্রূপ করিতেছিলে?’ (৯:৬৫)
‘তোমরা দোষ স্খালনের চেষ্টা করিও না। তোমরা তো ঈমান আনার পর কুফরী করিয়াছ। তোমাদের মধ্যে কোন দলকে ক্ষমা করিলেও অন্য দলকে শাস্তি দিব-কারণ তাহারা অপরাধী।’ (৯:৬৬)
মুনাফিক নর ও মুনাফিক নারী একে অপরের অনুরূপ, উহারা অসৎকর্মের নির্দেশ দেয় এবং সৎকর্ম নিষেধ করে, উহারা হাতবদ্ধ করিয়া রাখে, উহারা আল্লাহ্কে বিস্মৃত হইয়াছে, ফলে তিনিও উহাদেরকে বিস্মৃত হইয়াছেন; মুনাফিকেরা তো পাপাচারী। (৯:৬৭)
মুনাফিক নর, মুনাফিক নারী ও কাফিরদেরকে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন জাহান্নামের অগ্নির, যেখানে উহারা স্থায়ী হইবে, ইহাই উহাদের জন্য যথেষ্ট এবং আল্লাহ্ উহাদেরকে লা‘নত করিয়াছেন এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে স্থায়ী শাস্তি; (৯:৬৮)
তোমরাও তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত যাহারা শক্তিতে তোমাদের অপেক্ষা প্রবল ছিল এবং যাহাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি ছিল তোমাদের অপেক্ষা অধিক, এবং উহারা উহাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তাহা ভোগ করিয়াছে; তোমাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তোমরাও তাহা ভোগ করিলে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীরা উহাদের ভাগ্যে যাহা ছিল তাহা ভোগ করিয়াছে। উহারা যেইরূপ অনর্থক আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত ছিল তোমরাও সেইরূপ আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত রহিয়াছ। উহারাই তাহারা যাহাদের কর্ম দুনিয়া ও আখিরাতে ব্যর্থ এবং উহারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (৯:৬৯)
আল্লাহ্ যদি মানুষের অকল্যাণ ত্বরান্বিত করিতেন, যেভাবে তাহারা তাহাদের কল্যাণ ত্বরান্বিত করিতে চায়, তবে অবশ্যই তাহাদের মৃত্যু ঘটিত। সুতরাং যাহারা আমার সাক্ষাতের আশা পোষণ করে না তাহাদেরকে আমি তাহাদের অবাধ্যতায় উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়া বেড়াইতে দেই। (১০:১১)
আর মানুষকে যখন দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করে তখন সে শুইয়া, বসিয়া অথবা দাঁড়াইয়া আমাকে ডাকিয়া থাকে। অতঃপর আমি যখন তাহার দুঃখ-দৈন্য দূরীভূত করি, সে এমন পথ অবলম্বন করে, যেন তাহাকে যে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করিয়াছিল তাহার জন্য সে আমাকে ডাকেই নাই। যাহারা সীমালংঘন করে তাহাদের কর্ম তাহাদের নিকট এইভাবে শোভনীয় করিয়া দেওয়া হইয়াছে। (১০:১২)
তোমাদের পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে আমি তো ধ্বংস করিয়াছি যখন তাহারা সীমা অতিক্রম করিয়াছিল। স্পষ্ট নিদর্শনসহ তাহাদের নিকট তাহাদের রাসূলগণ আসিয়াছিল, কিন্তু তাহারা ঈমান আনিবার জন্য প্রস্তুত ছিল না। এইভাবে আমি অপরাধী সম্প্রদায়কে প্রতিফল দিয়া থাকি। (১০:১৩)
আমি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি উহাতে যদি তুমি সন্দেহে থাক তবে তোমার পূর্বের কিতাব যাহারা পাঠ করে তাহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর; তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার নিকট সত্য অবশ্যই আসিয়াছে। তুমি কখনও সন্দিগ্ধচিত্তদের অন্তর্ভুক্ত হইও না, (১০:৯৪)
এবং যাহারা আল্লাহ্র নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করিয়াছে তুমি কখনও তাহাদের অন্তর্ভুক্ত হইও না তাহা হইলে তুমিও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হইবে। (১০:৯৫)
নিশ্চয়ই যাহাদের বিরুদ্ধে তোমার প্রতিপালকের বাক্য সাব্যস্ত হইয়া গিয়াছে, তাহারা ঈমান আনিবে না, (১০:৯৬)
যদিও উহাদের নিকট প্রত্যেকটি নিদর্শন আসে যতক্ষণ না উহারা মর্মন্তুদ শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে। (১০:৯৭)
তবে ইউনুসের সম্প্রদায় ব্যতীত কোন জনপদবাসী কেন এমন হইল না যাহারা ঈমান আনিত এবং তাহাদের ঈমান তাহাদের উপকারে আসিত? তাহারা যখন ঈমান আনিল তখন আমি তাহাদের নিকট হইতে পার্থিব জীবনের হীনতাজনক শাস্তি দূর করিলাম এবং উহাদেরকে কিছুকালের জন্য জীবনোপভোগ করিতে দিলাম। (১০:৯৮)
তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করিলে পৃথিবীতে যাহারা আছে তাহারা সকলেই অব্যশই ঈমান আনিত; তবে কি তুমি মু’মিন হইবার জন্য মানুষের উপর জবরদস্তি করিবে? (১০:৯৯)
আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত ঈমান আনা কাহারও সাধ্য নয় এবং যাহারা অনুধাবন করে না আল্লাহ্ তাহাদেরকে কলুষলিপ্ত করেন। (১০:১০০)
উহারা পৃথিবীতে আল্লাহ্কে অপারগ করিতে পারিত না এবং আল্লাহ্ ব্যতীত উহদের অপর কোন অভিভাবক ছিল না; উহাদের শাস্তি দ্বিগুন করা হইবে; উহাদের শুনিবার সামর্থ্যও ছিল না এবং উহারা দেখিতও না। (১১:২০)
উহারা নিজেদেরই ক্ষতি করিল এবং উহারা যে অলীক কল্পনা করিত তাহা উহাদের নিকট হইতে উধাও হইয়া গেল। (১১:২১)
নিঃসন্দেহে উহারাই আখিরাতে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত। (১১:২২)
ইহা এইজন্য যে, তাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের উপর প্রাধান্য দেয় এবং আল্লাহ্ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। (১৬:১০৭)
উহারাই তাহারা, আল্লাহ্ যাহাদের অন্তর, কর্ণ ও চক্ষু মোহর করিয়া দিয়াছেন এবং উহারাই গাফিল। (১৬:১০৮)
নিশ্চয়ই উহারা তো আখিরাতে হইবে ক্ষতিগ্রস্ত। (১৬:১০৯)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে সংবাদ দিব কর্মে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্তদের?’ (১৮:১০৩)
উহারাই তাহারা, ‘পার্থিব জীবনে যাহাদের প্রচেষ্টা পন্ড হয়, যদিও তাহারা মনে করে যে, তাহারা সৎকর্মই করিতেছে, (১৮:১০৪)
‘উহারাই তাহারা, যাহারা অস্বীকার করে উহাদের প্রতিপালকের নিদর্শনাবলী ও তাঁহার সঙ্গে উহাদের সাক্ষাতের বিষয়। ফলে উহাদের কর্ম নিষ্ফল হইয়া যায়; সুতরাং কিয়ামতের দিন উহাদের জন্য ওজনের কোন ব্যবস্থা রাখিব না। (১৮:১০৫)
বল, ‘আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যাহা আছে তাহা তিনি অবগত এবং যাহারা অসত্যে বিশ্বাস করে ও আল্লাহ্কে অস্বীকার করে তাহারাইঁ তো ক্ষতিগ্রস্ত।’ (২৯:৫২)
মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাহাকে সৃষ্টি করিয়াছি শুক্রবিন্দু হইতে? অথচ পরে সে হইয়া পড়ে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী। (৩৬:৭৭)
এবং সে আমার সম্বন্ধে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টির কথা ভুলিয়া যায়। সে বলে, ‘কে অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করিবে যখন উহা পচিয়া গলিয়া যাইবে?’ (৩৬:৭৮)
আল্লাহ্ যাহাকে পথভ্রষ্ট করেন তৎপর তাহার জন্য কোন অভিভাবক নাই। জালিমরা যখন শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে তখন তুমি উহাদেরকে বলিতে শুনিবে, ‘প্রত্যাবর্তনের কোন উপায় আছে কি?’ (৪২:৪৪)
তুমি উহাদেরকে দেখিতে পাইবে যে, উহাদেরকে জাহান্নামের সম্মুখে উপস্থিত করা হইতেছে; তাহারা অপমানে অবনত অবস্থায় অর্ধনিমীলিত নেত্রে তাকাইতেছে। মু’মিনরা কিয়ামতের দিন বলিবে, ‘ক্ষতিগ্রস্ত তাহারাই যাহারা নিজেদের ও নিজেদের পরিজনবর্গের ক্ষতিসাধন করিয়াছে।’ জানিয়া রাখ, জালিমরা অবশ্যই ভোগ করিবে স্থায়ী শাস্তি। (৪২:৪৫)
যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহ্র স্মরণে বিমুখ হয় আমি তাহার জন্য নিয়োজিত করি এক শয়তান, অতঃপর সে-ই হয় তাহার সহচর। (৪৩:৩৬)
শয়তানেরাই মানুষকে সৎপথ হইতে বিরত রাখে, অথচ মানুষ মনে করে তাহারা সৎপথে পরিচালিত হইতেছে। (৪৩:৩৭)
উহাদের নিকট যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াত আবৃত্তি করা হয় তখন উহাদের কোন যুক্তি থাকে না কেবল এই উক্তি ছাড়া যে, তোমরা সত্যবাদী হইলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপস্থিত কর। (৪৫:২৫)
বল, ‘আল্লাহ্ই তোমাদেরকে জীবন দান করেন ও তোমাদের মৃত্যু ঘটান। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে কিয়ামত দিবসে একত্র করিবেন, যাহাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তাহা জানে না।’ (৪৫:২৬)
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর আধিপত্য আল্লাহ্রই, যেদিন কিয়ামত সংঘটিত হইবে সেদিন মিথ্যাশ্রয়ীরা হইবে ক্ষতিগ্রস্ত, (৪৫:২৭)
আর এমন লোক আছে, যে তাহার মাতা-পিতাকে বলে, ‘আফসোস তোমাদের জন্য! তোমরা কি আমাকে এই ভয় দেখাইতে চাও যে, আমি পুনরুত্থিত হইব যদিও আমার পূর্বে বহু পুরুষ গত হইয়াছে?’ তখন তাহার মাতা-পিতা আল্লাহ্র নিকট ফরিয়াদ করিয়া বলে, ‘দুর্ভোগ তোমার জন্য! তুমি বিশ্বাস স্থাপন কর, আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য।’ কিন্তু সে বলে, ‘ইহা তো অতীত কালের উপকথা ব্যতীত কিছুই নয়।’ (৪৬:১৭)
ইহাদের পূর্বে যে জিন ও মানব সম্প্রদায় গত হইয়াছে তাহাদের মত ইহাদের প্রতিও আল্লাহ্র উক্তি সত্য হইয়াছে। ইহারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। (৪৬:১৮)
মহাকালের শপথ, (১০৩:১)
মানুষ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত, (১০৩:২)
কিন্তু উহারা নয়, যাহারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে সত্যের উপদেশ দেয় ও ধৈর্যের উপদেশ দেয়। (১০৩:৩)