কিতাবীদের একদল চাহে যেন তোমাদেরকে বিপথগামী করিতে পারে, অথচ তাহারা নিজেদেরকেই বিপথগামী করে, কিন্তু তাহারা উপলব্ধি করে না। (৩:৬৯)
হে কিতাবীগণ! তোমরা কেন আল্লাহ্র আয়াতকে অস্বীকার কর, যখন তোমরাই সাক্ষ্য বহন কর? (৩:৭০)
হে কিতাবীগণ! তোমরা কেন সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশ্রিত কর এবং সত্য গোপন কর, যখন তোমরা জান? (৩:৭১)
কিতাবীদের একদল বলিল, ‘যাহারা ঈমান আনিয়াছে তাহাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে তোমরা দিনের প্রারম্ভে তাহা বিশ্বাস কর এবং দিনের শেষে তাহা প্রত্যাখ্যান কর; হয়ত তাহারা ফিরিবে। (৩:৭২)
‘আর যে ব্যক্তি তোমাদের দীনের অনুসরণ করে তাহাদেরকে ব্যতীত আর কাহাকেও বিশ্বাস করিও না।’ বল, ‘আল্লাহ্র নির্দেশিত পথই একমাত্র পথ। ইহা এইজন্য যে, তোমাদেরকে যাহা দেওয়া হইয়াছে অনুরূপ আর কাহাকেও দেওয়া হইবে অথবা তোমাদের প্রতিপালকের সম্মুখে তাহারা তোমাদেরকে যুক্তিতে পরাভূত করিবে। বল, ‘অনুগ্রহ আল্লাহ্রই হাতে; তিনি যাহাকে ইচ্ছা তাহা প্রদান করেন। আল্লাহ্ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। (৩:৭৩)
তিনি স্বীয় অনুগ্রহের জন্য যাহাকে ইচ্ছা বিশেষ করিয়া বাছিয়া নেন। আল্লাহ্ মহা অনুগ্রহশীল। (৩:৭৪)
কিতাবীদের মধ্যে এমন লোক রহিয়াছে, যে বিপুল সম্পদ আমানত রাখিলেও ফেরত দিবে; আবার এমন লোকও আছে যাহার নিকট একটি দীনারও আমানত রাখিলে তাহার পিছনে লাগিয়া না থাকিলে সে ফেরত দিবে না, ইহা এই কারণে যে, তাহারা বলে, ‘নিরক্ষরদের প্রতি আমাদের কোন বাধ্যবাধকতা নাই’, এবং তাহারা জানিয়া-শুনিয়া আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে। (৩:৭৫)
হাঁ, কেহ তাহার অঙ্গীকার পূর্ণ করিলে এবং তাক্ওয়া অবলম্বন করিয়া চলিলে আল্লাহ্ অবশ্যই মুত্তাকীদের ভালবাসেন। (৩:৭৬)
যাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে পরকালে তাহাদের কোন অংশ নাই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাহাদের সঙ্গে কথা বলিবেন না এবং তাহাদের দিকে চাহিবেন না এবং তাহাদেরকে পরিশুদ্ধ করিবেন না; তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রহিয়াছে। (৩:৭৭)
আর নিশ্চয়ই তাহাদের মধ্যে একদল লোক আছেই যাহারা কিতাবকে জিহ্বা দ্বারা বিকৃত করে যাহাতে তোমরা উহাকে আল্লাহ্র কিতাবের অংশ মনে কর; কিন্তু উহা কিতাবের অংশ নহে এবং তাহারা বলে, ‘উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে’, কিন্তু উহা আল্লাহ্র পক্ষ হইতে প্রেরিত নহে। তাহারা জানিয়া-শুনিয়া আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলে। (৩:৭৮)
তোমাদেরকে নিশ্চয়ই তোমাদের ধনৈশ্বর্য ও জীবন সম্বন্ধে পরীক্ষা করা হইবে। তোমাদের পূর্বে যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল তাহাদের এবং মুশরিকদের নিকট হইতে তোমরা অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনিবে। যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং তাক্ওয়া অবল্বন কর তবে নিশ্চয়ই উহা হইবে দৃঢ়সংকল্পের কাজ। (৩:১৮৬)
স্মরণ কর, যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছিল আল্লাহ্ তাহাদের প্রতিশ্রুতি লইয়াছিলেন: ‘তোমরা উহা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে প্রকাশ করিবে এবং উহা গোপন করিবে না।’ ইহার পরও তাহারা উহা অগ্রাহ্য করে ও তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে; সুতরাং তাহারা যাহা ক্রয় করে তাহা কত নিকৃষ্ট! (৩:১৮৭)
তোমার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া না থাকিলে তাহাদের একদল তোমাকে পথভ্রষ্ট করিতে চাহিতই। কিন্তু তাহারা নিজেদেরকে ব্যতীত আর কাহাকেও পথভ্রষ্ট করে না এবং তোমার কোনই ক্ষতি করিতে পারে না। আল্লাহ্ তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমত অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং তুমি যাহা জানিতে না তাহা তোমাকে শিক্ষা দিয়াছেন; তোমার প্রতি আল্লাহ্র মহা অনুগ্রহ রহিয়াছে। (৪:১১৩)
তাহাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নাই, তবে কল্যাণ আছে যে নির্দেশ দেয় দান-খয়রাত, সৎকর্ম ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের; আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষায় কেহ উহা করিলে তাহাকে অবশ্যই আমি মহাপুরস্কার দিব। (৪:১১৪)
কাহারও নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতীত অন্য পথ অনুসরণ করে, তবে যেদিকে সে ফিরিয়া যায় সেদিকেই তাহাকে ফিরাইয়া দিব এবং জাহান্নামে তাহাকে দগ্ধ করিব, আর উহা কত মন্দ আবাস! (৪:১১৫)
কিতাবীগণ তোমাকে তাহাদের জন্য আস্মান হইতে কিতাব অবতীর্ণ করিতে বলে; অথচ তাহার মূসার নিকট ইহা অপেক্ষাও বড় দাবি করিয়াছিল। তাহারা বলিয়াছিল, ‘আমাদের প্রকাশ্যে আল্লাহ্কে দেখাও।’ তাহাদের সীমালংঘনের জন্য তাহারা বজ্রাহত হইয়াছিল; অতঃপর স্পষ্ট প্রমাণ তাহাদের নিকট প্রকাশ হওয়ার পরও তাহারা গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করিয়াছিল; ইহাও ক্ষমা করিয়াছিলাম এবং মূসাকে স্পষ্ট প্রমাণ প্রদান করিয়াছিলাম। (৪:১৫৩)
তাহাদের অঙ্গীকারের জন্য ‘তূর’ পর্বতকে আমি তাহাদের উর্ধ্বে উত্তোলন করিয়াছিলাম এবং তাহাদেরকে বলিয়াছিলাম, ‘নতশিরে দ্বার দিয়া প্রবেশ কর।’ তাহাদেরকে আরও বলিয়াছিলাম, ‘শনিবার সম্পর্কে সীমালংঘন করিও না, এবং তাহাদের নিকট হইতে দৃঢ় অঙ্গীকার লইয়াছিলাম। (৪:১৫৪)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য, আল্লাহ্র আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য, নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার জন্য এবং ‘আমাদের হৃদয় আচ্ছাদিত’- তাহাদের এই উক্তির জন্য; বরং তাহাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ্ উহা মোহর করিয়াছেন। সুতরাং তাহাদের অল্পসংখ্যক লোকই বিশ্বাস করে। (৪:১৫৫)
এবং তাহারা লা‘নতগ্রস্ত হইয়াছিল তাহাদের কুফরীর জন্য ও মার্ইয়ামের বিরুদ্ধে গুরুতর অপবাদের জন্য, (৪:১৫৬)
আর ‘আমরা আল্লাহ্র রাসূল মার্ইয়ামতনয় ‘ঈসা মসীহ্কে হত্যা করিয়াছি’ তাহাদের এই উক্তির জন্য। অথচ তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই, ক্রুশবিদ্ধও করে নাই; কিন্তু তাহাদের এইরূপ বিভ্রম হইয়াছিল। যাহারা তাহার সম্বন্ধে মতভেদ করিয়াছিল তাহারা নিশ্চয়ই এই সম্বন্ধে সংশয়যুক্ত ছিল; এই সম্পর্কে অনুমানের অনুসরণ ব্যতীত তাহাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। ইহা নিশ্চিত যে, তাহারা তাহাকে হত্যা করে নাই; (৪:১৫৭)
বরং আল্লাহ্ তাহাকে তাঁহার নিকট তুলিয়া লইয়াছেন এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। (৪:১৫৮)
কিতাবীদের মধ্যে প্রত্যেকে নিজ মৃত্যুর পূর্বে তাহাকে বিশ্বাস করিবেই এবং কিয়ামতের দিন সে তাহাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। (৪:১৫৯)
ভাল ভাল যাহা ইয়াহূদীদের জন্য বৈধ ছিল আমি তাহা উহাদের জন্য অবৈধ করিয়াছি তাহাদের সীমালংঘনের জন্য এবং আল্লাহ্র পথে অনেককে বাধা দেওয়ার জন্য, (৪:১৬০)
এবং তাহাদের সুদ গ্রহণের জন্য, যদিও উহা তাহাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হইয়াছিল; এবং অন্যায়ভাবে লোকের ধন-সম্পদ গ্রাস করার জন্য। তাহাদের মধ্যে যাহারা কাফির তাহাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি প্রস্তুত রাখিয়াছি। (৪:১৬১)
কিন্তু তাহাদের মধ্যে যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা ও মু’মিনগণ তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে এবং তোমার পূর্বে যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহাতেও ঈমান আনে এবং যাহারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ্ ও পরকালে ঈমান রাখে, আমি উহাদেরকে মহাপুরস্কার দিব। (৪:১৬২)
হে কিতাবীগণ! দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করিও না ও আল্লাহ্ সম্বন্ধে সত্য ব্যতীত বলিও না। মার্ইয়াম-তনয় ‘ঈসা মসীহ্ তো আল্লাহ্র রাসূল এবং তাঁহার বাণী, যাহা তিনি মার্ইয়ামের নিকট প্রেরণ করিয়াছিলেন ও তাঁহার আদেশ। সুতরাং তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলগণে ঈমান আন এবং বলিও না, ‘তিন!’ নিবৃত্ত হও, ইহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হইবে। আল্লাহ্ তো একমাত্র ইলাহ্; তাঁহার সন্তান হইবে- তিনি ইহা হইতে পবিত্র। আসমানে যাহা কিছু আছে ও যমীনে যাহা কিছু আছে সব আল্লাহ্রই; কর্ম-বিধানে আল্লাহ্ই যথেষ্ট। (৪:১৭১)
মসীহ্ আল্লাহ্র বান্দা হওয়াকে কখনও হেয় জ্ঞান করে না এবং ঘনিষ্ঠ ফিরিশ্তাগণও করে না। আর কেহ তাঁহার ‘ইবাদতকে হেয় জ্ঞান করিলে এবং অহংকার করিলে তিনি অবশ্যই তাহাদের সকলকে তাঁহার নিকট একত্র করিবেন। (৪:১৭২)
যাহারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তিনি তাহাদেরকে পূর্ণ পুরস্কার দান করিবেন এবং নিজ অনুগ্রহে আরও বেশি দিবেন। কিন্তু যাহারা হেয় জ্ঞান করে ও অহংকার করে তাহাদেরকে তিনি মর্মন্তুদ শাস্তি দান করিবেন এবং আল্লাহ্ ব্যতীত তাহাদের জন্য তাহারা কোন অভিভাবক ও সহায় পাইবে না। (৪:১৭৩)
হে মু’মিনগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের বিরুদ্ধে হস্ত উত্তোলন করিতে চাহিয়াছিল, তখন আল্লাহ্ তাহাদের হাত তোমাদের দিক হইতে নিবৃত্ত করিয়াছিলেন; এবং আল্লাহ্কে ভয় কর, আর আল্লাহ্রই প্রতি মু’মিনগণ নির্ভর করুক। (৫:১১)
আর আল্লাহ্ তো বনী ইসরাঈলের অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং তাহাদের মধ্য হইতে বারোজন নেতা নিযুক্ত করিয়াছিলাম; আর আল্লাহ্ বলিয়াছিলেন, ‘আমি তোমাদের সঙ্গে আছি; তোমরা যদি সালাত কায়েম কর, যাকাত দাও, আমার রাসূলগণের প্রতি ঈমান আন ও তাহাদেরকে সম্মান কর এবং আল্লাহ্কে উত্তম ঋণ প্রদান কর, তবে তোমাদের পাপ অবশ্যই মোচন করিব এবং নিশ্চয় তোমাদেরকে দাখিল করিব জান্নাতে, যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। ইহার পরও কেহ কুফরী করিলে সে তো সরল পথ হারাইবে। (৫:১২)
তাহাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের জন্য আমি তাহাদেরকে লা‘নত করিয়াছি ও তাহাদের হৃদয় কঠিন করিয়াছি; তাহারা শব্দগুলির আসল অর্থ বিকৃত করে এবং তাহারা যাহা উপদিষ্ট হইয়াছিল উহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। তুমি সর্বদা উহাদের অল্পসংখ্যক ব্যতীত সকলকেই বিশ্বাসঘাতকতা করিতে দেখিতে পাইবে, সুতরাং উহাদেরকে ক্ষমা কর ও উপেক্ষা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালবাসেন। (৫:১৩)
যাহারা বলে, ‘আমরা খ্রিস্টান’, তাহাদেরও অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম; কিন্তু তাহারা যাহা উপদিষ্ট হইয়াছিল তাহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ জাগরূক রাখিয়াছি; তাহারা যাহা করিত আল্লাহ্ তাহাদেরকে অচিরেই তাহা জানাইয়া দিবেন। (৫:১৪)
বল, ‘হে কিতাবীগণ! একমাত্র এই কারণেই না তোমরা আমাদের প্রতি শত্রুতা পোষণ কর যে, আমরা আল্লাহ্ ও আমাদের প্রতি যাহা অবতীর্ণ হইয়াছে এবং যাহা পূর্বে অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাতে আমরা ঈমান আনিয়াছি এবং তোমাদের অধিকাংশই তো ফাসিক।’ (৫:৫৯)
বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে ইহা অপেক্ষা নিকৃষ্ট পরিণামের সংবাদ দিব যাহা আল্লাহ্র নিকট আছে? যাহাকে আল্লাহ্ লা‘নত করিয়াছেন, যাহার উপর তিনি ক্রোধান্বিত, যাহাদের কতককে তিনি বানর ও কতককে শূকর করিয়াছেন এবং যাহারা তাগূতের ‘ইবাদত করে, মর্যাদায় তাহারাই নিকৃষ্ট এবং সরল পথ হইতে সর্বাধিক বিচ্যুত।’ (৫:৬০)
তাহারা যখণ তোমাদের নিকট আসে তখন বলে, ‘আমরা ঈমান আনিয়াছি’, কিন্তু তাহারা কুফর লইয়াই প্রবেশ করে এবং উহা লইয়াই বাহির হইয়া যায়। তাহারা যাহা গোপন করে, আল্লাহ্ তাহা বিশেষভাবে অবহিত। (৫:৬১)
তাহাদের অনেককেই তুমি দেখিবে পাপে, সীমালংঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর; তাহারা যাহা করে নিশ্চয় তাহা নিকৃষ্ট। (৫:৬২)
রাব্বানীগণ ও পন্ডিতগণ কেন তাহাদেরকে পাপ কথা বলিতে ও অবৈধ ভক্ষণে নিষেধ করে না? ইহারা যাহা করে নিশ্চয় তাহাও নিকৃষ্ট। (৫:৬৩)
ইয়াহূদীরা বলে, ‘আল্লাহ্র হাত রুদ্ধ’; উহারাই রুদ্ধহস্ত এবং উহারা যাহা বলে তজ্জন্য উহারা অভিশপ্ত, বরং আল্লাহ্র উভয় হস্তই প্রসারিত; যেভাবে ইচ্ছা তিনি দান করেন। তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে যাহা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হইয়াছে তাহা তাহাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও কুফরী বৃদ্ধি করিবেই। তাহাদের মধ্যে আমি কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করিয়াছি। যতবার তাহারা যুদ্ধের অগ্নি প্রজ্বলিত করে ততবার আল্লাহ্ উহা নির্বাপিত করেন এবং তাহারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করিয়া বেড়ায়; আল্লাহ্ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্তদেরকে ভালবাসেন না। (৫:৬৪)
কিতাবীগণ যদি ঈমান আনিত ও ভয় করিতে তাহা হইলে আমি তাহাদের দোষ অবশ্যই অপনোদন করিতাম এবং তাহাদেরকে সুখময় জান্নাতে দাখিল করিতাম। (৫:৬৫)
আমি বনী ইসরাঈলের নিকট হইতে অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম ও তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছিলাম। যখনই কোন রাসূল তাহাদের নিকট এমন কিছু আনে যাহা তাহাদের মনঃপূত নয়, তখনই তাহারা কতককে মিথ্যাবাদী বলে ও কতককে হত্যা করে। (৫:৭০)
তাহারা মনে করিয়াছিল, তাহাদের কোন শাস্তি হইবে না; ফলে তাহারা অন্ধ ও বধির হইয়া গিয়াছিল। অতঃপর আল্লাহ্ তাহাদের প্রতি ক্ষমাশীল হইয়াছিলেন। পুনরায় তাহাদের অনেকেই অন্ধ ও বধির হইয়াছিল। তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাহার সম্যক দ্রষ্টা। (৫:৭১)
যাহারা বলে, ‘আল্লাহ্ই মার্ইয়াম-তনয় মসীহ্’, তাহারা তো কুফরী করিয়াছেই। অথচ মসীহ্ বলিয়াছিল, ‘হে বনী ইস্রাঈল! তোমরা আমার প্রতিপালক ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্র ‘ইবাদত কর।’ কেহ আল্লাহ্র শরীক করিলে আল্লাহ্ তাহার জন্য জান্নাত অবশ্যই নিষিদ্ধ করিবেন এবং তাহার আবাস জাহান্নাম। জালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নাই। (৫:৭২)