যাহারা দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের চেয়ে ভালবাসে, মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহ্র পথ হইতে এবং আল্লাহ্র পথ বক্র করিতে চাহে; উহারাই তো ঘোর বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে। (১৪:৩)
‘তোমাদের নিকট কি সংবাদ আসে নাই তোমাদের পূর্ববর্তীদের, নূহের সম্প্রদায়ের, ‘আদের ও সামূদের এবং তাহাদের পরবর্তীদের? উহাদের বিষয় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কেহ জানে না।’ উহাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসহ উহাদের রাসূল আসিয়াছিল, উহারা উহাদের হাত উহাদের মুখে স্থাপন করিত এবং বলিত, ‘যাহাসহ তোমরা প্রেরিত হইয়াছ তাহা আমরা অবশ্যই অস্বীকার করি এবং আমরা অবশ্যই বিভ্রান্তিকর সন্দেহে রহিয়াছি সে বিষয়ে, যাহার প্রতি তোমরা আমাদেরকে আহ্বান করিতেছ।’ (১৪:৯)
উহাদের রাসূলগণ বলিয়াছিল, ‘আল্লাহ্ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা? তিনি তোমাদেরকে আহ্বান করেন তোমাদের পাপ মার্জনা করিবার জন্য এবং নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদের অবকাশ দিবার জন্য।’ উহারা বলিত, ‘তোমরা তো আমাদেরই মত মানুষ। আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাহাদের ‘ইবাদত করিত তোমরা তাহাদের ‘ইবাদত হইতে আমাদেরকে বিরত রাখিতে চাও। অতএব তোমরা আমাদের নিকট কোন অকাট্য প্রমাণ উপস্থিত কর।’ (১৪:১০)
উহাদের রাসূলগণ উহাদেরকে বলিত, ‘সত্য বটে, আমরা তোমাদের মত মানুষই কিন্তু আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের মধ্যে যাহাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন। আল্লাহ্র অনুমতি ব্যতীত তোমাদের নিকট প্রমাণ উপস্থিত করা আমাদের কাজ নয়। আল্লাহ্র উপরই মু’মিনগণের নির্ভর করা উচিত। (১৪:১১)
আমাদের কি হইয়াছে যে, ‘আমরা আল্লাহ্র উপর নির্ভর করিব না? তিনিই তো আমাদেরকে পথ প্রদর্শন করিয়াছেন। তোমরা আমাদেরকে যে ক্লেশ দিতেছ, আমরা তাহাতে অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করিব এবং আল্লাহ্রই উপর নির্ভরকারিগণ নির্ভর করুক।’ (১৪:১২)
কাফিররা উহাদের রাসূলগণকে বলিয়াছিল, ‘আমরা তোমাদেরকে আমাদের দেশ হইতে অবশ্যই বহিষ্কার করিব অথবা তোমাদেরকে আমাদের ধর্মাদর্শে ফিরিয়া আসিতেই হইবে।’ অতঃপর রাসূলগণকে তাহাদের প্রতিপালক ওহী প্রেরণ করিলেন, জালিমদেরকে আমি অবশ্যই বিনাশ করিব; (১৪:১৩)
‘উহাদের পরে আমি তোমাদেরকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করিবই; ইহা তাহাদের জন্য যাহারা ভয় রাখে আমার সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার এবং ভয় রাখে আমার শাস্তির।’ (১৪:১৪)
যাহারা তাহাদের প্রতিপালককে অস্বীকার করে তাহাদের উপমা-তাহাদের কর্মসমূহ ভস্মসদৃশ যাহা ঝড়ের দিনের বাতাস প্রচন্ড বেগে উড়াইয়া লইয়া যায়। যাহা তাহারা উপার্জন করে তাহার কিছুই তাহারা তাহাদের কাজে লাগাইতে পারে না। ইহা তো ঘোর বিভ্রান্তি। (১৪:১৮)
যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় হইতে এক একজন সাক্ষী উত্থিত করিব সেদিন কাফিরদেরকে অনুমতি দেওয়া হইবে না এবং উহাদের কোন ওযরও গৃহীত হইবে না। (১৬:৮৪)
যখন জালিমরা শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে তখন উহাদের শাস্তি লঘু করা হইবে না এবং উহাদেরকে কোন অবকাশ দেওয়া হইবে না। (১৬:৮৫)
মুশরিকরা যাহাদেরকে আল্লাহ্র শরীক করিয়াছিল, তাহাদেরকে যখন দেখিবে তখন তাহারা বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! ইহারাই তাহারা, যাহাদেরকে আমরা তোমার শরীক করিয়াছিলাম, যাহাদেরকে আমরা আহ্বান করিতাম তোমার পরিবর্তে; অতঃপর তদুত্তরে উহারা বলিবে, ‘তোমরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।’ (১৬:৮৬)
সেই দিন তাহারা আল্লাহ্র নিকট আত্মসমর্পণ করিবে এবং তাহারা যে মিথ্যা উদ্ভাবন করিত তাহা তাহাদের জন্য নিষ্ফল হইবে। (১৬:৮৭)
আমি শাস্তির পর শাস্তি বৃদ্ধি করিব কাফিরদের ও আল্লাহ্র পথে বাধাদানকারীদের; কারণ তাহারা অশান্তি সৃষ্টি করিত। (১৬:৮৮)
তুমি যদি দেখিতে যখন ইহারা ভীত-বিহ্বল হইয়া পড়িবে, তখন ইহারা অব্যাহতি পাইবে না এবং ইহারা নিকটস্থ স্থান হইতে ধৃত হইবে, (৩৪:৫১)
এবং ইহারা বলিবে, ‘আমরা তাহাতে ঈমান আনিলাম।’ কিন্তু এত দূরবর্তী স্থান হইতে উহারা নাগাল পাইবে কিরূপে? (৩৪:৫২)
উহারা তো পূর্বে তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছিল; উহারা দূরবর্তী স্থান হইতে অদৃশ্য বিষয়ে বাক্য ছুঁড়িয়া মারিত। (৩৪:৫৩)
ইহাদের ও ইহাদের বাসনার মধ্যে অন্তরাল করা হইয়াছে, যেমন পূর্বে করা হইয়াছিল ইহাদের সমপন্থীদের ক্ষেত্রে। উহারা ছিল বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে। (৩৪:৫৪)
সেই ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে, যে আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যাহা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও উহাকে সাড়া দিবে না? এবং এইগুলি উহাদের প্রার্থনা সম্বন্ধে অবহিতও নয়। (৪৬:৫)
তাহার সহচর শয়তান বলিবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাহাকে অবাধ্য করি নাই। বস্তুত সে-ই ছিল ঘোর বিভ্রান্ত। (৫০:২৭)
আল্লাহ্ বলিবেন, ‘আমার সম্মুখে বাক-বিতন্ডা করিও না; তোমাদেরকে আমি তো পূর্বেই সতর্ক করিয়াছি। (৫০:২৮)